ধর্ম-‘তোমরা হত্যাযজ্ঞ থেকে দূরে থাকো’ by মুহাম্মদ আবদুল মুনিম খান
আশরাফুল মাখলুকাত’ বা সৃষ্টির সেরা জীব মানুষের জানমালের নিরাপত্তা আজ মারাত্মক হুমকির মুখে। সাময়িক উত্তেজনা বা সস্তা আবেগের বশবর্তী হয়ে মানুষকে অপহরণ, গুম, হত্যা বা গুপ্তহত্যা, যাত্রীবাহী বাসে অগ্নিসংযোগ, জ্বলন্ত পুড়িয়ে মারার মতো চরম পন্থা গ্রহণ বা বাড়াবাড়ির অবকাশ ইসলামে নেই।
কাউকে প্রাণনাশ বা হত্যা করা সামাজিক অনাচার ও অত্যাচারের অন্তর্ভুক্ত। জনকল্যাণের পরিবর্তে প্রতিশোধ গ্রহণের মন্দ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য যারা নিরপরাধ মানুষ হত্যাকাণ্ডে লিপ্ত হয়, তাদের হূদয় ভালোবাসাহীন। এরা মানবতাবর্জিত, মায়া-মমতাহীন, দিগ্বিদিক জ্ঞানশূন্য, সভ্য মানবসমাজের শত্রু। তাদের কোনো ধর্ম নেই। মানুষ হত্যা যে কত বড় মহাপাপ, তা তারা উপলব্ধি করে না। নিরপরাধ মানুষ হত্যার মতো জঘন্য কাজ করতে এরা দ্বিধাবোধ করে না। নরহত্যা এমন একটি ঘৃণিত অপরাধ যে বিশ্বের সব ধর্ম এহেন জঘন্য অপরাধ থেকে বিরত থাকার জন্য নির্দেশ দিয়েছে। পবিত্র কোরআনে হত্যাকে চিরতরে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ যার হত্যা নিষিদ্ধ করেছেন, যথার্থ কারণ ব্যতিরেকে তোমরা তাকে হত্যা কোরো না।’ (সূরা বনি ইসরাইল, আয়াত-৩৩)
হত্যাকাণ্ড প্রকাশ্যে করলে হয় প্রকাশ্য হত্যা আর গোপনে করলে হয় গুপ্তহত্যা। উভয় হত্যাকাণ্ডের শাস্তি একই মৃত্যুদণ্ড। প্রকাশ্যে বা গোপনে যেভাবেই হোক হত্যাকারীকে অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে। যদি সাক্ষ্য-প্রমাণ পাওয়া যায় তাহলে দুনিয়ার আদালতে এর বিচার হবে। নতুবা তাকে আখেরাতের আদালতে কঠিন শাস্তি পেতে হবে। পবিত্র কোরআনে হত্যাকাণ্ডকে মহা অপরাধ সাব্যস্ত করে ইচ্ছাকৃতভাবে একজন মুসলমান আরেকজন মুসলমানকে হত্যা করা নিষিদ্ধ ঘোষণা করে শাস্তির কঠোর বিধান সম্পর্কে ইরশাদ হয়েছে, ‘কোনো মুমিনের জন্য সমীচীন নয় যে সে অন্য মুমিনকে হত্যা করবে, অবশ্য ভুলবশত করে ফেললে অন্য কথা।... আর কেউ স্বেচ্ছায় কোনো মুমিনকে হত্যা করলে তার শাস্তি জাহান্নাম, সেখানে সে চিরকাল অবস্থান করবে। আর আল্লাহ তার প্রতি ক্রুদ্ধ হয়েছেন ও তাকে অভিশপ্ত করেছেন এবং তার জন্য ভীষণ শাস্তি প্রস্তুত রেখেছেন।’ (সূরা আন-নিসা, আয়াত ৯২-৯৩)
হত্যা ও গুপ্তহত্যা যেভাবে রাষ্ট্রীয় আইনে একটি ভয়াবহ অপরাধ তেমনি পবিত্র কোরআন ও হাদিসের দৃষ্টিতেও জঘন্যতম অপরাধ। এ ধরনের অমানবিকতা দূর করতে হলে মানুষের মধ্যে আল্লাহর ভয় সৃষ্টি করতে হবে। আল্লাহর ভয় মনে থাকলে সে কখনো কাউকে হত্যা করবে না। কারও ক্ষতিসাধন করবে না। পরকালে আল্লাহর দরবারে জবাবদিহি করার অনুভূতি জাগ্রত থাকলে মানুষের মধ্যে অপরাধের মাত্রা অনেক কমে যায়। কারণ, মানুষ জানে তাকে একদিন আল্লাহর সামনে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। তখন নরহত্যার মতো এমন ঘৃণ্য অপরাধের কথা জিজ্ঞাসা করলে সে কী জবাব দেবে? মানুষের অন্তরের এ অনুভূতি অন্যায় কাজ করতে বাধা দেয়। মানুষের জীবনের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হত্যাকারীর শাস্তি সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে ঘোষণা করেছেন, ‘নরহত্যা বা পৃথিবীতে ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তি ছাড়া কেউ কাউকে হত্যা করলে সে যেন দুনিয়ার সমগ্র মানবগোষ্ঠীকে হত্যা করল; আর কেউ কারও প্রাণ রক্ষা করলে সে যেন পৃথিবীর সমগ্র মানবগোষ্ঠীকে প্রাণে রক্ষা করল।’ (সূরা আল-মায়িদা, আয়াত-৩২)
নবী করিম (সা.) হত্যাযজ্ঞ থেকে মানুষকে দূরে থাকতে বলেছেন এবং হত্যাকে কুফরির মতো ভয়াবহ বলে আখ্যায়িত করেছেন। নানা অত্যাচার ও নির্যাতন সহ্য করেও কখনো বাড়াবাড়ি, কঠোরতা বা গোঁড়ামির পরিচয় দেননি, বরং ইসলাম প্রচারের ক্ষেত্রে চরম পন্থা অবলম্বন করার বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে ইসলামের সুমহান আদর্শ সমরনীতি ঘোষণা করেছেন, ‘তোমরা কখনো আগে অস্ত্র উত্তোলন কোরো না বা অস্ত্রের ভয়ভীতিও প্রদর্শন কোরো না।’ হত্যাকৃত ব্যক্তি ধনী, গরিব, শিক্ষিত, অশিক্ষিত, যুবক, বৃদ্ধ যে রকমই হোক না কেন, হত্যাকারীকে দুনিয়া ও আখেরাতে জাহান্নামের শাস্তি পেতে হবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘সমস্ত মুসলমানের প্রাণ সমপর্যায়ের।’ (আবু দাউদ, নাসায়ী)
ইসলাম মানুষকে হত্যার পরিবর্তে মিত্রতা স্থাপনের কথা বলেছে। সত্য-সুন্দর, প্রগতিশীল, বিজ্ঞানসম্মত ও শান্তির ধর্ম ইসলাম মানবজাতিকে বিভক্ত করতে আসেনি, ঐক্যবদ্ধ করতে এসেছে। কারও অধিকার হরণ করতে আসেনি, সর্বজনীন মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে। মহানবী (সা.) খুন-খারাবি থেকে মানুষকে বিরত রেখে বিবদমান গোত্রদের ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ করেছেন। বিদায় হজের ভাষণে বিশাল জনসমুদ্রে নবী করিম (সা.) বিনা অপরাধে একজন নিরীহ মানুষকেও হত্যা করতে নিষেধ করেছেন। অবৈধ হত্যার আগ পর্যন্ত প্রত্যেক মুসলমান আল্লাহর রহমতের মধ্যে বিচরণ করতে থাকে। যখনই কেউ অবৈধ হত্যায় লিপ্ত হয় তার ওপর থেকে আল্লাহর রহমত উঠে যায়। আল্লাহ তাআলা সবার গুনাহ ক্ষমা করলেও হত্যাকারী ও শিরককারীকে ক্ষমা করবেন না। নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘একজন প্রকৃত মুমিন তার দ্বীনের ব্যাপারে পূর্ণ প্রশান্ত থাকে, যে পর্যন্ত সে অবৈধ হত্যায় লিপ্ত না হয়।’ (বুখারি)
সমাজে ফেতনা-ফ্যাসাদ, মানবিক বিপর্যয়, নিরাপত্তাহীনতা ও অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করাকে হত্যার চেয়েও জঘন্যতম অপরাধ সাব্যস্ত করা হয়েছে। ইসলামে অপহরণ, গুম, হত্যা ও গুপ্তহত্যা প্রভৃতি চরম পন্থা অবলম্বনকে নিষিদ্ধ করে এর থেকে বিরত থাকার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানানো হয়েছে। পূর্ববর্তী জাতিসমূহ এ কারণেই ধ্বংস হয়ে গেছে। তাই জনগণের জানমালের নিরাপত্তার জন্য সব ধরনের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার। দেশের আলেম সমাজ, ধর্মীয় নেতা, মসজিদের ইমাম ও খতিবদের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অপহরণ, গুম, হত্যা ও গুপ্তহত্যার বিরুদ্ধে সোচ্চার প্রতিবাদ ও বলিষ্ঠ অবস্থান রেখে জনগণকে সম্পৃক্তকরণের মাধ্যমে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা সমাধানের একটি সহজ পথ। নিরীহ মানুষকে অপহরণ, গুম, হত্যা ও গুপ্তহত্যা সম্পর্কে সচেতন ও সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে ইসলামের বিধানের প্রচারণামূলক কর্মসূচি হাতে নিয়ে গণমাধ্যমও ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারে।
ড. মুহাম্মদ আবদুল মুনিম খান: বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গবেষক ও কলাম লেখক।
dr.munimkhan@yahoo.com
হত্যাকাণ্ড প্রকাশ্যে করলে হয় প্রকাশ্য হত্যা আর গোপনে করলে হয় গুপ্তহত্যা। উভয় হত্যাকাণ্ডের শাস্তি একই মৃত্যুদণ্ড। প্রকাশ্যে বা গোপনে যেভাবেই হোক হত্যাকারীকে অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে। যদি সাক্ষ্য-প্রমাণ পাওয়া যায় তাহলে দুনিয়ার আদালতে এর বিচার হবে। নতুবা তাকে আখেরাতের আদালতে কঠিন শাস্তি পেতে হবে। পবিত্র কোরআনে হত্যাকাণ্ডকে মহা অপরাধ সাব্যস্ত করে ইচ্ছাকৃতভাবে একজন মুসলমান আরেকজন মুসলমানকে হত্যা করা নিষিদ্ধ ঘোষণা করে শাস্তির কঠোর বিধান সম্পর্কে ইরশাদ হয়েছে, ‘কোনো মুমিনের জন্য সমীচীন নয় যে সে অন্য মুমিনকে হত্যা করবে, অবশ্য ভুলবশত করে ফেললে অন্য কথা।... আর কেউ স্বেচ্ছায় কোনো মুমিনকে হত্যা করলে তার শাস্তি জাহান্নাম, সেখানে সে চিরকাল অবস্থান করবে। আর আল্লাহ তার প্রতি ক্রুদ্ধ হয়েছেন ও তাকে অভিশপ্ত করেছেন এবং তার জন্য ভীষণ শাস্তি প্রস্তুত রেখেছেন।’ (সূরা আন-নিসা, আয়াত ৯২-৯৩)
হত্যা ও গুপ্তহত্যা যেভাবে রাষ্ট্রীয় আইনে একটি ভয়াবহ অপরাধ তেমনি পবিত্র কোরআন ও হাদিসের দৃষ্টিতেও জঘন্যতম অপরাধ। এ ধরনের অমানবিকতা দূর করতে হলে মানুষের মধ্যে আল্লাহর ভয় সৃষ্টি করতে হবে। আল্লাহর ভয় মনে থাকলে সে কখনো কাউকে হত্যা করবে না। কারও ক্ষতিসাধন করবে না। পরকালে আল্লাহর দরবারে জবাবদিহি করার অনুভূতি জাগ্রত থাকলে মানুষের মধ্যে অপরাধের মাত্রা অনেক কমে যায়। কারণ, মানুষ জানে তাকে একদিন আল্লাহর সামনে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। তখন নরহত্যার মতো এমন ঘৃণ্য অপরাধের কথা জিজ্ঞাসা করলে সে কী জবাব দেবে? মানুষের অন্তরের এ অনুভূতি অন্যায় কাজ করতে বাধা দেয়। মানুষের জীবনের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হত্যাকারীর শাস্তি সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে ঘোষণা করেছেন, ‘নরহত্যা বা পৃথিবীতে ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তি ছাড়া কেউ কাউকে হত্যা করলে সে যেন দুনিয়ার সমগ্র মানবগোষ্ঠীকে হত্যা করল; আর কেউ কারও প্রাণ রক্ষা করলে সে যেন পৃথিবীর সমগ্র মানবগোষ্ঠীকে প্রাণে রক্ষা করল।’ (সূরা আল-মায়িদা, আয়াত-৩২)
নবী করিম (সা.) হত্যাযজ্ঞ থেকে মানুষকে দূরে থাকতে বলেছেন এবং হত্যাকে কুফরির মতো ভয়াবহ বলে আখ্যায়িত করেছেন। নানা অত্যাচার ও নির্যাতন সহ্য করেও কখনো বাড়াবাড়ি, কঠোরতা বা গোঁড়ামির পরিচয় দেননি, বরং ইসলাম প্রচারের ক্ষেত্রে চরম পন্থা অবলম্বন করার বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে ইসলামের সুমহান আদর্শ সমরনীতি ঘোষণা করেছেন, ‘তোমরা কখনো আগে অস্ত্র উত্তোলন কোরো না বা অস্ত্রের ভয়ভীতিও প্রদর্শন কোরো না।’ হত্যাকৃত ব্যক্তি ধনী, গরিব, শিক্ষিত, অশিক্ষিত, যুবক, বৃদ্ধ যে রকমই হোক না কেন, হত্যাকারীকে দুনিয়া ও আখেরাতে জাহান্নামের শাস্তি পেতে হবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘সমস্ত মুসলমানের প্রাণ সমপর্যায়ের।’ (আবু দাউদ, নাসায়ী)
ইসলাম মানুষকে হত্যার পরিবর্তে মিত্রতা স্থাপনের কথা বলেছে। সত্য-সুন্দর, প্রগতিশীল, বিজ্ঞানসম্মত ও শান্তির ধর্ম ইসলাম মানবজাতিকে বিভক্ত করতে আসেনি, ঐক্যবদ্ধ করতে এসেছে। কারও অধিকার হরণ করতে আসেনি, সর্বজনীন মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে। মহানবী (সা.) খুন-খারাবি থেকে মানুষকে বিরত রেখে বিবদমান গোত্রদের ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ করেছেন। বিদায় হজের ভাষণে বিশাল জনসমুদ্রে নবী করিম (সা.) বিনা অপরাধে একজন নিরীহ মানুষকেও হত্যা করতে নিষেধ করেছেন। অবৈধ হত্যার আগ পর্যন্ত প্রত্যেক মুসলমান আল্লাহর রহমতের মধ্যে বিচরণ করতে থাকে। যখনই কেউ অবৈধ হত্যায় লিপ্ত হয় তার ওপর থেকে আল্লাহর রহমত উঠে যায়। আল্লাহ তাআলা সবার গুনাহ ক্ষমা করলেও হত্যাকারী ও শিরককারীকে ক্ষমা করবেন না। নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘একজন প্রকৃত মুমিন তার দ্বীনের ব্যাপারে পূর্ণ প্রশান্ত থাকে, যে পর্যন্ত সে অবৈধ হত্যায় লিপ্ত না হয়।’ (বুখারি)
সমাজে ফেতনা-ফ্যাসাদ, মানবিক বিপর্যয়, নিরাপত্তাহীনতা ও অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করাকে হত্যার চেয়েও জঘন্যতম অপরাধ সাব্যস্ত করা হয়েছে। ইসলামে অপহরণ, গুম, হত্যা ও গুপ্তহত্যা প্রভৃতি চরম পন্থা অবলম্বনকে নিষিদ্ধ করে এর থেকে বিরত থাকার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানানো হয়েছে। পূর্ববর্তী জাতিসমূহ এ কারণেই ধ্বংস হয়ে গেছে। তাই জনগণের জানমালের নিরাপত্তার জন্য সব ধরনের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার। দেশের আলেম সমাজ, ধর্মীয় নেতা, মসজিদের ইমাম ও খতিবদের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অপহরণ, গুম, হত্যা ও গুপ্তহত্যার বিরুদ্ধে সোচ্চার প্রতিবাদ ও বলিষ্ঠ অবস্থান রেখে জনগণকে সম্পৃক্তকরণের মাধ্যমে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা সমাধানের একটি সহজ পথ। নিরীহ মানুষকে অপহরণ, গুম, হত্যা ও গুপ্তহত্যা সম্পর্কে সচেতন ও সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে ইসলামের বিধানের প্রচারণামূলক কর্মসূচি হাতে নিয়ে গণমাধ্যমও ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারে।
ড. মুহাম্মদ আবদুল মুনিম খান: বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গবেষক ও কলাম লেখক।
dr.munimkhan@yahoo.com
No comments