বাড়ি বানানোর চুক্তি করে হামলা, মামলায় দিশেহারা জমির মালিক by কাজী আনিছ
স্বাধীনতা দিবসের এক দিন আগে গত ২৪ মার্চ রাজধানীর পল্লবী আবাসিক এলাকায় এক মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের মারধর করা হয়েছে। ওই মুক্তিযোদ্ধার নাম খলিলুর রহমান। বহুতল ভবন করার জন্য চুক্তিবদ্ধ আবাসন প্রতিষ্ঠানের লোকজন এ হামলা করে।
প্রাইম লাইফ ডেভেলপারস নামের আবাসন প্রতিষ্ঠানটির ওপর স্থানীয় সাংসদ ইলিয়াছ উদ্দিন মোল্লার আশীর্বাদ আছে। হামলায় সাংসদ ও তাঁর ভাইয়ের লোকজনও অংশ নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পুলিশও কার্যত হামলাকারীদের পক্ষ নিয়েছে।
আবাসন প্রতিষ্ঠানটি যে ওই মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সঙ্গে করা চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করেছে, তা সত্য বলে জানিয়েছেন সাংসদ ইলিয়াছ উদ্দিন মোল্লা। তবে হামলার ঘটনায় তাঁর লোকজন সম্পৃক্ত নয় বলে দাবি করেন তিনি। সাংসদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘ডেভেলপার কোম্পানির লোকজন ভাঙচুর করতে পারে। কিন্তু যদি আমার বা আমার ভাইয়ের লোকজন ভাঙচুর করেছে বলে প্রমাণ পান, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারেন।’
হামলার পর বাড়িটি দেখতে যান সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাংসদ শাহিদা তারেখ ওরফে দীপ্তি। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘খলিলুর রহমান একজন মুক্তিযোদ্ধা। ডেভেলপার কোম্পানির মালিক সাইফুল আলম সাংসদ ইলিয়াছ মোল্লার ভাই বিপ্লব মোল্লার বন্ধু। কে কার বন্ধু তা দেখেই তো বোঝা যায়, কারা এ কাজ করছে? থাক ভাই, এ ব্যাপারে না বলি। আমরা নাকি এখন বিএনপি হয়ে গেছি। ওরাই বড় আওয়ামী লীগার।’
মিরপুর সাড়ে ১১ নম্বরের পল্লবীর আবাসিক এলাকার বাসায় গেলে খলিলুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ২০১০ সালের আগস্টে প্রায় তিন কাঠা বসতভিটায় পাশের প্লটের সঙ্গে মিলিয়ে বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য তিনি মিরপুর এলাকার প্রাইম লাইফ ডেভেলপারসের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হন। কিন্তু চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করে আবাসন প্রতিষ্ঠানের মালিক রাজউকের অনুমোদনের জন্য কাগজপত্র জমা দেন। কাগজপত্রে তাঁর (খলিলুর রহমান) নাম, দলিল নম্বর, হোল্ডিং নম্বরসহ প্রয়োজনীয় তথ্য গোপন করা হয়। আবাসন প্রতিষ্ঠান নিয়মবহির্ভূতভাবে নকশাও করায়। বাড়ির মালিক খলিল জানান, এ নিয়ে তিনি আপত্তি জানালে একপর্যায়ে তাঁর বাড়িতে হামলা চালানো হয়।
খলিলুর রহমানের অভিযোগ, ২৪ মার্চ সকালে প্রায় ৫০ জন লোক বাড়ির সীমানাপ্রাচীর, প্রধান ফটক, বাসার দরজা-জানালা ভাঙচুর করে। পানির ট্যাংক ও বিদ্যুতের লাইন বিচ্ছিন্ন করে দেয়। পরিবারের সদস্যদের মারধর করে। তিনি থানায় যোগাযোগ করলে পুলিশ সাংসদকে জানাতে বলেন। পরে বিভিন্ন জায়গায় ফোন করে পুলিশ আনা হলে ভাঙচুর কিছুক্ষণ বন্ধ থাকে। কিন্তু পল্লবী পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই সরোয়ার হোসেন এসে ভাঙচুর চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন। পুলিশের উপস্থিতিতেই সন্ত্রাসীরা পানির ট্যাংক, ফটক, জানালা ভাঙচুর করে এবং বাসার বেশ কিছু মাল লুট করে।
রাতে খলিলুর রহমান আবাসন প্রতিষ্ঠানের মালিক সাইফুল আলমসহ সাতজনের নাম উল্লেখ করে আরও অজ্ঞাতনামা ৪০-৫০ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ভাঙচুর করতে আসা লোকজন এলাকায় সাংসদ ইলিয়াছ মোল্লা ও তাঁর ভাইয়ের লোকজন হিসেবে পরিচিত।
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির প্রধান ফটক, পানির ট্যাংক ও জানালা নেই। আশপাশে ভাঙচুরের আলামত প্রকাশ্য। সীমানাপ্রাচীরে কয়েকটি নতুন ইট বসানো হয়েছে। জানালা লুট হওয়ায় ফাঁকা স্থানে ইট দিয়ে রাখা হয়েছে।
বাড়ির মালিক জানান, মামলা করার আগে সাংসদ ইলিয়াছ মোল্লা উভয় পক্ষকে তাঁর বাসায় ডেকে সম্পূরক চুক্তি করার জন্য বলেন। সাংসদ নিজেই বিষয়টি দেখবেন বলে সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়ার নির্দেশ দেন। খলিলুর রহমান বলেন, কিন্তু খসড়া সম্পূরক চুক্তিতেও অস্বচ্ছতা থাকায় তিনি আর চুক্তি করেননি। পরে তিনি আবাসন প্রতিষ্ঠানটির মালিককে যে আমমোক্তারনামা দিয়েছিলেন, তা-ও বাতিল করেন। আইনি নোটিশের মাধ্যমে তা প্রতিষ্ঠানের মালিককে জানিয়েও দেন।
প্রতিষ্ঠানের মালিক সাইফুল আলম বলেন, ‘আমি কোনো আইনি নোটিশ পাইনি। চুক্তি অনুযায়ী কাজ করা হয়েছে।’ বাড়িতে হামলার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বাড়ি ওইভাবে ভাঙা হয়নি। তার পরও এটা ভুল হয়ে গেছে।’ রাজউকে জমা দেওয়া কাগজপত্রে জমির মালিকের নাম উল্লেখ না করাসহ বিভিন্ন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সাইফুল এই প্রতিবেদককে তাঁর অফিসে দেখা করতে বলেন। সেটা সম্ভব নয় জানালে তিনি প্রথম আলো কার্যালয়ে এসে বক্তব্য দেবেন বলে জানান। কিন্তু তিনি আর আসেননি।
১ এপ্রিল আবাসন প্রতিষ্ঠানটির মালিক সাইফুল বাড়ির মালিক খলিল, তাঁর ছেলে ফরিদুদ্দিন, খলিলের মেয়েজামাইসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণার মামলা করেন।
তাঁর আশকারায় এসব ঘটনা ঘটছে—এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সাংসদ ইলিয়াছ মোল্লা বলেন, ‘আমি দুই পক্ষকে ডেকে ঝামেলা মিটমাট করে দেব।’ বাড়িতে হামলার বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেবেন, জানতে চাইলে সাংসদ বলেন, ‘আমি ঝামেলা মিটমাট করে দেব।’
জানতে চাইলে পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল লতিফ বলেন, ‘আইনি কাগজপত্র ছিল বলে কোম্পানির লোকজন ভাঙচুর করেছে। পরে পুলিশ গিয়ে ভাঙচুর বন্ধ করে দেয়।’ কাগজপত্রে কি বনিবনা না হলে এক পক্ষ আরেক পক্ষের ওপর হামলা করবে তা লেখা আছে? জবাবে ওসি বলেন, ‘এটা আমাদের দেখার বিষয় নয়।’ আইনগতভাবে হামলা হয়ে থাকলে বাধা দিলেন কেন? ওসি এর কোনো জবাব দেননি। বাড়ির মালিকের করা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার না করা প্রসঙ্গে ওসি বলেন, ‘এটা তদন্ত কর্মকর্তা জানেন।’
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্লবী থানার এসআই শেখ তাজ উদ্দিন বলেন, ‘ভাঙচুর যারাই করুক, এলাকায় এক লাখ মানুষ থাকলে সবাই তো এমপির লোক। আসামিদের পাওয়া যাচ্ছে না বলে তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না।’
যোগাযোগ করা হলে ভাঙচুরের নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন এএসআই সরোয়ার হোসেন।
খলিলুরের ছেলে ফরিদুদ্দিন বলেন, সীমানাপ্রাচীরসহ ভেঙে ফেলা গেট, জানালা মেরামতের কাজ শুরু করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু হামলাকারীরা পুলিশ নিয়ে এসে কাজ বন্ধ করে দেয়। তিনি জানান, এ পর্যন্ত তাঁরা থানায় তিনটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। সর্বশেষ মামলা করে এখন নিরাপত্তাহীনতায় আছেন তাঁরা।
আবাসন প্রতিষ্ঠানটি যে ওই মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সঙ্গে করা চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করেছে, তা সত্য বলে জানিয়েছেন সাংসদ ইলিয়াছ উদ্দিন মোল্লা। তবে হামলার ঘটনায় তাঁর লোকজন সম্পৃক্ত নয় বলে দাবি করেন তিনি। সাংসদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘ডেভেলপার কোম্পানির লোকজন ভাঙচুর করতে পারে। কিন্তু যদি আমার বা আমার ভাইয়ের লোকজন ভাঙচুর করেছে বলে প্রমাণ পান, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারেন।’
হামলার পর বাড়িটি দেখতে যান সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাংসদ শাহিদা তারেখ ওরফে দীপ্তি। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘খলিলুর রহমান একজন মুক্তিযোদ্ধা। ডেভেলপার কোম্পানির মালিক সাইফুল আলম সাংসদ ইলিয়াছ মোল্লার ভাই বিপ্লব মোল্লার বন্ধু। কে কার বন্ধু তা দেখেই তো বোঝা যায়, কারা এ কাজ করছে? থাক ভাই, এ ব্যাপারে না বলি। আমরা নাকি এখন বিএনপি হয়ে গেছি। ওরাই বড় আওয়ামী লীগার।’
মিরপুর সাড়ে ১১ নম্বরের পল্লবীর আবাসিক এলাকার বাসায় গেলে খলিলুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ২০১০ সালের আগস্টে প্রায় তিন কাঠা বসতভিটায় পাশের প্লটের সঙ্গে মিলিয়ে বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য তিনি মিরপুর এলাকার প্রাইম লাইফ ডেভেলপারসের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হন। কিন্তু চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করে আবাসন প্রতিষ্ঠানের মালিক রাজউকের অনুমোদনের জন্য কাগজপত্র জমা দেন। কাগজপত্রে তাঁর (খলিলুর রহমান) নাম, দলিল নম্বর, হোল্ডিং নম্বরসহ প্রয়োজনীয় তথ্য গোপন করা হয়। আবাসন প্রতিষ্ঠান নিয়মবহির্ভূতভাবে নকশাও করায়। বাড়ির মালিক খলিল জানান, এ নিয়ে তিনি আপত্তি জানালে একপর্যায়ে তাঁর বাড়িতে হামলা চালানো হয়।
খলিলুর রহমানের অভিযোগ, ২৪ মার্চ সকালে প্রায় ৫০ জন লোক বাড়ির সীমানাপ্রাচীর, প্রধান ফটক, বাসার দরজা-জানালা ভাঙচুর করে। পানির ট্যাংক ও বিদ্যুতের লাইন বিচ্ছিন্ন করে দেয়। পরিবারের সদস্যদের মারধর করে। তিনি থানায় যোগাযোগ করলে পুলিশ সাংসদকে জানাতে বলেন। পরে বিভিন্ন জায়গায় ফোন করে পুলিশ আনা হলে ভাঙচুর কিছুক্ষণ বন্ধ থাকে। কিন্তু পল্লবী পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই সরোয়ার হোসেন এসে ভাঙচুর চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন। পুলিশের উপস্থিতিতেই সন্ত্রাসীরা পানির ট্যাংক, ফটক, জানালা ভাঙচুর করে এবং বাসার বেশ কিছু মাল লুট করে।
রাতে খলিলুর রহমান আবাসন প্রতিষ্ঠানের মালিক সাইফুল আলমসহ সাতজনের নাম উল্লেখ করে আরও অজ্ঞাতনামা ৪০-৫০ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ভাঙচুর করতে আসা লোকজন এলাকায় সাংসদ ইলিয়াছ মোল্লা ও তাঁর ভাইয়ের লোকজন হিসেবে পরিচিত।
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির প্রধান ফটক, পানির ট্যাংক ও জানালা নেই। আশপাশে ভাঙচুরের আলামত প্রকাশ্য। সীমানাপ্রাচীরে কয়েকটি নতুন ইট বসানো হয়েছে। জানালা লুট হওয়ায় ফাঁকা স্থানে ইট দিয়ে রাখা হয়েছে।
বাড়ির মালিক জানান, মামলা করার আগে সাংসদ ইলিয়াছ মোল্লা উভয় পক্ষকে তাঁর বাসায় ডেকে সম্পূরক চুক্তি করার জন্য বলেন। সাংসদ নিজেই বিষয়টি দেখবেন বলে সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়ার নির্দেশ দেন। খলিলুর রহমান বলেন, কিন্তু খসড়া সম্পূরক চুক্তিতেও অস্বচ্ছতা থাকায় তিনি আর চুক্তি করেননি। পরে তিনি আবাসন প্রতিষ্ঠানটির মালিককে যে আমমোক্তারনামা দিয়েছিলেন, তা-ও বাতিল করেন। আইনি নোটিশের মাধ্যমে তা প্রতিষ্ঠানের মালিককে জানিয়েও দেন।
প্রতিষ্ঠানের মালিক সাইফুল আলম বলেন, ‘আমি কোনো আইনি নোটিশ পাইনি। চুক্তি অনুযায়ী কাজ করা হয়েছে।’ বাড়িতে হামলার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বাড়ি ওইভাবে ভাঙা হয়নি। তার পরও এটা ভুল হয়ে গেছে।’ রাজউকে জমা দেওয়া কাগজপত্রে জমির মালিকের নাম উল্লেখ না করাসহ বিভিন্ন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সাইফুল এই প্রতিবেদককে তাঁর অফিসে দেখা করতে বলেন। সেটা সম্ভব নয় জানালে তিনি প্রথম আলো কার্যালয়ে এসে বক্তব্য দেবেন বলে জানান। কিন্তু তিনি আর আসেননি।
১ এপ্রিল আবাসন প্রতিষ্ঠানটির মালিক সাইফুল বাড়ির মালিক খলিল, তাঁর ছেলে ফরিদুদ্দিন, খলিলের মেয়েজামাইসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণার মামলা করেন।
তাঁর আশকারায় এসব ঘটনা ঘটছে—এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সাংসদ ইলিয়াছ মোল্লা বলেন, ‘আমি দুই পক্ষকে ডেকে ঝামেলা মিটমাট করে দেব।’ বাড়িতে হামলার বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেবেন, জানতে চাইলে সাংসদ বলেন, ‘আমি ঝামেলা মিটমাট করে দেব।’
জানতে চাইলে পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল লতিফ বলেন, ‘আইনি কাগজপত্র ছিল বলে কোম্পানির লোকজন ভাঙচুর করেছে। পরে পুলিশ গিয়ে ভাঙচুর বন্ধ করে দেয়।’ কাগজপত্রে কি বনিবনা না হলে এক পক্ষ আরেক পক্ষের ওপর হামলা করবে তা লেখা আছে? জবাবে ওসি বলেন, ‘এটা আমাদের দেখার বিষয় নয়।’ আইনগতভাবে হামলা হয়ে থাকলে বাধা দিলেন কেন? ওসি এর কোনো জবাব দেননি। বাড়ির মালিকের করা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার না করা প্রসঙ্গে ওসি বলেন, ‘এটা তদন্ত কর্মকর্তা জানেন।’
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্লবী থানার এসআই শেখ তাজ উদ্দিন বলেন, ‘ভাঙচুর যারাই করুক, এলাকায় এক লাখ মানুষ থাকলে সবাই তো এমপির লোক। আসামিদের পাওয়া যাচ্ছে না বলে তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না।’
যোগাযোগ করা হলে ভাঙচুরের নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন এএসআই সরোয়ার হোসেন।
খলিলুরের ছেলে ফরিদুদ্দিন বলেন, সীমানাপ্রাচীরসহ ভেঙে ফেলা গেট, জানালা মেরামতের কাজ শুরু করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু হামলাকারীরা পুলিশ নিয়ে এসে কাজ বন্ধ করে দেয়। তিনি জানান, এ পর্যন্ত তাঁরা থানায় তিনটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। সর্বশেষ মামলা করে এখন নিরাপত্তাহীনতায় আছেন তাঁরা।
No comments