শুরু হওয়া কাজ এই মেয়াদেই শেষ হোক-যুদ্ধাপরাধের বিচার
একাত্তরের যুদ্ধাপরাধ বা মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিচার-প্রক্রিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে আগামী মাসে শুরু করার যে ঘোষণা সরকারের কাছ থেকে এসেছে, তাকে আমরা স্বাগত জানাই। বিলম্বে হলেও এই বিচারের মধ্য দিয়ে জাতি গ্লানিমুক্ত হবে, সেটাই দেশবাসী আশা করে।
রোববার অর্থ মন্ত্রণালয়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারবিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভা শেষে আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ বলেছেন, আগামী মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে দুজনের বিচার শুরু হবে। তাঁরা হলেন জামায়াতে ইসলামীর নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ও বিএনপির নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী। এরই মধ্যে সাঈদীর বিরুদ্ধে সাড়ে ১৫ খণ্ডের তদন্ত প্রতিবেদন রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান আইনজীবীর কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। আগামী ১ আগস্টের মধ্যে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন যুদ্ধাপরাধ-সংক্রান্ত বিশেষ আদালত। সে ক্ষেত্রে আগামী মাসের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁদের বিচার-প্রক্রিয়া শুরু না হওয়ার কোনো কারণ নেই। একই সঙ্গে আটক অন্য অভিযুক্ত ব্যক্তিদের তদন্তকাজ দ্রুত শেষ করে বিচার-প্রক্রিয়াও ত্বরান্বিত করতে হবে। তদন্তকাজে বিলম্ব হওয়ার কারণেই বিচার-প্রক্রিয়া নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে এবং বিরোধী পক্ষও অপপ্রচারের সুযোগ পাচ্ছে।
আইনমন্ত্রী বিচার-প্রক্রিয়াকে আন্তর্জাতিক মানের দাবি করে বলেছেন, অভিযুক্ত ব্যক্তিরা আইনজীবী নিয়োগ করতে পারবেন এবং সাক্ষীদের জেরা করারও সুযোগ থাকবে। তবে বিচার-প্রক্রিয়া সম্পর্কে আন্তর্জাতিক মহল থেকে যেসব প্রশ্ন উঠেছে, তারও সদুত্তর পাওয়া প্রয়োজন। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ট্রাইব্যুনালের কাজে অর্থের সমস্যা কিংবা সমন্বয়হীনতার কথা অস্বীকার করেছেন। ১৫ জুন প্রথম আলোয় যুদ্ধাপরাধের বিচার-সংক্রান্ত তদন্ত সংস্থার কাজে ধীর গতি ও সমন্বয়হীনতা নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এই প্রতিবেদন সরকারের কোনো কোনো নীতিনির্ধারককে নাখোশ করে থাকতে পারে। কিন্তু প্রতিবেদনে তথ্যগত ভুল ছিল না। যুদ্ধাপরাধের বিচারের ব্যাপারে আমাদের অবস্থান অত্যন্ত পরিষ্কার এবং শুরু থেকেই আমরা এর পক্ষে জনমত গঠনে সক্রিয় ভূমিকা রেখে আসছি। প্রথম আলোর বহু প্রতিবেদন তদন্তকাজে সহায়তা করেছে। অতএব, এ ধরনের প্রতিবেদনকে বাঁকা চোখে দেখার অবকাশ নেই। যুদ্ধাপরাধের তদন্তকাজে যদি কোনো দুর্বলতাই না থাকবে, তাহলে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলে কেন বিলম্ব হচ্ছে?
যুদ্ধাপরাধের বিচারের প্রক্রিয়াটি সব পর্যায়ে স্বচ্ছ হওয়া প্রয়োজন। এতে সামান্য ত্রুটি বা দুর্বলতা থাকলে যে মহলটি বিচার চায় না, তারাই লাভবান হবে এবং মাঠ গরম করার সুযোগ পাবে। মন্ত্রীরা বহুবার বলেছেন, এ সরকারের মেয়াদের মধ্যেই যুদ্ধাপরাধের বিচার শেষ করা হবে।সে ক্ষেত্রে বিচার-প্রক্রিয়া যেমন ত্বরান্বিত করা প্রয়োজন, তেমনি এর আনুষঙ্গিক সহায়তা-সমর্থনও নিশ্চিত করতে হবে। যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত সবার বিচারকাজ হয়তো সরকারের বাকি মেয়াদে শেষ করা যাবে না। কিন্তু যাঁদের বিচার-প্রক্রিয়া এরই মধ্যে শুরু হয়েছে, সরকারের সদিচ্ছা থাকলে তাঁদের বিচার শেষ করা অসম্ভব নয়। অন্যদিকে স্পর্শকাতর এ বিষয়টি নিয়ে সরকারের নীতিনির্ধারক তথা মন্ত্রীদের বেশি কথা না বলাই ভালো। কথার চেয়ে কাজেই প্রমাণ করতে হবে, সরকার যুদ্ধাপরাধের বিচার-প্রক্রিয়াটি দ্রুত শেষ করতে আগ্রহী। অন্তত শুরু হওয়া কাজ সরকারের এ মেয়াদেই শেষ হোক।
আইনমন্ত্রী বিচার-প্রক্রিয়াকে আন্তর্জাতিক মানের দাবি করে বলেছেন, অভিযুক্ত ব্যক্তিরা আইনজীবী নিয়োগ করতে পারবেন এবং সাক্ষীদের জেরা করারও সুযোগ থাকবে। তবে বিচার-প্রক্রিয়া সম্পর্কে আন্তর্জাতিক মহল থেকে যেসব প্রশ্ন উঠেছে, তারও সদুত্তর পাওয়া প্রয়োজন। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ট্রাইব্যুনালের কাজে অর্থের সমস্যা কিংবা সমন্বয়হীনতার কথা অস্বীকার করেছেন। ১৫ জুন প্রথম আলোয় যুদ্ধাপরাধের বিচার-সংক্রান্ত তদন্ত সংস্থার কাজে ধীর গতি ও সমন্বয়হীনতা নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এই প্রতিবেদন সরকারের কোনো কোনো নীতিনির্ধারককে নাখোশ করে থাকতে পারে। কিন্তু প্রতিবেদনে তথ্যগত ভুল ছিল না। যুদ্ধাপরাধের বিচারের ব্যাপারে আমাদের অবস্থান অত্যন্ত পরিষ্কার এবং শুরু থেকেই আমরা এর পক্ষে জনমত গঠনে সক্রিয় ভূমিকা রেখে আসছি। প্রথম আলোর বহু প্রতিবেদন তদন্তকাজে সহায়তা করেছে। অতএব, এ ধরনের প্রতিবেদনকে বাঁকা চোখে দেখার অবকাশ নেই। যুদ্ধাপরাধের তদন্তকাজে যদি কোনো দুর্বলতাই না থাকবে, তাহলে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলে কেন বিলম্ব হচ্ছে?
যুদ্ধাপরাধের বিচারের প্রক্রিয়াটি সব পর্যায়ে স্বচ্ছ হওয়া প্রয়োজন। এতে সামান্য ত্রুটি বা দুর্বলতা থাকলে যে মহলটি বিচার চায় না, তারাই লাভবান হবে এবং মাঠ গরম করার সুযোগ পাবে। মন্ত্রীরা বহুবার বলেছেন, এ সরকারের মেয়াদের মধ্যেই যুদ্ধাপরাধের বিচার শেষ করা হবে।সে ক্ষেত্রে বিচার-প্রক্রিয়া যেমন ত্বরান্বিত করা প্রয়োজন, তেমনি এর আনুষঙ্গিক সহায়তা-সমর্থনও নিশ্চিত করতে হবে। যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত সবার বিচারকাজ হয়তো সরকারের বাকি মেয়াদে শেষ করা যাবে না। কিন্তু যাঁদের বিচার-প্রক্রিয়া এরই মধ্যে শুরু হয়েছে, সরকারের সদিচ্ছা থাকলে তাঁদের বিচার শেষ করা অসম্ভব নয়। অন্যদিকে স্পর্শকাতর এ বিষয়টি নিয়ে সরকারের নীতিনির্ধারক তথা মন্ত্রীদের বেশি কথা না বলাই ভালো। কথার চেয়ে কাজেই প্রমাণ করতে হবে, সরকার যুদ্ধাপরাধের বিচার-প্রক্রিয়াটি দ্রুত শেষ করতে আগ্রহী। অন্তত শুরু হওয়া কাজ সরকারের এ মেয়াদেই শেষ হোক।
No comments