আন্তর্জাতিক যুব সম্মেলন-নিরাপদ পৃথিবী গড়তে by ইমাম হাসান
আবহাওয়া ও জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলে পৃথিবী এখন চরম হুমকির মুখে। কে না জানে এই কথা! ব্যবস্থা নিতে এগিয়ে এসেও বারবার ব্যর্থ হচ্ছেন বিশ্বনেতারা। তাহলে কি আমরা পৃথিবীকে নিরাপদ করতে পারব না? এমন প্রশ্ন এখন অনেকের মনে।
আর এই প্রশ্নের সমাধান দিতেই ৬-৯ মার্চ ঢাকায় হয়ে গেল তরুণদের এক সম্মেলন, যেখানে তরুণেরা শিখেছেন জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে কী ঘটতে যাচ্ছে তাঁদের প্রিয় এই ধরণীর। আলোচনা করে তার সমাধানও বাতলে দিয়েছেন তাঁরা। ইন্টারন্যাশনাল ইয়ুথ কনফারেন্স (আইওয়াইসি) অন এনভায়রনমেন্ট ২০১২ নামের এই সম্মেলন বসেছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে। দেশের ১৫টি বিশ্ববিদ্যালয় ও ৩০টি কলেজের চার শতাধিক তরুণ শিক্ষার্থী অংশ নেন এখানে। তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও জাপানের পরিবেশবাদী সংগঠনের নেতারা।
লক্ষ্য সবার একটাই—সবুজ পৃথিবী গড়া, যে পৃথিবী থাকবে জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব থেকে সম্পূর্ণ নিরাপদ। সম্মেলনের আয়োজন করে গ্রিন বেল্ট ট্রাস্ট, যেখানে কাজ করেন একদল তরুণ শিক্ষার্থী। সহ-আয়োজক ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
আইওয়াইসির ব্যবস্থাপকের দায়িত্ব পালন করা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষার্থী ফখরুল ইসলাম পাটোয়ারী বলেন, ‘এক বছর আগে থেকে আমরা বাংলাদেশে গ্রিন বেল্ট ট্রাস্টের মাধ্যমে কাজ করছি, যেখানে আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ভবিষ্যৎ পৃথিবী নিয়ে শিখেছি বা জেনেছি। আমরা চাইছি পৃথিবীকে বাঁচাতে ছুটে আসুক তরুণেরা। আর তাই এমন একটি সম্মেলনের আয়োজন করা।’
গ্রিন বেল্ট ট্রাস্টের মহাপরিচালক জসিম খাতাবি বলেন, ‘প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে আমরা এ ধরনের বড় আয়োজন করলাম। ২০১৪ সালে আমরা একটি ওয়ার্ল্ড ইয়ুথ কার্নিভাল আয়োজনের পরিকল্পনা করছি।’
চার দিনের এই আয়োজনে শিক্ষার্থীরা শিখেছেন নানা বিষয়। কীভাবে পৃথিবীর উষ্ণতা বাড়ছে, কেমন করে বরফ গলে তলিয়ে নিচ্ছে বাসযোগ্য ভূমি—এসব বিষয় জানাতে ছুটে আসেন পরিবেশবাদী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
এ সময় সবুজ বাংলাদেশ গড়তে দুই বছরের ভেতর ৪০ লাখ গাছ লাগানোর ঘোষণা সমর্থন করেন তরুণেরা। সম্মেলনে আসা ইডেন কলেজের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের শিক্ষার্থী তাহমিদা ইয়াসমিন বলেন, ‘আমি একজন পরিবেশের শিক্ষার্থী। আর এমন একটি সম্মেলনে এসে শেখা হলো পরিবেশ নিয়ে আরও অজানা তথ্য। বাংলাদেশকে হুমকির মুখ থেকে ফিরিয়ে আনতে কাজ করতে পারব এখন। তা ছাড়া এই পৃথিবীকে যে আমরা চাইলেই পাল্টে দিতে পারি, এই বিশ্বাস আমার ভেতর জন্মেছে।’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আশরাফ বলেন, ‘এখানে এসে আমার দৃষ্টি আরও প্রসারিত হয়েছে। কীভাবে নেতা হয়ে কাজ করতে হয়, তা জেনেছি এখানে। এবার কাজে নেমে পড়ার পালা।’ সম্মেলনে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত প্রতিদিন তিন-চারটি করে পর্বে পরিবেশের নানা দিক তুলে আনেন দেশ-বিদেশের নেতা-কর্মীরা। তৃতীয় দিনের আয়োজনে ছিল অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের নিয়ে একটি ভিন্ন ধরনের প্রতিযোগিতা, যেখানে শিক্ষার্থীদের ভাগ করে দেওয়া হয় বেশ কিছু দলে। এরপর ২০৩০ সালের পৃথিবী কল্পনা করে সেখানে কী কী সমস্যা হতে পারে, তা চিহ্নিত করতে বলা হয়। সেই সঙ্গে তা সমাধানের পথ বাতলে দিতে বলা হয় তাঁদেরই। নির্ধারিত সময়ের পর প্রতিটি দল উপস্থাপন করে নিজেদের চিন্তা আর ধারণার সেসব এজেন্ডা। সবশেষে বিচারকদের রায়ে দুটি দলকে চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ ঘোষণা করা হয়। ‘গোধূলি’ নামে আসা ঢাকা কলেজ, ইডেন কলেজ আর ইউল্যাব কলেজের শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ের দল চ্যাম্পিয়ন এবং রানার্সআপ হয় ‘উত্তরণ’ নামের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা কলেজ, বুয়েট এবং ইউল্যাব কলেজের শিক্ষার্থীদের দল। সম্মেলনের শেষ দিন বাংলাদেশ ও জাপানের বন্ধুত্বের ৪০ বছর উপলক্ষে একটি বিশেষ পর্বে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সময় কাটাতে আসেন জাপানের রাষ্ট্রদূত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ আরও অনেকে। এ সময় চার দিনের এই সম্মেলনের নয়টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরে ঢাকা ঘোষণার মাধ্যমে শেষ হয় তরুণদের এই মিলনমেলা।
লক্ষ্য সবার একটাই—সবুজ পৃথিবী গড়া, যে পৃথিবী থাকবে জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব থেকে সম্পূর্ণ নিরাপদ। সম্মেলনের আয়োজন করে গ্রিন বেল্ট ট্রাস্ট, যেখানে কাজ করেন একদল তরুণ শিক্ষার্থী। সহ-আয়োজক ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
আইওয়াইসির ব্যবস্থাপকের দায়িত্ব পালন করা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষার্থী ফখরুল ইসলাম পাটোয়ারী বলেন, ‘এক বছর আগে থেকে আমরা বাংলাদেশে গ্রিন বেল্ট ট্রাস্টের মাধ্যমে কাজ করছি, যেখানে আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ভবিষ্যৎ পৃথিবী নিয়ে শিখেছি বা জেনেছি। আমরা চাইছি পৃথিবীকে বাঁচাতে ছুটে আসুক তরুণেরা। আর তাই এমন একটি সম্মেলনের আয়োজন করা।’
গ্রিন বেল্ট ট্রাস্টের মহাপরিচালক জসিম খাতাবি বলেন, ‘প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে আমরা এ ধরনের বড় আয়োজন করলাম। ২০১৪ সালে আমরা একটি ওয়ার্ল্ড ইয়ুথ কার্নিভাল আয়োজনের পরিকল্পনা করছি।’
চার দিনের এই আয়োজনে শিক্ষার্থীরা শিখেছেন নানা বিষয়। কীভাবে পৃথিবীর উষ্ণতা বাড়ছে, কেমন করে বরফ গলে তলিয়ে নিচ্ছে বাসযোগ্য ভূমি—এসব বিষয় জানাতে ছুটে আসেন পরিবেশবাদী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
এ সময় সবুজ বাংলাদেশ গড়তে দুই বছরের ভেতর ৪০ লাখ গাছ লাগানোর ঘোষণা সমর্থন করেন তরুণেরা। সম্মেলনে আসা ইডেন কলেজের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের শিক্ষার্থী তাহমিদা ইয়াসমিন বলেন, ‘আমি একজন পরিবেশের শিক্ষার্থী। আর এমন একটি সম্মেলনে এসে শেখা হলো পরিবেশ নিয়ে আরও অজানা তথ্য। বাংলাদেশকে হুমকির মুখ থেকে ফিরিয়ে আনতে কাজ করতে পারব এখন। তা ছাড়া এই পৃথিবীকে যে আমরা চাইলেই পাল্টে দিতে পারি, এই বিশ্বাস আমার ভেতর জন্মেছে।’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আশরাফ বলেন, ‘এখানে এসে আমার দৃষ্টি আরও প্রসারিত হয়েছে। কীভাবে নেতা হয়ে কাজ করতে হয়, তা জেনেছি এখানে। এবার কাজে নেমে পড়ার পালা।’ সম্মেলনে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত প্রতিদিন তিন-চারটি করে পর্বে পরিবেশের নানা দিক তুলে আনেন দেশ-বিদেশের নেতা-কর্মীরা। তৃতীয় দিনের আয়োজনে ছিল অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের নিয়ে একটি ভিন্ন ধরনের প্রতিযোগিতা, যেখানে শিক্ষার্থীদের ভাগ করে দেওয়া হয় বেশ কিছু দলে। এরপর ২০৩০ সালের পৃথিবী কল্পনা করে সেখানে কী কী সমস্যা হতে পারে, তা চিহ্নিত করতে বলা হয়। সেই সঙ্গে তা সমাধানের পথ বাতলে দিতে বলা হয় তাঁদেরই। নির্ধারিত সময়ের পর প্রতিটি দল উপস্থাপন করে নিজেদের চিন্তা আর ধারণার সেসব এজেন্ডা। সবশেষে বিচারকদের রায়ে দুটি দলকে চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ ঘোষণা করা হয়। ‘গোধূলি’ নামে আসা ঢাকা কলেজ, ইডেন কলেজ আর ইউল্যাব কলেজের শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ের দল চ্যাম্পিয়ন এবং রানার্সআপ হয় ‘উত্তরণ’ নামের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা কলেজ, বুয়েট এবং ইউল্যাব কলেজের শিক্ষার্থীদের দল। সম্মেলনের শেষ দিন বাংলাদেশ ও জাপানের বন্ধুত্বের ৪০ বছর উপলক্ষে একটি বিশেষ পর্বে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সময় কাটাতে আসেন জাপানের রাষ্ট্রদূত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ আরও অনেকে। এ সময় চার দিনের এই সম্মেলনের নয়টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরে ঢাকা ঘোষণার মাধ্যমে শেষ হয় তরুণদের এই মিলনমেলা।
No comments