ভূত তাড়ানোর সরিষায় ভূতের আলামত!-দুদক কর্মকর্তার ‘দুর্নীতি’
দুর্নীতি ‘দমন’ করতে গিয়ে দুর্নীতি! একসময় দেশে দুর্নীতি দমন ব্যুরো নামে যে প্রতিষ্ঠানটি ছিল, জনমনে এই প্রতিষ্ঠানটি অন্যতম দুর্নীতিগ্রস্ত হিসেবে বিবেচিত ছিল। ‘ব্যুরো’র যুগ আমরা পার হয়ে এসেছি। নতুন ভাবমূর্তি নিয়ে আমাদের সামনে এসেছে দুর্নীতি দমন কমিশন।
কিন্তু ভূত তাড়ানোর সরিষার মধ্যে ভূতের আলামত আবারও লক্ষ করা যাচ্ছে। ঘুষের ১০ লাখ টাকাসহ আটক হয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এক কর্মকর্তা। দুদকের ভাবমূর্তির জন্য এটা এক বড় ধাক্কা। তবে ঘটনাটি উদ্ঘাটিত হওয়ার বিষয়টিকে আমরা ইতিবাচক হিসেবে দেখতে চাই। বিষয়টি একটি শিক্ষা হিসেবে কাজ করতে পারে।
চট্টগ্রাম দুদকের উপপরিচালক এম এম শাব্বির হাসানকে ঘুষের ১০ লাখ টাকসহ হাতেনাতে গ্রেপ্তারের খবর প্রকাশিত হয়েছে গণমাধ্যমে। দুদকের এই পরিচালক একটি পোশাক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইন ভঙ্গের অভিযোগ এনে ৫০ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন বলে জানা গেছে। পরে ৩০ লাখ টাকায় রফা হয়। এই ঘুষের টাকার প্রথম কিস্তি গ্রহণ করার পরই হাতেনাতে ধরা পড়েন এই দুদক কর্মকর্তা। তবে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বিষয়টিকে ষড়যন্ত্র বলে উল্লেখ করেছেন। একজন দুদক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কেন কেউ ‘ষড়যন্ত্র’ করতে যাবেন, সেটা এখন এক বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর তিনি ধরা পড়েছেন হাতেনাতে, টাকা গ্রহণ করার সময়। র্যাব সূত্রে জানা যাচ্ছে যে, পোশাকশিল্প প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ঘুষ দাবি করার বিষয়টি মালিকদের পক্ষ থেকে আগেই জানানো হয়েছিল। সুতরাং, সাধারণ বিবেচনায় ‘ষড়যন্ত্রের’ অভিযোগ মেনে নেওয়া কঠিন।
আটক দুদক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি ও দুদক আইনে মামলা হয়েছে। আইন নিজস্ব গতিতে চলুক, কিন্তু দুদকের ভাবমূর্তি ও গ্রহণযোগ্যতার স্বার্থে নিজস্ব তদন্তও জরুরি। বিভিন্ন সময়ে প্রাতিষ্ঠানিক তদন্তের ক্ষেত্রে অনেক সময় প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি রক্ষার নামে নিজেদের লোকদের রক্ষার চেষ্টা করা হয়েছে। দুদকের ক্ষেত্রে তেমন কিছু ঘটলে তা হবে আত্মঘাতী। বরং যথাযথ তদন্ত এবং তদন্তে কেউ দোষী প্রমাণিত হলে তাঁর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারলেই প্রতিষ্ঠানটি ভাবমূর্তি রক্ষা করতে পারবে।
আমরা আশা করব, একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে দুর্নীতি দমন কমিশন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগ যথাযথ তদন্তের উদ্যোগ নেবে। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানের অন্য কর্মকর্তাদের কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ এবং তাঁদের ওপর নজরদারি অব্যাহত রাখা প্রয়োজন। কোনো এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ বা কোনো কর্মকর্তার অপকর্মে প্রতিষ্ঠানটির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হোক, তা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
চট্টগ্রাম দুদকের উপপরিচালক এম এম শাব্বির হাসানকে ঘুষের ১০ লাখ টাকসহ হাতেনাতে গ্রেপ্তারের খবর প্রকাশিত হয়েছে গণমাধ্যমে। দুদকের এই পরিচালক একটি পোশাক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইন ভঙ্গের অভিযোগ এনে ৫০ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন বলে জানা গেছে। পরে ৩০ লাখ টাকায় রফা হয়। এই ঘুষের টাকার প্রথম কিস্তি গ্রহণ করার পরই হাতেনাতে ধরা পড়েন এই দুদক কর্মকর্তা। তবে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বিষয়টিকে ষড়যন্ত্র বলে উল্লেখ করেছেন। একজন দুদক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কেন কেউ ‘ষড়যন্ত্র’ করতে যাবেন, সেটা এখন এক বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর তিনি ধরা পড়েছেন হাতেনাতে, টাকা গ্রহণ করার সময়। র্যাব সূত্রে জানা যাচ্ছে যে, পোশাকশিল্প প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ঘুষ দাবি করার বিষয়টি মালিকদের পক্ষ থেকে আগেই জানানো হয়েছিল। সুতরাং, সাধারণ বিবেচনায় ‘ষড়যন্ত্রের’ অভিযোগ মেনে নেওয়া কঠিন।
আটক দুদক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি ও দুদক আইনে মামলা হয়েছে। আইন নিজস্ব গতিতে চলুক, কিন্তু দুদকের ভাবমূর্তি ও গ্রহণযোগ্যতার স্বার্থে নিজস্ব তদন্তও জরুরি। বিভিন্ন সময়ে প্রাতিষ্ঠানিক তদন্তের ক্ষেত্রে অনেক সময় প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি রক্ষার নামে নিজেদের লোকদের রক্ষার চেষ্টা করা হয়েছে। দুদকের ক্ষেত্রে তেমন কিছু ঘটলে তা হবে আত্মঘাতী। বরং যথাযথ তদন্ত এবং তদন্তে কেউ দোষী প্রমাণিত হলে তাঁর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারলেই প্রতিষ্ঠানটি ভাবমূর্তি রক্ষা করতে পারবে।
আমরা আশা করব, একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে দুর্নীতি দমন কমিশন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগ যথাযথ তদন্তের উদ্যোগ নেবে। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানের অন্য কর্মকর্তাদের কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ এবং তাঁদের ওপর নজরদারি অব্যাহত রাখা প্রয়োজন। কোনো এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ বা কোনো কর্মকর্তার অপকর্মে প্রতিষ্ঠানটির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হোক, তা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
No comments