র্যাব-পুলিশকে আরও সক্রিয় হতে হবে-আইনশৃঙ্খলার অবনতি
গেন্ডারিয়ায় এক শিশু এবং কামরাঙ্গীরচরে ও হবিগঞ্জে দুই ব্যবসায়ী খুনের ঘটনা পাশাপাশি ছাপা হয়েছে রোববারের প্রথম আলো পত্রিকায়। গেন্ডারিয়ার ঘটনায় ঘাতকেরা শিশুটির বাবাকেও জবাইয়ের চেষ্টা করে। গতকাল রোববার রাজধানীর ইন্দিরা রোডের একটি বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে মা-ছেলের জবাই করা মরদেহ।
বনানীর ডোবা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে দুই যুবকের হাত-পা বাঁধা লাশ। রোববার ভোরের দিকে ঘটেছে সরকারি দলের এক নারী সাংসদের বাসায় ডাকাতি। একই রাতে চুরি হয়েছে ঢাকেশ্বরী মন্দিরেও। পত্রপত্রিকার খবর অনুযায়ী, গত নয় দিনে ঢাকায় ঘটেছে ১৩টি হত্যার ঘটনা। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সরকারের তরফ থেকে যা-ই দাবি করা হোক না কেন, বাস্তবতা কিন্তু বলছে ভিন্ন কথা।
গেন্ডারিয়ায় শিশুপুত্র খুন ও বাবাকে জবাইয়ের চেষ্টার ঘটনাটি ভয়াবহ। মাদকাসক্ত এক যুবক এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জানা গেছে। টাকার জন্য বাবার ওপর হামলার পর ১২ বছরের শিশু দীপ্ত দাসকে হত্যা করা হয়েছে নিষ্ঠুরভাবে। শিশুটিকে হাত-পা বেঁধে ড্রামের পানিতে চুবিয়ে হত্যার ঘটনার ব্যাখ্যা পাওয়া কঠিন। মাদকাসক্তি সাগর নামের বখাটে যুবককে এতটাই হিতাহিত জ্ঞানশূন্য করে দিতে পেরেছে যে নিরপরাধ শিশুকে হত্যা করতে তাঁর বাধেনি। শিশুটির স্কুলশিক্ষিকা মাকে সান্ত্বনা দেওয়ার পথ খুঁজে পাওয়া কঠিন।
মাদকাসক্তি, এর বিস্তার, মাদকের ব্যবসা এবং এর সূত্র ধরে খুনখারাবি—সবই আইনশৃঙ্খলার সমস্যা। মাদক ব্যবসা এবং এর বিস্তারের পেছনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গাফিলতির অভিযোগ যেমন আছে, তেমনি রয়েছে এর সঙ্গে পুলিশের একশ্রেণীর সদস্যদের যোগসাজশও। সাগরের এলাকায় মাদকাসক্ত হিসেবে পরিচিতি এবং সন্ত্রাসীদের সঙ্গে তাঁর সখ্যের কথা পুলিশের অজানা থাকার কথা নয়। গেন্ডারিয়ার এই খুনের ঘটনার দায় তাই আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত বাহিনী কোনোভাবেই এড়াতে পারে না।
কামরাঙ্গীরচরে সিমেন্ট ব্যবসায়ী আবুল কাশেমের লাশ পাওয়া গেছে তাঁর নিজের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে। এখানেও চাঁদা, জমিজমা নিয়ে বিরোধের প্রসঙ্গ উঠে এসেছে। পরিবারের পক্ষ থেকে অপহরণের পর খুনের অভিযোগ আনা হয়েছে। হবিগঞ্জে ব্যবসায়ী রিদুয়ানুল হককে খুন করতে গভীর রাতে তাঁর বাড়িতে হামলা চালিয়েছিল ২০-২৫ জন দুর্বৃত্ত। বাড়ির গ্রিল ও দরজা ভেঙে দুর্বৃত্তরা পেটে ছুরিকাঘাত করে ও পায়ের রগ কেটে হত্যা করে রিদুয়ানুলকে। হামলা থেকে তাঁর স্ত্রী ও দেড় মাসের শিশুপুত্রও রক্ষা পায়নি। এখানেও জমিজমা নিয়ে বিরোধের কথা জানা গেছে। এত বড় দলবল নিয়ে বাড়িতে ঢুকে হামলা চালিয়ে হত্যার ঘটনাকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বড় ধরনের অবনতি হিসেবেই বিবেচনা করতে হবে।
গত কয়েক দিনে এত হত্যাকাণ্ডের ঘটনা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির জানান দিচ্ছে। নিজের বাসায় যদি শিশু খুন হয়, মা-ছেলের জবাই করা লাশ পাওয়া যায়, রাজধানীর পল্লবীতে সাংসদের বাসায় যদি গ্রিল কেটে ডাকাতির ঘটনা ঘটে, তবে সাধারণ মানুষের আতঙ্কিত হওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। অবনতিশীল এই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশের আরও তৎপর ভূমিকা জরুরি হয়ে পড়েছে। একই সঙ্গে খুনসহ যেসব অপরাধমূলক ঘটনা ঘটে গেছে, এর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের যত দ্রুত সম্ভব খুঁজে বের করতে হবে। এ ব্যাপারে আমরা সংশ্লিষ্ট সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
গেন্ডারিয়ায় শিশুপুত্র খুন ও বাবাকে জবাইয়ের চেষ্টার ঘটনাটি ভয়াবহ। মাদকাসক্ত এক যুবক এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জানা গেছে। টাকার জন্য বাবার ওপর হামলার পর ১২ বছরের শিশু দীপ্ত দাসকে হত্যা করা হয়েছে নিষ্ঠুরভাবে। শিশুটিকে হাত-পা বেঁধে ড্রামের পানিতে চুবিয়ে হত্যার ঘটনার ব্যাখ্যা পাওয়া কঠিন। মাদকাসক্তি সাগর নামের বখাটে যুবককে এতটাই হিতাহিত জ্ঞানশূন্য করে দিতে পেরেছে যে নিরপরাধ শিশুকে হত্যা করতে তাঁর বাধেনি। শিশুটির স্কুলশিক্ষিকা মাকে সান্ত্বনা দেওয়ার পথ খুঁজে পাওয়া কঠিন।
মাদকাসক্তি, এর বিস্তার, মাদকের ব্যবসা এবং এর সূত্র ধরে খুনখারাবি—সবই আইনশৃঙ্খলার সমস্যা। মাদক ব্যবসা এবং এর বিস্তারের পেছনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গাফিলতির অভিযোগ যেমন আছে, তেমনি রয়েছে এর সঙ্গে পুলিশের একশ্রেণীর সদস্যদের যোগসাজশও। সাগরের এলাকায় মাদকাসক্ত হিসেবে পরিচিতি এবং সন্ত্রাসীদের সঙ্গে তাঁর সখ্যের কথা পুলিশের অজানা থাকার কথা নয়। গেন্ডারিয়ার এই খুনের ঘটনার দায় তাই আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত বাহিনী কোনোভাবেই এড়াতে পারে না।
কামরাঙ্গীরচরে সিমেন্ট ব্যবসায়ী আবুল কাশেমের লাশ পাওয়া গেছে তাঁর নিজের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে। এখানেও চাঁদা, জমিজমা নিয়ে বিরোধের প্রসঙ্গ উঠে এসেছে। পরিবারের পক্ষ থেকে অপহরণের পর খুনের অভিযোগ আনা হয়েছে। হবিগঞ্জে ব্যবসায়ী রিদুয়ানুল হককে খুন করতে গভীর রাতে তাঁর বাড়িতে হামলা চালিয়েছিল ২০-২৫ জন দুর্বৃত্ত। বাড়ির গ্রিল ও দরজা ভেঙে দুর্বৃত্তরা পেটে ছুরিকাঘাত করে ও পায়ের রগ কেটে হত্যা করে রিদুয়ানুলকে। হামলা থেকে তাঁর স্ত্রী ও দেড় মাসের শিশুপুত্রও রক্ষা পায়নি। এখানেও জমিজমা নিয়ে বিরোধের কথা জানা গেছে। এত বড় দলবল নিয়ে বাড়িতে ঢুকে হামলা চালিয়ে হত্যার ঘটনাকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বড় ধরনের অবনতি হিসেবেই বিবেচনা করতে হবে।
গত কয়েক দিনে এত হত্যাকাণ্ডের ঘটনা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির জানান দিচ্ছে। নিজের বাসায় যদি শিশু খুন হয়, মা-ছেলের জবাই করা লাশ পাওয়া যায়, রাজধানীর পল্লবীতে সাংসদের বাসায় যদি গ্রিল কেটে ডাকাতির ঘটনা ঘটে, তবে সাধারণ মানুষের আতঙ্কিত হওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। অবনতিশীল এই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশের আরও তৎপর ভূমিকা জরুরি হয়ে পড়েছে। একই সঙ্গে খুনসহ যেসব অপরাধমূলক ঘটনা ঘটে গেছে, এর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের যত দ্রুত সম্ভব খুঁজে বের করতে হবে। এ ব্যাপারে আমরা সংশ্লিষ্ট সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
No comments