কালের পুরাণ-আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মিল-অমিল by সোহরাব হাসান

জন্ম-প্রক্রিয়া, গঠনতন্ত্রে ঘোষিত নীতি-আদর্শ এবং ইতিহাস-ঐতিহ্যে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে বিস্তর ফারাক থাকলেও ইদানীং তাদের আচার-আচরণে তা অনেকাংশে মুছে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। আওয়ামী লীগ নিজেকে অসাম্প্রদায়িক দল বলে দাবি করে, বিএনপি বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের আড়ালে সাম্প্রদায়িকতাকে লালন করে।


আওয়ামী লীগের জন্ম আন্দোলন-সংগ্রামের পটভূমিতে, জনগণের ভেতর থেকে; আর বিএনপির জন্ম সেনানিবাসে, সামরিক শাসকের তত্ত্বাবধানে। আওয়ামী লীগের নেতারা বক্তব্য-বিবৃতিতে এ কথাটি জনগণকে স্মরণ করিয়ে দিতে ভোলেন না। কিন্তু তাঁদের আচার-আচরণে তার প্রতিফলন নেই। সেক্যুলার আওয়ামী লীগ এবং সাম্প্রদায়িকতাবাদী বিএনপি-জাতীয় পার্টির মধ্যে সূক্ষ্ম সুতার মতো যে পার্থক্যটি ছিল, তা-ও সংবিধান সংশোধন কমিটি প্রায় মুছে ফেলেছে। তারা জিয়ার বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম ও এরশাদের রাষ্ট্রধর্ম রেখেই বাহাত্তরের সংবিধান পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে চাইছেন। এর নাম সোনার পাথরবাটি। সাংবিধানিক বিতর্ক সংবিধান বিশেষজ্ঞরা করবেন। আমরা জনজীবনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সরকার ও বিরোধী দলের দৃষ্টিভঙ্গিগত মিল ও অমিল তুলে ধরব।
বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের বিরুদ্ধে যেসব গুরুতর অভিযোগ, তার একটি তালিকা তৈরি করলে প্রথমে আসবে—জঙ্গি তোষণ ও সন্ত্রাস লালন। প্রথমটি থেকে আওয়ামী লীগ মুক্ত থাকলেও দ্বিতীয়টি থেকে মোটেই মুক্ত নয়। আওয়ামী লীগ সরকারের যদি একটিও ভালো কাজ থেকে থাকে, তা হলো জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযান। এর সঙ্গে যুদ্ধাপরাধের বিচারের উদ্যোগও বিএনপি থেকে তার পার্থক্যটি স্পষ্ট করে। কিন্তু দেশ পরিচালনার অন্যান্য ক্ষেত্রে, যথা—জনপ্রশাসন, বাজার নিয়ন্ত্রণ, দুর্নীতি দমন, স্থানীয় সরকার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে দলীয়করণ, বিচার বিভাগে হস্তক্ষেপ ইত্যাদি বিষয়ে তাদের মধ্যে তেমন পার্থক্য লক্ষ করা যায় না।
এসব ক্ষেত্রে দুই দলই আদর্শের চেয়ে সুবিধাবাদকে, নীতির চেয়ে দুর্নীতিকে (সব ক্ষেত্রে আর্থিক নয়) মোক্ষ বলে ধরে নিয়েছে, যার প্রমাণ সাম্প্রতিক শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারি। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী শেয়ার কেলেঙ্কারির খলনায়ক আছে দুই দলেই।
আরও যেসব ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে মিল আছে, তার মধ্যে প্রশাসন দলীয়করণকে এক নম্বরে স্থান দেওয়া যায়। দুই সরকারই পাল্লা দিয়ে দলীয়করণ করেছে বা করছে, ভিন্নমতের কর্মকর্তাদের পাইকারি হারে ওএসডি করছে। সাবেক স্বরাষ্ট্রসচিব ওমর ফারুকের কিছু কিছু অপকীর্তি এখন ফাঁস হচ্ছে। বিএনপি আমলের শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব আবদুল হালিম সরকারি চাকরিতে বহাল থাকতেই নির্বাচনী প্রচারণাও শুরু করেছিলেন। এক-এগারোর পরিবর্তন না হলে তিনি হয়তো মন্ত্রী হয়ে যেতেন। প্রশাসনকে দলীয়করণের বিরুদ্ধে তখন আওয়ামী লীগ সোচ্চার ছিল। কিন্তু এখন কি দলীয়করণ কমেছে? এখনো কি শত শত কর্মকর্তাকে অন্যায়ভাবে ওএসডি করে রাখা হয়নি? এঁদের সবার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ কি সরকার প্রমাণ করতে পারবে? যদি না পারে, তাহলে মেধাবী কর্মকর্তাদের কেন কাজের সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হবে? প্রশাসনকে নিজের মতো চলতে দেওয়া প্রয়োজন। যোগ্যদের পেছনে ফেলে অযোগ্যদের সামনে নিয়ে আসার বিষময় ফল জাতি এত দিন ভোগ করে আসছে। কারও বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে সরকার ব্যবস্থা নিক, অন্যথায় পদায়ন করুক। এভাবে স্ত্রী-সন্তান ও স্বজনের কাছে তাঁদের অপমানিত করার অধিকার সরকারের নেই।
বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে আরেকটি গুরুতর অভিযোগ ছিল, রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহার করে দলীয় সন্ত্রাসী-অপরাধীদের বেকসুর খালাস দেওয়া। এই প্রক্রিয়ায় নাকি ৭৬ হাজার আসামিকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। এখন কী হচ্ছে? রাজনৈতিক বিবেচনায় মামলা প্রত্যাহারের জন্য আন্তমন্ত্রণালয় কমিটি গঠনের পর এ পর্যন্ত সাড়ে ছয় হাজার মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে তারা। যাঁদের মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে বগুড়া বিএনপির বিতর্কিত নেতা শোকরানা থেকে শুরু করে মিরপুরের শীর্ষ সন্ত্রাসী শাহাদতও আছেন। প্রথম আলোয় প্রতিবেদন প্রকাশের পর গুটিকয়েক মামলার ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত বাতিল করা হলেও বাকি মামলার ফল দেশবাসী জানে না। কত সন্ত্রাসী-অপরাধী রাজনৈতিক মামলার বরাতে খালাস পেয়ে গেছে, তার হিসাব নেই।
বিএনপির আমলে ঝিন্টু নামের এক খুনের মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে দেশে ফিরিয়ে এনে তাঁর দণ্ড মওকুফ করে দিয়েছিলেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ। তখন দেশবাসীর সঙ্গে সঙ্গে আওয়ামী লীগও এর প্রতিবাদ করেছিল। কিন্তু বর্তমান সরকারের আমলেও রাষ্ট্রপতি নাটোরে এক হত্যা মামলার দণ্ডপ্রাপ্ত ২১ আসামিকে ক্ষমা করে দিয়েছেন। জামালপুরে খুনের মামলার আসামিও ক্ষমা পেয়ে গেছেন। আমাদের রাষ্ট্রপতিরা এত ক্ষমাশীল! যদিও কর্নেল তাহের কিংবা ’৮১ সালের সেনা বিদ্রোহে অভিযুক্ত ১৩ জন মুক্তিযোদ্ধা সেনা কর্মকর্তা ক্ষমা পাননি। তাঁদের ফাঁসিকাষ্ঠে ঝুলতে হয়েছে।
বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে তৃতীয় গুরুতর অভিযোগ ছিল স্থানীয় সরকারকে অকার্যকর করা। খালেদা জিয়ার প্রথম সরকার (১৯৯২-৯৬) উপজেলা পদ্ধতি বাতিল করে দিয়েছেন, স্বৈরাচারী এরশাদ করেছেন—এই অজুহাতে। যদিও সাংসদদের শুল্কমুক্ত গাড়িসহ স্বৈরাচারী এরশাদের অনেক কিছুই তারা বহাল রেখেছিল। তাদের দ্বিতীয় আমলে বিএনপির সরকার এ ব্যাপারে কোনো উদ্যোগই নেয়নি। অন্যদিকে প্রথম আওয়ামী লীগ সরকার (১৯৯৬-২০০১) উপজেলা পরিষদ আইন পাস করলেও নির্বাচন করতে সাহস পায়নি। দ্বিতীয়বার নির্বাচন করলেও উপজেলা পরিষদকে অলস ও বেকার প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছেন। এখন মুজিব কোট পরিহিত উপজেলা চেয়ারম্যানরাও আমরণ অনশনের ঘোষণা দিয়েছেন। ক্ষমতাসীনেরা যদি স্থানীয় সরকারব্যবস্থায় বিশ্বাসই না করবে, তা হলে নির্বাচন দিয়েছে কেন? আইন পাস করারই বা কী দরকার আছে?
বিএনপির বিরুদ্ধে চতুর্থ অভিযোগ ছিল, দলীয় ছাত্রসংগঠন, শ্রমিকসংগঠন, যুব-সংগঠন সর্বত্র চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ও দখলবাজি করেছিল। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর সারা দেশে ছাত্রদল ও যুবদলের কর্মী-ক্যাডাররা ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। বিরোধী ছাত্রসংগঠনের অনেক নেতা-কর্মী এক বছর ক্যাম্পাসেও যেতে পারেননি। গেলেও ছাত্রদলের ক্যাডারদের চাঁদা দিয়ে যেতে হয়েছে। অনুরূপ ঘটনা এই সরকারের আমলেও ঘটছে। সরকার-সমর্থক ছাত্রসংগঠনটির বেআইনি তৎপরতা চলছে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। কোনো প্রতিপক্ষ না থাকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা প্রায়শ অভ্যন্তরীণ কোন্দলে লিপ্ত হন, মারামারি করেন। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁরা শিক্ষকদের ওপর চড়াও হতেও দ্বিধা করেননি। এর চেয়ে লজ্জার আর কী হতে পারে?
বিএনপির আমলের আরেকটি আলোচিত বিষয় ছিল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে দলীয়করণ, শিক্ষক নিয়োগের নামে ক্যাডার নিয়োগ। সে সময় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বিভাগের এক শিক্ষার্থী প্রথম আলোয় লিখেছিলেন, তিনি প্রথম হয়েও শিক্ষকতার চাকরি পাননি, কেবল বিএনপি-সমর্থক হতে না পারায়। এখনো সেই স্বজনপ্রীতি বা দলপ্রীতি মহা উল্লাসে চলছে। যোগ্যদের পেছনে ফেলে অযোগ্যরা নিয়োগ পাচ্ছেন। অর্থাৎ শিক্ষাঙ্গনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে কোনো ফারাক নেই। দুই দশক ধরে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচিত ছাত্রসংগঠন নেই। সরকার যদি তাদের জনপ্রিয়তা সম্পর্কে এতই আস্থাশীল হয়ে থাকে, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদগুলো নির্বাচন করছে না কেন? সামরিক শাসনামলেও ছাত্র সংসদের নির্বাচন হতো। এখন হচ্ছে না। আহ্, কী গণতন্ত্র!
বিএনপির বিরুদ্ধে আর যেসব অভিযোগ ছিল সেগুলো হলো: দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি বন্ধ করতে না পারা, দলীয় লোকদের অন্যায় সুযোগ-সুবিধা দেওয়া, সংসদ অকার্যকর করা। বিএনপির আমলের শেষ দিকে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ে পত্রপত্রিকায় লেখালেখি হলে খালেদা জিয়া দলীয় অফিসের সামনের এক জনসভায় সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘পণ্যের দাম বাড়েনি, পত্রপত্রিকাগুলো দাম বাড়াচ্ছে।’ এখনো কোনো কোনো মন্ত্রীর বক্তব্যে তার প্রতিধ্বনি শোনা যাচ্ছে। সাংবাদিক ও স্বাধীন সংবাদপত্রের ওপর দুই দলই মহা রুষ্ট। বিএনপি ভাবে, পত্রিকাগুলোই তাদের ডুবিয়েছে। আওয়ামী লীগও একসময় তা-ই ভাবত। কেউ নিজের দোষ দেখে না এবং সবকিছুতে ষড়যন্ত্র খোঁজে। এই ব্যাপারেও ক্ষমতাসীন ও প্রধান বিরোধী দলের মিল রয়েছে।
তবে এ কথা স্বীকার করতে হবে, আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে সব ক্ষেত্রেই সমভাবে দায়ী করা যাবে না। বিশেষ করে, জঙ্গিদের লেলিয়ে দেওয়া কিংবা সারা দেশে বোমা-গ্রেনেড হামলা চালিয়ে মানুষ মারার বিএনপি যে আত্মঘাতী পথ বেছে নিয়েছিল, তা থেকে আওয়ামী লীগ কিছুটা হলেও বেরিয়ে আসতে পেরেছে। এখন আর বাংলাদেশে আত্মঘাতী, প্রাণঘাতী বোমা-গ্রেনেড মারার ঘটনা ঘটছে না। ট্রাকে ট্রাকে অস্ত্রও আসছে না। বলা যায়, বিএনপি সংকীর্ণ রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল করতে বাংলাদেশের অস্তিত্বের ওপর আঘাত হেনেছিল। আরেকটি বিষয়ে দুই দলের মধ্যে পার্থক্য স্পষ্ট—বিএনপি একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্তদের নিয়ে মন্ত্রিসভা গঠন করেছিল, আওয়ামী লীগ সরকার তাদের বিচার করতে উদ্যোগী হয়েছে। সরকারের এই দুটি পদক্ষেপের প্রতি ব্যাপক জনগোষ্ঠীর সমর্থন আছে। এমনকি নারী উন্নয়ন নীতি নিয়ে আমিনীরা যে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করেছিলেন, তাও হালে পানি পাচ্ছে না। কিন্তু এসব সত্ত্বেও দেশ সুশাসন ও গণতন্ত্র থেকে অনেক দূরে। জনজীবনের সমস্যা-সংকট নিরসন করতে না পারলে দু-একটি ক্ষেত্রে সরকারের সাফল্য পর্বতপ্রমাণ ব্যর্থতার নিচে চাপা পড়ে যাবে।
দ্য ডেইলি স্টার-এ গত বৃহস্পতিবার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহেদুল আনাম খান তাঁর কলামে আমাদের দেশে নির্বাচনে কীভাবে দলগুলো পরাজিত হয়, সে সম্পর্কে একটি চমৎকার বিশ্লেষণ করেছেন। চাঁদের যেমন নিজস্ব আলো নেই, সূর্যের আলো ধার করে সে অন্যদের মাঝে বিতরণ করে, তেমনই বিরোধী দলের নির্বাচনে জয়লাভের জন্য কৃতিত্ব দেখাতে হয় না। সরকারের চরম ব্যর্থতা ও গণবিরোধী নীতিই তাকে নির্বাচনী বৈতরণী পেরোতে সাহায্য করে। ভবিষ্যতে বিরোধী দল কলাগাছকে প্রার্থী করালেও জিতে যাবে। কেননা সেটি হবে সরকারের প্রতি ‘না’ ভোট। আর সরকারের প্রতি ‘না’ ভোটই বরাবর বিরোধী দলের পক্ষে হ্যাঁ হয়ে যায়।
গত বুধবার অর্থমন্ত্রী স্বীকার করেছেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা অত সহজ নয়। সেই কঠিন কাজটি করার জন্যই দেশবাসী আপনাদের ক্ষমতায় বসিয়েছে। বিএনপির আমলে বাজার সিন্ডিকেট থাকলে এখনো আছে। আর সে সময়ে যেসব ব্যবসায়ী বিএনপি সেজে মওকা কামিয়েছেন, তাঁরা এখন আওয়ামী লীগ অফিস বা বাণিজ্যমন্ত্রীর দরবারের চারপাশে ঘুরঘুর করছেন। অতএব সরকার চাইলে বাজার সিন্ডিকেট ধরা মোটেই কঠিন নয়।
মধ্য মেয়াদের কাছাকাছি এসে সরকারের সামনে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হচ্ছে, তারা পূর্বসূরি বিএনপির পথেই যাবে, নাকি বাজার কিংবা শেয়ারবাজার সিন্ডিকেটের লাগাম শক্ত করে বাঁধবে। যদি সেই বাঁধার কাজটি তারা করতে পারে, তাহলে গত তিনটি নির্বাচনে যেই ধারা চলে আসছে, তার ব্যত্যয় ঘটলেও ঘটতে পারে। যদি না পারে, তাহলে শাহেদুল আনাম খানের ভাষায় আগামী নির্বাচনেও সরকারি দল নিজের পরাজয় নিশ্চিত করবে এবং ‘বাই ডিফল্ট’ বিরোধী দল জয়ী হবে।
সোহরাব হাসান: কবি, সাংবাদিক।
sohrab03@dhaka.net

No comments

Powered by Blogger.