প্রতিক্রিয়া-তাঁরা কোথায় যাবেন? এবং... by আশীষ কুমার চক্রবর্তী
গত ২৪ জুন প্রথম আলোতে প্রকাশিত শ্রদ্ধেয় আসিফ নজরুলের লেখাটির দিকে দৃষ্টিপাত করছি। দুটি কারণে লেখাটি নিয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছি। প্রথমত, লেখার শুরুতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঝুমুরের যে করুণ কাহিনির কথা লেখা হয়েছে, আমার বাড়িও সেখানে। দ্বিতীয়ত, অনেক দিন ধরে লিখতে ইচ্ছে হলেও পেশাগত ব্যস্ততার কারণে শুরু করতে পারছিলাম না।
আসিফ নজরুলের তিক্ত বাস্তব অভিজ্ঞতা ও গবেষণাধর্মী লেখায় অনুপ্রাণিত হয়ে এ নিয়ে আরও কিছু লেখার তাড়না অনুভব করলাম। চিকিৎসা ও চিকিৎসকদের যে ব্যাধি মহামারি আকারে বাড়ছে, তা নির্মূল কিংবা না সারাতে না পারলে রোগীর চিকিৎসা তো দূরের কথা পুরো জাতি, দেশই নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) চলে যাবে, যেখান থেকে ফিরে আসা প্রায় অসম্ভব! অধ্যাপক আসিফ নজরুলকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি এমন একটি সাহসী ও সচেতনতামূলক লেখা উপহার দেওয়ার জন্য।
আমি জানি না তাঁর এই লেখা কতজন ডাক্তার ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে সচেতন করেছে, তবে আমি একজন চিকিৎসক হিসেবে এই লেখার গুরুত্ব অনুধাবন করছি। মনে হচ্ছে এমন একজন অভিভাবক দরকার, যিনি এই স্বাস্থ্য খাতের অব্যবস্থাপনা লাঘবের লাগাম ধরবেন। যে বিষয়গুলো আলোচিত হয়েছে তার মধ্যে চিকিৎসকদের দায়িত্বে অবহেলা, অজ্ঞানতা এবং ভুল চিকিৎসা অন্যতম। একটু ব্যাখ্যা করা যাক, দায়িত্বে অবহেলার বিষয়টির সঙ্গে আমি একমত। আমি একটি হাসপাতালের প্রশাসকের চেয়ারে বসে যে বিষয়টা লক্ষ করছি তা হলো, হাতে গোনা কজন ছাড়া জুনিয়র ডাক্তাররা পেশার প্রতি চরম উদাসীন, রোগীর প্রতি অমনোযোগী! বেশির ভাগ ডাক্তার প্রাইভেট হাসপাতালের চাকরিকে কোনো চাকরি মনে করেন না। শুধু সময় পার করতে চান। একটি বেসরকারি হাসপাতালের প্রশাসনে কাজ করতে গিয়ে আমি আমাদের সহকর্মীদের নিয়ে এ ক্ষেত্রে বাদ সাধার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। মানসিকভাবে আমরা একরকম, কারণ আমরা জবাবদিহিতে বিশ্বাসী, দায়িত্বের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং যতটুকু সম্ভব রাউন্ড দিয়ে ফাঁক-ফোকর বের করতে চেষ্টা করি রোগীদের স্বার্থে, ফলে আমাদের কেউ পছন্দ করে না। তাতে কোনো আফসোস নেই আমার। কারণ, আজ আমি এই চিকিৎসা পেশার ঘুণপোকা সারানোর কথা লিখছি।
নব্য ডাক্তাররা মনোযোগ দিয়ে ইন্টার্নশিপ করছেন না, এমবিবিএস পাস করার পরই পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন পরীক্ষায় বসে পাস করে বড় ডাক্তার হয়ে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা উপার্জন করার স্বপ্নে বিভোর! ‘ক্যারিয়ার’ নামক একটি বিশেষ শব্দের আড়ালে নির্যাতিত, নিপীড়িত হচ্ছে দেশের রোগীরা, যারা আমাদের মতো চিকিৎসকদের দিকে তাকিয়ে আছে তাদের জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে! আমাদের পূজনীয় ও সিনিয়র ডাক্তারদের ব্যাপারে আমি বলতে চাই, শুধু বড় বড় ডিগ্রির ভারে ন্যুব্জ হয়ে কোনো লাভ নেই! রোগীকে সময় দিতে হবে, রোগীর ইতিহাস শুনতে হবে, নিজ হাতে রোগীর ক্লিনিক্যাল এক্সামিনেশন করতে হবে। অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য যে বেশির ভাগ কনসালট্যান্ট রাউন্ডে এলে রোগীকে নিজে দেখেন না, ডিউটি ডাক্তারদের ওপর নির্ভর করেন। আমি এর ঘোরতর বিরোধী এবং এই কাজটি নিন্দনীয়। ফলে সঠিক রোগনির্ণয় বিলম্বিত হয়। রোগীরা এ দেশের চিকিৎসকদের ওপর আস্থা হারাচ্ছে দিন দিন। আর এই সুযোগ নিচ্ছেন পাশের দেশের চিকিৎসকেরা। কারণ ওখানকার চিকিৎসকদের ব্যবহার ভালো! এটিই মূল কারণ। অথচ এ দেশে বর্তমানে উন্নত বিশ্বের সব সুবিধা বিদ্যমান।
রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন গ্রাস করে রেখেছে এই মহান পেশাকে। কিছু কিছু ডাক্তার তাঁর পেশাগত পরিচয়ের পরিবর্তে ‘ডাক্তার-নেতা’ বলতে বেশি গর্ব বোধ করেন। এ মানসিকতার পরিবর্তন না হওয়া পর্যন্ত কোনো কিছুরই সমাধান হবে না। তবে আমি নৈরাশ্যবাদী নই। সবিনয়ে কিছু পরামর্শ উপস্থাপন করতে চাই, যা সর্বক্ষেত্রে প্রযোজ্য হলে কিছু সমস্যার সমাধান হবে বলে আমি মনে করি:
প্রথমত,বিসিএসের (স্বাস্থ্য) মাধ্যমে যেসব ডাক্তার উত্তীর্ণ হবেন তাঁদের অন্যান্য নিয়মকানুনের পাশাপাশি ‘মুচলেকা’ নিতে হবে যে যেখানে তাঁর পোস্টিং সেখানে তিনি ঠিকমতো চাকরি করবেন এবং এতে কোনো দলীয় হস্তক্ষেপ করবেন না, অন্যথায় তাঁর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দ্বিতীয়ত, ডাক্তারদের কোনো সংগঠন থাকবে না। কারণ এতে দুর্নীতি ও দুর্বৃত্তায়ন বৃদ্ধি পাবে। ডাক্তার-রোগী এই পরিচয় ব্যতীত ডাক্তারদের অন্য কোনো সাংগঠনিক পরিচয়ের প্রয়োজন নেই এবং অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।
তৃতীয়ত, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলকে (বিএমডিসি) অধিকতর শক্তিশালী করে চিকিৎসকদের সব কাজের জবাবদিহি ও শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে উন্নত বিশ্বে চিকিৎসকদের অর্থনৈতিক দণ্ড, সনদ বাতিলসহ শাস্তি হলেও আমাদের দেশে তার কোনো উদাহরণ নেই! তাই দিন দিন বেড়ে চলেছে ডাক্তারদের পেশার প্রতি অমনোযোগিতা, দায়িত্বে অবহেলার মতো ভয়ংকর কাজ!! তাই অভিযুক্ত ডাক্তারদের সর্বোচ্চ শাস্তি ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা অতীব প্রয়োজন। অন্যথায় ভুয়া ডিগ্রিধারী ‘ওহাব’ কিংবা ‘ফিরোজ উদ্ দৌলার’ মতো সর্বরোগের মহৌষধ প্রস্তুতকারী স্বপ্নে বনে যাওয়া চিকিৎসকদের সংখ্যা বাড়তেই থাকবে ক্রমাগত।
তবে আমি মনে করি, এ দেশের মানুষ যত সচেতন হবে, পত্রপত্রিকায় এ বিষয়গুলো নিয়ে যত বেশি লেখালেখি হবে, ততই এসব অভিযোগ কমে আসবে। একটা থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নয়জন ডাক্তারের মধ্যে কজন প্রতিদিন উপস্থিত থাকেন? তাহলে কি বিসিএসে (স্বাস্থ্য) উত্তীর্ণ হওয়া দেশ ও নিরীহ রোগীদের ঠকানোর বৈধ পন্থা? চিকিৎসকদের এই দৌরাত্ম্যকে নিয়ন্ত্রণ করতে খোদ প্রধানমন্ত্রীকে সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে, বিষয়টি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। তার মানে ডাক্তাররা আর কাউকে পরোয়া করছিলেন না! তাই এখনি সময় এসব অন্যায়-অবিচার থেকে পরিত্রাণের পথ খুঁজে বের করা। অন্যথায় এ দেশের মানুষের কাছে চিকিৎসকদের ভাবমূর্তি চিরতরে বিনষ্ট হয়ে যাবে, কলঙ্কিত হয়ে যাবে এই মহান পেশা!
ডা. আশীষ কুমার চক্রবর্তী: পরিচালক, আয়েশা মেমোরিয়াল স্পেশালাইজড হসপিটাল (প্রা.) লিমিটেড।
আমি জানি না তাঁর এই লেখা কতজন ডাক্তার ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে সচেতন করেছে, তবে আমি একজন চিকিৎসক হিসেবে এই লেখার গুরুত্ব অনুধাবন করছি। মনে হচ্ছে এমন একজন অভিভাবক দরকার, যিনি এই স্বাস্থ্য খাতের অব্যবস্থাপনা লাঘবের লাগাম ধরবেন। যে বিষয়গুলো আলোচিত হয়েছে তার মধ্যে চিকিৎসকদের দায়িত্বে অবহেলা, অজ্ঞানতা এবং ভুল চিকিৎসা অন্যতম। একটু ব্যাখ্যা করা যাক, দায়িত্বে অবহেলার বিষয়টির সঙ্গে আমি একমত। আমি একটি হাসপাতালের প্রশাসকের চেয়ারে বসে যে বিষয়টা লক্ষ করছি তা হলো, হাতে গোনা কজন ছাড়া জুনিয়র ডাক্তাররা পেশার প্রতি চরম উদাসীন, রোগীর প্রতি অমনোযোগী! বেশির ভাগ ডাক্তার প্রাইভেট হাসপাতালের চাকরিকে কোনো চাকরি মনে করেন না। শুধু সময় পার করতে চান। একটি বেসরকারি হাসপাতালের প্রশাসনে কাজ করতে গিয়ে আমি আমাদের সহকর্মীদের নিয়ে এ ক্ষেত্রে বাদ সাধার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। মানসিকভাবে আমরা একরকম, কারণ আমরা জবাবদিহিতে বিশ্বাসী, দায়িত্বের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং যতটুকু সম্ভব রাউন্ড দিয়ে ফাঁক-ফোকর বের করতে চেষ্টা করি রোগীদের স্বার্থে, ফলে আমাদের কেউ পছন্দ করে না। তাতে কোনো আফসোস নেই আমার। কারণ, আজ আমি এই চিকিৎসা পেশার ঘুণপোকা সারানোর কথা লিখছি।
নব্য ডাক্তাররা মনোযোগ দিয়ে ইন্টার্নশিপ করছেন না, এমবিবিএস পাস করার পরই পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন পরীক্ষায় বসে পাস করে বড় ডাক্তার হয়ে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা উপার্জন করার স্বপ্নে বিভোর! ‘ক্যারিয়ার’ নামক একটি বিশেষ শব্দের আড়ালে নির্যাতিত, নিপীড়িত হচ্ছে দেশের রোগীরা, যারা আমাদের মতো চিকিৎসকদের দিকে তাকিয়ে আছে তাদের জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে! আমাদের পূজনীয় ও সিনিয়র ডাক্তারদের ব্যাপারে আমি বলতে চাই, শুধু বড় বড় ডিগ্রির ভারে ন্যুব্জ হয়ে কোনো লাভ নেই! রোগীকে সময় দিতে হবে, রোগীর ইতিহাস শুনতে হবে, নিজ হাতে রোগীর ক্লিনিক্যাল এক্সামিনেশন করতে হবে। অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য যে বেশির ভাগ কনসালট্যান্ট রাউন্ডে এলে রোগীকে নিজে দেখেন না, ডিউটি ডাক্তারদের ওপর নির্ভর করেন। আমি এর ঘোরতর বিরোধী এবং এই কাজটি নিন্দনীয়। ফলে সঠিক রোগনির্ণয় বিলম্বিত হয়। রোগীরা এ দেশের চিকিৎসকদের ওপর আস্থা হারাচ্ছে দিন দিন। আর এই সুযোগ নিচ্ছেন পাশের দেশের চিকিৎসকেরা। কারণ ওখানকার চিকিৎসকদের ব্যবহার ভালো! এটিই মূল কারণ। অথচ এ দেশে বর্তমানে উন্নত বিশ্বের সব সুবিধা বিদ্যমান।
রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন গ্রাস করে রেখেছে এই মহান পেশাকে। কিছু কিছু ডাক্তার তাঁর পেশাগত পরিচয়ের পরিবর্তে ‘ডাক্তার-নেতা’ বলতে বেশি গর্ব বোধ করেন। এ মানসিকতার পরিবর্তন না হওয়া পর্যন্ত কোনো কিছুরই সমাধান হবে না। তবে আমি নৈরাশ্যবাদী নই। সবিনয়ে কিছু পরামর্শ উপস্থাপন করতে চাই, যা সর্বক্ষেত্রে প্রযোজ্য হলে কিছু সমস্যার সমাধান হবে বলে আমি মনে করি:
প্রথমত,বিসিএসের (স্বাস্থ্য) মাধ্যমে যেসব ডাক্তার উত্তীর্ণ হবেন তাঁদের অন্যান্য নিয়মকানুনের পাশাপাশি ‘মুচলেকা’ নিতে হবে যে যেখানে তাঁর পোস্টিং সেখানে তিনি ঠিকমতো চাকরি করবেন এবং এতে কোনো দলীয় হস্তক্ষেপ করবেন না, অন্যথায় তাঁর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দ্বিতীয়ত, ডাক্তারদের কোনো সংগঠন থাকবে না। কারণ এতে দুর্নীতি ও দুর্বৃত্তায়ন বৃদ্ধি পাবে। ডাক্তার-রোগী এই পরিচয় ব্যতীত ডাক্তারদের অন্য কোনো সাংগঠনিক পরিচয়ের প্রয়োজন নেই এবং অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।
তৃতীয়ত, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলকে (বিএমডিসি) অধিকতর শক্তিশালী করে চিকিৎসকদের সব কাজের জবাবদিহি ও শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে উন্নত বিশ্বে চিকিৎসকদের অর্থনৈতিক দণ্ড, সনদ বাতিলসহ শাস্তি হলেও আমাদের দেশে তার কোনো উদাহরণ নেই! তাই দিন দিন বেড়ে চলেছে ডাক্তারদের পেশার প্রতি অমনোযোগিতা, দায়িত্বে অবহেলার মতো ভয়ংকর কাজ!! তাই অভিযুক্ত ডাক্তারদের সর্বোচ্চ শাস্তি ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা অতীব প্রয়োজন। অন্যথায় ভুয়া ডিগ্রিধারী ‘ওহাব’ কিংবা ‘ফিরোজ উদ্ দৌলার’ মতো সর্বরোগের মহৌষধ প্রস্তুতকারী স্বপ্নে বনে যাওয়া চিকিৎসকদের সংখ্যা বাড়তেই থাকবে ক্রমাগত।
তবে আমি মনে করি, এ দেশের মানুষ যত সচেতন হবে, পত্রপত্রিকায় এ বিষয়গুলো নিয়ে যত বেশি লেখালেখি হবে, ততই এসব অভিযোগ কমে আসবে। একটা থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নয়জন ডাক্তারের মধ্যে কজন প্রতিদিন উপস্থিত থাকেন? তাহলে কি বিসিএসে (স্বাস্থ্য) উত্তীর্ণ হওয়া দেশ ও নিরীহ রোগীদের ঠকানোর বৈধ পন্থা? চিকিৎসকদের এই দৌরাত্ম্যকে নিয়ন্ত্রণ করতে খোদ প্রধানমন্ত্রীকে সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে, বিষয়টি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। তার মানে ডাক্তাররা আর কাউকে পরোয়া করছিলেন না! তাই এখনি সময় এসব অন্যায়-অবিচার থেকে পরিত্রাণের পথ খুঁজে বের করা। অন্যথায় এ দেশের মানুষের কাছে চিকিৎসকদের ভাবমূর্তি চিরতরে বিনষ্ট হয়ে যাবে, কলঙ্কিত হয়ে যাবে এই মহান পেশা!
ডা. আশীষ কুমার চক্রবর্তী: পরিচালক, আয়েশা মেমোরিয়াল স্পেশালাইজড হসপিটাল (প্রা.) লিমিটেড।
No comments