তোপের মুখে আইজিপি-সংসদীয় কমিটির বৈঠকে ইলিয়াস আলী ও সাগর-রুনি প্রসঙ্গ
ইলিয়াস আলীর নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা এবং সাংবাদিক সাগর-রুনি হত্যা মামলা নিয়ে আলোচনায় আপত্তি জানানোর কারণে সংসদীয় কমিটির বৈঠকে সদস্যদের তোপের মুখে পড়লেন পুলিশের মহাপরিদর্শক হাসান মাহমুদ খন্দকার। গতকাল বৃহস্পতিবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে আইজিপির আচরণে সদস্যরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
পরে ইলিয়াস আলী নিখোঁজ হওয়ার ঘটনার বিষয়টি দ্রুত সুরাহা করা এবং সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডসহ অন্যান্য চাঞ্চল্যকর মামলার তদন্ত কার্যক্রম দ্রুত শেষ করার সুপারিশ করা হয়।
তবে তোপের মুখে পড়ার অভিযোগ অস্বীকার করে আইজিপি গতকাল রাতে কালের কণ্ঠকে বলেছেন, 'অভিযোগ ঠিক নয়। আমার সঙ্গে প্রশাসনিক এমন কিছু বিষয়ে কথা হয়েছে, যেগুলো সবার মাঝে বলা সম্ভব ছিল না।' হাসান মাহমুদ খন্দকার আরো বলেন, 'আমি এমন কোনো আচরণ করিনি, যাতে বৈঠকে কোনো ক্ষোভের সৃষ্টি হতে পারে।' তিনি বলেন, ইলিয়াস আলীর নিখোঁজ ঘটনা, সাগর-রুনির হত্যা মামলাসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের অগ্রগতি জানতে চাওয়া হলে সেগুলোর ব্যাখ্যা দেওয়া হয়।
গতকাল কমিটির সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) আবদুস সালামের সভাপতিত্বে সংসদীয় কমিটির বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কমিটির সদস্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু, মীর্জা আজম, মুজিবুল হক চুন্নু ও অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম।
কমিটির এক সদস্য জানান, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বৈঠকের বাইরে রেখে চাঞ্চল্যকর মামলাগুলো নিয়ে কমিটি একান্ত বৈঠক করে। বৈঠকের শেষ দিকে কমিটির সভাপতিসহ অন্য সদস্যরা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলীর নিখোঁজ ঘটনা এবং সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডসহ অন্যান্য আলোচিত মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে আইজিপির কাছে জানতে চান। এ সময় আইজিপি বলেন, এ বিষয়গুলো বিচারাধীন রয়েছে। তাই এগুলো নিয়ে আলোচনা করা ঠিক হবে না। এতে কমিটির সদস্যরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এ সময় কমিটির সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, 'সংসদে সব বিষয় নিয়ে কথা বলা যাবে। এখানে বিচারাধীন বিষয় বলে কিছু নেই। সংসদে আলোচনার বিষয় নিয়ে কেউ চ্যালেঞ্জ করতে পারে না। কিছু বিষয় আছে যেগুলো কমিটি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে আলোচনায় সমস্যা থাকে, সেটা ভিন্ন বিষয়। তবে কমিটির সদস্যরা যেকোনো বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে পারেন।'
পরে আইজিপি জানান, ইলিয়াস আলীকে জীবিত অবস্থায় তাঁর পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এ ব্যাপারে তাঁদের আন্তরিকতার কোনো অভাব নেই।
বৈঠক শেষে কমিটির সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু সাংবাদিকদের জানান, সংসদীয় কমিটিতে সব বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে। আলোচনা করা ঠিক হবে না এ কথা কেউ বলতে পারেন না। কোন বিষয়টি সবার সামনে আলোচনা করা যাবে না, সেটা কমিটি বোঝে। কিন্তু আইজিপি প্রথমে আলোচনা করতে রাজি না হওয়ায় সদস্যরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি আবদুস সালাম সাংবাদিকদের বলেন, 'ইলিয়াস আলী নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি দ্রুত সমাধান করা এবং সাগর-রুনি হত্যা মামলাসহ স্পর্শকাতর মামলাগুলো দ্রুত সুরাহা করার সুপারিশ করা হয়েছে। কারণ এই মামলাগুলো নিয়ে নানা রকম কথাবার্তা হচ্ছে। জনগণ এসব বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা চায়। তাই সরকারের উচিত বিষয়গুলো জনগণকে পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেওয়া।
এদিকে নিখোঁজ ঘটনার ৯ দিন পরও পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থা সন্ধান দিতে পারেনি এম ইলিয়াস আলীর। গতকালও গুজব ছিল, ইলিয়াস আলীকে উদ্ধারের পর ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে। সংবাদের সত্যতা যাচাইয়ে গণমাধ্যমের কর্মীরা যোগাযোগ করলে গোয়েন্দা পুলিশের কর্মকর্তারা বিষয়টি সরাসরি নাকচ করে জানান, অনুসন্ধান অব্যাহত আছে। এদিকে এই অপহরণ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে ইতিমধ্যে অনেকে দাবি করলেও তাঁদের বক্তব্যের কোনো সত্যতা খুঁজে পাচ্ছে না র্যাব।
ইলিয়াস আলীর নিখোঁজ রহস্য প্রসঙ্গে পুলিশের মহাপরিদর্শক হাসান মাহমুদ খন্দকার গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, পুলিশের পক্ষ থেকে সম্ভব সব কিছুই করা হচ্ছে। দেশের সব থানায় ইতিমধ্যে বার্তা পাঠানো হয়েছে। ইলিয়াস আলীর ঘনিষ্ঠজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত নিখোঁজ দুজনের সন্ধান মেলেনি।
র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার মোহাম্মদ সোহায়েল বলেন, র্যাব সর্বাত্মক চেষ্টা করছে। ঘটনাটি যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি জটিলও। সে ক্ষেত্রে সবকিছু যাচাই করতে সময় কিছুটা বেশি লাগছে।
ইলিয়াস আলীর নিখোঁজ সংক্রান্ত সাধারণ ডায়েরির তদন্ত কর্মকর্তা বনানী থানার পরিদর্শক কাজী মাইনুল ইসলাম জানান, আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক তিনি তদন্ত অগ্রগতির সংবাদ ৪৮ ঘণ্টা পরপর আদালতে দাখিল করছেন। গতকাল বৃহস্পতিবারও তা দেওয়া হয়েছে। তবে সেখানে ইলিয়াস আলী ও তাঁর গাড়িচালক আনসারের অবস্থান ও সন্ধান প্রসঙ্গে সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই।
তদন্ত-সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, অপহৃত হওয়ার দুদিন আগে ইলিয়াস আলী একটি মামলায় হাজিরার জন্য সিলেট গিয়েছিলেন। তিনি সিলেটের একাধিক হোটেলে দলীয় লোকজনের সঙ্গে গোপন বৈঠকও করেন। এসব গোপন বৈঠকের আলোচ্য বিষয় ও অংশগ্রহণকারীদের বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে। তাঁর সঙ্গে ঢাকায় কারা ফিরেছেন, সে ব্যাপারেও তথ্য নেওয়া হচ্ছে। এই অপহরণ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে ইতিমধ্যে অনেকে দাবি করলেও তাঁদের বক্তব্যের সত্যতা মিলছে না বলেও তিনি জানান।
তবে তোপের মুখে পড়ার অভিযোগ অস্বীকার করে আইজিপি গতকাল রাতে কালের কণ্ঠকে বলেছেন, 'অভিযোগ ঠিক নয়। আমার সঙ্গে প্রশাসনিক এমন কিছু বিষয়ে কথা হয়েছে, যেগুলো সবার মাঝে বলা সম্ভব ছিল না।' হাসান মাহমুদ খন্দকার আরো বলেন, 'আমি এমন কোনো আচরণ করিনি, যাতে বৈঠকে কোনো ক্ষোভের সৃষ্টি হতে পারে।' তিনি বলেন, ইলিয়াস আলীর নিখোঁজ ঘটনা, সাগর-রুনির হত্যা মামলাসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের অগ্রগতি জানতে চাওয়া হলে সেগুলোর ব্যাখ্যা দেওয়া হয়।
গতকাল কমিটির সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) আবদুস সালামের সভাপতিত্বে সংসদীয় কমিটির বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কমিটির সদস্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু, মীর্জা আজম, মুজিবুল হক চুন্নু ও অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম।
কমিটির এক সদস্য জানান, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বৈঠকের বাইরে রেখে চাঞ্চল্যকর মামলাগুলো নিয়ে কমিটি একান্ত বৈঠক করে। বৈঠকের শেষ দিকে কমিটির সভাপতিসহ অন্য সদস্যরা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলীর নিখোঁজ ঘটনা এবং সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডসহ অন্যান্য আলোচিত মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে আইজিপির কাছে জানতে চান। এ সময় আইজিপি বলেন, এ বিষয়গুলো বিচারাধীন রয়েছে। তাই এগুলো নিয়ে আলোচনা করা ঠিক হবে না। এতে কমিটির সদস্যরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এ সময় কমিটির সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, 'সংসদে সব বিষয় নিয়ে কথা বলা যাবে। এখানে বিচারাধীন বিষয় বলে কিছু নেই। সংসদে আলোচনার বিষয় নিয়ে কেউ চ্যালেঞ্জ করতে পারে না। কিছু বিষয় আছে যেগুলো কমিটি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে আলোচনায় সমস্যা থাকে, সেটা ভিন্ন বিষয়। তবে কমিটির সদস্যরা যেকোনো বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে পারেন।'
পরে আইজিপি জানান, ইলিয়াস আলীকে জীবিত অবস্থায় তাঁর পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এ ব্যাপারে তাঁদের আন্তরিকতার কোনো অভাব নেই।
বৈঠক শেষে কমিটির সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু সাংবাদিকদের জানান, সংসদীয় কমিটিতে সব বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে। আলোচনা করা ঠিক হবে না এ কথা কেউ বলতে পারেন না। কোন বিষয়টি সবার সামনে আলোচনা করা যাবে না, সেটা কমিটি বোঝে। কিন্তু আইজিপি প্রথমে আলোচনা করতে রাজি না হওয়ায় সদস্যরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি আবদুস সালাম সাংবাদিকদের বলেন, 'ইলিয়াস আলী নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি দ্রুত সমাধান করা এবং সাগর-রুনি হত্যা মামলাসহ স্পর্শকাতর মামলাগুলো দ্রুত সুরাহা করার সুপারিশ করা হয়েছে। কারণ এই মামলাগুলো নিয়ে নানা রকম কথাবার্তা হচ্ছে। জনগণ এসব বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা চায়। তাই সরকারের উচিত বিষয়গুলো জনগণকে পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেওয়া।
এদিকে নিখোঁজ ঘটনার ৯ দিন পরও পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থা সন্ধান দিতে পারেনি এম ইলিয়াস আলীর। গতকালও গুজব ছিল, ইলিয়াস আলীকে উদ্ধারের পর ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে। সংবাদের সত্যতা যাচাইয়ে গণমাধ্যমের কর্মীরা যোগাযোগ করলে গোয়েন্দা পুলিশের কর্মকর্তারা বিষয়টি সরাসরি নাকচ করে জানান, অনুসন্ধান অব্যাহত আছে। এদিকে এই অপহরণ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে ইতিমধ্যে অনেকে দাবি করলেও তাঁদের বক্তব্যের কোনো সত্যতা খুঁজে পাচ্ছে না র্যাব।
ইলিয়াস আলীর নিখোঁজ রহস্য প্রসঙ্গে পুলিশের মহাপরিদর্শক হাসান মাহমুদ খন্দকার গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, পুলিশের পক্ষ থেকে সম্ভব সব কিছুই করা হচ্ছে। দেশের সব থানায় ইতিমধ্যে বার্তা পাঠানো হয়েছে। ইলিয়াস আলীর ঘনিষ্ঠজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত নিখোঁজ দুজনের সন্ধান মেলেনি।
র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার মোহাম্মদ সোহায়েল বলেন, র্যাব সর্বাত্মক চেষ্টা করছে। ঘটনাটি যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি জটিলও। সে ক্ষেত্রে সবকিছু যাচাই করতে সময় কিছুটা বেশি লাগছে।
ইলিয়াস আলীর নিখোঁজ সংক্রান্ত সাধারণ ডায়েরির তদন্ত কর্মকর্তা বনানী থানার পরিদর্শক কাজী মাইনুল ইসলাম জানান, আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক তিনি তদন্ত অগ্রগতির সংবাদ ৪৮ ঘণ্টা পরপর আদালতে দাখিল করছেন। গতকাল বৃহস্পতিবারও তা দেওয়া হয়েছে। তবে সেখানে ইলিয়াস আলী ও তাঁর গাড়িচালক আনসারের অবস্থান ও সন্ধান প্রসঙ্গে সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই।
তদন্ত-সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, অপহৃত হওয়ার দুদিন আগে ইলিয়াস আলী একটি মামলায় হাজিরার জন্য সিলেট গিয়েছিলেন। তিনি সিলেটের একাধিক হোটেলে দলীয় লোকজনের সঙ্গে গোপন বৈঠকও করেন। এসব গোপন বৈঠকের আলোচ্য বিষয় ও অংশগ্রহণকারীদের বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে। তাঁর সঙ্গে ঢাকায় কারা ফিরেছেন, সে ব্যাপারেও তথ্য নেওয়া হচ্ছে। এই অপহরণ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে ইতিমধ্যে অনেকে দাবি করলেও তাঁদের বক্তব্যের সত্যতা মিলছে না বলেও তিনি জানান।
No comments