দুই দু’গুণে পাঁচ-টাকাপয়সা ও ধারকর্জ by আতাউর রহমান
শেক্সপিয়ার তাঁর হ্যামলেট নাটকের অন্যতম কুশীলব বয়োবৃদ্ধ পলোনিবাস মারফত উপদেশবাণী শুনিয়ে গেছেন: নাইদার এ বরোয়ার অর এলেন্ডার বি; অর্থাৎ অধমর্ণ ও উত্তমর্ণ—এ দুটোর কোনোটাই হওয়া যাবে না। প্রসঙ্গত, ইংরেজি N-E-I-T-H-E-R শব্দটি ‘নাইদার’ ও ‘নিদার’ দুভাবেই উচ্চারিত হয়ে থাকে।
তো একবার নাকি লন্ডন শহরের রাজপথে এক তরুণ পথচারীকে দাঁড় করিয়ে যখন জিজ্ঞেস করা হলো, শব্দটির সঠিক উচ্চারণ কী হবে বলে সে মনে করে, তখন তরুণটি একগাল হেসে জবাব দিয়েছিল, নেদার (অর্থাৎ ওই দুটোর মাঝামাঝি)।
সে যা-ই হোক, ধারকর্জের ব্যাপারটায় পরে মনোনিবেশ করা যাবেখন, পূর্বাহ্নে গেল কিস্তির লেখাটার অনুবৃত্তিক্রমে টাকাপয়সার ওপর আরও কিছু সরস কথা উপস্থাপন করা যাক: পোলিশ ভাষায় একটি প্রবাদ আছে যে, হাতে টাকা থাকলে সবাই ভাই বলে তাকে। বোকারা অনেক সময় টাকাপয়সা বানায়; কিন্তু টাকাপয়সাও অনেক সময় বোকা বানায়। আবার অনেক সময় এমনও হয় যে একজন লোক বুদ্ধিমত্তার জন্য সুখ্যাতি পায়; কেননা নিজেকে বোকা প্রতিপন্ন করার জন্য তার হাতে প্রচুর পয়সা-কড়ি নেই। সর্বদা স্মরণ রাখা উচিত যে টাকাপয়সাই সবকিছু নয়, কিন্তু এটাও স্মরণ রাখা উচিত যে এ রকম অর্থহীন কথা বলার আগেই যথেষ্ট টাকাপয়সা বানানো চাই। একজন সফল ব্যক্তি হচ্ছেন তিনি, যিনি তাঁর স্ত্রী যে পরিমাণ টাকাপয়সা খরচ করেন, সেটার চেয়ে অনেক বেশি রোজগার করতে পারেন; আর একজন সফল নারী হচ্ছেন তিনি, যিনি তেমন একজনকে স্বামী হিসেবে অর্জন করেন। এবং আমার মতো চাকরি থেকে অবসরপ্রাপ্তদের অবসরজীবনটা সত্যিকারের আনন্দের হতে পারে, যদি তাঁরা টাকাপয়সা খরচ না করেও কীভাবে সময় কাটানো যায়, এই কৌশলটা রপ্ত করতে পারেন।
প্রসঙ্গত মনে পড়ে গেল, একজন প্রখ্যাত আইনজীবী জনৈক নারীর আইনগত জটিল এক সমস্যার সমাধান করে দেওয়ার পর নারীটি যখন বললেন, আপনার এই ঋণ কীভাবে পরিশোধ করব বুঝতে পাচ্ছি না। তখন তিনি বলেছিলেন, ‘ম্যাডাম, ফিনিশিয়ানরা যখন থেকে মুদ্রা জিনিসটার আবিষ্কার করেছেন, তখন থেকে ওটাই হচ্ছে আপনার প্রশ্নের একমাত্র উত্তর।’
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সেই মজার উপাখ্যানটিও এস্থলে স্মরণ করা যেতে পারে: একবার একটি লোক রবীন্দ্রনাথের কাছ থেকে পাঁচ টাকা ধার নিয়েছিল। সেই যে গেল, লোকটির টিকিটিরও নাগাল আর পাওয়া গেল না। রবীন্দ্রনাথ বহুদিন অপেক্ষার পর তাঁর বিশ্বস্ত পরিচারক দীনুকে উদ্দেশ করে অবশেষে বললেন, ‘বুঝলিরে দীনু, দুঃখের কথা আর কী বলব! লোকটি টাকা ধার নিয়ে গদগদ কণ্ঠে বলল, “আজ্ঞে, আপনার কাছে আমি চিরঋণী হয়ে রইলুম।” ওর অন্য শত দোষ থাকলেও একটা গুণ আছে বলতে হবে—লোকটা সত্যভাষী। সে টাকা কর্জ নিয়ে আজ অবধি পরিশোধ করেনি, আর করবে বলেও মনে হয় না। কথা সে ঠিকই রেখেছে, আমার কাছে চিরঋণী হয়েই রয়েছে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন গল্প শুনেছিলাম—এক বন্ধু আরেক বন্ধুর কাছে টাকা ধার চাইতেই সে সরাসরি ‘না’ বলে দিল। অতঃপর সে বন্ধুর বিস্ময়-বস্ফািরিত নয়নদ্বয় লক্ষ করে বুঝিয়ে বলল, ‘আমি জানি, তুমি কর্জ নিলে ফেরত দেবে না, তখন তোমার সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব নষ্ট হবে। কিন্তু আমার কাছে তোমার বন্ধুত্বের দাম অনেক; সামান্য কয়েকটি টাকার জন্য ওটা আমি নষ্ট হতে দিতে চাই না। তাই তোমাকে আমি কর্জ দিচ্ছি না।’
অনেকটা সেই গল্পের মতো আর কী। শিক্ষক ছাত্রকে প্রশ্ন করেছিলেন, ‘দেখি তোমার অঙ্কের জ্ঞান কতটুকু—তোমার বাবা যদি আমার কাছ থেকে ১০০ টাকা কর্জ নেন ও ফি মাসে ১০ টাকা করে পরিশোধ করতে থাকেন, তাহলে ছয় মাস পরে তাঁর কাছে আমার আর কত টাকা পাওনা থাকবে?’ ছাত্র জবাব দিল, ‘১০০ টাকাই থাকবে।’ শিক্ষক: ‘তুমি তো দেখি অঙ্কের কিছুই জানো না।’ বলতেই ছাত্রটি বলে উঠল, ‘আপনিও দেখছি আমার বাবা সম্পর্কে কিছুই জানেন না। তিনি টাকা কর্জ নিলে আর ফেরত দেন না।’
স্বনামধন্য আমেরিকান রাজনীতিক ও বৈজ্ঞানিক রেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিনকে একবার তাঁর এক গরিব আত্মীয় পটিয়ে তাঁর কাছ থেকে ৫০ ডলার কর্জ আদায় করে ফেলল। অতঃপর ওই গরিব আত্মীয়টি টাকা প্রাপ্তির লিখিত রসিদ প্রদানার্থে এক শিট সাদা কাগজ চাইলে তিনি নাকি আর্তচিৎকার করে উঠেছিলেন, ‘হোয়াট! তুমি কি আমার টাকার সঙ্গে সঙ্গে আমার স্টেশনারিরও অপচয় করতে চাও?’
প্রসঙ্গত, শিখদের সেই মজার গল্পটিও স্মর্তব্য: দিল্লি থেকে বলবন্ত সিং অমৃতসরে তার এক বন্ধুকে অপারেটরের মাধ্যমে টেলিফোন করছিল, ‘বান্তা সিং, মেরে ইয়ার, কেমন আছো?’ প্রশ্নোত্তরে বান্তা সিং জানাল, ‘গুরুজির কৃপায় ভালোই আছি।’ অতঃপর বলবন্ত সিং সে খুব বিপদে আছে জানিয়ে ৫০০ টাকা ধার চাইতেই বান্তা সিংয়ের সাফ জবাব, ‘আমি তোমার কথা কিছুই শুনতে পাচ্ছি না, লাইন অস্পষ্ট।’ অপারেটর উভয়ের কথাই শুনছিল; তাই সে বান্তা সিংকে উদ্দেশ করে বলল, ‘লাইন তো পরিষ্কার, আমি স্পষ্ট শুনতে পাচ্ছি। আপনার বন্ধু আপনার কাছে ৫০০ রুপি ধার চাইছেন।’ ‘তুমি শুনলে তুমিই দিয়ে দাও’, বাস্তা সিং রাগতস্বরে অপারেটরকে বলে দিল।
পরিশেষে এ প্রসঙ্গে চার্লস ল্যাম্ব, যিনি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির লন্ডন অফিসের ক্লার্ক ছিলেন এবং ল্যাম্বস টেইলস ফ্রম শেক্সপিয়ার লিখে বিখ্যাত হয়েছিলেন, তাঁর একটি মজার উক্তি: মানবজাতি আমার মতে, দুটো গোত্রে বিভক্ত—যেসব মানুষ ধার নেয় আর যেসব মানুষ ধার দেয়। অনেকটা বিল ক্লিনটনের তাজমহল পরিদর্শনোত্তর উক্তিটার মতো: পৃথিবীতে কুল্লে দুই ধরনের মানুষ আছে, যারা তাজমহল দেখেছে আর যারা দেখেনি।
পুনশ্চ: জাতি হিসেবেও আমরা অত্যন্ত ঋণগ্রস্ত বটে। আশির দশকে প্ল্যানিং একাডেমিতে যখন প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলাম, তখন অর্থনীতিবিদ মোজাফ্ফর আহমদ বলেছিলেন, এ দেশে এ মুহূর্তে যে বাচ্চাটি জন্ম নিচ্ছে, সে আড়াই হাজার টাকার বৈদেশিক ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে ধরাধামে আসছে। এত দিনে নিশ্চয়ই ওই বোঝাটা অনেক বেড়ে গিয়ে থাকবে। সরকারের পরিসংখ্যান বিভাগ কিংবা সিপিডি এটা ভালো বলতে পারবে।
আতাউর রহমান: রম্য লেখক। ডাক বিভাগের সাবেক মহাপরিচালক।
সে যা-ই হোক, ধারকর্জের ব্যাপারটায় পরে মনোনিবেশ করা যাবেখন, পূর্বাহ্নে গেল কিস্তির লেখাটার অনুবৃত্তিক্রমে টাকাপয়সার ওপর আরও কিছু সরস কথা উপস্থাপন করা যাক: পোলিশ ভাষায় একটি প্রবাদ আছে যে, হাতে টাকা থাকলে সবাই ভাই বলে তাকে। বোকারা অনেক সময় টাকাপয়সা বানায়; কিন্তু টাকাপয়সাও অনেক সময় বোকা বানায়। আবার অনেক সময় এমনও হয় যে একজন লোক বুদ্ধিমত্তার জন্য সুখ্যাতি পায়; কেননা নিজেকে বোকা প্রতিপন্ন করার জন্য তার হাতে প্রচুর পয়সা-কড়ি নেই। সর্বদা স্মরণ রাখা উচিত যে টাকাপয়সাই সবকিছু নয়, কিন্তু এটাও স্মরণ রাখা উচিত যে এ রকম অর্থহীন কথা বলার আগেই যথেষ্ট টাকাপয়সা বানানো চাই। একজন সফল ব্যক্তি হচ্ছেন তিনি, যিনি তাঁর স্ত্রী যে পরিমাণ টাকাপয়সা খরচ করেন, সেটার চেয়ে অনেক বেশি রোজগার করতে পারেন; আর একজন সফল নারী হচ্ছেন তিনি, যিনি তেমন একজনকে স্বামী হিসেবে অর্জন করেন। এবং আমার মতো চাকরি থেকে অবসরপ্রাপ্তদের অবসরজীবনটা সত্যিকারের আনন্দের হতে পারে, যদি তাঁরা টাকাপয়সা খরচ না করেও কীভাবে সময় কাটানো যায়, এই কৌশলটা রপ্ত করতে পারেন।
প্রসঙ্গত মনে পড়ে গেল, একজন প্রখ্যাত আইনজীবী জনৈক নারীর আইনগত জটিল এক সমস্যার সমাধান করে দেওয়ার পর নারীটি যখন বললেন, আপনার এই ঋণ কীভাবে পরিশোধ করব বুঝতে পাচ্ছি না। তখন তিনি বলেছিলেন, ‘ম্যাডাম, ফিনিশিয়ানরা যখন থেকে মুদ্রা জিনিসটার আবিষ্কার করেছেন, তখন থেকে ওটাই হচ্ছে আপনার প্রশ্নের একমাত্র উত্তর।’
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সেই মজার উপাখ্যানটিও এস্থলে স্মরণ করা যেতে পারে: একবার একটি লোক রবীন্দ্রনাথের কাছ থেকে পাঁচ টাকা ধার নিয়েছিল। সেই যে গেল, লোকটির টিকিটিরও নাগাল আর পাওয়া গেল না। রবীন্দ্রনাথ বহুদিন অপেক্ষার পর তাঁর বিশ্বস্ত পরিচারক দীনুকে উদ্দেশ করে অবশেষে বললেন, ‘বুঝলিরে দীনু, দুঃখের কথা আর কী বলব! লোকটি টাকা ধার নিয়ে গদগদ কণ্ঠে বলল, “আজ্ঞে, আপনার কাছে আমি চিরঋণী হয়ে রইলুম।” ওর অন্য শত দোষ থাকলেও একটা গুণ আছে বলতে হবে—লোকটা সত্যভাষী। সে টাকা কর্জ নিয়ে আজ অবধি পরিশোধ করেনি, আর করবে বলেও মনে হয় না। কথা সে ঠিকই রেখেছে, আমার কাছে চিরঋণী হয়েই রয়েছে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন গল্প শুনেছিলাম—এক বন্ধু আরেক বন্ধুর কাছে টাকা ধার চাইতেই সে সরাসরি ‘না’ বলে দিল। অতঃপর সে বন্ধুর বিস্ময়-বস্ফািরিত নয়নদ্বয় লক্ষ করে বুঝিয়ে বলল, ‘আমি জানি, তুমি কর্জ নিলে ফেরত দেবে না, তখন তোমার সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব নষ্ট হবে। কিন্তু আমার কাছে তোমার বন্ধুত্বের দাম অনেক; সামান্য কয়েকটি টাকার জন্য ওটা আমি নষ্ট হতে দিতে চাই না। তাই তোমাকে আমি কর্জ দিচ্ছি না।’
অনেকটা সেই গল্পের মতো আর কী। শিক্ষক ছাত্রকে প্রশ্ন করেছিলেন, ‘দেখি তোমার অঙ্কের জ্ঞান কতটুকু—তোমার বাবা যদি আমার কাছ থেকে ১০০ টাকা কর্জ নেন ও ফি মাসে ১০ টাকা করে পরিশোধ করতে থাকেন, তাহলে ছয় মাস পরে তাঁর কাছে আমার আর কত টাকা পাওনা থাকবে?’ ছাত্র জবাব দিল, ‘১০০ টাকাই থাকবে।’ শিক্ষক: ‘তুমি তো দেখি অঙ্কের কিছুই জানো না।’ বলতেই ছাত্রটি বলে উঠল, ‘আপনিও দেখছি আমার বাবা সম্পর্কে কিছুই জানেন না। তিনি টাকা কর্জ নিলে আর ফেরত দেন না।’
স্বনামধন্য আমেরিকান রাজনীতিক ও বৈজ্ঞানিক রেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিনকে একবার তাঁর এক গরিব আত্মীয় পটিয়ে তাঁর কাছ থেকে ৫০ ডলার কর্জ আদায় করে ফেলল। অতঃপর ওই গরিব আত্মীয়টি টাকা প্রাপ্তির লিখিত রসিদ প্রদানার্থে এক শিট সাদা কাগজ চাইলে তিনি নাকি আর্তচিৎকার করে উঠেছিলেন, ‘হোয়াট! তুমি কি আমার টাকার সঙ্গে সঙ্গে আমার স্টেশনারিরও অপচয় করতে চাও?’
প্রসঙ্গত, শিখদের সেই মজার গল্পটিও স্মর্তব্য: দিল্লি থেকে বলবন্ত সিং অমৃতসরে তার এক বন্ধুকে অপারেটরের মাধ্যমে টেলিফোন করছিল, ‘বান্তা সিং, মেরে ইয়ার, কেমন আছো?’ প্রশ্নোত্তরে বান্তা সিং জানাল, ‘গুরুজির কৃপায় ভালোই আছি।’ অতঃপর বলবন্ত সিং সে খুব বিপদে আছে জানিয়ে ৫০০ টাকা ধার চাইতেই বান্তা সিংয়ের সাফ জবাব, ‘আমি তোমার কথা কিছুই শুনতে পাচ্ছি না, লাইন অস্পষ্ট।’ অপারেটর উভয়ের কথাই শুনছিল; তাই সে বান্তা সিংকে উদ্দেশ করে বলল, ‘লাইন তো পরিষ্কার, আমি স্পষ্ট শুনতে পাচ্ছি। আপনার বন্ধু আপনার কাছে ৫০০ রুপি ধার চাইছেন।’ ‘তুমি শুনলে তুমিই দিয়ে দাও’, বাস্তা সিং রাগতস্বরে অপারেটরকে বলে দিল।
পরিশেষে এ প্রসঙ্গে চার্লস ল্যাম্ব, যিনি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির লন্ডন অফিসের ক্লার্ক ছিলেন এবং ল্যাম্বস টেইলস ফ্রম শেক্সপিয়ার লিখে বিখ্যাত হয়েছিলেন, তাঁর একটি মজার উক্তি: মানবজাতি আমার মতে, দুটো গোত্রে বিভক্ত—যেসব মানুষ ধার নেয় আর যেসব মানুষ ধার দেয়। অনেকটা বিল ক্লিনটনের তাজমহল পরিদর্শনোত্তর উক্তিটার মতো: পৃথিবীতে কুল্লে দুই ধরনের মানুষ আছে, যারা তাজমহল দেখেছে আর যারা দেখেনি।
পুনশ্চ: জাতি হিসেবেও আমরা অত্যন্ত ঋণগ্রস্ত বটে। আশির দশকে প্ল্যানিং একাডেমিতে যখন প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলাম, তখন অর্থনীতিবিদ মোজাফ্ফর আহমদ বলেছিলেন, এ দেশে এ মুহূর্তে যে বাচ্চাটি জন্ম নিচ্ছে, সে আড়াই হাজার টাকার বৈদেশিক ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে ধরাধামে আসছে। এত দিনে নিশ্চয়ই ওই বোঝাটা অনেক বেড়ে গিয়ে থাকবে। সরকারের পরিসংখ্যান বিভাগ কিংবা সিপিডি এটা ভালো বলতে পারবে।
আতাউর রহমান: রম্য লেখক। ডাক বিভাগের সাবেক মহাপরিচালক।
No comments