বিএনপির নেতৃত্বাধীন বৃহত্তর জোটের ঘোষণা ২০ এপ্রিলের মধ্যে by সেলিম জাহিদ

চলতি মাসের শেষ দিকে বিএনপির নেতৃত্বাধীন চার দল সম্প্রসারিত হয়ে ১৬ দলের নতুন জোটের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার না হলে নির্বাচন বর্জন—এ ধরনের অঙ্গীকার রেখে জোটের ঘোষণাপত্র ইতিমধ্যে চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানিয়েছে।


সূত্রগুলো জানায়, শরিক সব দল নিয়ে ২০ এপ্রিল নাগাদ সংবাদ সম্মেলন ডেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্প্রসারিত জোটের নাম ও রূপরেখা ঘোষণা করা হতে পারে। নতুন জোটের নাম কী হবে, তা নিয়ে কেউ নিশ্চিত করে কিছু বলছেন না।
এর আগে গত ১২ মার্চ চার দলের মহাসমাবেশে খালেদা জিয়ার জোট সম্প্রসারণের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করার কথা ছিল। কিন্তু নাম নিয়ে মতৈক্য না হওয়ায় তখন সমপ্রসারিত জোটের আত্মপ্রকাশ আটকা পড়ে।
এ ব্যাপারে গতকাল জানতে চাইলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা আশা করছি, ২০ এপ্রিলের মধ্যে জোট সম্প্রসারণের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসবে।’ নতুন জোটের নাম কী হবে প্রশ্ন করলে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘ওই দিনই জানতে পারবেন।’
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া জোটের সমপ্রসারণ ঘোষণার অনুষ্ঠানে থাকতে পারেন। এ অনুষ্ঠানের জন্য বড় পরিসরের একটি মিলনায়তন ভাড়া করার চেষ্টা চলছে।
তবে চার দলের শরিক ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব আবদুল লতিফ নেজামী প্রথম আলোকে বলেন, এপ্রিলের ১৮ তারিখে সাড়ম্বরে জোটের ঘোষণা দেওয়ার একটা সিদ্ধান্ত আছে চার দলের।
সূত্রগুলো জানায়, সমপ্রসারিত জোটের ৩৪ অনুচ্ছেদের ঘোষণাপত্রের শেষ অনুচ্ছেদে সব জাতীয়তাবাদী, গণতন্ত্রকামী, দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দল, ইসলামি দল, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান দল, গ্রুপ, কৃষক-শ্রমিক-ছাত্রসহ সব পেশাজীবী, সংস্কৃতিসেবী সংগঠন ও ব্যক্তিকে চলমান গণ-আন্দোলনে শামিল হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। এ কারণে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সম্ভাব্য জোটে সব দল-মত ও শ্রেণী-পেশার মানুষের অংশগ্রহণের বিষয়টি মাথায় রেখে নাম রাখার কথা আলোচনা হয়। সর্বশেষ খালেদা জিয়াকে নাম নির্বাচনের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
সম্প্রসারিত জোটের চার দলের বাইরে বাকি শরিক দলগুলোর মধ্যে আছে: লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা), ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) ও বাংলাদেশ ন্যাপ, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি), ন্যাপ-ভাসানী, লেবার পার্টি, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টি ও মুসলিম লীগ (কামরুজ্জামান)।

No comments

Powered by Blogger.