আরও বড় স্বপ্নের সামনে by তারেক মাহমুদ
মাথায় লাল-সবুজ পার্টি হ্যাট। ভালোবাসার আবেগে কোনো এক দর্শক তুলে দিয়েছিলেন হাতে। ম্যাচ শেষের সংবাদ সম্মেলনেই সাকিব আল হাসান নিজ হাতে সেটা পরিয়ে দিলেন তামিম ইকবালের মাথায়। জন্মদিনের উপহার! না, কেক কাটার পর সেটা ফিরিয়ে নিলেন সাকিব। বললেন, ‘ভালোবাসার চেয়ে বড় উপহার আর কী আছে!’
বাংলাদেশ দল এখন দুই হাত ভরে ভালোবাসা পাচ্ছে। যে ভালোবাসা জানাতে প্রেসিডেন্ট বক্স থেকে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নেমে আসেন মাঠে। যে ভালোবাসা জানাতে ইট-পাথরের ঢাকা উল্লাসে জেগে থাকে রাতভর। সাকিবও সংবাদ সম্মেলনে একবার বললেন, ‘দর্শক-সমর্থকেরা আমাদের যে ভালোবাসা আর সমর্থন দিচ্ছে, সেটা যেন সব সময় থাকে।’
মাঠ থেকে ফিরে দুষ্টুমিতে ড্রেসিংরুম মাতিয়ে তুলেছিলেন মাশরাফি। ‘আমরা করব জয়’ সমবেত সংগীত হলো। মাঝখানে জয়ের তিন নায়ক সাকিব-তামিম-নাজমুল। সংবাদ সম্মেলনে নাজমুল না এসেও ভালোভাবেই থাকলেন। তিন উইকেট নিয়ে এই পেসারই তো শ্রীলঙ্কার মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়েছিলেন! ম্যাচ জেতানোর নায়ক নাজমুল তারও আগে থেকে। ‘নাজমুল ভাই দলে থাকলেই আমরা ম্যাচ জিতি। আজ (গতকাল) যখন শুনলাম উনি দলে আছেন, তখনই বলেছি আমরা জিতব।’ হাস্যমুখর সাকিব।
সাকিব কথাটা বলেছেন একটা বিশ্বাস থেকে। কাল শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠার সাফল্য দিল সে রকমই আরেকটা বিশ্বাস। বলা ভালো, পুরোনো বিশ্বাসটাকে জোরালো করল আরও—নিজেদের খেলাটা খেলতে পারলে বাংলাদেশ দল অসাধ্য সাধন করতে পারে। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নও তখন তুচ্ছ।
তবে ফাইনালের চৌকাঠ পেরোনো দলের দায়িত্বও বাড়িয়ে দিয়েছে অনেক। এমন স্বপ্নময় রাতেও তামিম ইকবাল তাই সজাগ, ‘এটা বিরাট অর্জন। বলতে পারেন আমাদের সবচেয়ে বড় অর্জন। তবে আমাদের যে আরেকটা ম্যাচ খেলতে হবে, সেটা সবার মাথায়ই আছে।’ ভারতের পর শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েও ম্যান অব দ্য ম্যাচ সাকিব। পাশেই বসা বাংলাদেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় এই তারকাকে দেখিয়ে তামিম বললেন, ‘আমার পাশে যে বসে আছে, সে-ই ম্যাচটা বদলে দিয়েছে। বিশ্বাস ছিল, ও তার খেলাটা খেলতে পারলে আমরা জিতব। ব্যাটিংয়ের সময় এমনিতে সাকিব কম কথা বললেও আজ (গতকাল) আমাকে অনেক ইতিবাচক কথা বলেছে।’
এশিয়া কাপে বাংলাদেশ দলকে যে উজ্জ্বল চেহারায় দেখা যাচ্ছে, সাকিব-তামিম দুজনই সেটার কৃতিত্ব দিলেন সদ্য শেষ হওয়া বিপিএলকে। অনেক বড় বড় খেলোয়াড়ের সঙ্গে মেশা গেছে এই টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে। তাঁদের সঙ্গ ইতিবাচক মানসিকতার বীজ বুনে দিয়েছে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে। কিন্তু বিপিএল আর এশিয়া কাপের মাঝের সময়টায় দল নির্বাচন নিয়ে যে নাটক হলো, তামিমকে কতটা স্বস্তিতে রেখেছিল সেটা? ক্রিকেটার, এই নাটক তাই মেনেই নিয়েছেন তামিম, ‘ক্রিকেটারের জীবনে এ রকম হয়ই। আমার কাজ হলো এসব নিয়ে চিন্তা না করা। তার পরও চিন্তা কিছু করেছি। চেষ্টা করেছি সব ভুলে থাকতে। আল্লাহ ইজ্জত রেখেছেন।’
আবেগ প্রকাশে সাকিব বরাবরই মিতব্যয়ী। কাল ব্যতিক্রম ঘটল। ল্যাপ অব অনার, পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান, সংবাদ সম্মেলন—সব জায়গাতেই সাকিব যেন আবেগে ভেসে যাওয়া এক তরুণ। বলে বোঝাতে পারছিলেন না এমন জয়ের পর কেমন লাগছিল, ‘বুঝতে পারছি না আমার কেমন লাগছে। হয়তো সতীর্থদের সঙ্গে কথা বললে বুঝতে পারব। তবে আমার খুবই ভালো লাগছে। খুব খুশি, কারণ এ ধরনের অর্জন সচরাচর আসে না।’
আউট হয়ে ড্রেসিংরুমে ফেরার পর মুশফিক সাকিবের কাছে জানতে চেয়েছিলেন, ‘কী হবে এখন?’ উত্তর দিতে পারেননি সাকিব। তবে একটু পরই পেয়ে গেছেন উত্তরটা, ‘আর ১০-১৫ রান হয়ে যাওয়ার পরই বুঝতে পারি, আজ (গতকাল) হয়ে যাবে। নাসিরের পারফরম্যান্সটা গুরুত্বপূর্ণ। রিয়াদ ভাইয়ের (মাহমুদউল্লাহ) কাছে রান পাওনা ছিল। তিনিও তাঁর কাজটা ভালোভাবে করেছেন।’
এশিয়া কাপে ভালো না খেলার অপবাদ সইতে হয়েছে এতদিন বাংলাদেশকে। এখন আর সে সুযোগ নেই। আজ বাদে কাল ফাইনাল এবং তাতে বাংলাদেশও আছে। কে জানে, ফাইনালটা আরও বড় কোনো উপলক্ষের মঞ্চই হয় কি না! সাকিব আশাবাদী, ‘কোনো কিছুই অসম্ভব নয়। যেভাবে আমরা খেলছি, বিশ্বাস আছে ফাইনালেও আমরা ভালো খেলব। ফাইনালে জিতলে সেটাই হবে আমার জীবনের সেরা মুহূর্ত।’
শুভকামনা সাকিব ও তামিম! বাংলাদেশের ক্রিকেটের দুই রাজকুমার।
মাঠ থেকে ফিরে দুষ্টুমিতে ড্রেসিংরুম মাতিয়ে তুলেছিলেন মাশরাফি। ‘আমরা করব জয়’ সমবেত সংগীত হলো। মাঝখানে জয়ের তিন নায়ক সাকিব-তামিম-নাজমুল। সংবাদ সম্মেলনে নাজমুল না এসেও ভালোভাবেই থাকলেন। তিন উইকেট নিয়ে এই পেসারই তো শ্রীলঙ্কার মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়েছিলেন! ম্যাচ জেতানোর নায়ক নাজমুল তারও আগে থেকে। ‘নাজমুল ভাই দলে থাকলেই আমরা ম্যাচ জিতি। আজ (গতকাল) যখন শুনলাম উনি দলে আছেন, তখনই বলেছি আমরা জিতব।’ হাস্যমুখর সাকিব।
সাকিব কথাটা বলেছেন একটা বিশ্বাস থেকে। কাল শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠার সাফল্য দিল সে রকমই আরেকটা বিশ্বাস। বলা ভালো, পুরোনো বিশ্বাসটাকে জোরালো করল আরও—নিজেদের খেলাটা খেলতে পারলে বাংলাদেশ দল অসাধ্য সাধন করতে পারে। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নও তখন তুচ্ছ।
তবে ফাইনালের চৌকাঠ পেরোনো দলের দায়িত্বও বাড়িয়ে দিয়েছে অনেক। এমন স্বপ্নময় রাতেও তামিম ইকবাল তাই সজাগ, ‘এটা বিরাট অর্জন। বলতে পারেন আমাদের সবচেয়ে বড় অর্জন। তবে আমাদের যে আরেকটা ম্যাচ খেলতে হবে, সেটা সবার মাথায়ই আছে।’ ভারতের পর শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েও ম্যান অব দ্য ম্যাচ সাকিব। পাশেই বসা বাংলাদেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় এই তারকাকে দেখিয়ে তামিম বললেন, ‘আমার পাশে যে বসে আছে, সে-ই ম্যাচটা বদলে দিয়েছে। বিশ্বাস ছিল, ও তার খেলাটা খেলতে পারলে আমরা জিতব। ব্যাটিংয়ের সময় এমনিতে সাকিব কম কথা বললেও আজ (গতকাল) আমাকে অনেক ইতিবাচক কথা বলেছে।’
এশিয়া কাপে বাংলাদেশ দলকে যে উজ্জ্বল চেহারায় দেখা যাচ্ছে, সাকিব-তামিম দুজনই সেটার কৃতিত্ব দিলেন সদ্য শেষ হওয়া বিপিএলকে। অনেক বড় বড় খেলোয়াড়ের সঙ্গে মেশা গেছে এই টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে। তাঁদের সঙ্গ ইতিবাচক মানসিকতার বীজ বুনে দিয়েছে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে। কিন্তু বিপিএল আর এশিয়া কাপের মাঝের সময়টায় দল নির্বাচন নিয়ে যে নাটক হলো, তামিমকে কতটা স্বস্তিতে রেখেছিল সেটা? ক্রিকেটার, এই নাটক তাই মেনেই নিয়েছেন তামিম, ‘ক্রিকেটারের জীবনে এ রকম হয়ই। আমার কাজ হলো এসব নিয়ে চিন্তা না করা। তার পরও চিন্তা কিছু করেছি। চেষ্টা করেছি সব ভুলে থাকতে। আল্লাহ ইজ্জত রেখেছেন।’
আবেগ প্রকাশে সাকিব বরাবরই মিতব্যয়ী। কাল ব্যতিক্রম ঘটল। ল্যাপ অব অনার, পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান, সংবাদ সম্মেলন—সব জায়গাতেই সাকিব যেন আবেগে ভেসে যাওয়া এক তরুণ। বলে বোঝাতে পারছিলেন না এমন জয়ের পর কেমন লাগছিল, ‘বুঝতে পারছি না আমার কেমন লাগছে। হয়তো সতীর্থদের সঙ্গে কথা বললে বুঝতে পারব। তবে আমার খুবই ভালো লাগছে। খুব খুশি, কারণ এ ধরনের অর্জন সচরাচর আসে না।’
আউট হয়ে ড্রেসিংরুমে ফেরার পর মুশফিক সাকিবের কাছে জানতে চেয়েছিলেন, ‘কী হবে এখন?’ উত্তর দিতে পারেননি সাকিব। তবে একটু পরই পেয়ে গেছেন উত্তরটা, ‘আর ১০-১৫ রান হয়ে যাওয়ার পরই বুঝতে পারি, আজ (গতকাল) হয়ে যাবে। নাসিরের পারফরম্যান্সটা গুরুত্বপূর্ণ। রিয়াদ ভাইয়ের (মাহমুদউল্লাহ) কাছে রান পাওনা ছিল। তিনিও তাঁর কাজটা ভালোভাবে করেছেন।’
এশিয়া কাপে ভালো না খেলার অপবাদ সইতে হয়েছে এতদিন বাংলাদেশকে। এখন আর সে সুযোগ নেই। আজ বাদে কাল ফাইনাল এবং তাতে বাংলাদেশও আছে। কে জানে, ফাইনালটা আরও বড় কোনো উপলক্ষের মঞ্চই হয় কি না! সাকিব আশাবাদী, ‘কোনো কিছুই অসম্ভব নয়। যেভাবে আমরা খেলছি, বিশ্বাস আছে ফাইনালেও আমরা ভালো খেলব। ফাইনালে জিতলে সেটাই হবে আমার জীবনের সেরা মুহূর্ত।’
শুভকামনা সাকিব ও তামিম! বাংলাদেশের ক্রিকেটের দুই রাজকুমার।
No comments