মানবসেবায় বৈশিষ্ট্যপূর্ণ হয়ে উঠুক-পুলিশের নারী ব্যাটালিয়ন
আমাদের মোট জনগোষ্ঠীর অর্ধেকই নারী। সমাজে-সংসারে তাঁরা পালন করে চলেছেন অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। সাম্প্রতিক কয়েক দশকে গ্রামীণ অর্থনীতিতে তৃণমূল পর্যায়ের নারীদের অংশগ্রহণ বেড়েছে উল্লেখযোগ্য মাত্রায়। উচ্চশিক্ষায়, ব্যবসা-বাণিজ্যে, নানা পেশাজীবী শ্রেণীর অংশ হিসেবেও নারীদের অগ্রগতি হয়েছে অনেক এবং সে অগ্রগতি
অব্যাহতভাবে চলেছে। তবে সমাজের সর্বস্তরে নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি, গুরুত্বপূর্ণ নানা ক্ষেত্রে তাঁদের সাফল্যজনক ভূমিকা ততটা দৃশ্যমান হয়ে ওঠেনি, বাস্তবে যতটা হওয়া উচিত ছিল।
সেদিক থেকে পুলিশের একটি সম্পূর্ণ ব্যাটালিয়ন গঠিত হয়েছে শুধু নারীদের নিয়ে—এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। প্রথম আলোয় বুধবার প্রকাশিত খবরে জানা গেল, ৩৭১ সদস্যবিশিষ্ট সশস্ত্র পুলিশের নারী ব্যাটালিয়নটি মঙ্গলবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করেছে। এটিই বাংলাদেশ পুলিশের প্রথম স্বতন্ত্র নারী ইউনিট, যার অধিনায়ক থেকে শুরু করে ৩৭১ জন সদস্যের সবাই নারী। এই ব্যাটালিয়নের কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করছেন পুলিশ সুপার পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় স্থাপনা, স্পর্শকাতর এলাকাসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিরাপত্তা বিধানের দায়িত্ব পালন করবে এই নারী ব্যাটালিয়ন। এটি একটি চমৎকার সিদ্ধান্ত। আমরা সশস্ত্র পুলিশের এই নারী ব্যাটালিয়নকে একটি প্রতীক হিসেবে দেখতে চাই। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজে দক্ষতা, যোগ্যতা, আন্তরিকতার সম্মিলনে এই বাহিনী এমন দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করবে, যা গোটা বাহিনীর অন্য সদস্যদের কাছে অনুসরণযোগ্য হবে।
এই স্বতন্ত্র ব্যাটালিয়নকে বিশেষ কোনো বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত করা যায় কি না, তাও চিন্তা করে দেখা যেতে পারে। অন্যান্য ইউনিটের থেকে আলাদা, বিশেষ কোনো দায়িত্ব এর ওপর অর্পণ করা যেতে পারে, যে ক্ষেত্রে ভূমিকা পালনের সাফল্য থেকে এই ব্যাটালিয়ন সুপরিচিত হয়ে উঠতে পারে। যেমন, বিমানবন্দরে নারীযাত্রীদের তল্লাশি, নারী ভিআইপিদের নিরাপত্তা, নারীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা বা বিশেষ কোনো অনুষ্ঠানের সময় নিরাপত্তা বিধান ইত্যাদি। এ ছাড়া নারী আসামিদের গ্রেপ্তার অভিযানেও এই ব্যাটালিয়নকে ব্যবহার করা যেতে পারে।
আমরা সশস্ত্র পুলিশের এই নারী ব্যাটালিয়নের সাফল্য কামনা করি। পুলিশ জনগণের প্রকৃত বন্ধু, অন্যায়-অপরাধের শিকার মানুষকে পুলিশ সুরক্ষা দেবে—এই আদর্শ বাস্তবায়নে নারী ব্যাটালিয়নের সদস্যরা এগিয়ে আসবেন, দৃষ্টান্ত স্থাপন করবেন—এই আমাদের প্রত্যাশা।
সেদিক থেকে পুলিশের একটি সম্পূর্ণ ব্যাটালিয়ন গঠিত হয়েছে শুধু নারীদের নিয়ে—এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। প্রথম আলোয় বুধবার প্রকাশিত খবরে জানা গেল, ৩৭১ সদস্যবিশিষ্ট সশস্ত্র পুলিশের নারী ব্যাটালিয়নটি মঙ্গলবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করেছে। এটিই বাংলাদেশ পুলিশের প্রথম স্বতন্ত্র নারী ইউনিট, যার অধিনায়ক থেকে শুরু করে ৩৭১ জন সদস্যের সবাই নারী। এই ব্যাটালিয়নের কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করছেন পুলিশ সুপার পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় স্থাপনা, স্পর্শকাতর এলাকাসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিরাপত্তা বিধানের দায়িত্ব পালন করবে এই নারী ব্যাটালিয়ন। এটি একটি চমৎকার সিদ্ধান্ত। আমরা সশস্ত্র পুলিশের এই নারী ব্যাটালিয়নকে একটি প্রতীক হিসেবে দেখতে চাই। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজে দক্ষতা, যোগ্যতা, আন্তরিকতার সম্মিলনে এই বাহিনী এমন দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করবে, যা গোটা বাহিনীর অন্য সদস্যদের কাছে অনুসরণযোগ্য হবে।
এই স্বতন্ত্র ব্যাটালিয়নকে বিশেষ কোনো বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত করা যায় কি না, তাও চিন্তা করে দেখা যেতে পারে। অন্যান্য ইউনিটের থেকে আলাদা, বিশেষ কোনো দায়িত্ব এর ওপর অর্পণ করা যেতে পারে, যে ক্ষেত্রে ভূমিকা পালনের সাফল্য থেকে এই ব্যাটালিয়ন সুপরিচিত হয়ে উঠতে পারে। যেমন, বিমানবন্দরে নারীযাত্রীদের তল্লাশি, নারী ভিআইপিদের নিরাপত্তা, নারীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা বা বিশেষ কোনো অনুষ্ঠানের সময় নিরাপত্তা বিধান ইত্যাদি। এ ছাড়া নারী আসামিদের গ্রেপ্তার অভিযানেও এই ব্যাটালিয়নকে ব্যবহার করা যেতে পারে।
আমরা সশস্ত্র পুলিশের এই নারী ব্যাটালিয়নের সাফল্য কামনা করি। পুলিশ জনগণের প্রকৃত বন্ধু, অন্যায়-অপরাধের শিকার মানুষকে পুলিশ সুরক্ষা দেবে—এই আদর্শ বাস্তবায়নে নারী ব্যাটালিয়নের সদস্যরা এগিয়ে আসবেন, দৃষ্টান্ত স্থাপন করবেন—এই আমাদের প্রত্যাশা।
No comments