দান-সদকা রমজানে পূর্ণতা আনে by সাইমুম রিদা
রমজানের অন্যতম আমল দান-সদকা, গরিব-দুঃখী মানুষের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া। কারণ রোজা ফরজ করা হয়েছে মানুষের কল্যাণের জন্য। আর এ কল্যাণ তখনই অর্জিত হবে যখন রোজাদার দুস্থ-অসহায় মানুষের প্রতি দানের হাত প্রসারিত করবেন। রাসূলুল্লাহ (সা.) মানুষের মধ্যে সবচেয়ে উদার ও দানশীল ছিলেন।
রমজানে যখন হজরত জিব্রাইল (আ.) তার কাছে নিয়মিত আসতেন এবং কোরআন পড়ে শোনাতেন তখন তার দানশীলতা আরও বেড়ে যেত। হজরত আনাস (রা.) বলেন, 'নবী করিম (সা.)-এর চেয়ে বেশি দানশীল আমি আর কাউকে দেখিনি।' (মুসলিম)
মাহে রমজানে দানের ফজিলত অনেক বেশি। এ জন্য অন্য এগারো মাসের তুলনায় এ মাসে অধিক দান-সদকা করা উচিত। রাসূলুল্লাহ (সা.) তার উম্মতদের শিক্ষা দিয়েছেন রমজান মাসে দান ও বদান্যতার হাত সম্প্রসারিত করতে। কারণ রমজান মুমিনের আমলের বসন্তকাল। হাদিসে রমজানকে 'সহানুভূতির মাস' বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
রমজানের রোজা ফরজ করার অন্যতম উদ্দেশ্য হলো, গরিব-দুঃখী মানুষের কষ্ট অনুভব করা। যারা প্রাচুর্যের মধ্যে জীবনযাপন করেন তারা সারা বছর ক্ষুধা ও পিপাসার যন্ত্রণা না বুঝলেও রমজানে কিছুটা বোঝেন। রমজান মাসে আল্লাহতায়ালা প্রতিটি নফল কাজের সওয়াব ৭০ গুণ বাড়িয়ে দেন। সে হিসাবে রমজানে এক টাকা দান করে ৭০ টাকা দানের সওয়াব লাভ করা সম্ভব। আল্লাহতায়ালা বলেন, 'আল্লাহর পথে ব্যয় করো, নিজের জীবনকে ধ্বংসের সম্মুখীন করো না। আর তোমরা মানুষের প্রতি অনুগ্রহ করো। আল্লাহ অনুগ্রহকারীদের ভালোবাসেন' (আল কোরআন)। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আল্লাহতায়ালা মানব সন্তানকে লক্ষ্য করে বলেন, 'তুমি দান করো, তাহলে তোমার জন্য (আল্লাহর পক্ষ থেকে) দান করা হবে।' হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত_ তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, 'দানকারী আল্লাহর নিকটতম, বেহেশতের নিকটতম এবং মানুষের নিকটতম হয়ে থাকে। আর দূরে থাকে জাহান্নাম থেকে। অন্যদিকে কৃপণ ব্যক্তি দূরে অবস্থান করে আল্লাহ থেকে, বেহেশত থেকে এবং মানুষের কাছ থেকে। আর কাছাকাছি থাকে জাহান্নামের। অবশ্যই একজন জ্ঞানহীন দাতা একজন কৃপণ ইবাদতকারীর তুলনায় আল্লাহর কাছে অধিক প্রিয়।'
আমাদের সমাজে এমন অনেক অসহায়-নিঃস্ব মানুষ আছে যারা সেহরি ও ইফতারে সামান্য খাবার জোগাড় করতেও হিমশিম খায়। এ ধরনের মানুষের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া সামর্থ্যবান প্রতিটি মুসলমানের নৈতিক ও ধর্মীয় কর্তব্য। রমজানে গরিবের প্রতি সহানুভূতি দেখানোর অনেক সুযোগ ও উপলক্ষ ইসলাম করে দিয়েছে। যেমন_ জাকাত, সদকা ও সাধারণ দান, ইফতার ইত্যাদি। রমজান উপলক্ষে ব্যয়বহুল অনেক ইফতার পার্টির আয়োজন করা হয়। এসব আয়োজনে সাধারণত অনেক অপচয় হয়ে থাকে। সওয়াবের উদ্দেশ্যে এসব আয়োজন হলে গরিব-দুঃখীদের মধ্যে ইফতার বিলিয়ে দেওয়াতেই সওয়াব অনেক বেশি। পবিত্র রমজানে প্রত্যেকের উচিত সাধ্যমতো গরিব-দুঃখীদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া। তবেই রমজান পূর্ণতা লাভ করবে মুমিন জীবনে।
saimumrida@gmail.com
মাহে রমজানে দানের ফজিলত অনেক বেশি। এ জন্য অন্য এগারো মাসের তুলনায় এ মাসে অধিক দান-সদকা করা উচিত। রাসূলুল্লাহ (সা.) তার উম্মতদের শিক্ষা দিয়েছেন রমজান মাসে দান ও বদান্যতার হাত সম্প্রসারিত করতে। কারণ রমজান মুমিনের আমলের বসন্তকাল। হাদিসে রমজানকে 'সহানুভূতির মাস' বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
রমজানের রোজা ফরজ করার অন্যতম উদ্দেশ্য হলো, গরিব-দুঃখী মানুষের কষ্ট অনুভব করা। যারা প্রাচুর্যের মধ্যে জীবনযাপন করেন তারা সারা বছর ক্ষুধা ও পিপাসার যন্ত্রণা না বুঝলেও রমজানে কিছুটা বোঝেন। রমজান মাসে আল্লাহতায়ালা প্রতিটি নফল কাজের সওয়াব ৭০ গুণ বাড়িয়ে দেন। সে হিসাবে রমজানে এক টাকা দান করে ৭০ টাকা দানের সওয়াব লাভ করা সম্ভব। আল্লাহতায়ালা বলেন, 'আল্লাহর পথে ব্যয় করো, নিজের জীবনকে ধ্বংসের সম্মুখীন করো না। আর তোমরা মানুষের প্রতি অনুগ্রহ করো। আল্লাহ অনুগ্রহকারীদের ভালোবাসেন' (আল কোরআন)। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আল্লাহতায়ালা মানব সন্তানকে লক্ষ্য করে বলেন, 'তুমি দান করো, তাহলে তোমার জন্য (আল্লাহর পক্ষ থেকে) দান করা হবে।' হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত_ তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, 'দানকারী আল্লাহর নিকটতম, বেহেশতের নিকটতম এবং মানুষের নিকটতম হয়ে থাকে। আর দূরে থাকে জাহান্নাম থেকে। অন্যদিকে কৃপণ ব্যক্তি দূরে অবস্থান করে আল্লাহ থেকে, বেহেশত থেকে এবং মানুষের কাছ থেকে। আর কাছাকাছি থাকে জাহান্নামের। অবশ্যই একজন জ্ঞানহীন দাতা একজন কৃপণ ইবাদতকারীর তুলনায় আল্লাহর কাছে অধিক প্রিয়।'
আমাদের সমাজে এমন অনেক অসহায়-নিঃস্ব মানুষ আছে যারা সেহরি ও ইফতারে সামান্য খাবার জোগাড় করতেও হিমশিম খায়। এ ধরনের মানুষের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া সামর্থ্যবান প্রতিটি মুসলমানের নৈতিক ও ধর্মীয় কর্তব্য। রমজানে গরিবের প্রতি সহানুভূতি দেখানোর অনেক সুযোগ ও উপলক্ষ ইসলাম করে দিয়েছে। যেমন_ জাকাত, সদকা ও সাধারণ দান, ইফতার ইত্যাদি। রমজান উপলক্ষে ব্যয়বহুল অনেক ইফতার পার্টির আয়োজন করা হয়। এসব আয়োজনে সাধারণত অনেক অপচয় হয়ে থাকে। সওয়াবের উদ্দেশ্যে এসব আয়োজন হলে গরিব-দুঃখীদের মধ্যে ইফতার বিলিয়ে দেওয়াতেই সওয়াব অনেক বেশি। পবিত্র রমজানে প্রত্যেকের উচিত সাধ্যমতো গরিব-দুঃখীদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া। তবেই রমজান পূর্ণতা লাভ করবে মুমিন জীবনে।
saimumrida@gmail.com
No comments