ঘুড়ি উড়াল হালুম শিকু

সিসিমপুর একটা মজার জায়গা। ছয় বছরের মেয়ে টুকটুকি স্কুলে যায়, পড়তে ভালোবাসে। তিন বছরের ইকরি প্রশ্ন করতে ভালোবাসে। ছয় বছরের শিকু, নেশা তার আবিষ্কার। প্রকৃতিপ্রেমী হালুমের প্রিয় মাছ-সবজি। এ ছাড়া রয়েছে দোকানদার গুণী ময়রা, লাইব্রেরিয়ান আশা, খামারি মুকুল, স্কুলশিক্ষক সুমনা,


ফেরিওয়ালা বাহাদুর, গরু পার্বতী, মোরগ শেরালী, মুরগি বিজলি আর দুই ভেড়া—মানিক ও রতন। এদের নিয়েই সিসিমপুরের গল্প, যা ছাপা হচ্ছে গোল্লাছুটে

রোদ ঝলমলে চমৎকার বিকেল। ফুরফুরে হাওয়া বইছে। এমন সুন্দর বিকেলে হালুমের ঘুড়ি ওড়ানোর খুব ইচ্ছে হলো। সে একটা রঙিন ঘুড়ি আর নাটাই নিয়ে মাঠে এল।
এ সময় শিকু এল। হালুমের হাতে ঘুড়ি আর নাটাই দেখে বলল, বাহ্ হালুম, এমন চমৎকার বিকেলে ঘুড়ি ওড়ানোর মজাই আলাদা।
হালুম বলল, ঠিক বলেছ শিকু। দেখো, কী চমৎকারভাবে আমি ঘুড়ি ওড়াই।
হালুম এক হাতে নাটাই ধরে অন্য হাতে ঘুড়ি নিয়ে শূন্যে ছুড়ে দিয়ে নাটাই ধরে টান দিল। কিন্তু ঘুড়ি উড়ল না। দোল খেয়ে নিচে পড়ে গেল। হালুম আবার চেষ্টা করল। এবারও ঘুড়ি উড়ল না।
শিকু বলল, ‘আমি কি একবার চেষ্টা করতে পারি?’
হালুম বলল, খুব ভালো, তবে কাজটা খুব সহজ না মনে হচ্ছে!
হালুম নাটাই আর ঘুড়িটা শিকুকে দিল। শিকু নাটাই মাটিতে রেখে ঘুড়িটা একটু দূরে নিয়ে গিয়ে শূন্যে উড়িয়ে দিল। ঘুড়িটা একটু উড়েই নিচে পড়ে গেল। শিকু বলল, বুঝেছি, এভাবে হবে না। চলো, দুজন মিলে চেষ্টা করি।
হালুম খুশি হয়ে বলল, ঠিক বলেছ!
যে কথা, সেই কাজ। শিকু নাটাই ধরল আর হালুম ঘুড়ি নিয়ে একটু দূরে গিয়ে উড়িয়ে দিল। ঠিক সেই সময় শিকু কয়েকটা হ্যাঁচকা টান দিল নাটাইয়ে। সাঁই সাঁই করে ঘুড়ি উঠে গেল ওপরে। ঝিরঝিরে বাতাসে দোল খেতে খেতে পতপত করে উড়তে লাগল ঘুড়ি।
হালুম আর শিকুর আনন্দ আর ধরে না।
হালুম বলল, সাবাস শিকু, দুজন মিলেমিশে ঘুড়ি উড়ালাম বলেই উড়ল!
ততক্ষণে বাতাস জোরে বইতে শুরু করল। শিকু আর কিছুতেই নাটাই ধরে রাখতে পারছে না। ঘুড়ির সঙ্গে শিকুও উড়ে যেতে লাগল।
শিকু চেঁচিয়ে উঠে বলল, হালুম ধরো.. ধরো...!
হালুম ছুটে এসে খপ করে শিকুকে ধরে ফেলল।
শিকু বলল, ভাগ্যিস দুজন মিলে ঘুড়ি উড়াচ্ছিলাম!

No comments

Powered by Blogger.