সংলাপে বিএনপির আগ্রহ-গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রার স্বার্থে ঐকমত্য জরুরি
দেশের চলমান রাজনৈতিক সংকট ও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিএনপি সংলাপে বসতে প্রস্তুত বলে দৃঢ়তার সঙ্গে জানিয়েছেন দলটির চেয়ারপারসন এবং বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া। একই সঙ্গে তিনি এও বলেছেন, গণতন্ত্র শক্তিশালী করতে এ সংলাপ আনুষ্ঠানিক কিংবা অনানুষ্ঠানিকও হতে পারে।
বাংলাদেশ সফররত যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি ওয়েন্ডি শারমেনের সঙ্গে ৬ এপ্রিল ২০১২ খালেদা জিয়ার বাসভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠককালে তিনি এ আগ্রহ প্রকাশ করেন। আমরা তাঁর এই আগ্রহকে স্বাগত জানাই। একই সঙ্গে গণতন্ত্র শক্তিশালী ও এর অগ্রযাত্রা নিশ্চিতকরণে খালেদা জিয়ার এ প্রত্যয়ের জন্য অভিনন্দনও জানাই। শারমেন বৈঠককালে জানিয়েছেন, সব দলের অংশগ্রহণে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পথ রাজনৈতিক দলগুলোকে খুঁজে বের করতে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে। দেশের সচেতন, শান্তি ও গণতন্ত্রপ্রিয় মানুষের মনের কথাও তা-ই।
অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়েও বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম একেবারে বিফলে যায়নি। কখনো কখনো অনৈক্য, অস্থিতিশীলতা, সংঘাত কিংবা গণতন্ত্রের সূত্রবহির্ভূত কর্মকাণ্ড মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার উদ্বেগজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে, তা অসত্য নয়। কিন্তু তার পরও আমাদের বিশ্বাস, বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর পরিচালকরা শেষ পর্যন্ত গণতন্ত্রেরই জয় চান। জাতীয় স্বার্থ ও ইস্যুতে রাজনৈতিক ঐকমত্য এবং রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও সহমর্মিতা কতটা জরুরি, নতুন করে এর ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ নিষ্প্রয়োজন। দুঃখজনক হলেও সত্য, রাজনৈতিক অঙ্গনের কারো কারো হীনস্বার্থবাদী মানসিকতার কারণে আমাদের অনেক রাজনৈতিক অর্জনের বিসর্জন ঘটেছে। এর মূল্য রাজনীতিক এবং দেশের মানুষকে দিতে হয়েছে। অতীতের তিক্ত অভিজ্ঞতার আলোকে এসব বিষয় আমলে নিয়ে রাজনীতিকরা যদি দলীয় ও ব্যক্তিস্বার্থের ঊধর্ে্ব উঠে জাতীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দেন, তাহলেই অনেক সমস্যার সমাধানের পথ বের হয়ে আসবে। এ কথা অস্বীকারের কোনো উপায় নেই যে আমাদের রাজনীতির অর্জন অনেক। কিন্তু উদ্বেগজনক হলেও সত্য, রাষ্ট্রকে বিরাজনীতিকরণের চেষ্টাও এ দেশে এ যাবৎ কম হয়নি, গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোর মধ্যে দূরত্বের কারণে। রাষ্ট্র এবং সমাজের জন্য রাজনীতির বিকল্প কিছু নেই। সুস্থ রাজনৈতিক চর্চা যদি না থাকে, তাহলে গণতন্ত্র বিকাশের কিংবা শক্তিশালীকরণের পথও বিপদসংকুল হয়ে উঠবে। অতীতে এমনটি হয়েছে। শুভবুদ্ধিসম্পন্ন কারোরই তা কাম্য নয়। দীর্ঘদিন পর বিরোধী দলের জাতীয় সংসদে যোগদানের বিষয়টিও অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক। এসব ক্ষেত্রে সরকারি দল বা জোটেরও দায় কম নয়। তাদেরও সমমনোভাব নিয়েই এগিয়ে আসতে হবে।
সরকার ও বিরোধী দল বা জোটকে ন্যূনতম একটা সমঝোতায় আসতে হবে, যাতে তাদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে যেকোনো সময় সংলাপ হতে পারে। আলোচনা কিংবা সংলাপের অভাবে যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়, তা কখনো ভালো ফল বয়ে আনে না। সংসদ ও সংসদের বাইরেও সরকার এবং বিরোধী দল বা জোটের মধ্যে আলোচনা, সংলাপ, মতবিনিময় ঘটুক। এ লক্ষ্যে সর্বাগ্রে সবারই ইতিবাচক মনোভাব দরকার। শুধু সামনের নির্বাচনই নয়, দেশের সার্বিক উন্নয়ন ও অগ্রগতির ক্ষেত্রেও এর বিকল্প নেই। দেশের বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে শুধু মিত্র দেশগুলোর নয়, জনউৎকণ্ঠাও এসে পড়ছে। গণতন্ত্রে ভিন্নমত থাকা খুবই স্বাভাবিক; কিন্তু গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ও সংস্কৃতিতে মৌলিক ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতৈক্য অত্যন্ত জরুরি। শুধু নির্বাচন-সংশ্লিষ্টই নয়, যেকোনো জাতীয় ইস্যুতে সরকার ও বিরোধী পক্ষের একটা অনুশীলন নেপথ্যে কিংবা প্রকাশ্যে অবশ্যই দরকার। অনুশীলনের মধ্য দিয়েই রাজনীতিকে আরো পরিশীলিত করতে হবে।
অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়েও বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম একেবারে বিফলে যায়নি। কখনো কখনো অনৈক্য, অস্থিতিশীলতা, সংঘাত কিংবা গণতন্ত্রের সূত্রবহির্ভূত কর্মকাণ্ড মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার উদ্বেগজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে, তা অসত্য নয়। কিন্তু তার পরও আমাদের বিশ্বাস, বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর পরিচালকরা শেষ পর্যন্ত গণতন্ত্রেরই জয় চান। জাতীয় স্বার্থ ও ইস্যুতে রাজনৈতিক ঐকমত্য এবং রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও সহমর্মিতা কতটা জরুরি, নতুন করে এর ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ নিষ্প্রয়োজন। দুঃখজনক হলেও সত্য, রাজনৈতিক অঙ্গনের কারো কারো হীনস্বার্থবাদী মানসিকতার কারণে আমাদের অনেক রাজনৈতিক অর্জনের বিসর্জন ঘটেছে। এর মূল্য রাজনীতিক এবং দেশের মানুষকে দিতে হয়েছে। অতীতের তিক্ত অভিজ্ঞতার আলোকে এসব বিষয় আমলে নিয়ে রাজনীতিকরা যদি দলীয় ও ব্যক্তিস্বার্থের ঊধর্ে্ব উঠে জাতীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দেন, তাহলেই অনেক সমস্যার সমাধানের পথ বের হয়ে আসবে। এ কথা অস্বীকারের কোনো উপায় নেই যে আমাদের রাজনীতির অর্জন অনেক। কিন্তু উদ্বেগজনক হলেও সত্য, রাষ্ট্রকে বিরাজনীতিকরণের চেষ্টাও এ দেশে এ যাবৎ কম হয়নি, গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোর মধ্যে দূরত্বের কারণে। রাষ্ট্র এবং সমাজের জন্য রাজনীতির বিকল্প কিছু নেই। সুস্থ রাজনৈতিক চর্চা যদি না থাকে, তাহলে গণতন্ত্র বিকাশের কিংবা শক্তিশালীকরণের পথও বিপদসংকুল হয়ে উঠবে। অতীতে এমনটি হয়েছে। শুভবুদ্ধিসম্পন্ন কারোরই তা কাম্য নয়। দীর্ঘদিন পর বিরোধী দলের জাতীয় সংসদে যোগদানের বিষয়টিও অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক। এসব ক্ষেত্রে সরকারি দল বা জোটেরও দায় কম নয়। তাদেরও সমমনোভাব নিয়েই এগিয়ে আসতে হবে।
সরকার ও বিরোধী দল বা জোটকে ন্যূনতম একটা সমঝোতায় আসতে হবে, যাতে তাদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে যেকোনো সময় সংলাপ হতে পারে। আলোচনা কিংবা সংলাপের অভাবে যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়, তা কখনো ভালো ফল বয়ে আনে না। সংসদ ও সংসদের বাইরেও সরকার এবং বিরোধী দল বা জোটের মধ্যে আলোচনা, সংলাপ, মতবিনিময় ঘটুক। এ লক্ষ্যে সর্বাগ্রে সবারই ইতিবাচক মনোভাব দরকার। শুধু সামনের নির্বাচনই নয়, দেশের সার্বিক উন্নয়ন ও অগ্রগতির ক্ষেত্রেও এর বিকল্প নেই। দেশের বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে শুধু মিত্র দেশগুলোর নয়, জনউৎকণ্ঠাও এসে পড়ছে। গণতন্ত্রে ভিন্নমত থাকা খুবই স্বাভাবিক; কিন্তু গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ও সংস্কৃতিতে মৌলিক ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতৈক্য অত্যন্ত জরুরি। শুধু নির্বাচন-সংশ্লিষ্টই নয়, যেকোনো জাতীয় ইস্যুতে সরকার ও বিরোধী পক্ষের একটা অনুশীলন নেপথ্যে কিংবা প্রকাশ্যে অবশ্যই দরকার। অনুশীলনের মধ্য দিয়েই রাজনীতিকে আরো পরিশীলিত করতে হবে।
No comments