কবিগুরুর রুদ্রপলাশ by ফারুখ আহমেদ
আফ্রিকান টিউলিপ ইংরেজি নাম। বাংলা নাম রুদ্রপলাশ। নামটি কবিগুরুর দেওয়া। রমনা পার্কে প্রথম পরিচয়। তারপর দেখা হয় বলধা গার্ডেনে। সেই থেকে রুদ্রপলাশের ছবি তোলার প্রাণান্তকর চেষ্টা। রমনা পার্কের রুদ্রপলাশের দিকে ঘাড় উঁচু করে দৃষ্টি প্রসারিত করলেও ফুলের দেখা মেলা ভার! কেবল একটা-দুটো ফুল, গাছ থেকে টুপটাপ ঝরে পড়লে তবে
দেখা মেলে। কিন্তু সে ফুলের ছবি তো আর তোলা যায় না! সে জন্যই এত দিন রুদ্রপলাশের ছবি তোলা হয়ে ওঠেনি।
এর মধ্যে বলধা গার্ডেনের গাছটি বয়সের ভারে আর ঝড়ের আঘাতে ভেঙে পড়লে শেষ হয় গাছটির শতবর্ষের ইতিহাস। রুদ্রপলাশের ছবি না তোলার আফসোসটা তাই থেকেই গিয়েছিল।
এখন বসন্ত। ক্যামেরার প্রতি তাই ফুলের সহজ হাতছানি। একদিন ধানমন্ডির রাস্তায় রিকশায় ঘুরে ঘুরে বসন্ত ফুলের সমাহার দেখছিলাম। ভাষাসৈনিক তোয়াহা সড়কের পাশে একটি কমিউনিটি সেন্টারের উল্টা দিকে হঠাৎ চোখ আটকে গেল। রুদ্রপলাশ! ছোট্ট আকারের গাছ ফুটপাতের ওপর দাঁড়িয়ে, ফুল একেবারে হাতের নাগালে। ক্যামেরা তাক করে ফটাফট ছবি তোলা শুরু। পথচারীদের প্রশ্নবাণ, ‘ভাই, এটা কী ফুল!’ ক্লান্তিহীন বলে যাই, রুদ্রপলাশ! এর মধ্যে পথশিশুরা এসে রাস্তায় পড়ে থাকা কলি তুলে মাথা ভেঙে টিপে একে অপরকে পিচকারির মতো করে পানি ছিটিয়ে দিল। আমিও পরীক্ষায় নামলাম। মজার দৃশ্য বটে! প্রকৃতিবিদ দ্বিজেন শর্মা জানালেন, ফুল যেভাবে মধু সংরক্ষণ করে, ঠিক তেমনি রুদ্রপলাশের কলি পানি ধরে রাখে। এই পানি সুস্বাদু, মিষ্টিও। তবে সেই পানি আমার আর পান করে দেখা হয়নি। আপনি আগ্রহী? যেতে হবে রমনা উদ্যানে, জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যান বা ধানমন্ডির (৯/এ) ভাষাসৈনিক তোয়াহা সড়কে।
রুদ্রপলাশের বৈজ্ঞানিক নাম Spathodea campanulata। এরা Bignoniaceae পরিবারের সদস্য। ১৫ থেকে ২০ মিটার উচ্চতাসম্পন্ন একটি চিরসবুজ গাছ। কোথাও কোথাও এর বেশি উচ্চতার রুদ্রপলাশের দেখা মেলে। বসন্তের শুরুতে উজ্জ্বল সবুজ পাতার রুদ্রপলাশ গাছের ডালে ডালে থোকায় থোকায় লাল রঙের ফুল ফোটে। কোথাও কোথাও হলুদ রঙের রুদ্রপলাশেরও দেখা পাওয়া যায়। এই প্রজাতির রুদ্রপলাশকে বলা হয় Lutea। আদি নিবাস আফ্রিকা অঞ্চলে, তাই নাম আফ্রিকান টিউলিপ।
এর মধ্যে বলধা গার্ডেনের গাছটি বয়সের ভারে আর ঝড়ের আঘাতে ভেঙে পড়লে শেষ হয় গাছটির শতবর্ষের ইতিহাস। রুদ্রপলাশের ছবি না তোলার আফসোসটা তাই থেকেই গিয়েছিল।
এখন বসন্ত। ক্যামেরার প্রতি তাই ফুলের সহজ হাতছানি। একদিন ধানমন্ডির রাস্তায় রিকশায় ঘুরে ঘুরে বসন্ত ফুলের সমাহার দেখছিলাম। ভাষাসৈনিক তোয়াহা সড়কের পাশে একটি কমিউনিটি সেন্টারের উল্টা দিকে হঠাৎ চোখ আটকে গেল। রুদ্রপলাশ! ছোট্ট আকারের গাছ ফুটপাতের ওপর দাঁড়িয়ে, ফুল একেবারে হাতের নাগালে। ক্যামেরা তাক করে ফটাফট ছবি তোলা শুরু। পথচারীদের প্রশ্নবাণ, ‘ভাই, এটা কী ফুল!’ ক্লান্তিহীন বলে যাই, রুদ্রপলাশ! এর মধ্যে পথশিশুরা এসে রাস্তায় পড়ে থাকা কলি তুলে মাথা ভেঙে টিপে একে অপরকে পিচকারির মতো করে পানি ছিটিয়ে দিল। আমিও পরীক্ষায় নামলাম। মজার দৃশ্য বটে! প্রকৃতিবিদ দ্বিজেন শর্মা জানালেন, ফুল যেভাবে মধু সংরক্ষণ করে, ঠিক তেমনি রুদ্রপলাশের কলি পানি ধরে রাখে। এই পানি সুস্বাদু, মিষ্টিও। তবে সেই পানি আমার আর পান করে দেখা হয়নি। আপনি আগ্রহী? যেতে হবে রমনা উদ্যানে, জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যান বা ধানমন্ডির (৯/এ) ভাষাসৈনিক তোয়াহা সড়কে।
রুদ্রপলাশের বৈজ্ঞানিক নাম Spathodea campanulata। এরা Bignoniaceae পরিবারের সদস্য। ১৫ থেকে ২০ মিটার উচ্চতাসম্পন্ন একটি চিরসবুজ গাছ। কোথাও কোথাও এর বেশি উচ্চতার রুদ্রপলাশের দেখা মেলে। বসন্তের শুরুতে উজ্জ্বল সবুজ পাতার রুদ্রপলাশ গাছের ডালে ডালে থোকায় থোকায় লাল রঙের ফুল ফোটে। কোথাও কোথাও হলুদ রঙের রুদ্রপলাশেরও দেখা পাওয়া যায়। এই প্রজাতির রুদ্রপলাশকে বলা হয় Lutea। আদি নিবাস আফ্রিকা অঞ্চলে, তাই নাম আফ্রিকান টিউলিপ।
No comments