নাগরিক কমিটির উদ্যোগকে স্বাগত জানাই-ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ সড়ক
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সংস্থার (বিআরটিসি) কর্তাব্যক্তি, কর্মচারী, অফিস, বাজেটে বরাদ্দ—সবকিছু ঠিক থাকলেও বিভিন্ন রুট থেকে বাসগুলো ধীরে ধীরে উধাও হয়ে যাচ্ছে। ঢাকা মহানগরে বিআরটিসির বাস কদাচিৎ দেখা যায়। দূরপাল্লার বাসও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে পূর্বাপর সরকারের ভুল নীতি ও বেসরকারি বাসমালিকদের দৌরাত্ম্যে।
আমাদের দেশের পরিবহন ব্যবসায়ীরা প্রতিযোগিতায় বিশ্বাস করেন না, আস্থা রাখেন একচেটিয়া ব্যবসায়। সম্প্রতি তেল ও গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির অজুহাতে তাঁরা যাত্রী সাধারণের ওপর অন্যায্য অতিরিক্ত ভাড়া চাপিয়ে দিতেও দ্বিধা করেননি। বিআরটিসির বাসের ভাড়া অপেক্ষাকৃত কম, যত্রতত্র না থামার কারণে যাত্রীদেরও তেমন ভোগান্তিতে পড়তে হয় না।
একটার পর একটা রুটে বিআরটিসির বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের গাফিলতি যেমন দায়ী, তেমনি বেসরকারি পরিবহন মালিকদের সঙ্গে তাদের যোগসাজশের বিষয়টিও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। বুধবার ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে বিআরটিসির বাস চলাচলের দাবিতে সংস্থার চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে নারায়ণগঞ্জ নাগরিক কমিটি। আমরা তাদের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। এই সড়কে কয়েক বছর আগেও বিআরটিসির বাস চলাচল করত। হঠাৎ করে বিআরটিসির বাস বন্ধ হয়ে যাওয়া রহস্যজনক। বিষয়টির তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। স্মারকলিপির জবাবে সংস্থাটির চেয়ারম্যান পুনরায় বিআরটিসির বাস চালু করা হবে বলে নাগরিক কমিটিকে আশ্বস্ত করেছেন। নারায়ণগঞ্জবাসী তাঁর এ আশ্বাসের বাস্তবায়নই দেখতে চাইবে।
বেসরকারি পরিবহন মালিকেরা ভাড়া বাড়িয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ সড়কে বাসভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে সম্প্রতি আধা বেলার হরতাল আহ্বান করেছিল যাত্রী অধিকার ফোরাম। ক্ষমতাসীন দলের একাংশ এই কর্মসূচির প্রতি সমর্থন জানালেও অপরাংশ বিরোধিতা করে এবং জেলা প্রশাসক আহূত সমন্বয় কমিটির বৈঠকে তা নিয়ে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। এর পেছনে বেসরকারি পরিবহন মালিকদের হাত আছে বলেও সংশ্লিষ্টরা মনে করেন। পরে অবশ্য বর্ধিত বাসভাড়া কিছুটা কমানোর কারণে হরতাল প্রত্যাহার করা হয়েছে। কিন্তু তারা যেকোনো সময় ফের বাসভাড়া বাড়িয়ে দিতে পারেন বলে মনে করে যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ ফোরাম। এ কারণেই অবিলম্বে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ সড়কে বিআরটিসির বাস চালু করা জরুরি। তাতে যাত্রীসেবার মান যেমন বাড়বে, তেমনি বেসরকারি বাসমালিকদের দৌরাত্ম্যও কমবে। অনেক সড়কে লোকসানের অজুহাতে বিআরটিসির বাস বন্ধ করা হয়েছে। কিন্তু ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে লোকসানের আশঙ্কা নেই।
একটার পর একটা রুটে বিআরটিসির বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের গাফিলতি যেমন দায়ী, তেমনি বেসরকারি পরিবহন মালিকদের সঙ্গে তাদের যোগসাজশের বিষয়টিও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। বুধবার ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে বিআরটিসির বাস চলাচলের দাবিতে সংস্থার চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে নারায়ণগঞ্জ নাগরিক কমিটি। আমরা তাদের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। এই সড়কে কয়েক বছর আগেও বিআরটিসির বাস চলাচল করত। হঠাৎ করে বিআরটিসির বাস বন্ধ হয়ে যাওয়া রহস্যজনক। বিষয়টির তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। স্মারকলিপির জবাবে সংস্থাটির চেয়ারম্যান পুনরায় বিআরটিসির বাস চালু করা হবে বলে নাগরিক কমিটিকে আশ্বস্ত করেছেন। নারায়ণগঞ্জবাসী তাঁর এ আশ্বাসের বাস্তবায়নই দেখতে চাইবে।
বেসরকারি পরিবহন মালিকেরা ভাড়া বাড়িয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ সড়কে বাসভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে সম্প্রতি আধা বেলার হরতাল আহ্বান করেছিল যাত্রী অধিকার ফোরাম। ক্ষমতাসীন দলের একাংশ এই কর্মসূচির প্রতি সমর্থন জানালেও অপরাংশ বিরোধিতা করে এবং জেলা প্রশাসক আহূত সমন্বয় কমিটির বৈঠকে তা নিয়ে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। এর পেছনে বেসরকারি পরিবহন মালিকদের হাত আছে বলেও সংশ্লিষ্টরা মনে করেন। পরে অবশ্য বর্ধিত বাসভাড়া কিছুটা কমানোর কারণে হরতাল প্রত্যাহার করা হয়েছে। কিন্তু তারা যেকোনো সময় ফের বাসভাড়া বাড়িয়ে দিতে পারেন বলে মনে করে যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ ফোরাম। এ কারণেই অবিলম্বে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ সড়কে বিআরটিসির বাস চালু করা জরুরি। তাতে যাত্রীসেবার মান যেমন বাড়বে, তেমনি বেসরকারি বাসমালিকদের দৌরাত্ম্যও কমবে। অনেক সড়কে লোকসানের অজুহাতে বিআরটিসির বাস বন্ধ করা হয়েছে। কিন্তু ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে লোকসানের আশঙ্কা নেই।
No comments