বাংলাবান্ধার বন্ধন সুদৃঢ় হোক-দ্বিপক্ষীয় স্থলবন্দর উদ্বোধন
আঞ্চলিক বা উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতার দিক উন্মোচনে বাংলাবান্ধা হতে পারে মাইলফলক। বাংলাবান্ধার ওপারে ভারতীয় ভূখণ্ডের নাম ফুলবাড়ী। এলাকাটির এমন এক কৌশলগত অবস্থান, যা শুধু দুই প্রতিবেশীকেই নয়, একসঙ্গে চার প্রতিবেশীকে বাঁধতে পারে।
শনিবার সবুজ পতাকা উড়িয়ে ভারতের অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখার্জি ও বাংলাদেশের কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী এই স্থলবন্দর উদ্বোধন করেন। তবে ঘটনাটি পূর্ণতা পেত যদি সেখানে নেপাল ও ভুটানের মন্ত্রীরাও হাজির থাকতেন। ভারতীয় ভূখণ্ড দিয়ে নেপালের কাকরভিটার সঙ্গে বাংলাবান্ধার ট্রানজিট চালু হয়েছিল ১৯৯৭ সালে। বাংলাদেশ ও নেপালের বাণিজ্যমন্ত্রীরা ওই সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু নানা কারণে সেই উদ্যোগ ভেস্তে যায়।
অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে এই চার প্রতিবেশীর মধ্যে যত বেশি মাত্রায় সম্পর্ক স্থাপন ও তার বিকাশ ঘটানো সম্ভব হবে, ততই পারস্পরিক সম্পর্ক জোরদার হবে। ঢাকায় বিমসটেক সচিবালয় প্রতিষ্ঠার ঘোষণা এবং চতুর্দেশীয় বাণিজ্য মিলনস্থলের উদ্বোধন একই সূত্রে গাঁথা। এর আগে যখন এই গুরুত্বপূর্ণ স্থলবন্দরটি চালু করা হয়েছিল, তখন চুক্তি ছিল না। বাংলাবান্ধা এক সুতোয় সরাসরি বাঁধতে পারে তিনটি দেশকে—ভারত, নেপাল ও ভুটান। ২০১০ সালে দিল্লিতে শেখ হাসিনা-মনমোহনের যৌথ ইশতেহারে এই আন্তদেশীয় বাণিজ্য-সংযোগ কার্যকরভাবে চালুর অঙ্গীকার করা হয়েছিল। তাই সর্বোচ্চ রাজনৈতিক সদিচ্ছা যদি থাকে, তাহলে বাংলাবান্ধার বিকশিত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক।
সার্কের ইউরোপীয় ইউনিয়ন হয়ে ওঠা আমাদের লক্ষ্য। কিন্তু সেই পথে যেতে হলে অনেকগুলো ধাপ পেরোতে হবে। চতুর্দেশীয় বাণিজ্যবন্ধনকে যথাসম্ভব ব্যাপকতা দেওয়া সম্ভব হলে আমরা সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব। ভারত আগামী ছয় মাসের মধ্যে ফুলবাড়ীতে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ করে যাত্রী চলাচলের ব্যবস্থা করার আশ্বাস দিয়েছে। এই আশ্বাস বাংলাদেশের মানুষের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, বাংলাবান্ধায় অভিবাসনসংক্রান্ত প্রয়োজনীয় অবকাঠামো বিদ্যমান। দার্জিলিংয়ে অনেক বাংলাদেশি ছাত্রছাত্রী অধ্যয়ন করে। বাংলাবান্ধা ব্যবহার করতে পারলে তাদের যাতায়াত সহজ ও সাশ্রয়ী হবে। অন্যদিকে দার্জিলিং ও নেপালে প্রতিবছর ৪০ থেকে ৫০ হাজার পর্যটক যান। বাংলাবান্ধা দিয়ে যাতায়াতের সুযোগ থাকলে বাংলাদেশকে তাঁরা ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহারে আগ্রহী হবেন। এ জন্য ঢাকা-শিলিগুড়ি বিমান রুট থাকা দরকার।
বর্তমানে এই বন্দর দিয়ে তালিকাভুক্ত ভারতীয় পণ্য আমদানিতে বিধিনিষেধ আছে। বাংলাদেশের পণ্য যেতে পারে, কিন্তু ভারত থেকে পাথর ছাড়া অন্য কিছু আসতে পারে না। বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের দাবির সঙ্গে আমরাও সহমত পোষণ করি যে, এ বন্দর দিয়ে সব ধরনের পণ্য আমদানি-রপ্তানির সুযোগ থাকতে হবে। অন্যথায়, যে উদ্দেশ্যে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর উদ্বোধন করা হয়েছে, তা সফল হবে না। আমরা চাই আঞ্চলিক বাণিজ্যিক সহযোগিতার মেলবন্ধন, যাতে কোন দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে না, বরং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথে একে অপরের সহায়ক হবে। বাংলাবান্ধার বন্ধন সুদৃঢ় হোক।
অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে এই চার প্রতিবেশীর মধ্যে যত বেশি মাত্রায় সম্পর্ক স্থাপন ও তার বিকাশ ঘটানো সম্ভব হবে, ততই পারস্পরিক সম্পর্ক জোরদার হবে। ঢাকায় বিমসটেক সচিবালয় প্রতিষ্ঠার ঘোষণা এবং চতুর্দেশীয় বাণিজ্য মিলনস্থলের উদ্বোধন একই সূত্রে গাঁথা। এর আগে যখন এই গুরুত্বপূর্ণ স্থলবন্দরটি চালু করা হয়েছিল, তখন চুক্তি ছিল না। বাংলাবান্ধা এক সুতোয় সরাসরি বাঁধতে পারে তিনটি দেশকে—ভারত, নেপাল ও ভুটান। ২০১০ সালে দিল্লিতে শেখ হাসিনা-মনমোহনের যৌথ ইশতেহারে এই আন্তদেশীয় বাণিজ্য-সংযোগ কার্যকরভাবে চালুর অঙ্গীকার করা হয়েছিল। তাই সর্বোচ্চ রাজনৈতিক সদিচ্ছা যদি থাকে, তাহলে বাংলাবান্ধার বিকশিত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক।
সার্কের ইউরোপীয় ইউনিয়ন হয়ে ওঠা আমাদের লক্ষ্য। কিন্তু সেই পথে যেতে হলে অনেকগুলো ধাপ পেরোতে হবে। চতুর্দেশীয় বাণিজ্যবন্ধনকে যথাসম্ভব ব্যাপকতা দেওয়া সম্ভব হলে আমরা সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব। ভারত আগামী ছয় মাসের মধ্যে ফুলবাড়ীতে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ করে যাত্রী চলাচলের ব্যবস্থা করার আশ্বাস দিয়েছে। এই আশ্বাস বাংলাদেশের মানুষের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, বাংলাবান্ধায় অভিবাসনসংক্রান্ত প্রয়োজনীয় অবকাঠামো বিদ্যমান। দার্জিলিংয়ে অনেক বাংলাদেশি ছাত্রছাত্রী অধ্যয়ন করে। বাংলাবান্ধা ব্যবহার করতে পারলে তাদের যাতায়াত সহজ ও সাশ্রয়ী হবে। অন্যদিকে দার্জিলিং ও নেপালে প্রতিবছর ৪০ থেকে ৫০ হাজার পর্যটক যান। বাংলাবান্ধা দিয়ে যাতায়াতের সুযোগ থাকলে বাংলাদেশকে তাঁরা ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহারে আগ্রহী হবেন। এ জন্য ঢাকা-শিলিগুড়ি বিমান রুট থাকা দরকার।
বর্তমানে এই বন্দর দিয়ে তালিকাভুক্ত ভারতীয় পণ্য আমদানিতে বিধিনিষেধ আছে। বাংলাদেশের পণ্য যেতে পারে, কিন্তু ভারত থেকে পাথর ছাড়া অন্য কিছু আসতে পারে না। বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের দাবির সঙ্গে আমরাও সহমত পোষণ করি যে, এ বন্দর দিয়ে সব ধরনের পণ্য আমদানি-রপ্তানির সুযোগ থাকতে হবে। অন্যথায়, যে উদ্দেশ্যে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর উদ্বোধন করা হয়েছে, তা সফল হবে না। আমরা চাই আঞ্চলিক বাণিজ্যিক সহযোগিতার মেলবন্ধন, যাতে কোন দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে না, বরং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথে একে অপরের সহায়ক হবে। বাংলাবান্ধার বন্ধন সুদৃঢ় হোক।
No comments