সংসদে যেতে তাঁদের অনাগ্রহ কেন?-চৌদ্দ আনা’ মন্ত্রীর অনুপস্থিতি
সংসদের ব্যাপারে সরকারি দলের সদস্যরাও মনে হচ্ছে আগ্রহ হারিয়ে ফেলতে শুরু করেছেন। বিরোধী দলের সংসদে না যাওয়া দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখন দেখা যাচ্ছে, সরকারি দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য-মন্ত্রীরাও সংসদে যাওয়াকে অপয়োজনীয় ভাবছেন।
না হলে সরকারি দলের সদস্যকে এ ব্যাপারে স্পিকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে হবে কেন? সংসদে যাওয়ার ব্যাপারে এই অনাগ্রহ কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
সংসদে এখন বাজেট অধিবেশন চলছে, বাজেট পেশের পর এ নিয়ে চলছে সাধারণ আলোচনা। প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর আলাপ-আলোচনা শেষে এই অধিবেশনেই পাস হবে ২০১১-১২ অর্থবছরের বাজেট। বিরোধী দল দীর্ঘদিন ধরেই সংসদে অনুপস্থিত। বাজেট নিয়ে তাদের কোনো মতামত বা পরামর্শ পাওয়ার সুযোগ নেই। এ অবস্থায় শুধু সরকারি দল ও জোটের সদস্যরাই আলোচনা করছেন বাজেট নিয়ে। সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীরা সংসদে উপস্থিত থেকে সাংসদদের মতামত দেবেন ও শুনবেন—এটাই প্রত্যাশিত। একে বিরোধী দল সংসদে নেই, অন্যদিকে মন্ত্রীরাও যদি সংসদে উপস্থিত থেকে জনপ্রতিনিধিদের কথা না শোনেন, তবে এই পরিস্থিতিকে হতাশাজনক বলে মানতেই হবে।
মঙ্গলবার বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনার সময় সরকারি দলের সদস্যরাই মন্ত্রীদের অনুপস্থিতির ব্যাপারে স্পিকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন। কারণ, আলোচনার সময় অর্থমন্ত্রী, পরিকল্পনামন্ত্রীসহ মন্ত্রিসভার অধিকাংশ মন্ত্রীই অনুপস্থিত ছিলেন। সংগত কারণেই অসন্তোষ প্রকাশ পেল স্পিকারের কথায়। ‘বিশেষ জরুরি প্রয়োজনে অনেক ক্ষেত্রে দুই-চার-ছয় আনা মন্ত্রী অনুপস্থিত থাকতে পারেন। কিন্তু এখন দেখছি, চৌদ্দ আনা মন্ত্রীই অনুপস্থিত।’ সংসদে মন্ত্রীদের এই অনুপস্থিতি নিয়ে এক অনির্ধারিত আলোচনাও হয়েছে বাজেট আলোচনা বাদ রেখে।
মন্ত্রীদের চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর ব্যস্ততা নিশ্চয়ই অনেক বেশি, কিন্তু প্রধানমন্ত্রী যদি নিয়মিত সংসদে উপস্থিত থাকতে পারেন, তবে মন্ত্রীদের ব্যস্ততার অজুহাতে সংসদে অনুপস্থিত থাকার যুক্তি মেনে নেওয়া কঠিন। বিশেষ করে বাজেট অধিবেশনের মতো গুরুত্বপূর্ণ অধিবেশনে সাংসদেরা যখন বাজেটের ওপর বক্তব্য দেন, তখন তাঁরা আশা করেন যে তাঁদের দেওয়া বক্তব্য মন্ত্রীরা শুনবেন। মন্ত্রীদের অনুপস্থিতি সাংসদদের হতাশ করবে, এটাই স্বাভাবিক। সংসদে মন্ত্রীদের অনুপস্থিতি নিয়ে মঙ্গলবার যখন সংসদে আলোচনা চলছিল, তখন সংসদে আসেন অর্থমন্ত্রী। তিনি অবশ্য সংসদে তাঁর নিয়মিত উপস্থিত থাকার আগ্রহ ও চেষ্টার কথা জানিয়ে সাংসদদের আশ্বস্ত করে বলেছেন যে ‘কাউকে অসম্মান করা বা কারও বক্তব্য না শোনার ইচ্ছা নেই।’
বিশেষ জরুরি কাজ ছাড়া যাতে মন্ত্রীরা সংসদে উপস্থিত থাকেন, তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকারি দলের। চিফ হুইপ ও হুইপদের উচিত এ ব্যাপারে বিশেষ তৎপর হওয়া। আর সবচেয়ে বড় কথা, সংসদে আসার তাগিদ মন্ত্রীদেরই থাকা উচিত। সরকার পরিচালনার কাজটি যেহেতু মন্ত্রীরা করেন, তাই জনপ্রতিনিধিদের মতামত শোনার বিষয়টি খুবই জরুরি।
সংসদে এখন বাজেট অধিবেশন চলছে, বাজেট পেশের পর এ নিয়ে চলছে সাধারণ আলোচনা। প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর আলাপ-আলোচনা শেষে এই অধিবেশনেই পাস হবে ২০১১-১২ অর্থবছরের বাজেট। বিরোধী দল দীর্ঘদিন ধরেই সংসদে অনুপস্থিত। বাজেট নিয়ে তাদের কোনো মতামত বা পরামর্শ পাওয়ার সুযোগ নেই। এ অবস্থায় শুধু সরকারি দল ও জোটের সদস্যরাই আলোচনা করছেন বাজেট নিয়ে। সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীরা সংসদে উপস্থিত থেকে সাংসদদের মতামত দেবেন ও শুনবেন—এটাই প্রত্যাশিত। একে বিরোধী দল সংসদে নেই, অন্যদিকে মন্ত্রীরাও যদি সংসদে উপস্থিত থেকে জনপ্রতিনিধিদের কথা না শোনেন, তবে এই পরিস্থিতিকে হতাশাজনক বলে মানতেই হবে।
মঙ্গলবার বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনার সময় সরকারি দলের সদস্যরাই মন্ত্রীদের অনুপস্থিতির ব্যাপারে স্পিকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন। কারণ, আলোচনার সময় অর্থমন্ত্রী, পরিকল্পনামন্ত্রীসহ মন্ত্রিসভার অধিকাংশ মন্ত্রীই অনুপস্থিত ছিলেন। সংগত কারণেই অসন্তোষ প্রকাশ পেল স্পিকারের কথায়। ‘বিশেষ জরুরি প্রয়োজনে অনেক ক্ষেত্রে দুই-চার-ছয় আনা মন্ত্রী অনুপস্থিত থাকতে পারেন। কিন্তু এখন দেখছি, চৌদ্দ আনা মন্ত্রীই অনুপস্থিত।’ সংসদে মন্ত্রীদের এই অনুপস্থিতি নিয়ে এক অনির্ধারিত আলোচনাও হয়েছে বাজেট আলোচনা বাদ রেখে।
মন্ত্রীদের চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর ব্যস্ততা নিশ্চয়ই অনেক বেশি, কিন্তু প্রধানমন্ত্রী যদি নিয়মিত সংসদে উপস্থিত থাকতে পারেন, তবে মন্ত্রীদের ব্যস্ততার অজুহাতে সংসদে অনুপস্থিত থাকার যুক্তি মেনে নেওয়া কঠিন। বিশেষ করে বাজেট অধিবেশনের মতো গুরুত্বপূর্ণ অধিবেশনে সাংসদেরা যখন বাজেটের ওপর বক্তব্য দেন, তখন তাঁরা আশা করেন যে তাঁদের দেওয়া বক্তব্য মন্ত্রীরা শুনবেন। মন্ত্রীদের অনুপস্থিতি সাংসদদের হতাশ করবে, এটাই স্বাভাবিক। সংসদে মন্ত্রীদের অনুপস্থিতি নিয়ে মঙ্গলবার যখন সংসদে আলোচনা চলছিল, তখন সংসদে আসেন অর্থমন্ত্রী। তিনি অবশ্য সংসদে তাঁর নিয়মিত উপস্থিত থাকার আগ্রহ ও চেষ্টার কথা জানিয়ে সাংসদদের আশ্বস্ত করে বলেছেন যে ‘কাউকে অসম্মান করা বা কারও বক্তব্য না শোনার ইচ্ছা নেই।’
বিশেষ জরুরি কাজ ছাড়া যাতে মন্ত্রীরা সংসদে উপস্থিত থাকেন, তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকারি দলের। চিফ হুইপ ও হুইপদের উচিত এ ব্যাপারে বিশেষ তৎপর হওয়া। আর সবচেয়ে বড় কথা, সংসদে আসার তাগিদ মন্ত্রীদেরই থাকা উচিত। সরকার পরিচালনার কাজটি যেহেতু মন্ত্রীরা করেন, তাই জনপ্রতিনিধিদের মতামত শোনার বিষয়টি খুবই জরুরি।
No comments