খুদে খেলোয়াড়দের বিজয়কথা by হরি কিশোর চাকমা
রাঙামাটিতে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে একটি প্রীতি ফুটবল টুর্নামেন্ট হয়। অন্য সব ফুটবল টুর্নামেন্ট থেকে এটি একটু আলাদা। কেননা, এই খেলায় দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অংশগ্রহণকারী খেলোয়াড়েরা কিশোরী। এই ফুটবল টুর্নামেন্টে মোনঘর আবাসিক প্রাথমিক বিদ্যালয়কে হারিয়ে বিজয়ী হয় মঘাছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
ঘটনা এখানেই শেষ নয়। এর আগে গত বছর মঘাছড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয় পর্যায়ে কৃতিত্ব অর্জন করে। আশ্চর্যের বিষয় হলো, এই খেলোয়াড়দের অনেকের টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের আগে রাঙামাটি শহর দেখারও সুযোগ হয়নি কখনো। এ রকম প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে এসে নিজেদের প্রতিভার চর্চা করছে তারা। গত বছর ‘বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০১১’-তে বিজয়ী হওয়ার পর সবার নজরে আসে এই দলটি।
তিশা চাকমা, মাউচাই মারমা ও রুনা আক্তারসহ এই দলের খুদে খেলোয়াড়দের ইচ্ছা জাতীয় মহিলা ফুটবল দলে যোগ দেওয়ার। এই লক্ষ্যে পড়াশোনার পাশাপাশি নিয়মিত অনুশীলন করে যাচ্ছে তারা। মঘাছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বীরসেন চাকমা বলেন, ‘গত বছরের মে-জুন মাসের দিকে বঙ্গমাতা ফুটবল টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের চিঠি হাতে পাই। এরপর বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে দুটি দল করি। কিন্তু ছেলেদের দলটি উপজেলা পর্যায়ে রানার্সআপ হওয়ার পর আর এগোতে পারেনি। প্রথম যখন প্রশিক্ষণ শুরু হয়, তখন অনেকে এ উদ্যোগকে ভালো চোখে দেখেনি। উপজেলা পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর ঘাগড়া এলাকার লোকেরা সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন। ওই সময় বড় মাঠে প্রশিক্ষণের জন্য ঘাগড়া কলেজ মাঠ ব্যবহার এবং মেয়েদের বিভিন্ন বাড়িতে থাকতে দেন। পরে যখন জেলা পর্যায়ে শিরোপা লাভ করে এবং কর্মকর্তা ও ক্রীড়া সংগঠকেরা মেয়েদের খেলা দেখেন, তখন সবার মনে আগ্রহ সৃষ্টি হয়। তার পর থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ, সেনাবাহিনীর রাঙামাটি আঞ্চলিক সদর দপ্তর, জেলা ক্রীড়া সংস্থাসহ অনেক প্রতিষ্ঠান তাদের সহায়তায় এগিয়ে আসে। ব্যক্তিপর্যায়ে ফিরোজ আহমদ নামের চট্টগ্রামের এক ব্যক্তি এবং রাঙামাটি জেলা পরিষদ সদস্য অংসুই প্রু চৌধুরীসহ অনেকে সাহায্য দিয়েছেন।’
তিশা চাকমা, মাউচাই মারমা ও রুনা আক্তারসহ এই দলের খুদে খেলোয়াড়দের ইচ্ছা জাতীয় মহিলা ফুটবল দলে যোগ দেওয়ার। এই লক্ষ্যে পড়াশোনার পাশাপাশি নিয়মিত অনুশীলন করে যাচ্ছে তারা। মঘাছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বীরসেন চাকমা বলেন, ‘গত বছরের মে-জুন মাসের দিকে বঙ্গমাতা ফুটবল টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের চিঠি হাতে পাই। এরপর বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে দুটি দল করি। কিন্তু ছেলেদের দলটি উপজেলা পর্যায়ে রানার্সআপ হওয়ার পর আর এগোতে পারেনি। প্রথম যখন প্রশিক্ষণ শুরু হয়, তখন অনেকে এ উদ্যোগকে ভালো চোখে দেখেনি। উপজেলা পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর ঘাগড়া এলাকার লোকেরা সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন। ওই সময় বড় মাঠে প্রশিক্ষণের জন্য ঘাগড়া কলেজ মাঠ ব্যবহার এবং মেয়েদের বিভিন্ন বাড়িতে থাকতে দেন। পরে যখন জেলা পর্যায়ে শিরোপা লাভ করে এবং কর্মকর্তা ও ক্রীড়া সংগঠকেরা মেয়েদের খেলা দেখেন, তখন সবার মনে আগ্রহ সৃষ্টি হয়। তার পর থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ, সেনাবাহিনীর রাঙামাটি আঞ্চলিক সদর দপ্তর, জেলা ক্রীড়া সংস্থাসহ অনেক প্রতিষ্ঠান তাদের সহায়তায় এগিয়ে আসে। ব্যক্তিপর্যায়ে ফিরোজ আহমদ নামের চট্টগ্রামের এক ব্যক্তি এবং রাঙামাটি জেলা পরিষদ সদস্য অংসুই প্রু চৌধুরীসহ অনেকে সাহায্য দিয়েছেন।’
No comments