সীমান্তে বিএসএফের গুলি বন্ধ হোক-ফেলানীদের বাঁচা-মরা
অবৈধ প্রবেশের দায়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) যেভাবে ফেলানী নামের এক বাংলাদেশি কিশোরীকে গুলি করে হত্যা করেছে, তা যেমন নির্মম, তেমনি আন্তর্জাতিক আইনেরও পরিপন্থী। পৃথিবীর সব দেশেই অবৈধ প্রবেশের বিরুদ্ধে আইন আছে।
ফেলানী যদি সে আইন ভঙ্গ করে থাকে, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যেত, তাকে জেলে পাঠানো যেত। কিন্তু সেসব আইনি ব্যবস্থা না নিয়ে গুলি করে হত্যা করার ঘটনা দুঃখজনক ও নিন্দনীয়। এটিকে নিছক দুর্ঘটনা বলে সাফাই গাওয়ারও সুযোগ নেই। একটি গবেষণা সংস্থার হিসাব অনুযায়ী, গত এক বছরে বিএসএফের হাতে ৭৫ জন বাংলাদেশি নাগরিক নিহত হয়েছে।
সীমান্তকে শান্তিপূর্ণ রাখতে প্রায়ই দুই দেশের সীমান্তরক্ষীদের মধ্যে বৈঠক হয়। বৈঠক হয় উচ্চপর্যায়েও। এমনকি ভারতের সর্বোচ্চ রাজনৈতিক নেতৃত্ব থেকে বিএসএফ গুলি করবে না বলে আশ্বাস দেওয়ার পরও পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি। এটি মেনে নেওয়া যায় না।
পত্রিকার খবর অনুযায়ী, কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার বানারভিটা গ্রামের বাসিন্দা নূরুল ইসলাম দিল্লিতে ইটভাটায় কাজ করতেন। কিছু টাকা জমিয়ে তিনি দেশে ফিরছিলেন মেয়েকে নিয়ে। বাবা কাঁটাতারের বেড়া ডিঙিয়ে বাংলাদেশে আসতে পারলেও বিএসএফের গুলি ফেলানীর জীবন কেড়ে নেয়। ফেলানীদের শ্রম ভারতীয় অর্থনীতির তরক্কি এবং জনগণের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য জরুরি হলেও জীবন জরুরি নয়।
এ কথা ঠিক, ফেলানী ও তার বাবা বৈধ ভিসা নিয়ে ভারতে যাননি। অবৈধভাবে কেউ ভারতে প্রবেশ করলেই কি তাকে গুলি করে হত্যা করতে হবে? এটা কি সভ্য সমাজের কাজ? ফেলানী হত্যার ঘটনায় কেবল এলাকাবাসী বিক্ষোভ করেছে। পতাকা বৈঠকে প্রতিবাদ জানিয়েছে বিডিআরও। কিন্তু আর কত দিন নিষ্ফল প্রতিবাদ জানানো হবে? আর কত দিন এভাবে ফেলানীরা গুলি খেয়ে মরবে? সীমান্তরক্ষীদের দায়িত্ব সীমান্তে চোরাচালান, মাদক পাচার ও সন্ত্রাসী ঘটনা বন্ধ করা। সেসব অপরাধ বন্ধ হয়েছে—এমন দাবি নিশ্চয়ই বিএসএফও করতে পারবে না। তারা যদি এতই কর্তব্যনিষ্ঠ হবে, তাহলে সীমান্ত দিয়ে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল বাংলাদেশে প্রবেশ করছে কীভাবে? সেসব মাদকদ্রব্য হেঁটে আসে না, কারখানা থেকে ওপারের মাদক পাচারকারীরাই পৌঁছে দেয় এপারের ক্রেতাদের কাছে। তখন বিএসএফের সদস্যরা চোখ বুজে থাকেন কেন?
যখন দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কোন্নয়নে দুই দেশের সরকার চেষ্টা চালাচ্ছে, যখন ট্রানজিটসহ বৃহত্তর সহযোগিতার উদ্যোগ চলছে, তখন সীমান্তে বিএসএফের এ ধরনের উসকানিমূলক তৎপরতা বন্ধ করা জরুরি। গুলি করে মানুষ মেরে সীমান্তে চোরাচালান কিংবা অনুপ্রবেশ ঠেকানো যাবে না। এর বিকল্প উপায় খুঁজে বের করতে হবে।
সীমান্তকে শান্তিপূর্ণ রাখতে প্রায়ই দুই দেশের সীমান্তরক্ষীদের মধ্যে বৈঠক হয়। বৈঠক হয় উচ্চপর্যায়েও। এমনকি ভারতের সর্বোচ্চ রাজনৈতিক নেতৃত্ব থেকে বিএসএফ গুলি করবে না বলে আশ্বাস দেওয়ার পরও পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি। এটি মেনে নেওয়া যায় না।
পত্রিকার খবর অনুযায়ী, কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার বানারভিটা গ্রামের বাসিন্দা নূরুল ইসলাম দিল্লিতে ইটভাটায় কাজ করতেন। কিছু টাকা জমিয়ে তিনি দেশে ফিরছিলেন মেয়েকে নিয়ে। বাবা কাঁটাতারের বেড়া ডিঙিয়ে বাংলাদেশে আসতে পারলেও বিএসএফের গুলি ফেলানীর জীবন কেড়ে নেয়। ফেলানীদের শ্রম ভারতীয় অর্থনীতির তরক্কি এবং জনগণের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য জরুরি হলেও জীবন জরুরি নয়।
এ কথা ঠিক, ফেলানী ও তার বাবা বৈধ ভিসা নিয়ে ভারতে যাননি। অবৈধভাবে কেউ ভারতে প্রবেশ করলেই কি তাকে গুলি করে হত্যা করতে হবে? এটা কি সভ্য সমাজের কাজ? ফেলানী হত্যার ঘটনায় কেবল এলাকাবাসী বিক্ষোভ করেছে। পতাকা বৈঠকে প্রতিবাদ জানিয়েছে বিডিআরও। কিন্তু আর কত দিন নিষ্ফল প্রতিবাদ জানানো হবে? আর কত দিন এভাবে ফেলানীরা গুলি খেয়ে মরবে? সীমান্তরক্ষীদের দায়িত্ব সীমান্তে চোরাচালান, মাদক পাচার ও সন্ত্রাসী ঘটনা বন্ধ করা। সেসব অপরাধ বন্ধ হয়েছে—এমন দাবি নিশ্চয়ই বিএসএফও করতে পারবে না। তারা যদি এতই কর্তব্যনিষ্ঠ হবে, তাহলে সীমান্ত দিয়ে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল বাংলাদেশে প্রবেশ করছে কীভাবে? সেসব মাদকদ্রব্য হেঁটে আসে না, কারখানা থেকে ওপারের মাদক পাচারকারীরাই পৌঁছে দেয় এপারের ক্রেতাদের কাছে। তখন বিএসএফের সদস্যরা চোখ বুজে থাকেন কেন?
যখন দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কোন্নয়নে দুই দেশের সরকার চেষ্টা চালাচ্ছে, যখন ট্রানজিটসহ বৃহত্তর সহযোগিতার উদ্যোগ চলছে, তখন সীমান্তে বিএসএফের এ ধরনের উসকানিমূলক তৎপরতা বন্ধ করা জরুরি। গুলি করে মানুষ মেরে সীমান্তে চোরাচালান কিংবা অনুপ্রবেশ ঠেকানো যাবে না। এর বিকল্প উপায় খুঁজে বের করতে হবে।
No comments