অবিলম্বে তদন্ত ও দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন-রাজার হস্ত করে সমস্ত কাঙালের ধন চুরি!
বরগুনার আমতলীতে কোনো রাজা নেই। তার বদলে আছেন সরকারি দলের প্রভাবশালী স্থানীয় নেতারা। তাঁরা সেখানে গরিবের হক মেরে খাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই উপজেলায় অতি দরিদ্রদের কর্মসংস্থান কর্মসূচিতে ৩৩টি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছিল। কিন্তু তা বাস্তবায়নে নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন তালিকাভুক্ত গরিব মানুষেরা।
প্রকল্পের অধীনে ৪০ কর্মদিবস কাজ করানোর কথা থাকলেও বেশির ভাগ প্রকল্পে ১৮ থেকে ২০ দিন কাজ করিয়ে বাকি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমন অভিযোগও উঠেছে যে ২১ দিন কাজ করিয়ে মজুরি দেওয়া হয়েছে ২০ দিনের। এসব অভিযোগ সত্য হলে প্রায় তিন কোটি টাকার অর্ধেকই গেছে প্রভাবশালীদের পকেটে।
খাল কাটার নামে উপজেলা আওয়ামী লীগের একজন সহসভাপতি ও তাঁর আত্মীয়র মাছের ঘের খনন করিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। তাঁরা নাকি খাল দখল করে সেই ঘের বানিয়েছেন। একটি রাস্তা মেরামত প্রকল্পে যে গরিবদের কাজ করার কথা, তাদের বাদ দিয়ে মাটি কাটার শ্রমিকদের ঠিকা দিয়ে নামমাত্র কাজ করিয়ে নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে।
সরকার গ্রামের গরিবদের পক্ষে কথা বলে। তাদের জন্য গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের অন্যতম হলো, অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি। দুটি কারণে এটা গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমত, গ্রামাঞ্চলে কিছু উন্নয়নকাজ হয়, যা গ্রামীণ অর্থনীতিতে গতি সঞ্চার করে। দ্বিতীয়ত, মানুষের হাতে দুপয়সা এলে তাদের ক্রয়ক্ষমতা বাড়ে, কেনাকাটা বাড়ে, যা বাজার সচল রাখতে সাহায্য করে। তাদের নামে প্রকল্প দেখিয়ে যদি টাকা আত্মসাৎ করা হয়, তাহলে শুধু গরিবেরাই মরবে না, বিপন্ন হবে সরকারের সম্ভাবনাময় উদ্যোগও।
উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা বলেছেন, কেউ অভিযোগ করলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু অতি দরিদ্ররা তো সব সময় প্রভাবশালীদের ভয়ে থাকে। অভিযোগ করার মতো মনোবল তাদের আছে কি? বরং ২৭ জুন প্রথম আলোর বিশাল বাংলা পাতায় প্রকাশিত খবরকে অভিযোগের সূত্র হিসেবে গ্রহণ করে তদন্ত এবং দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার উদ্যোগ নেওয়া উচিত। যারা গরিবের হক মেরে খায়, তাদের চিহ্নিত করা খুব জরুরি।
খাল কাটার নামে উপজেলা আওয়ামী লীগের একজন সহসভাপতি ও তাঁর আত্মীয়র মাছের ঘের খনন করিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। তাঁরা নাকি খাল দখল করে সেই ঘের বানিয়েছেন। একটি রাস্তা মেরামত প্রকল্পে যে গরিবদের কাজ করার কথা, তাদের বাদ দিয়ে মাটি কাটার শ্রমিকদের ঠিকা দিয়ে নামমাত্র কাজ করিয়ে নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে।
সরকার গ্রামের গরিবদের পক্ষে কথা বলে। তাদের জন্য গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের অন্যতম হলো, অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি। দুটি কারণে এটা গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমত, গ্রামাঞ্চলে কিছু উন্নয়নকাজ হয়, যা গ্রামীণ অর্থনীতিতে গতি সঞ্চার করে। দ্বিতীয়ত, মানুষের হাতে দুপয়সা এলে তাদের ক্রয়ক্ষমতা বাড়ে, কেনাকাটা বাড়ে, যা বাজার সচল রাখতে সাহায্য করে। তাদের নামে প্রকল্প দেখিয়ে যদি টাকা আত্মসাৎ করা হয়, তাহলে শুধু গরিবেরাই মরবে না, বিপন্ন হবে সরকারের সম্ভাবনাময় উদ্যোগও।
উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা বলেছেন, কেউ অভিযোগ করলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু অতি দরিদ্ররা তো সব সময় প্রভাবশালীদের ভয়ে থাকে। অভিযোগ করার মতো মনোবল তাদের আছে কি? বরং ২৭ জুন প্রথম আলোর বিশাল বাংলা পাতায় প্রকাশিত খবরকে অভিযোগের সূত্র হিসেবে গ্রহণ করে তদন্ত এবং দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার উদ্যোগ নেওয়া উচিত। যারা গরিবের হক মেরে খায়, তাদের চিহ্নিত করা খুব জরুরি।
No comments