ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে দখলদারমুক্ত করুন-অপ্রতিরোধ্য ছাত্রলীগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাসে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে অপদস্থ হয়েছেন এক প্রাধ্যক্ষ। আরেক ছাত্রাবাসে তদারকি করতে গিয়ে প্রাধ্যক্ষ অপদস্থ, কারণ তিনি ছাত্রলীগের নেতার অনুমতি নেননি। আরেকটি হলে ছাত্রত্ব শেষ হয়ে যাওয়ার পরও হলে অবস্থানরত ছাত্রলীগ নেতাদের বের করে দিতে গেলে তিন শিক্ষককে লাঞ্ছিত করেছে তারা।
ঘটনার শেষ নেই, ছাত্রলীগের দাপটেরও যেন সীমা নেই। প্রাধ্যক্ষদের একজন পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন, অন্যরা দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হচ্ছেন। এককথায়, গত রোববারের প্রথম আলোর দুটি সংবাদই বলে দিচ্ছে—ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের কড়া ‘শাসনে’ হল প্রশাসন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোয় এখন কে কোন কক্ষে থাকবেন কি থাকবেন না, কে কী করতে পারবেন এবং পারবেন না—সব ঠিক করে দিচ্ছে ছাত্রলীগ। দখলদারি এতটাই ব্যাপক যে, শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিস্বাধীনতা ও মত প্রকাশ তো দূরের কথা, খোদ শিক্ষকেরাই বিপর্যস্ত ও ভয়ার্ত। ক্ষমতার উৎস যখন রাজনৈতিক পরিচয় ও ক্ষমতাসীন সংগঠন, তখন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ভূমিকা দাঁড়ায় যাত্রাপালার বিবেকের, যিনি ভালো কথা বলবেন কিন্তু অন্যায় ঠেকাতে হস্তক্ষেপ করার ক্ষমতা রাখবেন না।
শিক্ষার্থীরা কোনো অন্যায় করলে এর প্রতিকারের দায়িত্ব প্রশাসনের, ছাত্রাবাসে অনিয়ম-সন্ত্রাস ঘটলে এর উচিত বিহিতের দায়িত্ব হল প্রশাসন তথা প্রাধ্যক্ষের ওপরই বর্তায়। তাঁরা ব্যর্থ হলে দায়িত্ব চলে যায় উপাচার্যের কাছে। তিনিও যদি ব্যর্থ হন, তাহলে আচার্য হিসেবে স্বয়ং রাষ্ট্রপতিকে হস্তক্ষেপ করতে হয়। অন্যায় যে হচ্ছে, প্রশাসন যে ব্যর্থ হচ্ছে, তা স্পষ্টতই দেখা যাচ্ছে। উপাচার্যও বলেছেন, ‘হলগুলোর যেকোনো কর্মকাণ্ড পরিচালিত হবে কর্তৃপক্ষের নির্দেশে। এ ক্ষেত্রে ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মীদের ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’ তা-ই যদি হবে, তাহলে সন্ত্রাসীরা ছাড় পাচ্ছে কীভাবে? কোন ক্ষমতাবলে ছাত্রলীগ ‘কড়া’ শাসন করতে পারে এবং কার ভয়ে প্রশাসন গুটিয়ে থাকে?
বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রসংগঠনের দখলদারি থাকবে না, এমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল আওয়ামী লীগ তথা মহাজোট সরকার। কিন্তু সরকারের প্রথম দুই বছরে শিক্ষাঙ্গনের এই অভিশাপ তো দূর হয়ইনি, উপরন্তু আরও জেঁকে বসেছে। এই দখলদারির মধ্যে ছাত্রাবাসগুলো পরিণত হয়েছে ছাত্রলীগের পরিচালিত খোঁয়াড়ে। খোঁয়াড়বাসীদের মুক্ত করার দায়িত্ব এখন তাই সরকারের। মাননীয় উপাচার্য ও শিক্ষকসমাজ যদি সবল ভূমিকা পালন করতে না পারেন, এর ব্যর্থতা তাঁদেরই। আশা করি, প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি দেখবেন। আমরা শিক্ষাঙ্গনে সত্যিকার দিনবদল চাই, দখলদারির পালাবদল চাই না।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোয় এখন কে কোন কক্ষে থাকবেন কি থাকবেন না, কে কী করতে পারবেন এবং পারবেন না—সব ঠিক করে দিচ্ছে ছাত্রলীগ। দখলদারি এতটাই ব্যাপক যে, শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিস্বাধীনতা ও মত প্রকাশ তো দূরের কথা, খোদ শিক্ষকেরাই বিপর্যস্ত ও ভয়ার্ত। ক্ষমতার উৎস যখন রাজনৈতিক পরিচয় ও ক্ষমতাসীন সংগঠন, তখন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ভূমিকা দাঁড়ায় যাত্রাপালার বিবেকের, যিনি ভালো কথা বলবেন কিন্তু অন্যায় ঠেকাতে হস্তক্ষেপ করার ক্ষমতা রাখবেন না।
শিক্ষার্থীরা কোনো অন্যায় করলে এর প্রতিকারের দায়িত্ব প্রশাসনের, ছাত্রাবাসে অনিয়ম-সন্ত্রাস ঘটলে এর উচিত বিহিতের দায়িত্ব হল প্রশাসন তথা প্রাধ্যক্ষের ওপরই বর্তায়। তাঁরা ব্যর্থ হলে দায়িত্ব চলে যায় উপাচার্যের কাছে। তিনিও যদি ব্যর্থ হন, তাহলে আচার্য হিসেবে স্বয়ং রাষ্ট্রপতিকে হস্তক্ষেপ করতে হয়। অন্যায় যে হচ্ছে, প্রশাসন যে ব্যর্থ হচ্ছে, তা স্পষ্টতই দেখা যাচ্ছে। উপাচার্যও বলেছেন, ‘হলগুলোর যেকোনো কর্মকাণ্ড পরিচালিত হবে কর্তৃপক্ষের নির্দেশে। এ ক্ষেত্রে ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মীদের ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’ তা-ই যদি হবে, তাহলে সন্ত্রাসীরা ছাড় পাচ্ছে কীভাবে? কোন ক্ষমতাবলে ছাত্রলীগ ‘কড়া’ শাসন করতে পারে এবং কার ভয়ে প্রশাসন গুটিয়ে থাকে?
বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রসংগঠনের দখলদারি থাকবে না, এমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল আওয়ামী লীগ তথা মহাজোট সরকার। কিন্তু সরকারের প্রথম দুই বছরে শিক্ষাঙ্গনের এই অভিশাপ তো দূর হয়ইনি, উপরন্তু আরও জেঁকে বসেছে। এই দখলদারির মধ্যে ছাত্রাবাসগুলো পরিণত হয়েছে ছাত্রলীগের পরিচালিত খোঁয়াড়ে। খোঁয়াড়বাসীদের মুক্ত করার দায়িত্ব এখন তাই সরকারের। মাননীয় উপাচার্য ও শিক্ষকসমাজ যদি সবল ভূমিকা পালন করতে না পারেন, এর ব্যর্থতা তাঁদেরই। আশা করি, প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি দেখবেন। আমরা শিক্ষাঙ্গনে সত্যিকার দিনবদল চাই, দখলদারির পালাবদল চাই না।
No comments