সমাজে গভীর, গভীরতর অসুখের আলামত-রাজশাহীতে নিষ্ঠুরতা
যেকোনো হত্যাই নিষ্ঠুরতা। কিন্তু রাজশাহীতে ব্যবসায়ীকে জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায় করা এবং তারপর ঘটনাটি চাপা দিতে ‘জিম্মি’কে হত্যা করে তার লাশ টুকরো টুকরো করার ঘটনাকে শুধু নিষ্ঠুরতা বললে কম বলা হয়। বলার আসলে ভাষা নেই। আমরা স্তম্ভিত, আমরা ভাষাহীন।
সমাজের কারও কারও মধ্যে কী পরিমাণ ঘৃণা ও জিঘাংসা জন্মালে কেউ হিতাহিতজ্ঞানশূন্য হয়ে যায়। কীভাবে অতিসাধারণ মানুষও স্বার্থের বশে চরম বর্বরতা ঘটাতে পারে, এ ঘটনাটি তারও একটা সূচক। সূচকটা আমাদের সতর্ক হতে বলে, হুঁশিয়ার হতে বলে।
জমির দালালি বাবদ টাকার দাবি ছিল খুনিদের। সেই হিসাবে তাঁরা ব্যবসায়ী আমিনুল হককে (৪৫) বাগে পেয়ে আটক করেন। তাঁকে জিম্মি করে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণও আদায় করা হয়। তারপর পুরো ঘটনা ধামাচাপা দিতে ‘জিম্মি’কেই জবাই করে হত্যা করা হয়। অপরাধের চিহ্ন লুকাতে লাশ টুকরো টুকরো করে গায়েব করে দেওয়ার প্রস্তুতির সময়ই খুনিরা ধরা পড়ে। ভাষ্যটি পুলিশের, আশা করি তদন্তকাজে বিস্তারিত বিবরণ বেরিয়ে আসবে। এবং সে অনুযায়ী আদালতে দোষী ব্যক্তিদের যথাযথ শাস্তিও হবে। কিন্তু কেন মানুষ এ ধরনের নিষ্ঠুরতা করবে, কেন মানবের মধ্যে সুপ্ত এক দানব লুকিয়ে থাকে, তার ব্যাখ্যাও আমাদের করা প্রয়োজন। উল্লেখ্য, গত সরকারের আমলেও আমরা এ ধরনের কিছু বর্বরতা ঘটতে দেখেছি। সাধারণভাবে আইন-বিচার-শাস্তি সঠিকভাবে চললে, বিরোধ-নিষ্পত্তির সহজ ব্যবস্থা থাকলে অপেশাদারি অপরাধ কিছুটা কমে। এ ধরনের ঘটনা বারবার ঘটা, ব্যবস্থার ভেতরের গলদকেই প্রকাশ করে।
এখানে খেয়াল করার বিষয় যে অপরাধীরা সাধারণ খুদে ব্যবসায়ী। যত দূর জানা যায়, আগে কোনো অপরাধেও তারা জড়িত ছিল না। তারা কেবল স্বার্থের তাড়নায়, অন্ধ প্রবৃত্তির বশে এমন নৃশংস কাজ করল, যা কঠিন জল্লাদও করতে দ্বিধা করবে। আদালতের বিচারের পরও প্রশ্নটি তাই রয়ে যাবে যে, সমাজের আইন ও নৈতিকতার কোন গভীর অসুখের আলামত এসব? র্যাবের নিষ্ঠুরতা, গৃহপরিচারিকার ওপর গৃহকর্ত্রীর নিষ্ঠুরতা, রাজনৈতিক নিষ্ঠুরতা, ছিনতাই-ডাকাতির নিষ্ঠুরতাসহ সমাজের সব অংশেই নিষ্ঠুরতা ঘটছে। পেশাদার অপরাধী থেকে শুরু করে আপাতভাবে গৃহস্থ মানুষ, সরকারি বাহিনী থেকে শুরু করে সাধারণ কর্মজীবীদের মধ্যেও নিষ্ঠুর আচরণ বারবার প্রকাশ পাচ্ছে। রাজশাহীর ওই ব্যবসায়ী হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার হোক, কিন্তু একই সঙ্গে সাধারণ মনের মধ্যে যে অসাধারণ নিষ্ঠুরতার বীজ শিকড় গাড়ছে, তা নিয়েও সবাই ভাবতে বসুক, প্রতিকার খুঁজুক।
জমির দালালি বাবদ টাকার দাবি ছিল খুনিদের। সেই হিসাবে তাঁরা ব্যবসায়ী আমিনুল হককে (৪৫) বাগে পেয়ে আটক করেন। তাঁকে জিম্মি করে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণও আদায় করা হয়। তারপর পুরো ঘটনা ধামাচাপা দিতে ‘জিম্মি’কেই জবাই করে হত্যা করা হয়। অপরাধের চিহ্ন লুকাতে লাশ টুকরো টুকরো করে গায়েব করে দেওয়ার প্রস্তুতির সময়ই খুনিরা ধরা পড়ে। ভাষ্যটি পুলিশের, আশা করি তদন্তকাজে বিস্তারিত বিবরণ বেরিয়ে আসবে। এবং সে অনুযায়ী আদালতে দোষী ব্যক্তিদের যথাযথ শাস্তিও হবে। কিন্তু কেন মানুষ এ ধরনের নিষ্ঠুরতা করবে, কেন মানবের মধ্যে সুপ্ত এক দানব লুকিয়ে থাকে, তার ব্যাখ্যাও আমাদের করা প্রয়োজন। উল্লেখ্য, গত সরকারের আমলেও আমরা এ ধরনের কিছু বর্বরতা ঘটতে দেখেছি। সাধারণভাবে আইন-বিচার-শাস্তি সঠিকভাবে চললে, বিরোধ-নিষ্পত্তির সহজ ব্যবস্থা থাকলে অপেশাদারি অপরাধ কিছুটা কমে। এ ধরনের ঘটনা বারবার ঘটা, ব্যবস্থার ভেতরের গলদকেই প্রকাশ করে।
এখানে খেয়াল করার বিষয় যে অপরাধীরা সাধারণ খুদে ব্যবসায়ী। যত দূর জানা যায়, আগে কোনো অপরাধেও তারা জড়িত ছিল না। তারা কেবল স্বার্থের তাড়নায়, অন্ধ প্রবৃত্তির বশে এমন নৃশংস কাজ করল, যা কঠিন জল্লাদও করতে দ্বিধা করবে। আদালতের বিচারের পরও প্রশ্নটি তাই রয়ে যাবে যে, সমাজের আইন ও নৈতিকতার কোন গভীর অসুখের আলামত এসব? র্যাবের নিষ্ঠুরতা, গৃহপরিচারিকার ওপর গৃহকর্ত্রীর নিষ্ঠুরতা, রাজনৈতিক নিষ্ঠুরতা, ছিনতাই-ডাকাতির নিষ্ঠুরতাসহ সমাজের সব অংশেই নিষ্ঠুরতা ঘটছে। পেশাদার অপরাধী থেকে শুরু করে আপাতভাবে গৃহস্থ মানুষ, সরকারি বাহিনী থেকে শুরু করে সাধারণ কর্মজীবীদের মধ্যেও নিষ্ঠুর আচরণ বারবার প্রকাশ পাচ্ছে। রাজশাহীর ওই ব্যবসায়ী হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার হোক, কিন্তু একই সঙ্গে সাধারণ মনের মধ্যে যে অসাধারণ নিষ্ঠুরতার বীজ শিকড় গাড়ছে, তা নিয়েও সবাই ভাবতে বসুক, প্রতিকার খুঁজুক।
No comments