পড়াশোনা ও গবেষণার সংস্কৃতি ফিরে আসুক-পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাদান
বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষার মান নিম্নগামী হয়েছে—সাধারণভাবে এমন একটি ধারণা অনেক দিন ধরেই চালু রয়েছে। এমনও মনে হয় যে পড়াশোনার মান দিনে দিনে আরও খারাপ হয়ে যাচ্ছে। এ রকম সাধারণ ধারণার পক্ষে বাস্তবিক সমর্থন পাওয়া গেল একটি গবেষণা সমীক্ষার ফল থেকে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) অর্থায়নে ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, খুলনা ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫০ জন শিক্ষকের ওপর এক গবেষণা সমীক্ষায় পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২৮ শতাংশ শিক্ষকের শিক্ষাদানের মান নিচু। শিক্ষাক্ষেত্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ে এ রকম অবস্থা হতাশাব্যঞ্জক।
এই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষকদের মধ্যে গবেষণার প্রবণতাও খুব আশাব্যঞ্জক নয়। গবেষণাভুক্ত শিক্ষকদের মধ্যে ভালোভাবে গবেষণার সঙ্গে যুক্ত আছেন মাত্র ২০ শতাংশ। ১৩ শতাংশ শিক্ষক কোনো ধরনের গবেষণার সঙ্গেই যুক্ত নন। কমবেশি গবেষণা করেন এমন শিক্ষকের সংখ্যাই যদিও বেশি, তবে গবেষণার ক্ষেত্রে অর্থসংকটের কথাটি খোদ ইউজিসিও স্বীকার না করে পারেনি। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে গবেষণার ক্ষেত্রে অর্থ বরাদ্দের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ ক্ষেত্রে অর্থ বরাদ্দ আরও বাড়ানো উচিত। অর্থের অভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা হতে পারবে না—এটি জাতির কোনো দুঃসংবাদ ছাড়া আর কী? আমাদের জাতীয় বাজেটে সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ দেওয়া হয় শিক্ষার পেছনে। এখানে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে গবেষণার বিষয়টির আরও গুরুত্ব পাওয়া উচিত।
অর্থ ছাড়া গবেষণা হয় না, এ কথা যেমন সত্য, তেমনি এ-ও সত্য যে, পর্যাপ্ত অর্থের সরবরাহ থাকলেই গবেষণা হবে—এমন নিশ্চয়তাও নেই। গভীর পড়াশোনা, অভিনিবেশ, অনুধ্যান, গবেষণা, বুদ্ধিবৃত্তিক আদান-প্রদানের যে সংস্কৃতি বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে প্রত্যাশা করা হয়, আমাদের দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে তার বড্ড অভাব। আগে সেই সংস্কৃতি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা প্রয়োজন। এবং সেটা করতে হলে পর্যালোচনা করে দেখতে হবে কী কী কারণে কোন কোন পরিস্থিতির ভেতর দিয়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আজকের হতাশাব্যঞ্জক অবস্থায় উপনীত হয়েছে।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষকদের শিক্ষাদানের মানসহ শিক্ষা-গবেষণার সামগ্রিক পরিবেশ উন্নত করতে হলে কী পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন, সে সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে থেকে কোনো পরামর্শ আসার প্রয়োজন আছে বলে আমাদের মনে হয় না। পৃথিবীর দেশে দেশে বরং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরাই জাতীয় নানা ক্ষেত্রে সরকার ও উদ্যোক্তাশ্রেণীকে পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করেন; বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিতেই অনেক জাতির অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ পরিচালিত হয়। দেশের সামগ্রিক অগ্রগতির অনেক কিছু নির্ভর করছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর; কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ই প্রস্তুত করছে লোকবল, যারা দেশ চালাচ্ছে এবং চালাবে। উন্নত, দক্ষ লোকবল সৃষ্টি করতে হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাদানের মান উন্নত করতে হবে—এর কোনো বিকল্পই নেই। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসমাজ দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে চলমান রাজনৈতিক বিভাজন, জাতীয় রাজনীতির লেজুড়ভিত্তিক শিক্ষক রাজনীতি ইত্যাদি নেতিবাচক সংস্কৃতি থেকে মুক্ত করে প্রকৃত বিদ্যাপীঠের পরিবেশ ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ যত শিগগির নেবে, ততই জাতির মঙ্গল হবে।
এই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষকদের মধ্যে গবেষণার প্রবণতাও খুব আশাব্যঞ্জক নয়। গবেষণাভুক্ত শিক্ষকদের মধ্যে ভালোভাবে গবেষণার সঙ্গে যুক্ত আছেন মাত্র ২০ শতাংশ। ১৩ শতাংশ শিক্ষক কোনো ধরনের গবেষণার সঙ্গেই যুক্ত নন। কমবেশি গবেষণা করেন এমন শিক্ষকের সংখ্যাই যদিও বেশি, তবে গবেষণার ক্ষেত্রে অর্থসংকটের কথাটি খোদ ইউজিসিও স্বীকার না করে পারেনি। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে গবেষণার ক্ষেত্রে অর্থ বরাদ্দের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ ক্ষেত্রে অর্থ বরাদ্দ আরও বাড়ানো উচিত। অর্থের অভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা হতে পারবে না—এটি জাতির কোনো দুঃসংবাদ ছাড়া আর কী? আমাদের জাতীয় বাজেটে সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ দেওয়া হয় শিক্ষার পেছনে। এখানে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে গবেষণার বিষয়টির আরও গুরুত্ব পাওয়া উচিত।
অর্থ ছাড়া গবেষণা হয় না, এ কথা যেমন সত্য, তেমনি এ-ও সত্য যে, পর্যাপ্ত অর্থের সরবরাহ থাকলেই গবেষণা হবে—এমন নিশ্চয়তাও নেই। গভীর পড়াশোনা, অভিনিবেশ, অনুধ্যান, গবেষণা, বুদ্ধিবৃত্তিক আদান-প্রদানের যে সংস্কৃতি বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে প্রত্যাশা করা হয়, আমাদের দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে তার বড্ড অভাব। আগে সেই সংস্কৃতি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা প্রয়োজন। এবং সেটা করতে হলে পর্যালোচনা করে দেখতে হবে কী কী কারণে কোন কোন পরিস্থিতির ভেতর দিয়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আজকের হতাশাব্যঞ্জক অবস্থায় উপনীত হয়েছে।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষকদের শিক্ষাদানের মানসহ শিক্ষা-গবেষণার সামগ্রিক পরিবেশ উন্নত করতে হলে কী পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন, সে সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে থেকে কোনো পরামর্শ আসার প্রয়োজন আছে বলে আমাদের মনে হয় না। পৃথিবীর দেশে দেশে বরং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরাই জাতীয় নানা ক্ষেত্রে সরকার ও উদ্যোক্তাশ্রেণীকে পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করেন; বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিতেই অনেক জাতির অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ পরিচালিত হয়। দেশের সামগ্রিক অগ্রগতির অনেক কিছু নির্ভর করছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর; কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ই প্রস্তুত করছে লোকবল, যারা দেশ চালাচ্ছে এবং চালাবে। উন্নত, দক্ষ লোকবল সৃষ্টি করতে হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাদানের মান উন্নত করতে হবে—এর কোনো বিকল্পই নেই। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসমাজ দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে চলমান রাজনৈতিক বিভাজন, জাতীয় রাজনীতির লেজুড়ভিত্তিক শিক্ষক রাজনীতি ইত্যাদি নেতিবাচক সংস্কৃতি থেকে মুক্ত করে প্রকৃত বিদ্যাপীঠের পরিবেশ ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ যত শিগগির নেবে, ততই জাতির মঙ্গল হবে।
No comments