বাগমারায় প্রতারিত গ্রাহকদের হামলা-ডেসটিনির বিরুদ্ধে মামলার বাদীকে হত্যার হুমকি
লক্ষ্মীপুরে ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণার মামলা করায় তাঁদের এক পিএসডিকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অন্যদিকে রাজশাহীর বাগমারার ডেসটিনির এক অনুষ্ঠানে হামলা চালিয়ে চেয়ার ও টেবিল ভাঙচুর করেছেন প্রতারণার শিকার হওয়া গ্রাহকেরা।
লক্ষ্মীপুর: বহুধাপ বিপণন (এমএলএম) কোম্পানি ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেডের পিএসডি (প্রোফিট শেয়ারিং ডিস্ট্রিবিউটর বা লাভের ভাগ পাওয়ার শর্তে বিতরণকারী) মুরাদ হোসেন পাটোয়ারী গতকাল বুধবার বিকেলে শহরের দক্ষিণ তেমুহনী এলাকায় নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন। এ সময় তিনি অভিযোগ করেন, ডেসটিনি গ্রুপের এমডি রফিকুল আমীনের সঙ্গে চুক্তি করে তিনি লক্ষ্মীপুরের বিজনেস সেন্টারগুলো শুরু করেন। কিন্তু পরে ডেসটিনি কর্তৃপক্ষ তা বন্ধ করে দেয়। এ ঘটনায় ১১ এপ্রিল মুখ্য বিচারিক হাকিম মো. জুলফিকার আলীর আদালতে দুই কোটি ৫১ লাখ টাকার কমিশন আত্মসাৎ ও প্রতারণার অভিযোগ এনে তিনি একটি মামলা করেন।
অবশ্য এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে ডেসটিনির ডায়মন্ড ডিস্ট্রিবিউটর মো. রিপন দাবি করেন, প্রতারণার অভিযোগে মুরাদকে অনেক আগেই কোম্পানি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। বর্তমান অবস্থার সুযোগ নিয়ে ফায়দা লোটার জন্য তিনি এমডির বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে পিএসডি মুরাদ হোসেন আরও অভিযোগ করেন, মামলা দায়ের করার তিন দিনের মাথায় একটি মুঠোফোন নম্বর থেকে তাঁকে ফোন করে মামলা তুলে নেওয়া ও গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা না বলার জন্য বলা হয়। অন্যথায় তাঁকে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়। এসব ঘটনার পর তিনি ১৪ এপ্রিল লক্ষ্মীপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি: নম্বর- ৬৯৫/১২, তারিখ-১৪ এপ্রিল ২০১২ ইং) করেছেন। বর্তমানে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
বাগমারা (রাজশাহী): প্রত্যক্ষদর্শী ও আয়োজকেরা জানান, গতকাল বাগমারা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাকক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেড। দুপুরে শুরু হওয়া ওই অনুষ্ঠানে এলাকার দুই শতাধিক গ্রাহক উপস্থিত ছিলেন। পরে ডেসটিনির মাধ্যমে প্রতারণার শিকার স্থানীয় কিছু গ্রাহক বেলা দেড়টার দিকে অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত হয়ে তাঁদের প্রতারণার বিষয় তুলে ধরেন এবং তাঁদের কাছ থেকে নেওয়া অর্থ ফেরত চান। এ নিয়ে ডেসটিনির উপস্থিত কর্মকর্তাদের সঙ্গে তাঁদের বাগিবতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে ক্ষুব্ধ গ্রাহকেরা ভাঙচুর শুরু করলে অবস্থা বেগতিক দেখে অনুষ্ঠানের আয়োজক ও অতিথিরা দ্রুত সটকে পড়েন।
উপজেলা শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আজাদ সফিকুর রহমান জানান, সভাকক্ষের চেয়ার ও টেবিল ভাঙচুর করা হয়েছে। এ ছাড়া ক্ষুব্ধ গ্রাহকেরা জিয়াউল নামের ডেসটিনির স্থানীয় এক ডিস্ট্রিবিউটরকে আটক করে পুলিশে দেন। তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) দপ্তরে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠানের আয়োজক জিয়াউল আলম অভিযোগ করেন, ছাত্রলীগ নামধারী কিছু যুবক তাঁদের অনুষ্ঠানে হামলা করে।
তবে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান জানান, প্রতারণার শিকার গ্রাহকেরা অনুষ্ঠান পণ্ড করে দিয়েছেন। এর সঙ্গে আওয়ামী লীগ বা ছাত্রলীগ জড়িত নয়।
বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, আটক জিয়াউলের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ না থাকায় তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
অবশ্য এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে ডেসটিনির ডায়মন্ড ডিস্ট্রিবিউটর মো. রিপন দাবি করেন, প্রতারণার অভিযোগে মুরাদকে অনেক আগেই কোম্পানি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। বর্তমান অবস্থার সুযোগ নিয়ে ফায়দা লোটার জন্য তিনি এমডির বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে পিএসডি মুরাদ হোসেন আরও অভিযোগ করেন, মামলা দায়ের করার তিন দিনের মাথায় একটি মুঠোফোন নম্বর থেকে তাঁকে ফোন করে মামলা তুলে নেওয়া ও গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা না বলার জন্য বলা হয়। অন্যথায় তাঁকে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়। এসব ঘটনার পর তিনি ১৪ এপ্রিল লক্ষ্মীপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি: নম্বর- ৬৯৫/১২, তারিখ-১৪ এপ্রিল ২০১২ ইং) করেছেন। বর্তমানে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
বাগমারা (রাজশাহী): প্রত্যক্ষদর্শী ও আয়োজকেরা জানান, গতকাল বাগমারা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাকক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেড। দুপুরে শুরু হওয়া ওই অনুষ্ঠানে এলাকার দুই শতাধিক গ্রাহক উপস্থিত ছিলেন। পরে ডেসটিনির মাধ্যমে প্রতারণার শিকার স্থানীয় কিছু গ্রাহক বেলা দেড়টার দিকে অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত হয়ে তাঁদের প্রতারণার বিষয় তুলে ধরেন এবং তাঁদের কাছ থেকে নেওয়া অর্থ ফেরত চান। এ নিয়ে ডেসটিনির উপস্থিত কর্মকর্তাদের সঙ্গে তাঁদের বাগিবতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে ক্ষুব্ধ গ্রাহকেরা ভাঙচুর শুরু করলে অবস্থা বেগতিক দেখে অনুষ্ঠানের আয়োজক ও অতিথিরা দ্রুত সটকে পড়েন।
উপজেলা শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আজাদ সফিকুর রহমান জানান, সভাকক্ষের চেয়ার ও টেবিল ভাঙচুর করা হয়েছে। এ ছাড়া ক্ষুব্ধ গ্রাহকেরা জিয়াউল নামের ডেসটিনির স্থানীয় এক ডিস্ট্রিবিউটরকে আটক করে পুলিশে দেন। তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) দপ্তরে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠানের আয়োজক জিয়াউল আলম অভিযোগ করেন, ছাত্রলীগ নামধারী কিছু যুবক তাঁদের অনুষ্ঠানে হামলা করে।
তবে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান জানান, প্রতারণার শিকার গ্রাহকেরা অনুষ্ঠান পণ্ড করে দিয়েছেন। এর সঙ্গে আওয়ামী লীগ বা ছাত্রলীগ জড়িত নয়।
বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, আটক জিয়াউলের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ না থাকায় তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
No comments