প্রথমে অনানুষ্ঠানিক আলোচনাই হোক-নির্বাচনকালীন সরকার
যুক্তরাষ্ট্রের সফররত রাজনীতিবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি ওয়েন্ডি আর শারমেনের সঙ্গে আলোচনায় বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া রাজনৈতিক সংলাপের বিষয়ে একটি আশাব্যঞ্জক অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে যে সংকটের সৃষ্টি হয়েছে, তার সমাধান খুঁজতে তিনি আলোচনার জন্য প্রস্তুত।’
সম্ভবত এই প্রথম বিরোধীদলীয় নেতা নির্দিষ্টভাবে বলেছেন, এই আলোচনা আনুষ্ঠানিক বা অনানুষ্ঠানিক যেকোনোটাই হতে পারে। এর আগে বিএনপি বলে আসছিল, সরকারি দলকে জাতীয় সংসদে তত্ত্বাবধায়ক বিল আবার উপস্থাপন করতে হবে। এর পরই শুধু তারা আলোচনায় যোগ দেবে। অন্যদিকে, সরকারি দলের অবস্থান হচ্ছে, তারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারব্যবস্থা নিয়ে বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনায় প্রস্তুত। কিন্তু সেখানে তাদের শর্ত হচ্ছে, বিরোধী দলকে সংসদে এসে এ প্রস্তাব দিতে হবে। সন্দেহ নেই যে জাতীয় সংসদকে তত্ত্বাবধায়ক বা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারসংক্রান্ত আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করা গেলে সেটাই স্বস্তিদায়ক হতো।
আমরা মনে করি, আগামী সাধারণ নির্বাচন কী ধরনের সরকারব্যবস্থার অধীনে সম্পন্ন করা হবে, তার ফয়সালা এখনই হওয়া জরুরি। সে ক্ষেত্রে সরকারি দলের উচিত হবে, বিরোধীদলীয় নেতার দৃশ্যমান পরিবর্তিত অবস্থানের প্রেক্ষাপটে উপযুক্ত কর্মকৌশল ও নীতি গ্রহণ করা। অতীতে দুই দলের মহাসচিবদের নেতৃত্বে নিষ্ফল সংলাপ আমরা দেখেছি। এখন তেমন ঢাকঢোল পিটিয়ে সংলাপের আয়োজন করে তা নিষ্ফল হতে দিলে জনগণের হতাশা বাড়বে। কিন্তু একটি বিষয়, দেশ, জনগণ ও গণতন্ত্রের মঙ্গলের জন্য সমাধানের একটা সূত্র খুঁজে বের করতেই হবে। সরকারি দল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পরিবর্তে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রস্তাবে বিরোধী দল ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে। কিন্তু ফাঁকটা থেকেই গেছে। আর সেটা হলো, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কোনো নির্দিষ্ট রূপরেখা ক্ষমতাসীন দল এখনো প্রকাশ করেনি। সুতরাং, সার্বিক বিচারে নির্বাচনকালীন সম্ভাব্য নতুন কোনো ব্যবস্থায় পৌঁছাতে হলে সরকারি দলকেই অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। আর এ প্রক্রিয়ায় অনানুষ্ঠানিক আলাপ-আলোচনা শুরু করতে পারলেই সেটা অর্থপূর্ণ আনুষ্ঠানিক কোনো সংলাপের সূচনা ঘটাতে পারে। উভয় পক্ষকেই ন্যূনতম সততা ও আন্তরিকতা নিয়ে অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় শামিল হতে হবে। শুধু কৌশলগত চিন্তাভাবনা প্রাধান্য পেলে কোনো সৎ উদ্দেশ্য অর্জন করা অসম্ভব।
সামনেই জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশন। বিদ্যুৎ, জ্বালানি, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যদ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি ও জ্বালানিসংকটের মতো বিষয় সামনের দিনগুলোতে রাজনীতির আবহাওয়াকে আরও ঝঞ্ঝাপূর্ণ করে তুলতে পারে। সুতরাং, সরকারের কর্তব্য হবে, তুলনামূলক অনুকূল রাজনৈতিক আবহাওয়ায় নির্বাচনকালীন সরকারের কাঠামোর মতো রাজনৈতিক স্পর্শকাতর বিষয় নিষ্পত্তি করতে উদ্যোগী হওয়া। বিরোধী দলের তরফেও এমন কোনো কর্মসূচি নেওয়া ঠিক হবে না, যাতে প্রস্তাবিত ‘আনুষ্ঠানিক কিংবা অনানুষ্ঠানিক’ আলাপ-আলোচনার পরিবেশ অহেতুক কণ্টকিত হয়। সমমর্যাদা ও শ্রদ্ধাপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে প্রাথমিকভাবে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু করাই শ্রেয়তর বলে আমরা মনে করি।
আমরা মনে করি, আগামী সাধারণ নির্বাচন কী ধরনের সরকারব্যবস্থার অধীনে সম্পন্ন করা হবে, তার ফয়সালা এখনই হওয়া জরুরি। সে ক্ষেত্রে সরকারি দলের উচিত হবে, বিরোধীদলীয় নেতার দৃশ্যমান পরিবর্তিত অবস্থানের প্রেক্ষাপটে উপযুক্ত কর্মকৌশল ও নীতি গ্রহণ করা। অতীতে দুই দলের মহাসচিবদের নেতৃত্বে নিষ্ফল সংলাপ আমরা দেখেছি। এখন তেমন ঢাকঢোল পিটিয়ে সংলাপের আয়োজন করে তা নিষ্ফল হতে দিলে জনগণের হতাশা বাড়বে। কিন্তু একটি বিষয়, দেশ, জনগণ ও গণতন্ত্রের মঙ্গলের জন্য সমাধানের একটা সূত্র খুঁজে বের করতেই হবে। সরকারি দল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পরিবর্তে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রস্তাবে বিরোধী দল ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে। কিন্তু ফাঁকটা থেকেই গেছে। আর সেটা হলো, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কোনো নির্দিষ্ট রূপরেখা ক্ষমতাসীন দল এখনো প্রকাশ করেনি। সুতরাং, সার্বিক বিচারে নির্বাচনকালীন সম্ভাব্য নতুন কোনো ব্যবস্থায় পৌঁছাতে হলে সরকারি দলকেই অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। আর এ প্রক্রিয়ায় অনানুষ্ঠানিক আলাপ-আলোচনা শুরু করতে পারলেই সেটা অর্থপূর্ণ আনুষ্ঠানিক কোনো সংলাপের সূচনা ঘটাতে পারে। উভয় পক্ষকেই ন্যূনতম সততা ও আন্তরিকতা নিয়ে অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় শামিল হতে হবে। শুধু কৌশলগত চিন্তাভাবনা প্রাধান্য পেলে কোনো সৎ উদ্দেশ্য অর্জন করা অসম্ভব।
সামনেই জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশন। বিদ্যুৎ, জ্বালানি, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যদ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি ও জ্বালানিসংকটের মতো বিষয় সামনের দিনগুলোতে রাজনীতির আবহাওয়াকে আরও ঝঞ্ঝাপূর্ণ করে তুলতে পারে। সুতরাং, সরকারের কর্তব্য হবে, তুলনামূলক অনুকূল রাজনৈতিক আবহাওয়ায় নির্বাচনকালীন সরকারের কাঠামোর মতো রাজনৈতিক স্পর্শকাতর বিষয় নিষ্পত্তি করতে উদ্যোগী হওয়া। বিরোধী দলের তরফেও এমন কোনো কর্মসূচি নেওয়া ঠিক হবে না, যাতে প্রস্তাবিত ‘আনুষ্ঠানিক কিংবা অনানুষ্ঠানিক’ আলাপ-আলোচনার পরিবেশ অহেতুক কণ্টকিত হয়। সমমর্যাদা ও শ্রদ্ধাপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে প্রাথমিকভাবে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু করাই শ্রেয়তর বলে আমরা মনে করি।
No comments