সংসদে সংবিধান সংশোধনী বিল-আলোচনার পথ বন্ধ করবেন না
গত শনিবার আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ জাতীয় সংসদে সংবিধানের যে পঞ্চদশ সংশোধনী বিল উত্থাপন করেছেন, তা ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তাপ ছড়িয়েছে। প্রধান বিরোধী দল বিএনপি তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে। তারা এর প্রতিবাদে ২৮ জুন কঠোর কর্মসূচি নেবে বলে জানিয়েছে।
একমাত্র স্বতন্ত্র সাংসদ ফজলুল আজিম বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনা ছাড়া এ ধরনের বিল উত্থাপনের সমালোচনা করেছেন। গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নাগরিক সমাজও।
সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিল। এতে নানা দুর্বলতা সত্ত্বেও বাহাত্তরের সংবিধানের মৌলনীতির পুনঃপ্রতিষ্ঠার কথা রয়েছে, নির্বাচন কমিশন শক্তিশালী করা, অসাংবিধানিক উপায়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলকে রাষ্ট্রদ্রোহ হিসেবে চিহ্নিত করে বিচারের কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া সংশোধনীতে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে, যা বাহাত্তরের সংবিধানে ছিল না। এসব বিষয়ে সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে তেমন পার্থক্য নেই। কিন্তু সংশোধনীতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের যে প্রস্তাব করা হয়েছে, তা নিয়ে দুই পক্ষই এখন মুখোমুখি। সংসদে বিল উত্থাপনের আগে সরকার ও বিরোধী দল সংকট সমাধানে আলোচনার ওপর গুরুত্বারোপ করেছিল। আমরা মনে করি, আলোচনার সুযোগ এখনো শেষ হয়ে যায়নি।
সংবিধান অপরিবর্তনীয় বিষয় নয়। সময় ও জনগণের প্রয়োজনে যেকোনো সংবিধান সংশোধন করা যেতে পারে। তবে তা হওয়া উচিত ব্যাপক আলোচনা ও জনমত গ্রহণের ভিত্তিতে। এ ব্যাপারে তাড়াহুড়োর কিছু নেই। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বৈধতা নেই। এটি আংশিক সত্য। রায়ের অপরাংশে ‘ডকট্রিন অব নেসেসিটি’র কারণে আগামী দুটি নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক-ব্যবস্থার অধীনে করার কথাও বলা হয়েছে এবং সেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে সংসদকেই। সরকার ‘ডকট্রিন অব নেসেসিটি’ মানলে তত্ত্বাবধায়ক-ব্যবস্থা এখনই বাতিল করতে পারে না। আবার বিরোধী দল আদালতের রায় মানলে সংসদে এসে আলোচনা করতে হবে।
এখানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হলো, আগামী জাতীয় নির্বাচনটি কার অধীনে হবে? বিএনপি বলে দিয়েছে, তারা দলীয় সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে যাবে না, নির্বাচন করতেও দেবে না। এর পরিণাম কি সরকার ভেবে দেখেছে? তাদের কি ১৯৯৫-৯৬ সালের কথা স্মরণ নেই? অতীতে বিরোধী দলকে বাদ দিয়ে কোনো নির্বাচনই গ্রহণযোগ্যতা পায়নি। অন্যদিকে বিএনপি যে কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার কথা বলেছে, তা আমাদের যারপরনাই উদ্বিগ্ন করে। কঠোর কর্মসূচির নামে জনগণের দুর্ভোগ সৃষ্টি ও দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করা চলবে না। নির্বাচনের এখনো আড়াই বছর বাকি। অতএব সরকারি দলের উচিত হবে না বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনা ছাড়া তাড়াহুড়ো করে বিলটি পাস করানো। আর বিরোধী দলেরও ঠিক হবে না জনদুর্ভোগ বাড়ে এবং দেশ অনিশ্চয়তায় পড়ে, এমন কোনো কর্মসূচি দেওয়া। আলোচনার পথেই সমাধান খুঁজতে হবে। কোনো পক্ষের বাড়াবাড়ির কারণে দেশে ফের অস্থিতিশীল অবস্থার সৃষ্টি না হয়, সেদিকেই সবাইকে নজর রাখতে হবে।
সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিল। এতে নানা দুর্বলতা সত্ত্বেও বাহাত্তরের সংবিধানের মৌলনীতির পুনঃপ্রতিষ্ঠার কথা রয়েছে, নির্বাচন কমিশন শক্তিশালী করা, অসাংবিধানিক উপায়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলকে রাষ্ট্রদ্রোহ হিসেবে চিহ্নিত করে বিচারের কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া সংশোধনীতে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে, যা বাহাত্তরের সংবিধানে ছিল না। এসব বিষয়ে সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে তেমন পার্থক্য নেই। কিন্তু সংশোধনীতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের যে প্রস্তাব করা হয়েছে, তা নিয়ে দুই পক্ষই এখন মুখোমুখি। সংসদে বিল উত্থাপনের আগে সরকার ও বিরোধী দল সংকট সমাধানে আলোচনার ওপর গুরুত্বারোপ করেছিল। আমরা মনে করি, আলোচনার সুযোগ এখনো শেষ হয়ে যায়নি।
সংবিধান অপরিবর্তনীয় বিষয় নয়। সময় ও জনগণের প্রয়োজনে যেকোনো সংবিধান সংশোধন করা যেতে পারে। তবে তা হওয়া উচিত ব্যাপক আলোচনা ও জনমত গ্রহণের ভিত্তিতে। এ ব্যাপারে তাড়াহুড়োর কিছু নেই। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বৈধতা নেই। এটি আংশিক সত্য। রায়ের অপরাংশে ‘ডকট্রিন অব নেসেসিটি’র কারণে আগামী দুটি নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক-ব্যবস্থার অধীনে করার কথাও বলা হয়েছে এবং সেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে সংসদকেই। সরকার ‘ডকট্রিন অব নেসেসিটি’ মানলে তত্ত্বাবধায়ক-ব্যবস্থা এখনই বাতিল করতে পারে না। আবার বিরোধী দল আদালতের রায় মানলে সংসদে এসে আলোচনা করতে হবে।
এখানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হলো, আগামী জাতীয় নির্বাচনটি কার অধীনে হবে? বিএনপি বলে দিয়েছে, তারা দলীয় সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে যাবে না, নির্বাচন করতেও দেবে না। এর পরিণাম কি সরকার ভেবে দেখেছে? তাদের কি ১৯৯৫-৯৬ সালের কথা স্মরণ নেই? অতীতে বিরোধী দলকে বাদ দিয়ে কোনো নির্বাচনই গ্রহণযোগ্যতা পায়নি। অন্যদিকে বিএনপি যে কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার কথা বলেছে, তা আমাদের যারপরনাই উদ্বিগ্ন করে। কঠোর কর্মসূচির নামে জনগণের দুর্ভোগ সৃষ্টি ও দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করা চলবে না। নির্বাচনের এখনো আড়াই বছর বাকি। অতএব সরকারি দলের উচিত হবে না বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনা ছাড়া তাড়াহুড়ো করে বিলটি পাস করানো। আর বিরোধী দলেরও ঠিক হবে না জনদুর্ভোগ বাড়ে এবং দেশ অনিশ্চয়তায় পড়ে, এমন কোনো কর্মসূচি দেওয়া। আলোচনার পথেই সমাধান খুঁজতে হবে। কোনো পক্ষের বাড়াবাড়ির কারণে দেশে ফের অস্থিতিশীল অবস্থার সৃষ্টি না হয়, সেদিকেই সবাইকে নজর রাখতে হবে।
No comments