টেন্ডার নিয়ে ঢাকা কলেজে ছাত্রলীগের গোলাগুলি-দুইজন গুলিবিদ্ধ আহত ৩০
ঢাকা কলেজে গত শনিবার গভীর রাতে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলি হয়েছে। এতে অন্তত ৩০ ছাত্র আহত হয়েছে। গুলিবিদ্ধ দুই ছাত্রসহ ১০ জনের আঘাত গুরুতর। তিন কোটি টাকার টেন্ডার ও অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরে এ ঘটনা ঘটে বলে পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে।
আহতদের মধ্যে তারেক গ্রুপের প্রধান ও ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আল মাহমুদ সরকার তারেক (২১), ইংরেজি প্রথম বর্ষের ছাত্র আকাশকে (১৮) ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এবং সমাজবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র জনিকে (২২) পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জনির পায়ে এবং আকাশের পিঠে একটি করে গুলি লেগেছে। আহত অন্যরা ঢাকা গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে বলে জানা গেছে।
পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার নুরুল ইসলাম বলেন, অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরে ঢাকা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। বিষয়টি ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে সুরাহার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আছে। কলেজ ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, কলেজে ছাত্রলীগের দুটি গ্রুপ আছে। একটি গ্রুপের নেতৃত্ব দেন তারেক এবং অন্যটি টিটু। তবে টিটু ছাত্রলীগ মহানগর কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক হওয়ায় কলেজের রাজনীতি থেকে কিছুটা দূরে এবং বর্তমানে তিনি গ্রামের বাড়িতে অবস্থান করছেন। তাঁর অবর্তমানে এ গ্রুপ পরিচালনা করেন তুহিন নামের আরেক নেতা। শনিবার রাত ২টার দিকে তারেক ও তাঁর ক্যাডাররা 'মাস্টার্স হোস্টেল'-এ গিয়ে তুহিন গ্রুপের এক কর্মীকে মারধর করে। এর জের ধরে রাত ৩টার দিকে তুহিন গ্রুপের কর্মীরা 'নর্থ হোস্টেল'-এ গিয়ে তারেক গ্রুপের কয়েকজনকে মারধর এবং তারেকের কক্ষসহ কয়েকটি কক্ষ ভাঙচুর করে। ওই সময় তারেক ও তাঁর গ্রুপের কর্মীরা ছাত্রাবাসে ছিল না।
ভোর সাড়ে ৫টার দিকে হঠাৎ মুহুর্মুহু গুলির শব্দ আর ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া শুরু হয়। তুহিন গ্রুপের কর্মীরা ঢাকা কলেজের ফটকের সামনে ক্যাম্পাসের ভেতরে অবস্থান নেয়। অন্যদিকে তারেক গ্রুপ ক্যাম্পাসের বাইরে মিরপুর সড়কে অবস্থান নেয়। তুহিন ও তারেকের কর্মীরা একে অপরকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে। তারেক নিজেও এই গোলাগুলিতে অংশ নেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে।
সংঘর্ষ চলাকালে তারেক গ্রুপের আকাশ পিঠে ও জনি পায়ে গুলিবিদ্ধ হন। একপর্যায়ে তুহিনের পক্ষের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদুল্লাহ আলমসহ অন্য কর্মীরা তারেক ও তাঁর সমর্থকদের ওপর লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালায়। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। গুলি, ইটপাটকেল আর লাঠির আঘাতে রাকিব, সাইদ, স্বপন, রনি, তারেকসহ কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়।
ভোর সাড়ে ৫টা পর্যন্ত থেমে থেমে তিন দফা সংঘর্ষের ঘটনায় পুরো ক্যাম্পাসে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে নিউ মার্কেট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
গোয়েন্দা সূত্র জানায়, ঢাকা কলেজের পাশে নায়েম ভবনের তিন কোটি টাকার কাজের একটি টেন্ডার পাওয়া নিয়ে ছাত্রলীগের এ দুই গ্রুপের মধ্যে ১৫ দিন ধরে বিরোধ চলছে। এর আগেও একাধিকবার তাদের মধ্যে ছোটখাটো সংঘর্ষ হয়েছে। উভয় গ্রুপই টেন্ডারটি নিজেদের দখলে নিতে মরিয়া।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সাধারণ ছাত্ররা জানায়, ক্যাম্পাসে আগে ছিল ছাত্রদলের দাপট। এখন ছাত্রলীগ। এ কারণে সাধারণ ছাত্ররা কোণঠাসা অবস্থায় রয়েছে। কলেজে প্রতিনিয়ত কোনো না কোনো বিভাগের পরীক্ষা চলে। ছাত্র সংগঠনের কোন্দলের কারণে হলে থাকা সাধারণ শিক্ষার্থীরা ঠিকমতো পড়ালেখা করতে পারে না। প্রতি মুহূর্তে তাদের আতঙ্কে থাকতে হয়। শুধু সাধারণ ছাত্ররাই নয়, কলেজ কর্তৃপক্ষও তাদের কাছে জিম্মি।
পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার নুরুল ইসলাম বলেন, অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরে ঢাকা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। বিষয়টি ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে সুরাহার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আছে। কলেজ ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, কলেজে ছাত্রলীগের দুটি গ্রুপ আছে। একটি গ্রুপের নেতৃত্ব দেন তারেক এবং অন্যটি টিটু। তবে টিটু ছাত্রলীগ মহানগর কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক হওয়ায় কলেজের রাজনীতি থেকে কিছুটা দূরে এবং বর্তমানে তিনি গ্রামের বাড়িতে অবস্থান করছেন। তাঁর অবর্তমানে এ গ্রুপ পরিচালনা করেন তুহিন নামের আরেক নেতা। শনিবার রাত ২টার দিকে তারেক ও তাঁর ক্যাডাররা 'মাস্টার্স হোস্টেল'-এ গিয়ে তুহিন গ্রুপের এক কর্মীকে মারধর করে। এর জের ধরে রাত ৩টার দিকে তুহিন গ্রুপের কর্মীরা 'নর্থ হোস্টেল'-এ গিয়ে তারেক গ্রুপের কয়েকজনকে মারধর এবং তারেকের কক্ষসহ কয়েকটি কক্ষ ভাঙচুর করে। ওই সময় তারেক ও তাঁর গ্রুপের কর্মীরা ছাত্রাবাসে ছিল না।
ভোর সাড়ে ৫টার দিকে হঠাৎ মুহুর্মুহু গুলির শব্দ আর ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া শুরু হয়। তুহিন গ্রুপের কর্মীরা ঢাকা কলেজের ফটকের সামনে ক্যাম্পাসের ভেতরে অবস্থান নেয়। অন্যদিকে তারেক গ্রুপ ক্যাম্পাসের বাইরে মিরপুর সড়কে অবস্থান নেয়। তুহিন ও তারেকের কর্মীরা একে অপরকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে। তারেক নিজেও এই গোলাগুলিতে অংশ নেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে।
সংঘর্ষ চলাকালে তারেক গ্রুপের আকাশ পিঠে ও জনি পায়ে গুলিবিদ্ধ হন। একপর্যায়ে তুহিনের পক্ষের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদুল্লাহ আলমসহ অন্য কর্মীরা তারেক ও তাঁর সমর্থকদের ওপর লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালায়। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। গুলি, ইটপাটকেল আর লাঠির আঘাতে রাকিব, সাইদ, স্বপন, রনি, তারেকসহ কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়।
ভোর সাড়ে ৫টা পর্যন্ত থেমে থেমে তিন দফা সংঘর্ষের ঘটনায় পুরো ক্যাম্পাসে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে নিউ মার্কেট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
গোয়েন্দা সূত্র জানায়, ঢাকা কলেজের পাশে নায়েম ভবনের তিন কোটি টাকার কাজের একটি টেন্ডার পাওয়া নিয়ে ছাত্রলীগের এ দুই গ্রুপের মধ্যে ১৫ দিন ধরে বিরোধ চলছে। এর আগেও একাধিকবার তাদের মধ্যে ছোটখাটো সংঘর্ষ হয়েছে। উভয় গ্রুপই টেন্ডারটি নিজেদের দখলে নিতে মরিয়া।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সাধারণ ছাত্ররা জানায়, ক্যাম্পাসে আগে ছিল ছাত্রদলের দাপট। এখন ছাত্রলীগ। এ কারণে সাধারণ ছাত্ররা কোণঠাসা অবস্থায় রয়েছে। কলেজে প্রতিনিয়ত কোনো না কোনো বিভাগের পরীক্ষা চলে। ছাত্র সংগঠনের কোন্দলের কারণে হলে থাকা সাধারণ শিক্ষার্থীরা ঠিকমতো পড়ালেখা করতে পারে না। প্রতি মুহূর্তে তাদের আতঙ্কে থাকতে হয়। শুধু সাধারণ ছাত্ররাই নয়, কলেজ কর্তৃপক্ষও তাদের কাছে জিম্মি।
No comments