মিয়ানমারে গণতন্ত্র ফিরে আসুক-অং সান সু চির প্রত্যয়
সামরিক শাসনের দেশ মিয়ানমারের গণতন্ত্রকন্যা অং সান সু চির জন্মদিন এতটাই সাদামাটা ছিল যে তা আমাদের স্মরণ করিয়ে দিয়েছে, দেশটি গণতন্ত্র থেকে বহু দূরে। জন্মদিনে সু চি পাঁচ মিনিটের এক সংক্ষিপ্ত ভাষণে ‘শান্তি’ শব্দটি উচ্চারণ করেছেন। গত ২১ বছরের মধ্যে প্রায় ১৫ বছর অন্তরীণ থাকার পর সামরিক জান্তা যে মুক্তি তাঁকে দিয়েছে, তা মুক্তির
মরীচিকামাত্র। গত বছর জান্তার সাজানো নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা এবং উচ্চ আদালতের রায়ের প্রেক্ষাপটে কারাজীবনের ‘সদাচরণের’ জন্য তাঁকে রাষ্ট্রীয় ‘ক্ষমা’ ঘোষণা করা হয়। স্পষ্টতই মিয়ানমারে রাজনৈতিক জীবনের স্পন্দন অনুপস্থিত।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং জাতিসংঘের চাপ দেশটির ওপর থাকলেও মিয়ানমারের সামরিক জান্তা তা পরোয়া করছে না। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সু চির অহিংস পথের জন্য তাঁকে নোবেলসহ নানা পুরস্কারে ভূষিত করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদ ২০০৭ সালে ৪০০-০ ভোটে সর্বসম্মতিক্রমে তাঁকে স্বর্ণপদকে ভূষিত করে। যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশের বাণিজ্যিক অবরোধ সামরিক জান্তার চৈতন্যোদয় ঘটাতে ব্যর্থ হয়েছে।
সু চি একটি ভাষণ মিয়ানমারে গোপনে রেকর্ড করেছেন। বিবিসি সেটি ২৮ জুন সম্প্রচার করবে। এতে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, ‘আমাদের কি তিউনিসিয়া ও মিসরের জনগণকে ঈর্ষা করা উচিত? সু চি জবাব দিয়েছেন: হ্যাঁ। তারা যেহেতু দ্রুত ক্রান্তিকাল অতিক্রম করেছে, তাই সেটা আমাদের ঈর্ষা করা উচিত। কিন্তু ঈর্ষার চেয়ে বড় বোধ হচ্ছে একাত্মতা অনুভব, যা আমাদের অঙ্গীকারকে নতুন করে নবায়ন করে। স্বাধীনতার জন্য আমাদের যে প্রয়াস, তাতে আমাদের মুক্তির উপায় জেনে নিতে হবে।’
সন্দেহ নেই, মিয়ানমার কীভাবে পরিচালিত হবে, সেটা সে দেশের জনগণকেই খুঁজে পেতে হবে। কিন্তু বিশ্বসম্প্রদায়, বিশেষ করে, জাতিসংঘ যদি তার দায়িত্ব পালনে অপারগ থাকে, তাহলে সু চির মুক্তির পরও তাঁর স্বপ্নের স্বাধীনতা আরও বহুকালের জন্য অধরাই থেকে যেতে পারে।
মিয়ানমারের সরকার বা রাষ্ট্রপ্রধানের পদ নিছক চাকরি। স্বৈরশাসকেরা আসছেন-যাচ্ছেন। কিন্তু তাঁদের নির্যাতনের স্টিম রোলারের কোনো পরিবর্তন নেই। কুনীতির কোনো হেরফের নেই।
মিয়ানমারের বর্তমান স্বৈরশাসক সেইন ২০ বছরের অস্ত্রবিরতির অবসান ঘটিয়ে সশস্ত্র জাতিগত সংখ্যালঘু গ্রুপগুলোর সঙ্গে সংঘাতে নেমেছেন। দেশটি নতুন করে গৃহযুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে। সীমান্তবর্তী অঞ্চলের জাতিগত সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা সাম্প্রতিককালে আরও নাজুক হয়ে পড়েছে। যে কারণে হাজার হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থীর বোঝা গরিব বাংলাদেশকে বইতে হচ্ছে।
জাতিসংঘের আসন্ন সাধারণ অধিবেশনে মিয়ানমারে সম্ভাব্য মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্তের জন্য একটি তদন্ত কমিশন হোক। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কার্যকর চাপ এবং মিয়ানমারবাসীর জাগরণ ছাড়া দেশটিতে কোনো সংস্কার আসবে না। সু চির শান্তিপূর্ণ সংগ্রাম সফল হোক। দেশটিতে গণতন্ত্র ফিরে আসুক।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং জাতিসংঘের চাপ দেশটির ওপর থাকলেও মিয়ানমারের সামরিক জান্তা তা পরোয়া করছে না। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সু চির অহিংস পথের জন্য তাঁকে নোবেলসহ নানা পুরস্কারে ভূষিত করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদ ২০০৭ সালে ৪০০-০ ভোটে সর্বসম্মতিক্রমে তাঁকে স্বর্ণপদকে ভূষিত করে। যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশের বাণিজ্যিক অবরোধ সামরিক জান্তার চৈতন্যোদয় ঘটাতে ব্যর্থ হয়েছে।
সু চি একটি ভাষণ মিয়ানমারে গোপনে রেকর্ড করেছেন। বিবিসি সেটি ২৮ জুন সম্প্রচার করবে। এতে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, ‘আমাদের কি তিউনিসিয়া ও মিসরের জনগণকে ঈর্ষা করা উচিত? সু চি জবাব দিয়েছেন: হ্যাঁ। তারা যেহেতু দ্রুত ক্রান্তিকাল অতিক্রম করেছে, তাই সেটা আমাদের ঈর্ষা করা উচিত। কিন্তু ঈর্ষার চেয়ে বড় বোধ হচ্ছে একাত্মতা অনুভব, যা আমাদের অঙ্গীকারকে নতুন করে নবায়ন করে। স্বাধীনতার জন্য আমাদের যে প্রয়াস, তাতে আমাদের মুক্তির উপায় জেনে নিতে হবে।’
সন্দেহ নেই, মিয়ানমার কীভাবে পরিচালিত হবে, সেটা সে দেশের জনগণকেই খুঁজে পেতে হবে। কিন্তু বিশ্বসম্প্রদায়, বিশেষ করে, জাতিসংঘ যদি তার দায়িত্ব পালনে অপারগ থাকে, তাহলে সু চির মুক্তির পরও তাঁর স্বপ্নের স্বাধীনতা আরও বহুকালের জন্য অধরাই থেকে যেতে পারে।
মিয়ানমারের সরকার বা রাষ্ট্রপ্রধানের পদ নিছক চাকরি। স্বৈরশাসকেরা আসছেন-যাচ্ছেন। কিন্তু তাঁদের নির্যাতনের স্টিম রোলারের কোনো পরিবর্তন নেই। কুনীতির কোনো হেরফের নেই।
মিয়ানমারের বর্তমান স্বৈরশাসক সেইন ২০ বছরের অস্ত্রবিরতির অবসান ঘটিয়ে সশস্ত্র জাতিগত সংখ্যালঘু গ্রুপগুলোর সঙ্গে সংঘাতে নেমেছেন। দেশটি নতুন করে গৃহযুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে। সীমান্তবর্তী অঞ্চলের জাতিগত সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা সাম্প্রতিককালে আরও নাজুক হয়ে পড়েছে। যে কারণে হাজার হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থীর বোঝা গরিব বাংলাদেশকে বইতে হচ্ছে।
জাতিসংঘের আসন্ন সাধারণ অধিবেশনে মিয়ানমারে সম্ভাব্য মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্তের জন্য একটি তদন্ত কমিশন হোক। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কার্যকর চাপ এবং মিয়ানমারবাসীর জাগরণ ছাড়া দেশটিতে কোনো সংস্কার আসবে না। সু চির শান্তিপূর্ণ সংগ্রাম সফল হোক। দেশটিতে গণতন্ত্র ফিরে আসুক।
No comments