সিস্টেম লস কমান, গ্রাহকসেবা বাড়ান-বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি
গত ডিসেম্বর ও ফেব্রুয়ারি মাসে বিদ্যুতের দাম দুই দফায় বাড়ানোর পর পাইকারি ও খুচরা উভয় পর্যায়ে তৃতীয়বারের মতো বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হচ্ছে বলে সংবাদ পরিবেশিত হয়েছে। এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের বরাত দিয়ে সংবাদে বলা হয়েছে, আগামী ১ এপ্রিল থেকে পাইকারি পর্যায়ে ইউনিটপ্রতি ৩১ পয়সা এবং খুচরা গ্রাহক পর্যায়ে অন্তর্বর্তী আদেশে
পাঁচ শতাংশ দাম বাড়তে পারে। সাধারণ খুচরা গ্রাহক থেকে শুরু করে কলকারখানা, ব্যবসা-বাণিজ্যের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার জন্যই এটি একটি দুঃসংবাদ। কেননা বিদ্যুতের দাম বাড়লে তার প্রভাব পড়ে দ্রব্যমূল্যসহ অর্থনীতির প্রায় সব ক্ষেত্রেই।
আবারও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর পক্ষে যুক্তি হিসেবে বলা হচ্ছে, জ্বালানির দাম বাড়ায় বিদ্যুতের উৎপাদন ব্যয় বেড়েছে। তাই বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। যুক্তিটি জোরালো, তাতে সন্দেহ নেই। তবে লক্ষ রাখা প্রয়োজন, জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই যেন বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়। এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের মূল্যায়ন কমিটি পাইকারি পর্যায়ে ইউনিটপ্রতি ২২ পয়সা দাম বাড়ানোর পক্ষে মত দিয়েছে, কিন্তু বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড এতে আপত্তি জানিয়ে ইউনিটপ্রতি ৪১ পয়সা বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে। এখন পিডিবিকে বলা হয়েছে, তাদের আপত্তির যৌক্তিকতা দুই দিনের মধ্যে কমিশনের কাছে তুলে ধরতে। এখানে যদি এমন সুযোগ থাকে যে ন্যূনতম, অর্থাৎ ইউনিটপ্রতি ২২ পয়সা দাম বাড়ালেই চলে, তবে তাই করা উচিত। আর খুচরা গ্রাহক পর্যায়ে অন্তর্বর্তী আদেশে যে পাঁচ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, সেটাও পুনর্বিবেচনা করে দেখা ভালো। এ ক্ষেত্রে বিতরণ সংস্থাগুলোর সঙ্গে পরামর্শ করে এবং গ্রাহকদের উপস্থিতিতে গণশুনানির মাধ্যমে গ্রাহকদের বক্তব্য শোনার পরই বর্ধিত মূল্যহার স্থির করা অধিকতর যুক্তিসংগত ও গ্রহণযোগ্য হবে।
একই সঙ্গে বিদ্যুৎ খাতের কতগুলো স্থায়ী সমস্যার দিকে দৃষ্টিপাত করা জরুরি। বিদ্যুৎ খাতের সিস্টেম লস বা পদ্ধতিগত কারণে সৃষ্ট লোকসান, চুরি, অপচয় ইত্যাদির বাড়তি বোঝা বছরের পর বছর টানতে হচ্ছে গ্রাহকদের। কিন্তু এগুলো বন্ধ করার বা অন্তত হ্রাস করার লক্ষ্যে কোনো তৎপরতা লক্ষ করা যায় না। সিস্টেম লস, অপচয়, চুরি কিছু মাত্রায় কমানো গেলে অবশ্যই কিছু অর্থের সাশ্রয় হয়। এসব নিয়ে অনেক লেখালেখি, আলোচনা-সমালোচনা হয়, কিন্তু এগুলো বন্ধ করার কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের উৎসাহ কর্তৃপক্ষের তরফে দেখা যায় না। বিদ্যুৎ খাতের ব্যবস্থাপনায় ঘাটতির কারণে যে লোকসান হয়, তার বোঝা কেন গ্রাহকদের টানতে হবে, সেটাও ভেবে দেখা উচিত। তা ছাড়া বিদ্যুৎ সরবরাহ-পরিস্থিতিরও কোনো উন্নতি হচ্ছে না। গ্রাহকসেবার উন্নয়ন না ঘটিয়ে দফায় দফায় বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হচ্ছে। গ্রাহক বেশি দামে বিদ্যুৎ কিনবে, অথচ তাদের ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের ভোগান্তি সইতে হবে, এ অবস্থা কি গ্রহণযোগ্য? মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে গ্রাহকসেবারও যেন উন্নতি ঘটে, সেদিকে লক্ষ রাখা জরুরি।
আবারও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর পক্ষে যুক্তি হিসেবে বলা হচ্ছে, জ্বালানির দাম বাড়ায় বিদ্যুতের উৎপাদন ব্যয় বেড়েছে। তাই বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। যুক্তিটি জোরালো, তাতে সন্দেহ নেই। তবে লক্ষ রাখা প্রয়োজন, জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই যেন বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়। এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের মূল্যায়ন কমিটি পাইকারি পর্যায়ে ইউনিটপ্রতি ২২ পয়সা দাম বাড়ানোর পক্ষে মত দিয়েছে, কিন্তু বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড এতে আপত্তি জানিয়ে ইউনিটপ্রতি ৪১ পয়সা বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে। এখন পিডিবিকে বলা হয়েছে, তাদের আপত্তির যৌক্তিকতা দুই দিনের মধ্যে কমিশনের কাছে তুলে ধরতে। এখানে যদি এমন সুযোগ থাকে যে ন্যূনতম, অর্থাৎ ইউনিটপ্রতি ২২ পয়সা দাম বাড়ালেই চলে, তবে তাই করা উচিত। আর খুচরা গ্রাহক পর্যায়ে অন্তর্বর্তী আদেশে যে পাঁচ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, সেটাও পুনর্বিবেচনা করে দেখা ভালো। এ ক্ষেত্রে বিতরণ সংস্থাগুলোর সঙ্গে পরামর্শ করে এবং গ্রাহকদের উপস্থিতিতে গণশুনানির মাধ্যমে গ্রাহকদের বক্তব্য শোনার পরই বর্ধিত মূল্যহার স্থির করা অধিকতর যুক্তিসংগত ও গ্রহণযোগ্য হবে।
একই সঙ্গে বিদ্যুৎ খাতের কতগুলো স্থায়ী সমস্যার দিকে দৃষ্টিপাত করা জরুরি। বিদ্যুৎ খাতের সিস্টেম লস বা পদ্ধতিগত কারণে সৃষ্ট লোকসান, চুরি, অপচয় ইত্যাদির বাড়তি বোঝা বছরের পর বছর টানতে হচ্ছে গ্রাহকদের। কিন্তু এগুলো বন্ধ করার বা অন্তত হ্রাস করার লক্ষ্যে কোনো তৎপরতা লক্ষ করা যায় না। সিস্টেম লস, অপচয়, চুরি কিছু মাত্রায় কমানো গেলে অবশ্যই কিছু অর্থের সাশ্রয় হয়। এসব নিয়ে অনেক লেখালেখি, আলোচনা-সমালোচনা হয়, কিন্তু এগুলো বন্ধ করার কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের উৎসাহ কর্তৃপক্ষের তরফে দেখা যায় না। বিদ্যুৎ খাতের ব্যবস্থাপনায় ঘাটতির কারণে যে লোকসান হয়, তার বোঝা কেন গ্রাহকদের টানতে হবে, সেটাও ভেবে দেখা উচিত। তা ছাড়া বিদ্যুৎ সরবরাহ-পরিস্থিতিরও কোনো উন্নতি হচ্ছে না। গ্রাহকসেবার উন্নয়ন না ঘটিয়ে দফায় দফায় বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হচ্ছে। গ্রাহক বেশি দামে বিদ্যুৎ কিনবে, অথচ তাদের ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের ভোগান্তি সইতে হবে, এ অবস্থা কি গ্রহণযোগ্য? মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে গ্রাহকসেবারও যেন উন্নতি ঘটে, সেদিকে লক্ষ রাখা জরুরি।
No comments