পরিষ্কার থাকার দাওয়াই by তাসবীর শাতিল
‘আমি কখনোই আমার মাথার ভেতর দিয়ে নোংরা পায়ে কাউকে হেঁটে যেতে দিই না।’ মহাত্মা গান্ধীর এই বিখ্যাত উক্তিটি থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই পথচলা শুরু। লক্ষ্য শুধু একটাই—দেশের সচেতন নাগরিক হিসেবে সমাজকে পরিশুদ্ধ করা। শুধু কথা নয়, কাজের দিক থেকেও হতে হবে দেশের সক্রিয় নাগরিকদের একজন।
এমনটি বিশ্বাস করেন বিহঙ্গের সদস্যরা। আর তাঁদের এই বিশ্বাসই ‘বি ক্লিন, কিপ ক্লিন’ কর্মসূচি বাস্তবায়নের প্রধান হাতিয়ার হয়ে কাজ করে।
এনে দেয় ‘শ্রেষ্ঠ সোশ্যাল অ্যাকশন প্রজেক্ট ২০১২’-এর সম্মাননা।
‘শুরুটা হয় ২০১১ সালের অক্টোবর মাসের শেষের দিকে। ব্রিটিশ কাউন্সিলের সহযোগিতায় ডেমক্রেসিওয়াচ আয়োজন করে একটি ইয়ুথ লিডারশিপ প্রোগ্রাম। চার দিনব্যাপী আয়োজিত এ কর্মসূচির মাধ্যমে দেশের সক্রিয় নাগরিক হিসেবে সমাজের উন্নয়নে নিজেদের ভূমিকাসহ অনেক বিষয় সম্পর্কে আমরা জানতে পারি।’ বলছিলেন মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির যন্ত্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী খালিদ মাহমুদ।
প্রোগ্রামের শেষ দিনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের তিনটি দলে ভাগ করে দেওয়া হয় একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর দলীয় বক্তব্য উপস্থাপনের জন্য। সেখান থেকেই সবার সঙ্গে সবার পরিচয়। আর এই পরিচয় থেকেই গঠিত হয় বিহঙ্গ। বিহঙ্গ দলের সবাই একমত হয়ে ঠিক করেন, তাঁদের সোশ্যাল অ্যাওয়ারনেস প্রোগ্রামটি হবে ‘বি ক্লিন, কিপ ক্লিন’ বিষয়ের ওপর।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী লায়লা তাসমিয়া জানান, ‘এই পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি একদম তৃণমূল পর্যায় থেকে শুরু করার সিদ্ধান্ত নিই। এ কারণে আমরা প্রথমে বেছে নিই সরকারি প্রাইমারি স্কুলগুলো।’
এ সম্পর্কে লায়লা তাসমিয়া বলেন, ‘সরকারি প্রাইমারি স্কুলগুলোতে সমাজের বিভিন্ন স্তর থেকে শিক্ষার্থীরা আসে। ফলে তাদের মধ্যে যদি আমরা পরিচ্ছন্ন থাকার এ সচেতনতা তৈরি করতে পারি, তবে আমাদের সবার জন্য সমাজের সর্বস্তরে পৌঁছানোর কাজটা অনেক সহজ হয়ে যায়। জানুয়ারির ২৯ তারিখ আমাদের প্রথম কর্মসূচির দিন নির্ধারণ করি।’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও সংঘর্ষ বিভাগের শিক্ষার্থী সামিরা বারী বলেন, ‘আমরা প্রতিটি ক্লাসরুমে গিয়ে শিক্ষার্থীদের পরিচ্ছন্নতার খুঁটিনাটি দিকগুলো তুলে ধরি এবং তাদের আমাদের সঙ্গে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানাই। এরপর আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে শুরু করি পরিচ্ছন্নতা অভিযান। দেখতে দেখতে নিমেষেই পরিষ্কার হয়ে যায় নোংরা মাঠটি। পরিচ্ছন্নতা অভিযান শেষে শিক্ষার্থীদের জন্য নানা রকম খেলার ব্যবস্থাও করা হয়। খেলা শেষে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে প্রধান শিক্ষিকা পরিচ্ছন্নতার ওপর সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন এবং বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।’
বিহঙ্গের এই স্বপ্ন মুক্ত বিহঙ্গের মতোই বর্ণিল আকাশে ডানা ঝাপটে উড়ে বেড়াবে একদিন। গড়ে তুলবে একটি পরিচ্ছন্ন মানবসমাজ।
এনে দেয় ‘শ্রেষ্ঠ সোশ্যাল অ্যাকশন প্রজেক্ট ২০১২’-এর সম্মাননা।
‘শুরুটা হয় ২০১১ সালের অক্টোবর মাসের শেষের দিকে। ব্রিটিশ কাউন্সিলের সহযোগিতায় ডেমক্রেসিওয়াচ আয়োজন করে একটি ইয়ুথ লিডারশিপ প্রোগ্রাম। চার দিনব্যাপী আয়োজিত এ কর্মসূচির মাধ্যমে দেশের সক্রিয় নাগরিক হিসেবে সমাজের উন্নয়নে নিজেদের ভূমিকাসহ অনেক বিষয় সম্পর্কে আমরা জানতে পারি।’ বলছিলেন মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির যন্ত্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী খালিদ মাহমুদ।
প্রোগ্রামের শেষ দিনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের তিনটি দলে ভাগ করে দেওয়া হয় একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর দলীয় বক্তব্য উপস্থাপনের জন্য। সেখান থেকেই সবার সঙ্গে সবার পরিচয়। আর এই পরিচয় থেকেই গঠিত হয় বিহঙ্গ। বিহঙ্গ দলের সবাই একমত হয়ে ঠিক করেন, তাঁদের সোশ্যাল অ্যাওয়ারনেস প্রোগ্রামটি হবে ‘বি ক্লিন, কিপ ক্লিন’ বিষয়ের ওপর।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী লায়লা তাসমিয়া জানান, ‘এই পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি একদম তৃণমূল পর্যায় থেকে শুরু করার সিদ্ধান্ত নিই। এ কারণে আমরা প্রথমে বেছে নিই সরকারি প্রাইমারি স্কুলগুলো।’
এ সম্পর্কে লায়লা তাসমিয়া বলেন, ‘সরকারি প্রাইমারি স্কুলগুলোতে সমাজের বিভিন্ন স্তর থেকে শিক্ষার্থীরা আসে। ফলে তাদের মধ্যে যদি আমরা পরিচ্ছন্ন থাকার এ সচেতনতা তৈরি করতে পারি, তবে আমাদের সবার জন্য সমাজের সর্বস্তরে পৌঁছানোর কাজটা অনেক সহজ হয়ে যায়। জানুয়ারির ২৯ তারিখ আমাদের প্রথম কর্মসূচির দিন নির্ধারণ করি।’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও সংঘর্ষ বিভাগের শিক্ষার্থী সামিরা বারী বলেন, ‘আমরা প্রতিটি ক্লাসরুমে গিয়ে শিক্ষার্থীদের পরিচ্ছন্নতার খুঁটিনাটি দিকগুলো তুলে ধরি এবং তাদের আমাদের সঙ্গে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানাই। এরপর আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে শুরু করি পরিচ্ছন্নতা অভিযান। দেখতে দেখতে নিমেষেই পরিষ্কার হয়ে যায় নোংরা মাঠটি। পরিচ্ছন্নতা অভিযান শেষে শিক্ষার্থীদের জন্য নানা রকম খেলার ব্যবস্থাও করা হয়। খেলা শেষে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে প্রধান শিক্ষিকা পরিচ্ছন্নতার ওপর সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন এবং বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।’
বিহঙ্গের এই স্বপ্ন মুক্ত বিহঙ্গের মতোই বর্ণিল আকাশে ডানা ঝাপটে উড়ে বেড়াবে একদিন। গড়ে তুলবে একটি পরিচ্ছন্ন মানবসমাজ।
No comments