অস্ত্র নয়, সুস্থ রাজনীতিই পারে সমস্যার সমাধান করতে-পাহাড়ে গোষ্ঠী দ্বন্দ্বে অব্যাহত খুন
পার্বত্য চট্টগ্রামে রক্ত বহুভাবেই ঝরে। নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনী বনাম পাহাড়ি, পাহাড়ি বনাম বাঙালি অধিবাসী এবং পাহাড়ি বনাম পাহাড়ি—এই ত্রিমুখী সংঘাতে ঝরে যাচ্ছে প্রাণ। গত শুক্রবার পাহাড়িদের দুটি প্রতিদ্বন্দ্বী গোষ্ঠীর মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন ছয়জন। এ নিয়ে গত চার মাসে কেবল রাঙামাটিতেই নিহত হলো মোট ১৫ জন।
এত মৃত্যু উদ্বেগজনক। এগুলো সাধারণ খুন-জখমের ঘটনা নয়, রাজনৈতিক সন্ত্রাস। এই সন্ত্রাসে কেবল মানুষের জীবনই যাচ্ছে না, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পাহাড়িদের সার্বিক রাজনৈতিক স্বার্থ এবং পার্বত্য এলাকার শান্তি। সরকারের নীতিনির্ধারকদের উচিত, অবিলম্বে সব পক্ষকে সঙ্গে নিয়ে পাহাড়ে শান্তি আনার পদক্ষেপ নেওয়া।
পার্বত্য অঞ্চলে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরকারী জেএসএসের দুটি পক্ষ এবং জেএসএস-বিরোধী ইউপিডিএফের মধ্যে আধিপত্য নিয়ে ত্রিমুখী প্রতিযোগিতা রয়েছে। আবার সরকারের সঙ্গেও এই তিন শক্তিরও বিরোধ রয়েছে। পাহাড়ি সংগঠনগুলোর মধ্যে কে কার চেয়ে বেশি পাহাড়িদের স্বার্থের পক্ষে তা নিয়ে প্রতিযোগিতা রয়েছে এবং তা বিভিন্ন এলাকার ওপর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সশস্ত্র সংঘাত পর্যন্ত গড়ায়। গত শুক্রবারের রক্তাক্ত ঘটনাটির কারণও আধিপত্য বিস্তার বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
দুর্ভাগ্য হচ্ছে, শান্তিচুক্তির ১৩ বছর পার হলেও সেখানে শান্তি আসেনি। চুক্তির অনেক কিছুই অবাস্তবায়িত রয়ে গেছে। চুক্তি অনুযায়ী সেখান থেকে যে অতিরিক্ত সেনাসদস্য প্রত্যাহার করার কথা, তাও করা হয়নি। সরকারকে বুঝতে হবে, পাহাড়ে অশান্তি ও বিভিন্ন পক্ষের বিরোধের মূল কারণ হচ্ছে চুক্তি বাস্তবায়ন না হওয়া। অন্যদিকে পাহাড়িদেরও উপলব্ধি করতে হবে, এই আধিপত্যের প্রতিযোগিতা পাহাড়িদের স্বার্থের বিপক্ষেই যাচ্ছে। এসব হানাহানির অজুহাতেই একটি গোষ্ঠী পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাপ্রাধান্য বজায় রাখতে চাইবে। এসব ঘটনা থেকে সুযোগসন্ধানীদের ফায়দা নিতে দেওয়া উচিত নয়।
অস্ত্রের প্রতিযোগিতা বন্ধ করে পাহাড়িদের সব পক্ষের উচিত সুস্থ রাজনীতির চর্চা করা এবং নিজেদের অধিকার আদায়ে মনোযোগ দেওয়া। প্রতিপক্ষের ওপর হামলা কিংবা রাজনীতি বন্ধের তৎপরতা কারও জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে না। এখন প্রয়োজন শান্তিচুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়ন এবং বিরোধ মীমাংসায় বহুপক্ষীয় যোগাযোগকে সক্রিয় করা। পাহাড়ের সমস্যাটি রাজনৈতিক, তার সমাধান রাজনৈতিকভাবেই হতে হবে। সরকার বা পাহাড়ি গোষ্ঠীর কোনো ধরনের সশস্ত্র তৎপরতা শান্তির পথে বিরাট বাধা।
পার্বত্য অঞ্চলে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরকারী জেএসএসের দুটি পক্ষ এবং জেএসএস-বিরোধী ইউপিডিএফের মধ্যে আধিপত্য নিয়ে ত্রিমুখী প্রতিযোগিতা রয়েছে। আবার সরকারের সঙ্গেও এই তিন শক্তিরও বিরোধ রয়েছে। পাহাড়ি সংগঠনগুলোর মধ্যে কে কার চেয়ে বেশি পাহাড়িদের স্বার্থের পক্ষে তা নিয়ে প্রতিযোগিতা রয়েছে এবং তা বিভিন্ন এলাকার ওপর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সশস্ত্র সংঘাত পর্যন্ত গড়ায়। গত শুক্রবারের রক্তাক্ত ঘটনাটির কারণও আধিপত্য বিস্তার বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
দুর্ভাগ্য হচ্ছে, শান্তিচুক্তির ১৩ বছর পার হলেও সেখানে শান্তি আসেনি। চুক্তির অনেক কিছুই অবাস্তবায়িত রয়ে গেছে। চুক্তি অনুযায়ী সেখান থেকে যে অতিরিক্ত সেনাসদস্য প্রত্যাহার করার কথা, তাও করা হয়নি। সরকারকে বুঝতে হবে, পাহাড়ে অশান্তি ও বিভিন্ন পক্ষের বিরোধের মূল কারণ হচ্ছে চুক্তি বাস্তবায়ন না হওয়া। অন্যদিকে পাহাড়িদেরও উপলব্ধি করতে হবে, এই আধিপত্যের প্রতিযোগিতা পাহাড়িদের স্বার্থের বিপক্ষেই যাচ্ছে। এসব হানাহানির অজুহাতেই একটি গোষ্ঠী পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাপ্রাধান্য বজায় রাখতে চাইবে। এসব ঘটনা থেকে সুযোগসন্ধানীদের ফায়দা নিতে দেওয়া উচিত নয়।
অস্ত্রের প্রতিযোগিতা বন্ধ করে পাহাড়িদের সব পক্ষের উচিত সুস্থ রাজনীতির চর্চা করা এবং নিজেদের অধিকার আদায়ে মনোযোগ দেওয়া। প্রতিপক্ষের ওপর হামলা কিংবা রাজনীতি বন্ধের তৎপরতা কারও জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে না। এখন প্রয়োজন শান্তিচুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়ন এবং বিরোধ মীমাংসায় বহুপক্ষীয় যোগাযোগকে সক্রিয় করা। পাহাড়ের সমস্যাটি রাজনৈতিক, তার সমাধান রাজনৈতিকভাবেই হতে হবে। সরকার বা পাহাড়ি গোষ্ঠীর কোনো ধরনের সশস্ত্র তৎপরতা শান্তির পথে বিরাট বাধা।
No comments