জনদুর্ভোগ-অটোরিকশাচালকদের দৌরাত্ম্য চলছেই by চিররঞ্জন সরকার
রাজধানীতে সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকদের বাগে আনতে অনেক ঢাকঢোল পিটিয়ে সম্প্রতি নতুন সব নিয়মনীতি প্রবর্তন করা হলো। কিন্তু তাতে কাজ হচ্ছে না। নতুন নিয়মের বিষয়ে প্রথম দিন চালকদের কিছুটা সচেতন থাকতে দেখা গেলেও দিন গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে আবারও অনিয়মকে নিয়মে পরিণত করছেন তাঁরা।
এখনো অধিকাংশ চালককে মিটারে না গিয়ে চুক্তিতে যাত্রী বহন করতে দেখা যাচ্ছে। অল্প দূরত্বে যাওয়ার ক্ষেত্রে যথারীতি ‘যাব না’ জানিয়ে গাড়ি টান দিয়ে চলে যাচ্ছেন তাঁরা। সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকেরা সরকারি সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে চলেছেন; অথচ সরকার যথারীতি এ বিষয়েও কঠোর কোনো পদক্ষেপ নিতে পারছে না।
রাজধানীতে যাদের নিজস্ব গাড়ি নেই, বাস-মিনিবাসে ওঠার মতো অভ্যাস, শারীরিক সামর্থ্য ও ধৈর্য নেই, তাদের বাধ্য হয়েই সিএনজিচালিত অটোরিকশা বা ট্যাক্সিক্যাব ব্যবহার করতে হয়। আর এসবের ওপর নির্ভর করাটা যে কতটা বিড়ম্বনার ব্যাপার, তা ভাষায় বর্ণনা করা যাবে না। প্রয়োজনে আপনি ঢাকা শহরে যানবাহন পাবেন না। মধ্যবিত্তরা দীর্ঘদিন রিকশানির্ভর ছিল। কিন্তু রাজধানীর ভিআইপি সড়কসহ বিভিন্ন সড়কে রিকশা তুলে দেওয়ায় পরিস্থিতি বদলে যায়। ঢাকা শহরে সিএনজি বা ট্যাক্সিক্যাবে চলাচল করাটা যে কতটা বিড়ম্বনার ব্যাপার, তা কেবল ভুক্তভোগীরাই জানে।
এমনিতেই আমাদের দেশের মানুষের অন্তঃকরণ-জুড়ে কেবলই ক্ষোভ-বঞ্চনা, না পাওয়ার বেদনা, জীবনের হিসাব মেলাতে না পারার একটা টানাটানি, অসহিষ্ণু পরিস্থিতি। সীমিত আয় দিয়ে সংসারজীবনের সবকিছু সামলাতে গিয়ে চিড়েচ্যাপ্টা অবস্থা। ঘর-কর্মক্ষেত্র কোথাও মানুষের শান্তি-স্বস্তি নেই। এমন পরিস্থিতিতে যখন রাস্তায় বের হয়ে প্রতি পদে ভোগান্তি, হয়রানি পোহাতে হয়, এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যেতে যদি যুগপৎ প্রত্যাখ্যান, অপমান আর আর্থিক দণ্ড ভোগ করতে হয়, তখন সত্যিই নিজেকে খুবই তুচ্ছ, অসহায় মনে হয়। ধিক্কার দিতে ইচ্ছা হয়, সবকিছু ভেঙে ফেলতে ইচ্ছা করে! এই কি মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকা? এর চেয়ে অধম জীবন আর হতে পারে?
সিএনজি বা ট্যাক্সিক্যাব নিয়ে যাত্রীদের সেই ১০ বছর আগে থেকেই সমস্যা। ২০০১ সালে তদানীন্তন সরকার টু-স্ট্রোক বেবিট্যাক্সির জায়গায় যখন থ্রি-স্ট্রোক সিএনজি চালু করল, তখন আমাদের মতো রাজধানীর নাগরিকেরা বেশ খুশি হয়েছিল। স্বস্তি পেয়েছিল। সঙ্গে এল ট্যাক্সিক্যাব। বেশ কয়েকটি কোম্পানি নিয়ে এল শত শত ট্যাক্সিক্যাব। হলুদ, কালো গাড়ি। সিএনজি ও ট্যাক্সিক্যাব মিটারে ভাড়া নেবে, সরকার তা বাধ্যতামূলক করল। যাত্রীরা যে গন্তব্যে যেতে চায়, সেখানেই ভাড়ার গাড়ি যাবে—সরকার নির্দেশ দিল। চালকদের পরতে হবে ইউনিফর্ম। চালকদের ছবি, নাম ও গাড়ির বিস্তারিত বিবরণ-সংবলিত কাগজপত্র রাখতে হবে গাড়িতে—এমন জায়গায় রাখতে হবে, যাত্রীরা যেন দেখতে পায়। গাড়ির গায়ে পুলিশের বেশ কয়েকটি টেলিফোন নম্বর। সেই টেলিফোন নম্বরে যাত্রীরা অভিযোগ করতে পারবে। একেবারে আদর্শ এক পরিবহন নিয়মনীতি। সরকার বাহবা পেল। যদিও সিএনজি বা ট্যাক্সিক্যাব-সংক্রান্ত ‘আদর্শ’ সেই ব্যবস্থা ভেঙে পড়তে বেশি দিন লাগল না। শুরুতেই গন্ডগোল। সিএনজিতে ভাড়ার মিটার চালু হলো বটে। তবে যাত্রীরা এই ব্যবস্থার সুবিধা তেমন পেল না। বিশেষ করে, সিএনজির চালকেরা প্রায় প্রথম থেকেই মিটারের অতিরিক্ত ভাড়া দাবি করলেন। আরেকটি বিরক্তিকর কাজ তাঁরা করলেন—যাত্রী যেখানে যাবে, সেখানে তাঁরা যাবেন না। যে গন্তব্য নিজের পছন্দ, চালক সেখানে যাবেন—অন্য কোথাও না। চালকেরা ইউনিফর্ম পরলেন। গাড়ির গায়ে বড় করে অভিযোগের টেলিফোন নম্বর শোভা পেল। দুঃখের বিষয়, দুটো মূল সমস্যার কোনো সমাধান হলো না। যাত্রীর গন্তব্যে চালকেরা যাবেন না, আর মিটারের অতিরিক্ত ভাড়া দাবি। বিশেষ করে, দুই মাইলের গন্তব্যে সিএনজি কখনোই মিটারের ভাড়ায় চলেনি। এখনো চলে না।
বেশি ভাড়া কেন আদায় করেন, এ ব্যাপারে সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালকদের জিজ্ঞেস করলেই তাঁরা বলেন, ‘কাগজে-কলমে ৬৫০ টাকা দেওয়ার কথা থাকলেও মালিককে দিনান্তে জমা দিতে হয় হাজার টাকা। বিভিন্ন অজুহাতে ট্রাফিক বিভাগের কর্মকর্তাদের জন্য গুনতে হয় গড়ে প্রায় ১০০ টাকা। এ ছাড়া তেল-গ্যাস-রক্ষণাবেক্ষণ, গ্যারেজ ভাড়া বাবদ ব্যয় করতে হয় দৈনিক প্রায় হাজার-দেড় হাজার টাকা। ঢাকা শহরে যে যানজট, তাতে করে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা দৈনিক কতটুকুই বা চলতে পারে, কজন যাত্রী বহন করতে পারে? কাজেই আমাদের বাড়তি আদায় না করে উপায় কী?’
মালিকদের সঙ্গে কথা বললে তাঁরা বলেন, ‘একটি সিএনজির দাম প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা। রাস্তায় চলাচলের জন্য এক বছরের কাগজপত্র তৈরি করতে ব্যয় হয় প্রায় সাত হাজার টাকা। অথচ এসব কাগজপত্র মাত্র দুই হাজার টাকায় পাওয়ার কথা। এ ক্ষেত্রে বিআরটিএ নামের সরকারি সংস্থাটির কর্মকর্তারা প্রতিটি সিএনজির এক বছরের কাগজপত্রের জন্য প্রায় পাঁচ হাজার টাকা ঘুষ নেন। আর ১০ বছর পর এই সিএনজিগুলো স্রেফ ফেলে দিতে হবে। লাখ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে যদি কোনো লাভই না হয়, তাহলে আমরা কী করব?’
ওদিকে ট্রাফিক বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বললে তাঁরা বলেন, ‘সবকিছুই তো ঠিকঠাক মতো চলছে। আমাদের কাছে অভিযোগ এলে তো আমরা ঠিকই চালকদের মিটারে যেতে বাধ্য করি। আর মালিকদের তো ৬৫০ টাকাই জমা দেওয়ার কথা। এর বেশি যদি কেউ দিয়ে থাকে, এর জন্য আর আমরা কী করতে পারি?’
দেখা যাচ্ছে, সবাই নিজের পক্ষে অকাট্য যুক্তি হাজির করছেন। এতে করে ভোগান্তিটা পোহাতে হচ্ছে কেবল যাত্রীদের। অথচ এ ব্যাপারে যাবতীয় দায়িত্ব সরকারের পালন করার কথা। মালিকদের জন্য একটি যৌক্তিক জমার পরিমাণ ঠিক করে দেওয়া, সেটা গ্রহণে তাদের বাধ্য করা, চালকদের যেকোনো গন্তব্যে মিটারে যেতে বাধ্য করা, সিএনজি আমদানি, লাইসেন্স থেকে শুরু করে বিভিন্ন পর্যায়ে যেসব ছাড়পত্র প্রয়োজন হয়, সেসব ক্ষেত্রে ঘুষ-দুর্নীতি কঠোরভাবে বন্ধ করার মাধ্যমে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও ট্যাক্সিক্যাবের চলাচলের ক্ষেত্রে বিরাজমান নৈরাজ্য বন্ধ করা যেতে পারে। এটা করতে পারে কেবল সরকার। কিন্তু সরকারকে এ ব্যাপারে দায়িত্ব পালনে মোটেও আগ্রহী দেখা যায় না।
চিররঞ্জন সরকার: লেখক, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কর্মরত।
chiroranjan@gmail.com
রাজধানীতে যাদের নিজস্ব গাড়ি নেই, বাস-মিনিবাসে ওঠার মতো অভ্যাস, শারীরিক সামর্থ্য ও ধৈর্য নেই, তাদের বাধ্য হয়েই সিএনজিচালিত অটোরিকশা বা ট্যাক্সিক্যাব ব্যবহার করতে হয়। আর এসবের ওপর নির্ভর করাটা যে কতটা বিড়ম্বনার ব্যাপার, তা ভাষায় বর্ণনা করা যাবে না। প্রয়োজনে আপনি ঢাকা শহরে যানবাহন পাবেন না। মধ্যবিত্তরা দীর্ঘদিন রিকশানির্ভর ছিল। কিন্তু রাজধানীর ভিআইপি সড়কসহ বিভিন্ন সড়কে রিকশা তুলে দেওয়ায় পরিস্থিতি বদলে যায়। ঢাকা শহরে সিএনজি বা ট্যাক্সিক্যাবে চলাচল করাটা যে কতটা বিড়ম্বনার ব্যাপার, তা কেবল ভুক্তভোগীরাই জানে।
এমনিতেই আমাদের দেশের মানুষের অন্তঃকরণ-জুড়ে কেবলই ক্ষোভ-বঞ্চনা, না পাওয়ার বেদনা, জীবনের হিসাব মেলাতে না পারার একটা টানাটানি, অসহিষ্ণু পরিস্থিতি। সীমিত আয় দিয়ে সংসারজীবনের সবকিছু সামলাতে গিয়ে চিড়েচ্যাপ্টা অবস্থা। ঘর-কর্মক্ষেত্র কোথাও মানুষের শান্তি-স্বস্তি নেই। এমন পরিস্থিতিতে যখন রাস্তায় বের হয়ে প্রতি পদে ভোগান্তি, হয়রানি পোহাতে হয়, এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যেতে যদি যুগপৎ প্রত্যাখ্যান, অপমান আর আর্থিক দণ্ড ভোগ করতে হয়, তখন সত্যিই নিজেকে খুবই তুচ্ছ, অসহায় মনে হয়। ধিক্কার দিতে ইচ্ছা হয়, সবকিছু ভেঙে ফেলতে ইচ্ছা করে! এই কি মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকা? এর চেয়ে অধম জীবন আর হতে পারে?
সিএনজি বা ট্যাক্সিক্যাব নিয়ে যাত্রীদের সেই ১০ বছর আগে থেকেই সমস্যা। ২০০১ সালে তদানীন্তন সরকার টু-স্ট্রোক বেবিট্যাক্সির জায়গায় যখন থ্রি-স্ট্রোক সিএনজি চালু করল, তখন আমাদের মতো রাজধানীর নাগরিকেরা বেশ খুশি হয়েছিল। স্বস্তি পেয়েছিল। সঙ্গে এল ট্যাক্সিক্যাব। বেশ কয়েকটি কোম্পানি নিয়ে এল শত শত ট্যাক্সিক্যাব। হলুদ, কালো গাড়ি। সিএনজি ও ট্যাক্সিক্যাব মিটারে ভাড়া নেবে, সরকার তা বাধ্যতামূলক করল। যাত্রীরা যে গন্তব্যে যেতে চায়, সেখানেই ভাড়ার গাড়ি যাবে—সরকার নির্দেশ দিল। চালকদের পরতে হবে ইউনিফর্ম। চালকদের ছবি, নাম ও গাড়ির বিস্তারিত বিবরণ-সংবলিত কাগজপত্র রাখতে হবে গাড়িতে—এমন জায়গায় রাখতে হবে, যাত্রীরা যেন দেখতে পায়। গাড়ির গায়ে পুলিশের বেশ কয়েকটি টেলিফোন নম্বর। সেই টেলিফোন নম্বরে যাত্রীরা অভিযোগ করতে পারবে। একেবারে আদর্শ এক পরিবহন নিয়মনীতি। সরকার বাহবা পেল। যদিও সিএনজি বা ট্যাক্সিক্যাব-সংক্রান্ত ‘আদর্শ’ সেই ব্যবস্থা ভেঙে পড়তে বেশি দিন লাগল না। শুরুতেই গন্ডগোল। সিএনজিতে ভাড়ার মিটার চালু হলো বটে। তবে যাত্রীরা এই ব্যবস্থার সুবিধা তেমন পেল না। বিশেষ করে, সিএনজির চালকেরা প্রায় প্রথম থেকেই মিটারের অতিরিক্ত ভাড়া দাবি করলেন। আরেকটি বিরক্তিকর কাজ তাঁরা করলেন—যাত্রী যেখানে যাবে, সেখানে তাঁরা যাবেন না। যে গন্তব্য নিজের পছন্দ, চালক সেখানে যাবেন—অন্য কোথাও না। চালকেরা ইউনিফর্ম পরলেন। গাড়ির গায়ে বড় করে অভিযোগের টেলিফোন নম্বর শোভা পেল। দুঃখের বিষয়, দুটো মূল সমস্যার কোনো সমাধান হলো না। যাত্রীর গন্তব্যে চালকেরা যাবেন না, আর মিটারের অতিরিক্ত ভাড়া দাবি। বিশেষ করে, দুই মাইলের গন্তব্যে সিএনজি কখনোই মিটারের ভাড়ায় চলেনি। এখনো চলে না।
বেশি ভাড়া কেন আদায় করেন, এ ব্যাপারে সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালকদের জিজ্ঞেস করলেই তাঁরা বলেন, ‘কাগজে-কলমে ৬৫০ টাকা দেওয়ার কথা থাকলেও মালিককে দিনান্তে জমা দিতে হয় হাজার টাকা। বিভিন্ন অজুহাতে ট্রাফিক বিভাগের কর্মকর্তাদের জন্য গুনতে হয় গড়ে প্রায় ১০০ টাকা। এ ছাড়া তেল-গ্যাস-রক্ষণাবেক্ষণ, গ্যারেজ ভাড়া বাবদ ব্যয় করতে হয় দৈনিক প্রায় হাজার-দেড় হাজার টাকা। ঢাকা শহরে যে যানজট, তাতে করে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা দৈনিক কতটুকুই বা চলতে পারে, কজন যাত্রী বহন করতে পারে? কাজেই আমাদের বাড়তি আদায় না করে উপায় কী?’
মালিকদের সঙ্গে কথা বললে তাঁরা বলেন, ‘একটি সিএনজির দাম প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা। রাস্তায় চলাচলের জন্য এক বছরের কাগজপত্র তৈরি করতে ব্যয় হয় প্রায় সাত হাজার টাকা। অথচ এসব কাগজপত্র মাত্র দুই হাজার টাকায় পাওয়ার কথা। এ ক্ষেত্রে বিআরটিএ নামের সরকারি সংস্থাটির কর্মকর্তারা প্রতিটি সিএনজির এক বছরের কাগজপত্রের জন্য প্রায় পাঁচ হাজার টাকা ঘুষ নেন। আর ১০ বছর পর এই সিএনজিগুলো স্রেফ ফেলে দিতে হবে। লাখ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে যদি কোনো লাভই না হয়, তাহলে আমরা কী করব?’
ওদিকে ট্রাফিক বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বললে তাঁরা বলেন, ‘সবকিছুই তো ঠিকঠাক মতো চলছে। আমাদের কাছে অভিযোগ এলে তো আমরা ঠিকই চালকদের মিটারে যেতে বাধ্য করি। আর মালিকদের তো ৬৫০ টাকাই জমা দেওয়ার কথা। এর বেশি যদি কেউ দিয়ে থাকে, এর জন্য আর আমরা কী করতে পারি?’
দেখা যাচ্ছে, সবাই নিজের পক্ষে অকাট্য যুক্তি হাজির করছেন। এতে করে ভোগান্তিটা পোহাতে হচ্ছে কেবল যাত্রীদের। অথচ এ ব্যাপারে যাবতীয় দায়িত্ব সরকারের পালন করার কথা। মালিকদের জন্য একটি যৌক্তিক জমার পরিমাণ ঠিক করে দেওয়া, সেটা গ্রহণে তাদের বাধ্য করা, চালকদের যেকোনো গন্তব্যে মিটারে যেতে বাধ্য করা, সিএনজি আমদানি, লাইসেন্স থেকে শুরু করে বিভিন্ন পর্যায়ে যেসব ছাড়পত্র প্রয়োজন হয়, সেসব ক্ষেত্রে ঘুষ-দুর্নীতি কঠোরভাবে বন্ধ করার মাধ্যমে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও ট্যাক্সিক্যাবের চলাচলের ক্ষেত্রে বিরাজমান নৈরাজ্য বন্ধ করা যেতে পারে। এটা করতে পারে কেবল সরকার। কিন্তু সরকারকে এ ব্যাপারে দায়িত্ব পালনে মোটেও আগ্রহী দেখা যায় না।
চিররঞ্জন সরকার: লেখক, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কর্মরত।
chiroranjan@gmail.com
No comments