সমুদ্রজয়-ধন্যবাদ ফিরিয়ে নিল বিএনপি
মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা নিয়ে মামলায় আন্তর্জাতিক আদালতের রায় বাংলাদেশের পক্ষে আসার পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানানো ধন্যবাদ ফিরিয়ে নিয়েছে বিএনপি। দলটির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কথা জানিয়ে বলেছেন, ১৪ মার্চ সমুদ্র আইনবিষয়ক আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের রায়ের পর সঠিক তথ্য-উপাত্ত না
জেনেই তাঁরা ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন। এখন তা 'সংশোধন' করছেন তাঁরা। তিনি বলেন, 'সমুদ্রজয় যেভাবে সারা দেশকে নাড়া দিয়েছে, তাতে আমরা বিভ্রান্ত হয়েছিলাম। প্রথমে না জেনে সরলভাবে সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছিলাম। পরে আমরা যখন বিষয়টি জানলাম, তাতে মনে হয়েছে পুরোটাই শুভঙ্করের ফাঁকি।'
গতকাল শনিবার সকালে 'মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা-সংক্রান্ত রায়ে প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি' শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে দেওয়া বক্তব্যে মির্জা ফখরুল এ কথা বলেন। রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইইবি) মিলনায়তনে এ গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে দৈনিক আমার দেশ।
ফখরুল বলেন, 'আমরা সব কিছুর রাজনীতিকীকরণ করতে চাইনি বলেই বিরোধীদলীয় নেতা সংসদে সরকারকে ও আমি নিজে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানিয়েছিলাম। আমরা মনে করেছি, সত্যিই সমুদ্র বিজয় হয়ে থাকলে সরকারের ধন্যবাদ প্রাপ্য। কিন্তু পরে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলাপ করে তথ্য-উপাত্ত থেকে জানতে পেরেছি, এটা শুভঙ্করের ফাঁকি।' তনি বলেন, 'সমুদ্র আইনের ব্যাপারে আমার ধারণা কম। এ বিষয়ে আমি বেশি কিছু জানি না। তবে এতটুকু বুঝি, এটা আমার অধিকার। এটা এমন না যে কেউ আমাকে এমনিতেই উজাড় করে অনেক কিছু দিয়ে দেবে।' জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতেই সরকার সমুদ্রজয়ের নামে উৎসব করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
বিএনপির এ নেতা বলেন, 'জনগণ বিদ্যুৎ-পানি-গ্যাস পাচ্ছে না, সীমান্তে প্রতিনিয়ত নাগরিকদের হত্যা করছে বিএসএফ, আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি হয়েছে। আর সরকার উৎসব করে এসব কিছু ঢাকতে চাইছে। প্রধানমন্ত্রী যখন ২০১৪ সালে ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমা জয়ের জন্য আবার ভোট চাইলেন, তখনই সমুদ্রজয়ের আসল রহস্য স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।' এ রকম একটি বিষয়ে আন্তর্জাতিক আদালতে যাওয়ার আগে সরকারের আরো প্রস্তুতি নেওয়া উচিত ছিল বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
গোলটেবিল আলোচনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ক্যাপ্টেন (অব.) এম রেজাউল করিম চৌধুরী। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক আদালতের রায়টি মিয়ানমারের জন্য ঐতিহাসিক এক বিজয়, বাংলাদেশের জন্য নয়।
দৈনিক আমার দেশের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনায় অন্যদের মধ্যে অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ, সাংবাদিক আতাউস সামাদ, ফরহাদ মজহার, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি মাহবুব হোসেন, বর্তমান সভাপতি জয়নুল আবেদীন, অধ্যাপক আসিফ নজরুল, প্রকৌশলী আ ন হ আখতার হোসেন, অধিকারের প্রধান নির্বাহী আদিলুর রহমান খান প্রমুখ।
গতকাল শনিবার সকালে 'মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা-সংক্রান্ত রায়ে প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি' শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে দেওয়া বক্তব্যে মির্জা ফখরুল এ কথা বলেন। রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইইবি) মিলনায়তনে এ গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে দৈনিক আমার দেশ।
ফখরুল বলেন, 'আমরা সব কিছুর রাজনীতিকীকরণ করতে চাইনি বলেই বিরোধীদলীয় নেতা সংসদে সরকারকে ও আমি নিজে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানিয়েছিলাম। আমরা মনে করেছি, সত্যিই সমুদ্র বিজয় হয়ে থাকলে সরকারের ধন্যবাদ প্রাপ্য। কিন্তু পরে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলাপ করে তথ্য-উপাত্ত থেকে জানতে পেরেছি, এটা শুভঙ্করের ফাঁকি।' তনি বলেন, 'সমুদ্র আইনের ব্যাপারে আমার ধারণা কম। এ বিষয়ে আমি বেশি কিছু জানি না। তবে এতটুকু বুঝি, এটা আমার অধিকার। এটা এমন না যে কেউ আমাকে এমনিতেই উজাড় করে অনেক কিছু দিয়ে দেবে।' জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতেই সরকার সমুদ্রজয়ের নামে উৎসব করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
বিএনপির এ নেতা বলেন, 'জনগণ বিদ্যুৎ-পানি-গ্যাস পাচ্ছে না, সীমান্তে প্রতিনিয়ত নাগরিকদের হত্যা করছে বিএসএফ, আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি হয়েছে। আর সরকার উৎসব করে এসব কিছু ঢাকতে চাইছে। প্রধানমন্ত্রী যখন ২০১৪ সালে ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমা জয়ের জন্য আবার ভোট চাইলেন, তখনই সমুদ্রজয়ের আসল রহস্য স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।' এ রকম একটি বিষয়ে আন্তর্জাতিক আদালতে যাওয়ার আগে সরকারের আরো প্রস্তুতি নেওয়া উচিত ছিল বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
গোলটেবিল আলোচনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ক্যাপ্টেন (অব.) এম রেজাউল করিম চৌধুরী। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক আদালতের রায়টি মিয়ানমারের জন্য ঐতিহাসিক এক বিজয়, বাংলাদেশের জন্য নয়।
দৈনিক আমার দেশের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনায় অন্যদের মধ্যে অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ, সাংবাদিক আতাউস সামাদ, ফরহাদ মজহার, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি মাহবুব হোসেন, বর্তমান সভাপতি জয়নুল আবেদীন, অধ্যাপক আসিফ নজরুল, প্রকৌশলী আ ন হ আখতার হোসেন, অধিকারের প্রধান নির্বাহী আদিলুর রহমান খান প্রমুখ।
No comments