বরফের দেশে সিস্টেম ও আমাদের শহর by ইশরাত জাকিয়া সুলতানা
জেট ল্যাগ' বলে ইংরেজিতে একটি কথা আছে। বেশ কিছু ভিন্ন টাইম জোনে ভ্রমণকালে দিবালোক ও অন্ধকার রাতের সঙ্গে সামঞ্জস্য বিধানে দেহঘড়ি ব্যর্থ হলে এই জেট ল্যাগ তৈরি হয়। প্রায় সাড়ে ১২ হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে প্রায় ২৪ ঘণ্টা সময় আকাশপথে ভ্রমণ শেষে ভিনদেশে এলে স্বভাবতই ভ্রমণকারীর দেহে ওই শব্দের প্রায়োগিক রূপটি অনুভূত হওয়ার কথা।
কোনো এক অদ্ভুত কারণে ওই অনুভূতিটি লাভের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হলাম। কোনো রকম ক্লান্তি বোধ হলো না দেহে। নতুন জায়গার নতুন সময়ে অন্যদের সঙ্গে খাওয়া-দাওয়া ও নিদ্রা যাওয়া...। অতঃপর পরদিন ভোরে স্বাভাবিকভাবে নিদ্রাভঙ্গ হওয়া...। বিষয়টি আজন্ম বেড়ে ওঠা ঢাকা শহরের পথে হঠাৎ করে একদিন চির পরিচিত জ্যামের দর্শন না পেলে মন যেমন প্রশ্নবিদ্ধ হয়_অনেকটা সে রকম। শীতল আবহাওয়ার দেশ হিসেবে পরিচিত এ দেশে আসার মাসখানেকের মধ্যেই দেখা গেল শ্বেতশুভ্র বরফে ছেঁয়ে যাচ্ছে চারদিক। তখনো নভেম্বর বিদায় নিয়ে ডিসেম্বর আসেনি। বৃক্ষপত্র থেকে শুরু করে বাগান, পথচারী চলাচলের ফুটপাত, পথ, সড়কদ্বীপ, বাড়ির সিঁড়ি, বারান্দা, জানালার ধার_সর্বত্র কেবল বরফ আর বরফ। এর মধ্যেও গরম কাপড়ের চলমান প্যাকেটরূপী বুড়ো, তরুণ, শিশু_সবাই যার যার কাজে বা ক্লাসে যাচ্ছে। বরফ পড়ছে বরফের নিয়মে, মানুষও কাজে যাচ্ছে তাদের নিয়মে। কুচি কুচি বরফ, ঘন বৃষ্টির মতো বরফ, কুয়াশার মতো বরফ, বালিশের তুলা ওড়ানোর মতো বরফ নানা কায়দায়, নানা আকৃতিতে ক্রমাগত পড়েই যাচ্ছে। প্রতিদিন ভোরে শহরের পরিচ্ছন্নতাকর্মীর বাহন এসে বাসার সামনে রাখা ময়লার বিশাল প্লাস্টিকের ঢাকনাওয়ালা ঝুড়ি থেকে ময়লা নিয়ে যাচ্ছে শহরবাসীর ঘুম ভাঙার আগেই। বৃষ্টি কিংবা বরফ_কোনোটিতেই এই কাজটির ব্যত্যয় ঘটে না। মনে পড়ে গেল আমার ঢাকা শহরের কথা। ডিসিসি থেকে শুরু করে ছোট-বড় নানা এনজিও সেখানে কাগজে-কলমে দায়িত্বরত এই ময়লা পরিষ্কার করার কাজে। সেই দায়িত্ব পালনের নমুনা শহরবাসী বাস্তবে কতখানি দেখে, সে বর্ণনায় না-ই বা গেলাম।
মন্ট্রিয়লের মেট্রো তথা মাটির তলা দিয়ে চলা রেলগাড়ি গোটা উত্তর আমেরিকার মধ্যে সর্বোচ্চ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে_উৎকর্ষে, সেবায়, সৌন্দর্যে। কুইবেকের দাপ্তরিক ভাষা যেহেতু ফরাসি, স্বভাবতই মন্ট্রিয়লের পথঘাটের সাইনবোর্ড ফরাসি ভাষায় খচিত থাকার দৃশ্য চোখে পড়ে। এ ভাষায় আত্মবিশ্বাস অনুভবের মতো দক্ষতা না থাকায় মেট্রোর ছোট পথমানচিত্রটি সব সময় পকেটে রাখতাম। মেট্রোতে নির্ভুলভাবে যাতায়াতের জন্য তা পরম বিশ্বস্ত বন্ধুর মতোই বিশ্বস্তভাবে সহায়তা করে। ২০১০ সালের তথ্যানুযায়ী দৈনিক ১০ লাখ ৫০ হাজার ৮০০ জন মানুষকে এই মেট্রোগুলো দ্রুততম সময়ে নিরাপদে চলাচলে সহায়তা করে আসছে। ঘণ্টায় গড়ে ৪০ কিলোমিটার এবং সর্বোচ্চ ৭২ কিলোমিটার বেগে মাটির তলা দিয়ে চলমান মোট ৭৫৯টি মেট্রোতে চলাচলের জন্য রয়েছে নির্ধারিত পাস-টিকিট সিস্টেম। রয়েছে সেই টিকিটে অবশিষ্ট ব্যালেন্স নিরূপণ ও রিচার্জ করে নেওয়ার জন্য স্বয়ংক্রিয় মেশিন। আমাদের দেশে নাকি উড়াল রেল হতে যাচ্ছে_যাত্রাবাড়ী টু উত্তরা। খুবই আশার কথা। তবে সেই রেল ও তার সেবাকে নাগরিকের চাহিদা পূরণে সক্ষম করার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষ কতটুকু দরদ দিয়ে ভাবছে, তা আমাদেরও ভাবনার বিষয়। সেখানে কতটুকু সিস্টেম থাকবে, আর যাত্রী তা কতটুকু মানবে এবং কর্তৃপক্ষ যাত্রীকে কতটুকু সেই সিস্টেম মানাতে বাধ্য করবে_সেটি সময় থাকতে না ভাবলে তা বালকোচিত অদূরদর্শিতারই পরিচায়ক হবে। নিয়মতান্ত্রিকতা বা সিস্টেম মানুষকে শুধু সভ্য হতেই শেখায় না, ভালো তথা স্বস্তিতে থাকতেও সাহায্য করে। মনে পড়ে গেল, বাংলাদেশে পত্রিকায় শিরোনাম হয়, 'কোনো নিয়মই মানছেন না অটোরিকশা চালকেরা।' প্রশ্ন আসে, নিয়ম মানানো যাঁদের কর্তব্য, তাঁরা তাঁদের কর্তব্যের নিয়ম মানছেন কি? আবারও কানাডার প্রসঙ্গ। এ বছরের প্রথম মাসের শেষাংশে মন্ট্রিয়ল থেকে টরন্টো আসার প্রয়োজন হলো। যেই বাসভ্রমণ বাংলাদেশে সবচেয়ে কষ্টকর ও অপছন্দের ছিল, বিমান বা রেলপথের চেয়ে কানাডায় সেই বাসভ্রমণকেই বেছে নিলাম সর্বাগ্রে। কেননা, এতে সাশ্রয় ও স্বচ্ছন্দ_উভয়ই আছে। মন্ট্রিয়ল থেকে টরন্টোতে ছয় ঘণ্টা বাসভ্রমণের মাঝখানে একটি বিরতি দেওয়া হয়। তিন ঘণ্টা একটানা (বাস্তবিকই একটানা) চলার পর কিংস্টোনে এসে ঘড়ি ধরে ঠিক ২৫ মিনিটের বিরতি। ঢাকা-কঙ্বাজার রুটের এস আলম, সৌদিয়ায় যেমন শেষরাতে চট্টগ্রামের সিনেমা প্যালেসে বাসের চালক পরিবর্তন হয়, তেমনি কিংস্টোনে এসেও পরবর্তী তিন ঘণ্টার জন্য অন্য চালকের হাতে বাস হস্তান্তর হয়। তবে এস আলম ইত্যাদি বাসের সিস্টেমের সঙ্গে মেগাবাসের সিস্টেমের তফাত হলো_এই বাসে চালক নিজেই যাত্রীদের টিকিট চেক করেন। তারপর সহজ ইংরেজিতে তাঁর নামটি মাইক্রোফোনে জানিয়ে দিয়ে বলতে থাকেন_কোনো অসুবিধা বোধ করলে যাত্রীরা যেন নিঃসঙ্কোচে তাঁর সহায়তা নেন। অর্থাৎ যাত্রী যেহেতু টিকিটের জন্য অর্থ ব্যয় করেছেন, ভ্রমণকালীন সময়টিতে যাত্রীর দেখভাল করার সব দায়িত্ব বাসচালকের। এরপর গন্তব্যে পেঁৗছার সম্ভাব্য সময় ও আজকের আবহাওয়া-সংক্রান্ত তথ্য জানিয়ে চালক যে ঘোষণাটি দেন, সেটি পাঠকের সঙ্গে বিনিময় করার জন্যই প্রসঙ্গটির অবতারণা। সংক্ষিপ্ত ঘোষণার সমাপ্তিতে এসে চালক যে কথাটি বলেন, তার অনুবাদ করলে দাঁড়ায়_এই বাসের ভেতরে কেউ ধূমপান করলে তাঁকে ৫০০ ডলার জরিমানা করা হবে (আমাদের দেশের একজন উপসচিবের মাসিক বেতনের সমপরিমাণ অর্থ!)। ফলে কিংস্টোনে থামার পর দেখা গেল, বাস থেকে নেমে খোলা আকাশের নিচে ধূমপায়ী যাত্রীরা আয়েশ মিটিয়ে ধূমপান করছেন। কানাডায় ইটন সেন্টার বা জেলার্সের মতো অভিজাত বিপণিতে আমেরিকা ও চীন থেকে আসা চমৎকার ও দামি বস্ত্রসম্ভারের সারিতে যখন দেখি কিছু কাপড়ের লেভেলে ছোট করে স্টিকার লাগানো 'মেইড ইন বাংলাদেশ'; তখন বিস্ময় ও গর্ব দুই-ই বোধ হয়। ক্যারল রিডসহ বিভিন্ন নামি ব্র্যান্ডের ওসব আকর্ষণীয় বস্ত্রের সর্বনিম্ন মূল্য ১৫-২০ ডলার, বিস্ময়ের ধাক্কায় সর্বোচ্চটা দেখতে ভুলে গিয়েছিলাম। কারণ, মাথায় শুধু একটাই প্রশ্ন ঘুরছিল : এত প্রতিযোগিতাপূর্ণ আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের তৈরি বস্ত্র সগৌরবে তার আপন জায়গা করে নিয়েছে, অথচ দেশটির ভেতরে নিরাপত্তাহীনতা, যাতায়াতে দুর্ভোগ, শিশু নির্যাতন, খাদ্যে ভেজালের মতো কয়েকটি ক্ষেত্রে সম্ভব হচ্ছে না নৈরাজ্য, বিশৃঙ্খলা, অসততা প্রতিহত করে সুস্থ ও সভ্য হয়ে বেঁচে থাকার।
লেখক : টরন্টো প্রবাসী
মন্ট্রিয়লের মেট্রো তথা মাটির তলা দিয়ে চলা রেলগাড়ি গোটা উত্তর আমেরিকার মধ্যে সর্বোচ্চ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে_উৎকর্ষে, সেবায়, সৌন্দর্যে। কুইবেকের দাপ্তরিক ভাষা যেহেতু ফরাসি, স্বভাবতই মন্ট্রিয়লের পথঘাটের সাইনবোর্ড ফরাসি ভাষায় খচিত থাকার দৃশ্য চোখে পড়ে। এ ভাষায় আত্মবিশ্বাস অনুভবের মতো দক্ষতা না থাকায় মেট্রোর ছোট পথমানচিত্রটি সব সময় পকেটে রাখতাম। মেট্রোতে নির্ভুলভাবে যাতায়াতের জন্য তা পরম বিশ্বস্ত বন্ধুর মতোই বিশ্বস্তভাবে সহায়তা করে। ২০১০ সালের তথ্যানুযায়ী দৈনিক ১০ লাখ ৫০ হাজার ৮০০ জন মানুষকে এই মেট্রোগুলো দ্রুততম সময়ে নিরাপদে চলাচলে সহায়তা করে আসছে। ঘণ্টায় গড়ে ৪০ কিলোমিটার এবং সর্বোচ্চ ৭২ কিলোমিটার বেগে মাটির তলা দিয়ে চলমান মোট ৭৫৯টি মেট্রোতে চলাচলের জন্য রয়েছে নির্ধারিত পাস-টিকিট সিস্টেম। রয়েছে সেই টিকিটে অবশিষ্ট ব্যালেন্স নিরূপণ ও রিচার্জ করে নেওয়ার জন্য স্বয়ংক্রিয় মেশিন। আমাদের দেশে নাকি উড়াল রেল হতে যাচ্ছে_যাত্রাবাড়ী টু উত্তরা। খুবই আশার কথা। তবে সেই রেল ও তার সেবাকে নাগরিকের চাহিদা পূরণে সক্ষম করার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষ কতটুকু দরদ দিয়ে ভাবছে, তা আমাদেরও ভাবনার বিষয়। সেখানে কতটুকু সিস্টেম থাকবে, আর যাত্রী তা কতটুকু মানবে এবং কর্তৃপক্ষ যাত্রীকে কতটুকু সেই সিস্টেম মানাতে বাধ্য করবে_সেটি সময় থাকতে না ভাবলে তা বালকোচিত অদূরদর্শিতারই পরিচায়ক হবে। নিয়মতান্ত্রিকতা বা সিস্টেম মানুষকে শুধু সভ্য হতেই শেখায় না, ভালো তথা স্বস্তিতে থাকতেও সাহায্য করে। মনে পড়ে গেল, বাংলাদেশে পত্রিকায় শিরোনাম হয়, 'কোনো নিয়মই মানছেন না অটোরিকশা চালকেরা।' প্রশ্ন আসে, নিয়ম মানানো যাঁদের কর্তব্য, তাঁরা তাঁদের কর্তব্যের নিয়ম মানছেন কি? আবারও কানাডার প্রসঙ্গ। এ বছরের প্রথম মাসের শেষাংশে মন্ট্রিয়ল থেকে টরন্টো আসার প্রয়োজন হলো। যেই বাসভ্রমণ বাংলাদেশে সবচেয়ে কষ্টকর ও অপছন্দের ছিল, বিমান বা রেলপথের চেয়ে কানাডায় সেই বাসভ্রমণকেই বেছে নিলাম সর্বাগ্রে। কেননা, এতে সাশ্রয় ও স্বচ্ছন্দ_উভয়ই আছে। মন্ট্রিয়ল থেকে টরন্টোতে ছয় ঘণ্টা বাসভ্রমণের মাঝখানে একটি বিরতি দেওয়া হয়। তিন ঘণ্টা একটানা (বাস্তবিকই একটানা) চলার পর কিংস্টোনে এসে ঘড়ি ধরে ঠিক ২৫ মিনিটের বিরতি। ঢাকা-কঙ্বাজার রুটের এস আলম, সৌদিয়ায় যেমন শেষরাতে চট্টগ্রামের সিনেমা প্যালেসে বাসের চালক পরিবর্তন হয়, তেমনি কিংস্টোনে এসেও পরবর্তী তিন ঘণ্টার জন্য অন্য চালকের হাতে বাস হস্তান্তর হয়। তবে এস আলম ইত্যাদি বাসের সিস্টেমের সঙ্গে মেগাবাসের সিস্টেমের তফাত হলো_এই বাসে চালক নিজেই যাত্রীদের টিকিট চেক করেন। তারপর সহজ ইংরেজিতে তাঁর নামটি মাইক্রোফোনে জানিয়ে দিয়ে বলতে থাকেন_কোনো অসুবিধা বোধ করলে যাত্রীরা যেন নিঃসঙ্কোচে তাঁর সহায়তা নেন। অর্থাৎ যাত্রী যেহেতু টিকিটের জন্য অর্থ ব্যয় করেছেন, ভ্রমণকালীন সময়টিতে যাত্রীর দেখভাল করার সব দায়িত্ব বাসচালকের। এরপর গন্তব্যে পেঁৗছার সম্ভাব্য সময় ও আজকের আবহাওয়া-সংক্রান্ত তথ্য জানিয়ে চালক যে ঘোষণাটি দেন, সেটি পাঠকের সঙ্গে বিনিময় করার জন্যই প্রসঙ্গটির অবতারণা। সংক্ষিপ্ত ঘোষণার সমাপ্তিতে এসে চালক যে কথাটি বলেন, তার অনুবাদ করলে দাঁড়ায়_এই বাসের ভেতরে কেউ ধূমপান করলে তাঁকে ৫০০ ডলার জরিমানা করা হবে (আমাদের দেশের একজন উপসচিবের মাসিক বেতনের সমপরিমাণ অর্থ!)। ফলে কিংস্টোনে থামার পর দেখা গেল, বাস থেকে নেমে খোলা আকাশের নিচে ধূমপায়ী যাত্রীরা আয়েশ মিটিয়ে ধূমপান করছেন। কানাডায় ইটন সেন্টার বা জেলার্সের মতো অভিজাত বিপণিতে আমেরিকা ও চীন থেকে আসা চমৎকার ও দামি বস্ত্রসম্ভারের সারিতে যখন দেখি কিছু কাপড়ের লেভেলে ছোট করে স্টিকার লাগানো 'মেইড ইন বাংলাদেশ'; তখন বিস্ময় ও গর্ব দুই-ই বোধ হয়। ক্যারল রিডসহ বিভিন্ন নামি ব্র্যান্ডের ওসব আকর্ষণীয় বস্ত্রের সর্বনিম্ন মূল্য ১৫-২০ ডলার, বিস্ময়ের ধাক্কায় সর্বোচ্চটা দেখতে ভুলে গিয়েছিলাম। কারণ, মাথায় শুধু একটাই প্রশ্ন ঘুরছিল : এত প্রতিযোগিতাপূর্ণ আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের তৈরি বস্ত্র সগৌরবে তার আপন জায়গা করে নিয়েছে, অথচ দেশটির ভেতরে নিরাপত্তাহীনতা, যাতায়াতে দুর্ভোগ, শিশু নির্যাতন, খাদ্যে ভেজালের মতো কয়েকটি ক্ষেত্রে সম্ভব হচ্ছে না নৈরাজ্য, বিশৃঙ্খলা, অসততা প্রতিহত করে সুস্থ ও সভ্য হয়ে বেঁচে থাকার।
লেখক : টরন্টো প্রবাসী
No comments