শিল্প-কারখানার বর্জ্য পরিশোধন ও নিষ্কাশনে গাফিলতি কেন?-দুর্ভোগের ভাগাভাগি সমাধান নয়
৩৬৫টি শিল্পকারখানা বনাম কয়েক লাখ মানুষের বসতি, মাঝখানে রেললাইন বহে সমান্তরাল। ৩৬৫টি কারখানার রাসায়নিক বর্জ্য ও তরল আবর্জনায় রাজধানীর নামা শ্যামপুর এলাকার একটা অংশ সারা বছরই ডুবে থাকে। কয়েক বছর ধরে এই ভোগান্তি তাদের সইতে হলেও না নগর প্রশাসন, না শিল্প-প্রশাসন, না কারখানাগুলোর কর্তৃপক্ষ—কারোরই টনক নড়েনি।
অবশেষে ময়লাবাহী নর্দমার মুখ আটকে দিয়ে প্রতিরোধের মাধ্যমে সেই টনক নড়িয়েছে এলাকাবাসী। তাহলে কি প্রতিরোধ ছাড়া কর্তব্যসচেতনতা জাগানো যায় না?
সোমবারের প্রথম আলোয় ‘এক পাশে স্বস্তি অন্য পাশে দুর্ভোগ’ শিরোনামে সংবাদটি প্রকাশিত হয়েছে। কারখানাগুলোর বর্জ্য রেল সেতুর নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারলে ডুবে যায় নামা শ্যামপুর, আর না পারলে ডোবে শ্যামপুর। রেললাইনের এপার-ওপার যেন সমস্যার এপার-ওপার। বছরের পর বছর অভিযোগ জানিয়েও কাজ হয়নি। নিরুপায় এলাকাবাসী অবশেষে ১০ ফুট প্রশস্ত খালের মুখে বাঁশ ও বালুর বস্তা দিয়ে আটকে দেয়। নামা শ্যামপুরের অধিবাসীরা কিছুটা রেহাই পায়। কিন্তু এতে সমস্যাটি কেবল রেললাইনের ওপার থেকে এপারে চলে আসে। ডুবতে থাকে এপারের শ্যামপুর এলাকা। ঘটনার ধারাবাহিকতায় সব পক্ষ আলোচনায় বসে। যাদের দায়, সেই শিল্পমালিকেরা ময়লা নিষ্কাশনের বিকল্প নর্দমা তৈরি করে দিতে রাজি হয়। খালের মুখের অবরোধ তুলে নিতে রাজি হয় নামা শ্যামপুর। শ্যামপুর স্বস্তি ফেলে। এভাবে অস্বস্তি ও দুর্ভোগের ভাগাভাগির মাধ্যমে আপাত সমাধান হলো বটে। কিন্তু ৩৬৫টি কারখানায় কেন বর্জ্য পরিশোধনযন্ত্র বসানো হয়নি, কেন তারা এত দিন লাখ লাখ মানুষের দুর্ভোগকে থোড়াই পরোয়াও করেনি, তার জবাবদিহি ও জরিমানা করতে হবে না?
আমরা উদ্ভূত সমস্যার দ্রুত সমাধান চাই বটে, কিন্তু যেনতেন সমাধান সমস্যার সাময়িক ধামাচাপাই দেবে কেবল, স্থায়ী সমাধান হবে না। উচ্চ আদালতের নির্দেশ রয়েছে সব শিল্প-কারখানায় বর্জ্য পরিশোধনযন্ত্র বা ইটিপি স্থাপন করতে হবে, রাসায়নিক দূষণকারী উপাদান নদী বা খালে পড়তে দেওয়া যাবে না, জনবসতিপূর্ণ এলাকায় স্থাপিত শিল্প উপযুক্ত এলাকায় সরিয়ে নিতে হবে। এসব নির্দেশ বাস্তবায়নই হতো যথাযথ সমাধান। তা না করে সাময়িক সমাধানের নামে আরও বড় সমস্যার বীজ রোপণ করা মোটেই কাঙ্ক্ষিত নয়।
সোমবারের প্রথম আলোয় ‘এক পাশে স্বস্তি অন্য পাশে দুর্ভোগ’ শিরোনামে সংবাদটি প্রকাশিত হয়েছে। কারখানাগুলোর বর্জ্য রেল সেতুর নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারলে ডুবে যায় নামা শ্যামপুর, আর না পারলে ডোবে শ্যামপুর। রেললাইনের এপার-ওপার যেন সমস্যার এপার-ওপার। বছরের পর বছর অভিযোগ জানিয়েও কাজ হয়নি। নিরুপায় এলাকাবাসী অবশেষে ১০ ফুট প্রশস্ত খালের মুখে বাঁশ ও বালুর বস্তা দিয়ে আটকে দেয়। নামা শ্যামপুরের অধিবাসীরা কিছুটা রেহাই পায়। কিন্তু এতে সমস্যাটি কেবল রেললাইনের ওপার থেকে এপারে চলে আসে। ডুবতে থাকে এপারের শ্যামপুর এলাকা। ঘটনার ধারাবাহিকতায় সব পক্ষ আলোচনায় বসে। যাদের দায়, সেই শিল্পমালিকেরা ময়লা নিষ্কাশনের বিকল্প নর্দমা তৈরি করে দিতে রাজি হয়। খালের মুখের অবরোধ তুলে নিতে রাজি হয় নামা শ্যামপুর। শ্যামপুর স্বস্তি ফেলে। এভাবে অস্বস্তি ও দুর্ভোগের ভাগাভাগির মাধ্যমে আপাত সমাধান হলো বটে। কিন্তু ৩৬৫টি কারখানায় কেন বর্জ্য পরিশোধনযন্ত্র বসানো হয়নি, কেন তারা এত দিন লাখ লাখ মানুষের দুর্ভোগকে থোড়াই পরোয়াও করেনি, তার জবাবদিহি ও জরিমানা করতে হবে না?
আমরা উদ্ভূত সমস্যার দ্রুত সমাধান চাই বটে, কিন্তু যেনতেন সমাধান সমস্যার সাময়িক ধামাচাপাই দেবে কেবল, স্থায়ী সমাধান হবে না। উচ্চ আদালতের নির্দেশ রয়েছে সব শিল্প-কারখানায় বর্জ্য পরিশোধনযন্ত্র বা ইটিপি স্থাপন করতে হবে, রাসায়নিক দূষণকারী উপাদান নদী বা খালে পড়তে দেওয়া যাবে না, জনবসতিপূর্ণ এলাকায় স্থাপিত শিল্প উপযুক্ত এলাকায় সরিয়ে নিতে হবে। এসব নির্দেশ বাস্তবায়নই হতো যথাযথ সমাধান। তা না করে সাময়িক সমাধানের নামে আরও বড় সমস্যার বীজ রোপণ করা মোটেই কাঙ্ক্ষিত নয়।
No comments