ইস্টার সানডের তাৎপর্য by চার্লস স্বাধীন বিশ্বাস
প্রতিবারের মতো এবারও ইস্টার সানডের ভোরবেলায় জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে সবচেয়ে বড় উপাসনা হবে। গত বছর সংসদ ভবনের সামনে প্রায় ২০ হাজার খ্রিস্টবিশ্বাসী ভোরের স্নিগ্ধ আলোয় উপাসনায় উপস্থিত হয়েছিলেন। এবারও হাজার হাজার খ্রিস্টভক্ত উপাসনায় উপস্থিত হবেন।
পবিত্র বাইবেল থেকে ঈশ্বরের বাক্য প্রচার করবেন পল অনুপ অধিকারী। পবিত্র বাইবেল ১ করিন্থীয় ১৫:২০-২২ পদে লেখা আছে, 'কিন্তু বাস্তুবিক যিশুখ্রিস্ট মৃতগণের মধ্য হইতে উত্থাপিত হইয়াছেন, তিনি নিদ্রাগতদের অগ্রিমাংশ। কেননা মনুষ্য দ্বারা যখন মৃত্যু আসিয়াছে, তখন আবার মনুষ্য দ্বারা মৃতগণের পুনরুত্থান আসিয়াছে। কারণ আদমে যেমন সকলে মরে, তেমনি আবার খ্রিস্টেই সকলে জীবন প্রাপ্ত হইবে।'
সৃষ্টিকর্তা ঈশ্বর পাঁচ দিনে পৃথিবী সৃষ্টি করে ছয় দিনের দিন আদম-হাওয়াকে সৃষ্টি করেন পবিত্র ঈশ্বরের প্রতিমূর্তিতে। পবিত্র বাইবেল আদিপুস্তকে এসবই উল্লেখ আছে। আদম-হাওয়াকে ঈশ্বর একটি বাগানে রাখলেন। সেই বাগানের মধ্যস্থানে একটি গাছ ছিল, সেই গাছের ফল খেতে তাঁদের নিষেধ করলেন, এমনকি ওই ফল স্পর্শ করলেই মৃত্যু হবে। শয়তান সাপের বেশ ধরে প্রথমে হাওয়াকে ভোলায় এবং ফল খাওয়ায়। হাওয়া তাঁর স্বামী আদমকে ওই নিষিদ্ধ গাছের ফল খাওয়ান, ফলে ঈশ্বরের অবাধ্যতার জন্য তাঁরা পাপ করলেন এবং পাপের ফলে মানুষের ভেতরে মৃত্যু প্রবেশ করে। অর্থাৎ পাপী মানুষের সঙ্গে পবিত্র ঈশ্বরের সম্পর্ক ছিন্ন হলো। এটা হলো আত্মিক মৃত্যু। এর পর পবিত্র ঈশ্বর পরিকল্পনা করলেন যে মানুষকে তিনি পাপ থেকে মুক্ত করবেন। অর্থাৎ নাজাত বা পরিত্রাণ প্রদান করবেন। তাই ঈশ্বর তাঁর নিজের আত্মা বা রুহ দ্বারা যিশুখ্রিস্টকে পৃথিবীতে প্রেরণ করলেন, যেন তিনি পাপী মানুষের পাপের শাস্তি গ্রহণ করে পাপীদের পরিত্রাণ করেন। বাইবেলের বিভিন্ন সূত্র থেকে আমরা জানি, পৃথিবীতে একমাত্র ব্যক্তি প্রভু যিশুখ্রিস্ট পাপ ক্ষমার অধিকারী ছিলেন। তিনি আমাদের পাপের শাস্তিস্বরূপ নিজের জীবন বলি দিলেন, যেন আমরা তাঁর পবিত্র রক্তে ধার্মিক বলে গণ্য হই। ঈশ্বরের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার জন্য তিনি মৃত্যুবরণ করেন এবং মৃত্যুকে জয় করে তৃতীয় দিনে জীবিত হয়ে ওঠেন। তবে জাগতিক কিছু কারণ ছিল, যে জন্য যিশুখ্রিস্টকে হত্যা করা হয়। কারণগুলো হলো : ইহুদিদের মন্দির বা গির্জাঘর তৈরি করতে ৪৬ বছর লেগেছিল কিন্তু যিশু বলেছিলেন, 'এই মন্দির ভাঙিয়া ফেল, আমি তিন দিনের মধ্যে তা উঠাইব।' (যোহন ২:১৯-২২) আসলে প্রভু যিশু দেহরূপ মন্দিরের কথা বলেছিলেন যেন তিনি পাপী মানুষের পাপের শাস্তি গ্রহণ করে মৃত্যুবরণ করবেন এবং তিন দিনের মধ্যে আবার মৃত্যুকে জয় করে জীবিত হয়ে উঠবেন। খ. ইহুদিরা বলেছিল, 'এই ব্যক্তি আমাদের জাতিকে বিগড়ে দেয়। রাজাকে রাজস্ব দিতে বারণ করে। আর বলে যে আমিই খ্রিস্ট রাজা। শিক্ষা দিয়ে প্রজাদিগকে উত্তেজিত করে। ঈশ্বরের পুত্র বলে দাবি করেছিল (মথি ২৬:৬৪)। ইহুদিরা বিশ্রাম বারে কোনো কাজ করত না। কিন্তু যিশুখ্রিস্ট বিশ্রাম বারে ভালো কাজ করতেন। অনেক রোগীকে সুস্থ করছিলেন। কিন্তু ইহুদিরা তা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারেনি। আসলে যিশুখ্রিস্ট ইহুদি নেতাদের ভণ্ডামি ও মন্দ কাজের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। ফলে ইহুদিরা তাদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য যিশুখ্রিস্টকে হত্যা করে। দেশাধ্যক্ষ পিলাত বলেছিলেন, তুমি কি জান না, তোমাকে ছাড়িয়া দেওয়ার বা হত্যা করার ক্ষমতা আমার আছে। যিশুখ্রিস্ট বলেছিলেন, 'যদি ঊর্ধ্ব হইতে তোমাকে দত্ত না হইত, তবে আমার বিরুদ্ধে তোমার কোনো ক্ষমতা থাকিত না, এই জন্য যে ব্যক্তি তোমার হস্তে আমাকে সমর্পণ করিয়াছে, তাহারই পাপ অধিক' (যোহন ১৯:১০-১১)।
অনেকে মনে করেন, যিশুখ্রিস্ট বা ঈসা নবীকে হত্যা করা হয়নি; তাঁকে সৃষ্টিকর্তা জীবিত তুলে নিয়েছেন। পবিত্র আসমানি কিতাব সুরা মারইয়াম ১৫ আয়াত- 'তাহার প্রতি শান্তি যেদিন সে জন্ম লাভ করে, যেদিন তাহার মৃত্যু হইবে এবং যেদিন সে জীবিত অবস্থায় উত্থিত হইবে।' ৩৩ আয়াত-এ আছে, 'আমার প্রতি শান্তি যেদিন আমি জন্মলাভ করিয়াছি, যেদিন আমার মৃত্যু হইবে এবং যেদিন জীবিত অবস্থায় আমি উত্থিত হইব। যিশুখ্রিস্ট বা ঈসা মসীহের ব্যাপারে এ ভবিষ্যদ্বাণী প্রমাণ করে যে যিশুখ্রিস্ট মৃত্যুকে জয় করে পুনরুত্থিত হয়েছেন।' পবিত্র বাইবেল মার্ক ৮:৩১ ও মথি ১৬: ২১ পদে, যিশুখ্রিস্ট তাঁর নিজের বিষয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন যে, তাঁকে মরতে হবে এবং মৃত্যুকে জয় করে আবার পুনরুত্থিত হতে হবে। পবিত্র বাইবেল মথি ২৮ মার্ক ১৬ লুক ২৪ এবং যোহন ২০ ও ১ করিন্থীয় ১৫ অধ্যায়ে খুব পরিষ্কারভাবে তাঁর পুনরুত্থানের কথা লেখা আছে। মৃত্যুকে জয় করে ওঠার পর তিনি এই পৃথিবীতে ৪০ দিন ছিলেন। তিনি তাঁর শিষ্যদের একাধিক বার দেখা দেন এবং শত শত মানুষের সামনে স্বর্গারোহণ করেন। একমাত্র যিশুখ্রিস্টই মৃত্যুকে জয় করে পুনরুত্থিত হয়েছেন, একমাত্র তিনিই বলেছেন, 'আমিই পথ সত্য ও জীবন, আমার দিয়া না আসিলে কেহ পিতার নিকটে (স্বর্গে) আইসে না।' (যোহন ১৪:৬) একমাত্র যিশুখ্রিস্টই বলেছেন, 'আমি স্বর্গে যাচ্ছি; আবার তোমাদের কাছে আসব, তোমাদের স্বর্গে নিয়ে যাব।' যিশুখ্রিস্ট বলেছেন, আমিই পুনরুত্থান ও জীবন, যে আমাতে বিশ্বাস করে, সে মরিলেও জীবিত থাকিবে, আর যে কেহ জীবিত আছে এবং আমাতে বিশ্বাস করে সে কখনো মরিবে না।' (যোহন ১১:২৫ পদ) শারীরিক মৃত্যুতে যিশুখ্রিস্টের সঙ্গে খ্রিস্টানদের সম্পর্ক বা সহভাগিতা নষ্ট হয় না বরং যিশুতে বিশ্বাসের সম্পর্ক বিশ্বাসীদের স্বর্গবাসী করে। পুনরুত্থিত দেহ হবে সব রকম রোগব্যাধি, দুঃখ, কষ্ট, দুর্বলতা ও মৃত্যু থেকে মুক্ত। (প্রকাশিত ২১: ৪) পুনরুত্থানের সত্যতা বর্ণনা করা যথেষ্ট সহজ কিন্তু কঠিনও। কারণ এই পুনরুত্থান এমন রহস্যময় ঐশ্বরিক আইনের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত, যা আমাদের মানব মনের উপলব্ধি ক্ষমতার বাইরে। তবে আমরা বিশ্বাস করি যিশুখ্রিস্ট ছাড়া আর অন্য কোনো পথ নেই, যে পথে আমরা স্বর্গে যেতে পারি। যে কেউ যিশুখ্রিস্টের ওপর বিশ্বাস স্থাপন করে তার সব পাপের ক্ষমা হবে, সে ঈশ্বরের সন্তান হবে এবং স্বর্গে যাবে। যিশুখ্রিস্ট শুধু খ্রিস্টানদের জন্য নয়, কিন্তু সব পাপী মানুষের জন্য। তিনি সব পাপী মানুষের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন; যেন পাপী পাপের ক্ষমা পায় এবং স্বর্গে যায়। ইস্টার সানডে বা পুনরুত্থান তখনই সার্থক হবে যখন আমরা যিশুখ্রিস্টকে বিশ্বাস করব এবং তাঁকে হৃদয়ে গ্রহণ করব।
লেখক : পালক ও সদস্য, পাবনা ব্যাপ্টিস্ট চার্চ
সৃষ্টিকর্তা ঈশ্বর পাঁচ দিনে পৃথিবী সৃষ্টি করে ছয় দিনের দিন আদম-হাওয়াকে সৃষ্টি করেন পবিত্র ঈশ্বরের প্রতিমূর্তিতে। পবিত্র বাইবেল আদিপুস্তকে এসবই উল্লেখ আছে। আদম-হাওয়াকে ঈশ্বর একটি বাগানে রাখলেন। সেই বাগানের মধ্যস্থানে একটি গাছ ছিল, সেই গাছের ফল খেতে তাঁদের নিষেধ করলেন, এমনকি ওই ফল স্পর্শ করলেই মৃত্যু হবে। শয়তান সাপের বেশ ধরে প্রথমে হাওয়াকে ভোলায় এবং ফল খাওয়ায়। হাওয়া তাঁর স্বামী আদমকে ওই নিষিদ্ধ গাছের ফল খাওয়ান, ফলে ঈশ্বরের অবাধ্যতার জন্য তাঁরা পাপ করলেন এবং পাপের ফলে মানুষের ভেতরে মৃত্যু প্রবেশ করে। অর্থাৎ পাপী মানুষের সঙ্গে পবিত্র ঈশ্বরের সম্পর্ক ছিন্ন হলো। এটা হলো আত্মিক মৃত্যু। এর পর পবিত্র ঈশ্বর পরিকল্পনা করলেন যে মানুষকে তিনি পাপ থেকে মুক্ত করবেন। অর্থাৎ নাজাত বা পরিত্রাণ প্রদান করবেন। তাই ঈশ্বর তাঁর নিজের আত্মা বা রুহ দ্বারা যিশুখ্রিস্টকে পৃথিবীতে প্রেরণ করলেন, যেন তিনি পাপী মানুষের পাপের শাস্তি গ্রহণ করে পাপীদের পরিত্রাণ করেন। বাইবেলের বিভিন্ন সূত্র থেকে আমরা জানি, পৃথিবীতে একমাত্র ব্যক্তি প্রভু যিশুখ্রিস্ট পাপ ক্ষমার অধিকারী ছিলেন। তিনি আমাদের পাপের শাস্তিস্বরূপ নিজের জীবন বলি দিলেন, যেন আমরা তাঁর পবিত্র রক্তে ধার্মিক বলে গণ্য হই। ঈশ্বরের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার জন্য তিনি মৃত্যুবরণ করেন এবং মৃত্যুকে জয় করে তৃতীয় দিনে জীবিত হয়ে ওঠেন। তবে জাগতিক কিছু কারণ ছিল, যে জন্য যিশুখ্রিস্টকে হত্যা করা হয়। কারণগুলো হলো : ইহুদিদের মন্দির বা গির্জাঘর তৈরি করতে ৪৬ বছর লেগেছিল কিন্তু যিশু বলেছিলেন, 'এই মন্দির ভাঙিয়া ফেল, আমি তিন দিনের মধ্যে তা উঠাইব।' (যোহন ২:১৯-২২) আসলে প্রভু যিশু দেহরূপ মন্দিরের কথা বলেছিলেন যেন তিনি পাপী মানুষের পাপের শাস্তি গ্রহণ করে মৃত্যুবরণ করবেন এবং তিন দিনের মধ্যে আবার মৃত্যুকে জয় করে জীবিত হয়ে উঠবেন। খ. ইহুদিরা বলেছিল, 'এই ব্যক্তি আমাদের জাতিকে বিগড়ে দেয়। রাজাকে রাজস্ব দিতে বারণ করে। আর বলে যে আমিই খ্রিস্ট রাজা। শিক্ষা দিয়ে প্রজাদিগকে উত্তেজিত করে। ঈশ্বরের পুত্র বলে দাবি করেছিল (মথি ২৬:৬৪)। ইহুদিরা বিশ্রাম বারে কোনো কাজ করত না। কিন্তু যিশুখ্রিস্ট বিশ্রাম বারে ভালো কাজ করতেন। অনেক রোগীকে সুস্থ করছিলেন। কিন্তু ইহুদিরা তা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারেনি। আসলে যিশুখ্রিস্ট ইহুদি নেতাদের ভণ্ডামি ও মন্দ কাজের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। ফলে ইহুদিরা তাদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য যিশুখ্রিস্টকে হত্যা করে। দেশাধ্যক্ষ পিলাত বলেছিলেন, তুমি কি জান না, তোমাকে ছাড়িয়া দেওয়ার বা হত্যা করার ক্ষমতা আমার আছে। যিশুখ্রিস্ট বলেছিলেন, 'যদি ঊর্ধ্ব হইতে তোমাকে দত্ত না হইত, তবে আমার বিরুদ্ধে তোমার কোনো ক্ষমতা থাকিত না, এই জন্য যে ব্যক্তি তোমার হস্তে আমাকে সমর্পণ করিয়াছে, তাহারই পাপ অধিক' (যোহন ১৯:১০-১১)।
অনেকে মনে করেন, যিশুখ্রিস্ট বা ঈসা নবীকে হত্যা করা হয়নি; তাঁকে সৃষ্টিকর্তা জীবিত তুলে নিয়েছেন। পবিত্র আসমানি কিতাব সুরা মারইয়াম ১৫ আয়াত- 'তাহার প্রতি শান্তি যেদিন সে জন্ম লাভ করে, যেদিন তাহার মৃত্যু হইবে এবং যেদিন সে জীবিত অবস্থায় উত্থিত হইবে।' ৩৩ আয়াত-এ আছে, 'আমার প্রতি শান্তি যেদিন আমি জন্মলাভ করিয়াছি, যেদিন আমার মৃত্যু হইবে এবং যেদিন জীবিত অবস্থায় আমি উত্থিত হইব। যিশুখ্রিস্ট বা ঈসা মসীহের ব্যাপারে এ ভবিষ্যদ্বাণী প্রমাণ করে যে যিশুখ্রিস্ট মৃত্যুকে জয় করে পুনরুত্থিত হয়েছেন।' পবিত্র বাইবেল মার্ক ৮:৩১ ও মথি ১৬: ২১ পদে, যিশুখ্রিস্ট তাঁর নিজের বিষয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন যে, তাঁকে মরতে হবে এবং মৃত্যুকে জয় করে আবার পুনরুত্থিত হতে হবে। পবিত্র বাইবেল মথি ২৮ মার্ক ১৬ লুক ২৪ এবং যোহন ২০ ও ১ করিন্থীয় ১৫ অধ্যায়ে খুব পরিষ্কারভাবে তাঁর পুনরুত্থানের কথা লেখা আছে। মৃত্যুকে জয় করে ওঠার পর তিনি এই পৃথিবীতে ৪০ দিন ছিলেন। তিনি তাঁর শিষ্যদের একাধিক বার দেখা দেন এবং শত শত মানুষের সামনে স্বর্গারোহণ করেন। একমাত্র যিশুখ্রিস্টই মৃত্যুকে জয় করে পুনরুত্থিত হয়েছেন, একমাত্র তিনিই বলেছেন, 'আমিই পথ সত্য ও জীবন, আমার দিয়া না আসিলে কেহ পিতার নিকটে (স্বর্গে) আইসে না।' (যোহন ১৪:৬) একমাত্র যিশুখ্রিস্টই বলেছেন, 'আমি স্বর্গে যাচ্ছি; আবার তোমাদের কাছে আসব, তোমাদের স্বর্গে নিয়ে যাব।' যিশুখ্রিস্ট বলেছেন, আমিই পুনরুত্থান ও জীবন, যে আমাতে বিশ্বাস করে, সে মরিলেও জীবিত থাকিবে, আর যে কেহ জীবিত আছে এবং আমাতে বিশ্বাস করে সে কখনো মরিবে না।' (যোহন ১১:২৫ পদ) শারীরিক মৃত্যুতে যিশুখ্রিস্টের সঙ্গে খ্রিস্টানদের সম্পর্ক বা সহভাগিতা নষ্ট হয় না বরং যিশুতে বিশ্বাসের সম্পর্ক বিশ্বাসীদের স্বর্গবাসী করে। পুনরুত্থিত দেহ হবে সব রকম রোগব্যাধি, দুঃখ, কষ্ট, দুর্বলতা ও মৃত্যু থেকে মুক্ত। (প্রকাশিত ২১: ৪) পুনরুত্থানের সত্যতা বর্ণনা করা যথেষ্ট সহজ কিন্তু কঠিনও। কারণ এই পুনরুত্থান এমন রহস্যময় ঐশ্বরিক আইনের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত, যা আমাদের মানব মনের উপলব্ধি ক্ষমতার বাইরে। তবে আমরা বিশ্বাস করি যিশুখ্রিস্ট ছাড়া আর অন্য কোনো পথ নেই, যে পথে আমরা স্বর্গে যেতে পারি। যে কেউ যিশুখ্রিস্টের ওপর বিশ্বাস স্থাপন করে তার সব পাপের ক্ষমা হবে, সে ঈশ্বরের সন্তান হবে এবং স্বর্গে যাবে। যিশুখ্রিস্ট শুধু খ্রিস্টানদের জন্য নয়, কিন্তু সব পাপী মানুষের জন্য। তিনি সব পাপী মানুষের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন; যেন পাপী পাপের ক্ষমা পায় এবং স্বর্গে যায়। ইস্টার সানডে বা পুনরুত্থান তখনই সার্থক হবে যখন আমরা যিশুখ্রিস্টকে বিশ্বাস করব এবং তাঁকে হৃদয়ে গ্রহণ করব।
লেখক : পালক ও সদস্য, পাবনা ব্যাপ্টিস্ট চার্চ
No comments