ইলিয়াস আলীকে জীবিত পাওয়া নিয়ে সংশয়
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস আলীকে ফেরত পাওয়া নিয়ে হতাশ হয়ে পড়েছেন তাঁর স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর। গতকাল রোববার প্রথম আলোর কাছে তিনি এ হতাশা ব্যক্ত করেন। একইভাবে বিএনপির নেতা-কর্মীরাও ইলিয়াসকে জীবিত ফিরে পাওয়া নিয়ে তাঁদের সংশয়ের কথা বলেছেন।
তাহসিনা রুশদীর বনানীর বাড়ি ‘সিলেট হাউজে’ প্রথম আলোকে বলেন, ‘জীবন-মরণের সন্ধিক্ষণে মানুষ যেকোনো কিছু আঁকড়ে ধরে বাঁচতে চায়। কিন্তু আমি হতাশ। কোনো অগ্রগতি দেখতে পাচ্ছি না।’
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষপর্যায়ে এ নিয়ে যোগাযোগ করা হলে ইলিয়াস আলী বেঁচে আছেন—এমন কথা কেউ জোর দিয়ে বলতে পারছেন না। পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র প্রথম আলোকে বলেন, তাঁদের ধারণা, ইলিয়াস আলী বেঁচে নেই।
ইলিয়াস আলী কি বেঁচে আছেন—পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হাসান মাহমুদ খন্দকারের কাছে এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি সরাসরি উত্তর না দিয়ে বলেন, ‘আমরা খুঁজে বের করার চেষ্টার কোনো ত্রুটি করছি না। সব বাহিনীকে এ জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
বিএনপির একজন দায়িত্বশীল নেতা গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘অনেক দিন পার হয়ে গেল। আমাদের কাছে খবর ছিল, ইলিয়াস আলীকে একটি গোয়েন্দা সংস্থা আটকে রেখেছে। কিন্তু দিন যত পার হচ্ছে, এই খবরের ওপর আস্থা আর রাখতে পারছি না। পুলিশ ও র্যাব এমন সব লোক দেখানো অভিযান করছে, তাতে ভরসা পাওয়া যাচ্ছে না। দিন দিন নেতা-কর্মীরা হতাশ হয়ে পড়ছেন।’
সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্রে কথা বলে জানা গেছে, ইলিয়াস আলীকে উদ্ধারের নামে র্যাব-পুলিশ এ পর্যন্ত যে অভিযান চালিয়েছে, তার সবই নিষ্ফল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন পুলিশ কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, এখন পর্যন্ত ইলিয়াস আলীর স্ত্রীকে নিয়ে পুবাইলে অভিযান চালানো ছাড়া পুলিশ বা র্যাব দৃশ্যত আর কোথাও কোনো অভিযান চালায়নি। অথচ সারা দেশে অভিযানের তথ্য প্রচার করা হচ্ছে।
জানতে চাইলে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার এম সোহায়েল বলেন, এখন পর্যন্ত র্যাব মোট তিনটি অভিযান চালিয়েছে। এর একটি পুবাইলে, অন্য দুটি আলাদা স্থানে। তবে ওই স্থান দুটির নাম উল্লেখ করেননি তিনি। চাঁদপুরের অভিযান নিয়ে গণমাধ্যমে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে, তা সঠিক নয় বলে জানান তিনি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ প্রথম আলোকে বলেন, সরকারের লোক দেখানো অভিযান আর দোষ চাপানোর চেষ্টা বিএনপিকে হতাশ করেছে। এত দিন পর্যন্ত কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। ইলিয়াসকে উদ্ধারে সরকারের আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন তো থাকছেই।
গতকাল দুপুরে বনানীতে নিজের বাসায় তাহসিনা রুশদীর সাংবাদিকদের বলেন, সরকার ও গোয়েন্দা সংস্থা আন্তরিক হলে একজন মানুষকে খুঁজে পাওয়া যায় না, তা তিনি বিশ্বাস করেন না। গণমাধ্যমে কথা না বলার বিষয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কোনো নির্দেশনা তাঁকে দিয়েছেন কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে তাহসিনা বলেন, খালেদা জিয়া তাঁকে কোনো নির্দেশনা দেননি।
ইলিয়াস আলীর নিখোঁজের প্রতিবাদে হরতালের কর্মসূচি ঘোষণার ব্যাপারে তাহসিনা রুশদীর বলেন, ‘হরতাল হচ্ছে রাজনৈতিক বিষয়। তিনি (ইলিয়াস) রাজনীতি করতেন। এটি রাজনৈতিকভাবেই দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে আমার কোনো বক্তব্য নেই।’
তদন্তকাজে ইলিয়াসের পরিবারের সদস্যরা সহযোগিতা করছেন না বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন যে অভিযোগ করেছেন, তা অস্বীকার করেন রুশদীর। বলেন, যে ধরনের তথ্য তাঁর কাছে আছে, তার সবই তিনি দিয়েছেন।
১৭ এপ্রিল মধ্যরাতে রাজধানীর রূপসী বাংলা হোটেল থেকে বাসায় যাওয়ার পথে বনানী এলাকা থেকে নিখোঁজ হন ইলিয়াস আলী ও তাঁর গাড়িচালক আনসার। বনানীর রাস্তায় পাওয়া যায় ইলিয়াসের গাড়িটি। এর পর থেকে দাবি করা হয়, ইলিয়াস আলীকে খুঁজে বের করতে পুলিশের গুলশান বিভাগ, বনানী থানা, ডিবি, র্যাব অভিযানে নেমেছে। কিন্তু তাদের অভিযান নিয়ে জনমনে প্রশ্ন রয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষপর্যায়ে এ নিয়ে যোগাযোগ করা হলে ইলিয়াস আলী বেঁচে আছেন—এমন কথা কেউ জোর দিয়ে বলতে পারছেন না। পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র প্রথম আলোকে বলেন, তাঁদের ধারণা, ইলিয়াস আলী বেঁচে নেই।
ইলিয়াস আলী কি বেঁচে আছেন—পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হাসান মাহমুদ খন্দকারের কাছে এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি সরাসরি উত্তর না দিয়ে বলেন, ‘আমরা খুঁজে বের করার চেষ্টার কোনো ত্রুটি করছি না। সব বাহিনীকে এ জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
বিএনপির একজন দায়িত্বশীল নেতা গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘অনেক দিন পার হয়ে গেল। আমাদের কাছে খবর ছিল, ইলিয়াস আলীকে একটি গোয়েন্দা সংস্থা আটকে রেখেছে। কিন্তু দিন যত পার হচ্ছে, এই খবরের ওপর আস্থা আর রাখতে পারছি না। পুলিশ ও র্যাব এমন সব লোক দেখানো অভিযান করছে, তাতে ভরসা পাওয়া যাচ্ছে না। দিন দিন নেতা-কর্মীরা হতাশ হয়ে পড়ছেন।’
সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্রে কথা বলে জানা গেছে, ইলিয়াস আলীকে উদ্ধারের নামে র্যাব-পুলিশ এ পর্যন্ত যে অভিযান চালিয়েছে, তার সবই নিষ্ফল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন পুলিশ কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, এখন পর্যন্ত ইলিয়াস আলীর স্ত্রীকে নিয়ে পুবাইলে অভিযান চালানো ছাড়া পুলিশ বা র্যাব দৃশ্যত আর কোথাও কোনো অভিযান চালায়নি। অথচ সারা দেশে অভিযানের তথ্য প্রচার করা হচ্ছে।
জানতে চাইলে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার এম সোহায়েল বলেন, এখন পর্যন্ত র্যাব মোট তিনটি অভিযান চালিয়েছে। এর একটি পুবাইলে, অন্য দুটি আলাদা স্থানে। তবে ওই স্থান দুটির নাম উল্লেখ করেননি তিনি। চাঁদপুরের অভিযান নিয়ে গণমাধ্যমে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে, তা সঠিক নয় বলে জানান তিনি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ প্রথম আলোকে বলেন, সরকারের লোক দেখানো অভিযান আর দোষ চাপানোর চেষ্টা বিএনপিকে হতাশ করেছে। এত দিন পর্যন্ত কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। ইলিয়াসকে উদ্ধারে সরকারের আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন তো থাকছেই।
গতকাল দুপুরে বনানীতে নিজের বাসায় তাহসিনা রুশদীর সাংবাদিকদের বলেন, সরকার ও গোয়েন্দা সংস্থা আন্তরিক হলে একজন মানুষকে খুঁজে পাওয়া যায় না, তা তিনি বিশ্বাস করেন না। গণমাধ্যমে কথা না বলার বিষয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কোনো নির্দেশনা তাঁকে দিয়েছেন কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে তাহসিনা বলেন, খালেদা জিয়া তাঁকে কোনো নির্দেশনা দেননি।
ইলিয়াস আলীর নিখোঁজের প্রতিবাদে হরতালের কর্মসূচি ঘোষণার ব্যাপারে তাহসিনা রুশদীর বলেন, ‘হরতাল হচ্ছে রাজনৈতিক বিষয়। তিনি (ইলিয়াস) রাজনীতি করতেন। এটি রাজনৈতিকভাবেই দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে আমার কোনো বক্তব্য নেই।’
তদন্তকাজে ইলিয়াসের পরিবারের সদস্যরা সহযোগিতা করছেন না বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন যে অভিযোগ করেছেন, তা অস্বীকার করেন রুশদীর। বলেন, যে ধরনের তথ্য তাঁর কাছে আছে, তার সবই তিনি দিয়েছেন।
১৭ এপ্রিল মধ্যরাতে রাজধানীর রূপসী বাংলা হোটেল থেকে বাসায় যাওয়ার পথে বনানী এলাকা থেকে নিখোঁজ হন ইলিয়াস আলী ও তাঁর গাড়িচালক আনসার। বনানীর রাস্তায় পাওয়া যায় ইলিয়াসের গাড়িটি। এর পর থেকে দাবি করা হয়, ইলিয়াস আলীকে খুঁজে বের করতে পুলিশের গুলশান বিভাগ, বনানী থানা, ডিবি, র্যাব অভিযানে নেমেছে। কিন্তু তাদের অভিযান নিয়ে জনমনে প্রশ্ন রয়েছে।
No comments