প্রভাব ও হস্তক্ষেপের ঊর্ধ্বে রাখতে হবে-পুলিশের পৃথক তদন্ত সংস্থা
পুলিশ বিভাগের পক্ষ থেকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন নামে একটি পৃথক অপরাধ তদন্ত সংস্থা (পিবিআই) গঠনের প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন লাভ করেছে বলে খবর প্রকাশিত হয়েছে। এ বিষয়ে নীতিমালা প্রণয়নের জন্য একটি কমিটি গঠনের প্রস্তুতি চলছে বলে পুলিশের মহাপরিদর্শকের বরাতে জানানো হয়েছে ।
দৃশ্যত এটি ভালো উদ্যোগ। কেননা, বিভিন্ন অপরাধে দায়ের করা ফৌজদারি মামলাগুলোর ৭৬ শতাংশতেই বিদ্যমান প্রসিকিউশন-প্রক্রিয়ার দুর্বলতার কারণে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ ও শাস্তি নিশ্চিত সম্ভব হচ্ছে না। পৃথক তদন্ত সংস্থা এই দুর্বলতা কাটিয়ে ওঠার জন্য সহায়ক হতে পারে বলে আমরাও মনে করি।
দেশে অপরাধবৃত্তি বাড়ছে, অপরাধের শিকার মানুষের মনে এমন হতাশাও বেড়ে যাচ্ছে যে, ন্যায়বিচার পাওয়া কঠিনতর হচ্ছে। থানা-পুলিশ, আইন-আদালত তথা সমগ্র বিচারব্যবস্থার কার্যকারিতা নিয়ে জনমনে হতাশার কারণ, অধিকাংশ অপরাধী অপরাধ করে পার পেয়ে যায়। পুলিশের পক্ষ থেকেই বলা হয়েছে, মামলার প্রয়োজনীয় সাক্ষ্য-প্রমাণের অভাবে অভিযোগগুলো আদালতে সত্য প্রমাণিত হয় না। পাবনায় গত বছরের সেপ্টেম্বরে কর্মচারী নিয়োগ পরীক্ষার কেন্দ্রে হামলা চালিয়ে সরকারি কর্মকর্তাদের মারধর করার অভিযোগে ৩১ জনকে আসামি করে দুজন ম্যাজিস্ট্রেট যে মামলা করেছিলেন, সাক্ষ্য-প্রমাণের অভাবে তাঁদের সবাই খালাস পেয়ে গেছেন। সরকারি কৌঁসুলিদের তরফে বলা হয়, পুলিশ অনেক মামলা ইচ্ছা করেই দুর্বল করে দেয়, অভিযোগপত্রে দুর্বলতা থাকে। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলিদেরও অভিযোগ প্রমাণে তৎপর হওয়ার ক্ষেত্রে সদিচ্ছার অভাব থাকে। এসব মিলিয়ে আদালতে মামলার অভিযোগ সত্য প্রমাণ করা ও আসামিদের শাস্তি নিশ্চিত করা দুরূহ হয়ে পড়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে একটি পৃথক তদন্ত সংস্থা গঠনের প্রস্তাব নিশ্চয়ই যুক্তিযুক্ত। তবে এর সুফল পেতে হলে প্রথমেই নিশ্চিত করতে হবে যেন এই সংস্থা সম্পূর্ণ পেশাদারির ভিত্তিতে, সব ধরনের অবৈধ হস্তক্ষেপ থেকে মুক্ত থেকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে। পুলিশের কর্মকর্তাদের মধ্যেই কেউ কেউ অভিযোগ করেন, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মামলার তদন্ত নির্ভর করে ক্ষমতাসীনদের ইচ্ছা-অনিচ্ছার ওপর। দৃষ্টান্ত দিয়ে তাঁরা বলেছেন, কুমিল্লায় জাতীয়তাবাদী যুবদলের অস্ত্র প্রদর্শনের ঘটনার ক্ষেত্রে ভিডিওচিত্র দেখে পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছে। কিন্তু নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলা চেয়ারম্যান হত্যাকাণ্ডের ঘটনার ভিডিওচিত্র থাকলেও পুলিশ তা ব্যবহার করে আসামিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি। কারণ, কুমিল্লার ঘটনায় আসামিরা বিরোধী দলের আর নাটোরের ঘটনায় আসামিরা ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মী। নীতিগতভাবে এই অবস্থানের পরিবর্তন না ঘটলে প্রস্তাবিত পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের সফল হওয়ার সম্ভাবনা কম। সিআইডি বা অপরাধ তদন্ত বিভাগ নামে একটি তদন্ত সংস্থা তো রয়েছেই, যেটি ১৬ ধরনের অপরাধের মামলার তদন্ত করে থাকে। এই সংস্থার তফসিলের পরিধি বাড়ানো হলেও পৃথক কোনো তদন্ত সংস্থার প্রয়োজন পড়ত না। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, অবৈধ হস্তক্ষেপ ও রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে সিআইডিও যথাযথভাবে তদন্ত চালাতে পারে না। এখানেও ক্ষমতাসীনদের ইচ্ছা-অনিচ্ছার বিষয়টি কাজ করে। প্রস্তাবিত ব্যুরোকে এসব থেকে মুক্ত রাখা গেলেই কেবল তা প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য সফল হতে পারে।
দেশে অপরাধবৃত্তি বাড়ছে, অপরাধের শিকার মানুষের মনে এমন হতাশাও বেড়ে যাচ্ছে যে, ন্যায়বিচার পাওয়া কঠিনতর হচ্ছে। থানা-পুলিশ, আইন-আদালত তথা সমগ্র বিচারব্যবস্থার কার্যকারিতা নিয়ে জনমনে হতাশার কারণ, অধিকাংশ অপরাধী অপরাধ করে পার পেয়ে যায়। পুলিশের পক্ষ থেকেই বলা হয়েছে, মামলার প্রয়োজনীয় সাক্ষ্য-প্রমাণের অভাবে অভিযোগগুলো আদালতে সত্য প্রমাণিত হয় না। পাবনায় গত বছরের সেপ্টেম্বরে কর্মচারী নিয়োগ পরীক্ষার কেন্দ্রে হামলা চালিয়ে সরকারি কর্মকর্তাদের মারধর করার অভিযোগে ৩১ জনকে আসামি করে দুজন ম্যাজিস্ট্রেট যে মামলা করেছিলেন, সাক্ষ্য-প্রমাণের অভাবে তাঁদের সবাই খালাস পেয়ে গেছেন। সরকারি কৌঁসুলিদের তরফে বলা হয়, পুলিশ অনেক মামলা ইচ্ছা করেই দুর্বল করে দেয়, অভিযোগপত্রে দুর্বলতা থাকে। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলিদেরও অভিযোগ প্রমাণে তৎপর হওয়ার ক্ষেত্রে সদিচ্ছার অভাব থাকে। এসব মিলিয়ে আদালতে মামলার অভিযোগ সত্য প্রমাণ করা ও আসামিদের শাস্তি নিশ্চিত করা দুরূহ হয়ে পড়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে একটি পৃথক তদন্ত সংস্থা গঠনের প্রস্তাব নিশ্চয়ই যুক্তিযুক্ত। তবে এর সুফল পেতে হলে প্রথমেই নিশ্চিত করতে হবে যেন এই সংস্থা সম্পূর্ণ পেশাদারির ভিত্তিতে, সব ধরনের অবৈধ হস্তক্ষেপ থেকে মুক্ত থেকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে। পুলিশের কর্মকর্তাদের মধ্যেই কেউ কেউ অভিযোগ করেন, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মামলার তদন্ত নির্ভর করে ক্ষমতাসীনদের ইচ্ছা-অনিচ্ছার ওপর। দৃষ্টান্ত দিয়ে তাঁরা বলেছেন, কুমিল্লায় জাতীয়তাবাদী যুবদলের অস্ত্র প্রদর্শনের ঘটনার ক্ষেত্রে ভিডিওচিত্র দেখে পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছে। কিন্তু নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলা চেয়ারম্যান হত্যাকাণ্ডের ঘটনার ভিডিওচিত্র থাকলেও পুলিশ তা ব্যবহার করে আসামিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি। কারণ, কুমিল্লার ঘটনায় আসামিরা বিরোধী দলের আর নাটোরের ঘটনায় আসামিরা ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মী। নীতিগতভাবে এই অবস্থানের পরিবর্তন না ঘটলে প্রস্তাবিত পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের সফল হওয়ার সম্ভাবনা কম। সিআইডি বা অপরাধ তদন্ত বিভাগ নামে একটি তদন্ত সংস্থা তো রয়েছেই, যেটি ১৬ ধরনের অপরাধের মামলার তদন্ত করে থাকে। এই সংস্থার তফসিলের পরিধি বাড়ানো হলেও পৃথক কোনো তদন্ত সংস্থার প্রয়োজন পড়ত না। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, অবৈধ হস্তক্ষেপ ও রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে সিআইডিও যথাযথভাবে তদন্ত চালাতে পারে না। এখানেও ক্ষমতাসীনদের ইচ্ছা-অনিচ্ছার বিষয়টি কাজ করে। প্রস্তাবিত ব্যুরোকে এসব থেকে মুক্ত রাখা গেলেই কেবল তা প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য সফল হতে পারে।
No comments