আমিনবাজারে ছয় ছাত্র হত্যা-ডাকাতি মামলার বাদীসহ দুজন গ্রেপ্তার, ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
ঢাকার সাভারের আমিনবাজারের বড়দেশী গ্রামে ছয় ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনার পর করা ডাকাতি মামলার বাদীসহ দুজনকে গত সোমবার রাতে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। তাঁরা হলেন মামলার বাদী বালু ব্যবসায়ী আবদুল মালেক ও বাদীপক্ষভুক্ত বালু ব্যবসায়ী আবদুল হামিদ।
সিআইডির জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার সিরাজুল ইসলাম বলেন, রাজধানীর মিরপুর থেকে ওই দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। আদালত তাঁদের তিন দিনের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন।
আদালত সূত্র জানায়, সিআইডি ওই দুজনকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানালে বিচারিক হাকিম তৈয়বুল হাসান তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
নিহত ছয় ছাত্রের একজন কামরুজ্জামানের বাবা আবদুল কাদের বলেন, দীর্ঘদিন ধরে মামলাটি গতি পাচ্ছিল না। নিহত ওই ছাত্রের পরিবারগুলো বারবারই এঁদের গ্রেপ্তারের জন্য দাবি জানিয়েছে। তাঁরা কেন ছয় ছাত্রের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করলেন, কাদের প্ররোচনায় করলেন—এসব প্রশ্ন ঘুরছিল দীর্ঘদিন থেকে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করলেই এসব প্রশ্নের জবাব মিলবে। এতে হত্যাকারীদের চিহ্নিত করা সহজ হবে।
২০১১ সালের ১৭ জুলাই রাতে বড়দেশী গ্রামে ডাকাত সন্দেহে ছয় ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। নিহত ছয়জন হলেন: ধানমন্ডির ম্যাপললিফের এ লেভেলের ছাত্র শামস রহিম শাম্মাম (১৭), মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক শ্রেণীর দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ইব্রাহিম খলিল (২১), একই কলেজের পদার্থবিদ্যা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র তৌহিদুর রহমান (২০) ও উচ্চমাধ্যমিক বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র কামরুজ্জামান (১৬), তেজগাঁও কলেজের ব্যবস্থাপনা প্রথম বর্ষের ছাত্র টিপু সুলতান (১৯) এবং মিরপুরের বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউবিটি) বিবিএ দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র সিতাব জাবীর মুনিব (২০)।
ওই ঘটনার পর সাভার থানায় দুটি মামলা হয়। এর মধ্যে নিহত ছয়জনের বিরুদ্ধে ডাকাতির অভিযোগে মামলাটি করেন ওই গ্রামের আবদুল মালেক। মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, হতাহত তরুণেরা রোববার রাতে (১৭ জুলাই) ক্যাবলার চরে তাঁর বালুর গদিতে গিয়ে পাঁচ হাজার টাকা লুটে নেয়। এরপর পাশের একটি গদিঘরে গেলে তিনি চিৎকার দেন। এ সময় গ্রামের লোকজন এসে তাঁদের আটক করে পিটুনি দিলে ছয়জন মারা যায়। হত্যার ঘটনায় করা মামলার বাদী সাভার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেন। ওই হত্যা মামলায় অজ্ঞাতনামা পাঁচ-ছয় শ লোককে আসামি করা হয়। হত্যা মামলার তদন্ত করছে সিআইডি।
আদালত সূত্র জানায়, সিআইডি ওই দুজনকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানালে বিচারিক হাকিম তৈয়বুল হাসান তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
নিহত ছয় ছাত্রের একজন কামরুজ্জামানের বাবা আবদুল কাদের বলেন, দীর্ঘদিন ধরে মামলাটি গতি পাচ্ছিল না। নিহত ওই ছাত্রের পরিবারগুলো বারবারই এঁদের গ্রেপ্তারের জন্য দাবি জানিয়েছে। তাঁরা কেন ছয় ছাত্রের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করলেন, কাদের প্ররোচনায় করলেন—এসব প্রশ্ন ঘুরছিল দীর্ঘদিন থেকে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করলেই এসব প্রশ্নের জবাব মিলবে। এতে হত্যাকারীদের চিহ্নিত করা সহজ হবে।
২০১১ সালের ১৭ জুলাই রাতে বড়দেশী গ্রামে ডাকাত সন্দেহে ছয় ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। নিহত ছয়জন হলেন: ধানমন্ডির ম্যাপললিফের এ লেভেলের ছাত্র শামস রহিম শাম্মাম (১৭), মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক শ্রেণীর দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ইব্রাহিম খলিল (২১), একই কলেজের পদার্থবিদ্যা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র তৌহিদুর রহমান (২০) ও উচ্চমাধ্যমিক বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র কামরুজ্জামান (১৬), তেজগাঁও কলেজের ব্যবস্থাপনা প্রথম বর্ষের ছাত্র টিপু সুলতান (১৯) এবং মিরপুরের বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউবিটি) বিবিএ দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র সিতাব জাবীর মুনিব (২০)।
ওই ঘটনার পর সাভার থানায় দুটি মামলা হয়। এর মধ্যে নিহত ছয়জনের বিরুদ্ধে ডাকাতির অভিযোগে মামলাটি করেন ওই গ্রামের আবদুল মালেক। মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, হতাহত তরুণেরা রোববার রাতে (১৭ জুলাই) ক্যাবলার চরে তাঁর বালুর গদিতে গিয়ে পাঁচ হাজার টাকা লুটে নেয়। এরপর পাশের একটি গদিঘরে গেলে তিনি চিৎকার দেন। এ সময় গ্রামের লোকজন এসে তাঁদের আটক করে পিটুনি দিলে ছয়জন মারা যায়। হত্যার ঘটনায় করা মামলার বাদী সাভার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেন। ওই হত্যা মামলায় অজ্ঞাতনামা পাঁচ-ছয় শ লোককে আসামি করা হয়। হত্যা মামলার তদন্ত করছে সিআইডি।
No comments