মিয়ানমারের পত্রিকার প্রতিবেদন-গ্যাসের সম্ভাব্য বিপুল আধার হারাল মিয়ানমার
সমুদ্রসীমা নিয়ে দশকব্যাপী বিরোধ মীমাংসা করে বাংলাদেশের পক্ষে রায় দিয়েছেন আন্তর্জাতিক আদালত। কিন্তু এ নিয়ে মিয়ানমার সরকার কিছুই বলছে না। এর অর্থ দাঁড়ায় এই যে প্রাকৃতিক গ্যাসের সম্ভাব্য এক বিপুল আধার মিয়ানমারের হাতছাড়া হয়ে গেছে।
গতকাল মঙ্গলবার মিয়ানমারের দৈনিক দ্য ইরাবতির প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়। ইরাবতি ছাড়াও দেশটির মিয়ানমার টাইমস ও হাইড্রো-ইন্টারন্যাশনাল পত্রিকাও বাংলাদেশের পক্ষে রায় নিয়ে অনুরূপ প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
ইরাবতির প্রতিবেদনে বলা হয়, বিরোধপূর্ণ ওই গভীর সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য ২০০৮ সালে চীন ও দক্ষিণ কোরিয়ার কোম্পানিকে দায়িত্ব দিয়েছিল মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান মিয়ানমার অয়েল অ্যান্ড গ্যাস এন্টারপ্রাইজ (এমওজিই)। কিন্তু আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ে সমুদ্রের ওই অংশ এখন বাংলাদেশ পেয়ে যাওয়ায়, সেখানে মিয়ানমারের নিযুক্ত কোম্পানিগুলো এখন আর অনুসন্ধান চালাতে পারবে না।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এর অর্থ দক্ষিণ কোরিয়ার দাইয়ু ইন্টারন্যাশনাল করপোরেশন নয়, যুক্তরাষ্ট্রের কনোকোফিলিপস ইনকরপোরেশনই এখন থেকে বৈধভাবে সেন্ট মার্টিন দ্বীপের দক্ষিণ উপকূলে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান চালাতে পারবে। বঙ্গোপসাগরে তেল অনুসন্ধানে কনোকোফিলিপস ইনকরপোরেশনের সঙ্গে অংশীদারির চুক্তি রয়েছে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বাপেক্সের। আরএমওজিই সমুদ্রের ওই অংশে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেয় দক্ষিণ কোরিয়ার দাইয়ুকে। তারা সেখানে বেশ ব্যয়বহুল ড্রিলিং শুরু করে মিয়ানমারের নৌবাহিনীর প্রহরা নিয়ে। কিন্তু সমুদ্রের ওই অংশ নিজেদের দাবি করে বাংলাদেশ তাদের নৌসেনা পাঠালে দাইয়ুকে সরে আসতে হয়।
সমুদ্র তেল-গ্যাস অনুসন্ধান নিয়ে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছিল ২০০৮ সালে। এরপর বিষয়টি মীমাংসার জন্য জার্মানির হামবুর্গে আন্তর্জাতিক আদালত পর্যন্ত গড়ায়।
দুই দেশকে বিভক্তকারী নাফ নদী যেখানে বঙ্গোপসাগরে পড়েছে, সেখান থেকে সেন্ট মার্টিনের দূরত্ব মাত্র ২০ কিলোমিটারের মতো। সেন্ট মার্টিন দ্বীপটির মালিকানা নিয়ে কোনো সময়ই সংশয় ছিল না, এটি বাংলাদেশের। কিন্তু দ্বীপটির আশপাশের সমুদ্রের দখল নিয়ে মিয়ানমার ও বাংলাদেশের বিরোধ আছে। ১৪ মার্চ আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ে সমুদ্রের ওই এলাকায় বাংলাদেশের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তারা আগের থেকে এখন আরও চার হাজার বর্গকিলোমিটার বেশি সমুদ্রসীমার মালিক।
ব্যাংককের জ্বালানি শিল্প পরামর্শক কলিন রেনল্ড বলেন, ‘আদালত জানিয়েছে, তারা একটি মীমাংসাই পৌঁছেছে। কিন্তু এর অর্থ যা-ই হোক না কেন বাংলাদেশ গ্যাসের একটি সম্ভাব্য বড় মজুদ পেল।’
কলিন রেনল্ড বলেন, ‘দক্ষিণ কোরীয় কোম্পানি দাইয়ু ও কোগাসকে সমুদ্রের ওই এলাকায় তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের দায়িত্ব দিয়েছিল মিয়ানমার। কিন্তু এখন ওই এলাকা বৈধভাবেই বাংলাদেশের অধীনে। ওই এলাকায় তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য মার্কিন কোম্পানি কনোকোফিলিপসকে আগেই দায়িত্ব দিয়েছিল বাংলাদেশ।’
কলিন রেনল্ড মনে করেন, আন্তর্জাতিক আদালতের এই রায়ের ফলে দুই দেশই লাভবান হবে। কেননা, বিরোধ মীমাংসা হওয়ায় এখন যেকোনো সুখ্যাতিসম্পন্ন বড় কোম্পানিকে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের দায়িত্ব দিতে পারবে উভয় দেশ। বিরোধ থাকায় এবং এর ফলে মালিকানা নিয়ে অনিশ্চয়তার কারণে অনেক বিদেশি প্রতিষ্ঠান সেখানে বিনিয়োগে উৎসাহী ছিল না। ইরাবতি, মিয়ানমার টাইমস ও হাইড্রো-ইন্টারন্যাশনাল।
ইরাবতির প্রতিবেদনে বলা হয়, বিরোধপূর্ণ ওই গভীর সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য ২০০৮ সালে চীন ও দক্ষিণ কোরিয়ার কোম্পানিকে দায়িত্ব দিয়েছিল মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান মিয়ানমার অয়েল অ্যান্ড গ্যাস এন্টারপ্রাইজ (এমওজিই)। কিন্তু আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ে সমুদ্রের ওই অংশ এখন বাংলাদেশ পেয়ে যাওয়ায়, সেখানে মিয়ানমারের নিযুক্ত কোম্পানিগুলো এখন আর অনুসন্ধান চালাতে পারবে না।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এর অর্থ দক্ষিণ কোরিয়ার দাইয়ু ইন্টারন্যাশনাল করপোরেশন নয়, যুক্তরাষ্ট্রের কনোকোফিলিপস ইনকরপোরেশনই এখন থেকে বৈধভাবে সেন্ট মার্টিন দ্বীপের দক্ষিণ উপকূলে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান চালাতে পারবে। বঙ্গোপসাগরে তেল অনুসন্ধানে কনোকোফিলিপস ইনকরপোরেশনের সঙ্গে অংশীদারির চুক্তি রয়েছে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বাপেক্সের। আরএমওজিই সমুদ্রের ওই অংশে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেয় দক্ষিণ কোরিয়ার দাইয়ুকে। তারা সেখানে বেশ ব্যয়বহুল ড্রিলিং শুরু করে মিয়ানমারের নৌবাহিনীর প্রহরা নিয়ে। কিন্তু সমুদ্রের ওই অংশ নিজেদের দাবি করে বাংলাদেশ তাদের নৌসেনা পাঠালে দাইয়ুকে সরে আসতে হয়।
সমুদ্র তেল-গ্যাস অনুসন্ধান নিয়ে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছিল ২০০৮ সালে। এরপর বিষয়টি মীমাংসার জন্য জার্মানির হামবুর্গে আন্তর্জাতিক আদালত পর্যন্ত গড়ায়।
দুই দেশকে বিভক্তকারী নাফ নদী যেখানে বঙ্গোপসাগরে পড়েছে, সেখান থেকে সেন্ট মার্টিনের দূরত্ব মাত্র ২০ কিলোমিটারের মতো। সেন্ট মার্টিন দ্বীপটির মালিকানা নিয়ে কোনো সময়ই সংশয় ছিল না, এটি বাংলাদেশের। কিন্তু দ্বীপটির আশপাশের সমুদ্রের দখল নিয়ে মিয়ানমার ও বাংলাদেশের বিরোধ আছে। ১৪ মার্চ আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ে সমুদ্রের ওই এলাকায় বাংলাদেশের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তারা আগের থেকে এখন আরও চার হাজার বর্গকিলোমিটার বেশি সমুদ্রসীমার মালিক।
ব্যাংককের জ্বালানি শিল্প পরামর্শক কলিন রেনল্ড বলেন, ‘আদালত জানিয়েছে, তারা একটি মীমাংসাই পৌঁছেছে। কিন্তু এর অর্থ যা-ই হোক না কেন বাংলাদেশ গ্যাসের একটি সম্ভাব্য বড় মজুদ পেল।’
কলিন রেনল্ড বলেন, ‘দক্ষিণ কোরীয় কোম্পানি দাইয়ু ও কোগাসকে সমুদ্রের ওই এলাকায় তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের দায়িত্ব দিয়েছিল মিয়ানমার। কিন্তু এখন ওই এলাকা বৈধভাবেই বাংলাদেশের অধীনে। ওই এলাকায় তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য মার্কিন কোম্পানি কনোকোফিলিপসকে আগেই দায়িত্ব দিয়েছিল বাংলাদেশ।’
কলিন রেনল্ড মনে করেন, আন্তর্জাতিক আদালতের এই রায়ের ফলে দুই দেশই লাভবান হবে। কেননা, বিরোধ মীমাংসা হওয়ায় এখন যেকোনো সুখ্যাতিসম্পন্ন বড় কোম্পানিকে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের দায়িত্ব দিতে পারবে উভয় দেশ। বিরোধ থাকায় এবং এর ফলে মালিকানা নিয়ে অনিশ্চয়তার কারণে অনেক বিদেশি প্রতিষ্ঠান সেখানে বিনিয়োগে উৎসাহী ছিল না। ইরাবতি, মিয়ানমার টাইমস ও হাইড্রো-ইন্টারন্যাশনাল।
No comments