বগুড়ায় মিজানুর রহমান-ফৌজদারি অপরাধ কখনো মানবাধিকার লঙ্ঘন নয়
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেছেন, সমাজ বা রাষ্ট্রে একটি অপরাধ ঘটলেই তা মানবাধিকার লঙ্ঘন নয়। রাষ্ট্র যদি অপরাধীদের লেলিয়ে দিয়ে কারও অধিকার লঙ্ঘন করে, তাই মানবাধিকার লঙ্ঘন। যদি কোথাও এমন অপরাধ সংঘটিত হয়, তাহলে রাষ্ট্রকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে পারবে মানবাধিকার কমিশন।
ফৌজদারি অপরাধ কখনো মানবাধিকার লঙ্ঘন নয়। তাই সরকারকে ঢালাওভাবে দোষারোপ করা যাবে না।
বগুড়ায় মানবাধিকার বিষয়ে আঞ্চলিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গতকাল শনিবার তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, মানবাধিকার লঙ্ঘন রোধ করতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। টাকা না দিলে থানায় মামলা নেওয়া হয় না। এটি মানবাধিকার লঙ্ঘন। মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান আবারও জোর দিয়ে বলেন, যে নামেই ডাকা হোক না কেন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড গ্রহণযোগ্য নয়। বিচারের কাজ বিচার বিভাগকে দেওয়া হয়েছে। তারাই এ কাজ করবে।
মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান গত বছর ডিসেম্বরে তাঁকে সিলেট কারাগারে প্রবেশ করতে না দেওয়ার কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘সিলেট কারাগারে আমাকে ঢুকতে না দিয়ে তারা আইন লঙ্ঘন করেছে। সরকারের কাছে অভিযোগ করেছিলাম ব্যবস্থা না নিলে মামলা করব। কিন্তু সরকার কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। এতে জনমত গঠিত হয়েছে। মামলার প্রয়োজন হয়নি। সিলেটের ঘটনার পর আর কোনো কারাগার পরিদর্শন করিনি।’
মিজানুর রহমান বলেন, ‘কিছু অভিযোগের ভিত্তিতেই সিলেট কারাগার পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। এ রকম ঘটনা বগুড়ার কারাগারেও যে নেই তা নয়।’
বগুড়া পুলিশ লাইন্স স্কুল ও কলেজের এক শিক্ষকের হাতে স্কুলছাত্রীর যৌন হয়রানি প্রসঙ্গে পুলিশের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘যখন জানতে পেরেছেন এমন একটি ঘটনা ঘটেছে, তখন কেন ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করলেন না। এটা উচিত ছিল।’
ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহযোগিতায় রিলিফ ইন্টারন্যাশনালের আয়োজনে ওই সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন ন্যাশনাল নেটওয়ার্ক ফর কনসার্নড জার্নালিস্ট বগুড়ার সভাপতি হাসিবুর রহমান। সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জোবায়দুর রহমান এবং বিশেষ প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মানবাধিকারকর্মী সদরুল আনাম। স্বাগত বক্তব্য দেন রিলিফ ইন্টারন্যাশনালের কান্ট্রি ডিরেক্টর নজরুল ইসলাম। মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন সাংসদ মোস্তফা আলী, সাংসদ খাদিজা খাতুন, সাবেক সাংসদ কামরুন নাহার, জেলা প্রশাসক সারোয়ার মাহমুদ প্রমুখ। এই সম্মেলনে বগুড়া ছাড়াও ঠাকুরগাঁও, রাজশাহী ও রংপুরের সাংবাদিকেরা অংশ নেন।
বগুড়ায় মানবাধিকার বিষয়ে আঞ্চলিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গতকাল শনিবার তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, মানবাধিকার লঙ্ঘন রোধ করতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। টাকা না দিলে থানায় মামলা নেওয়া হয় না। এটি মানবাধিকার লঙ্ঘন। মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান আবারও জোর দিয়ে বলেন, যে নামেই ডাকা হোক না কেন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড গ্রহণযোগ্য নয়। বিচারের কাজ বিচার বিভাগকে দেওয়া হয়েছে। তারাই এ কাজ করবে।
মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান গত বছর ডিসেম্বরে তাঁকে সিলেট কারাগারে প্রবেশ করতে না দেওয়ার কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘সিলেট কারাগারে আমাকে ঢুকতে না দিয়ে তারা আইন লঙ্ঘন করেছে। সরকারের কাছে অভিযোগ করেছিলাম ব্যবস্থা না নিলে মামলা করব। কিন্তু সরকার কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। এতে জনমত গঠিত হয়েছে। মামলার প্রয়োজন হয়নি। সিলেটের ঘটনার পর আর কোনো কারাগার পরিদর্শন করিনি।’
মিজানুর রহমান বলেন, ‘কিছু অভিযোগের ভিত্তিতেই সিলেট কারাগার পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। এ রকম ঘটনা বগুড়ার কারাগারেও যে নেই তা নয়।’
বগুড়া পুলিশ লাইন্স স্কুল ও কলেজের এক শিক্ষকের হাতে স্কুলছাত্রীর যৌন হয়রানি প্রসঙ্গে পুলিশের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘যখন জানতে পেরেছেন এমন একটি ঘটনা ঘটেছে, তখন কেন ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করলেন না। এটা উচিত ছিল।’
ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহযোগিতায় রিলিফ ইন্টারন্যাশনালের আয়োজনে ওই সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন ন্যাশনাল নেটওয়ার্ক ফর কনসার্নড জার্নালিস্ট বগুড়ার সভাপতি হাসিবুর রহমান। সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জোবায়দুর রহমান এবং বিশেষ প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মানবাধিকারকর্মী সদরুল আনাম। স্বাগত বক্তব্য দেন রিলিফ ইন্টারন্যাশনালের কান্ট্রি ডিরেক্টর নজরুল ইসলাম। মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন সাংসদ মোস্তফা আলী, সাংসদ খাদিজা খাতুন, সাবেক সাংসদ কামরুন নাহার, জেলা প্রশাসক সারোয়ার মাহমুদ প্রমুখ। এই সম্মেলনে বগুড়া ছাড়াও ঠাকুরগাঁও, রাজশাহী ও রংপুরের সাংবাদিকেরা অংশ নেন।
No comments