গরিবের হক মারা জনপ্রতিনিধি থেকে সাবধান-ত্রাণের চাল নিয়ে চালবাজি
দরিদ্র, বেকার ও দুস্থ মানুষের জন্য আনা চাল নিয়েও যে একশ্রেণীর সরকারি কর্মকর্তা ও তৃণমূল পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিরা রমরমা ব্যবসা ফেঁদে বসেছেন, তার সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে শনিবারের প্রথম আলোতে। ভোলা প্রতিনিধির পাঠানো এ প্রতিবেদনে বলা হয়, জেলার জেলে, দুস্থ ও শ্রমিকদের জন্য আতপ চাল দেওয়া হচ্ছে।
যদিও এ জেলার বাসিন্দারা আতপ চাল খেতে অভ্যস্ত নয়। এই সুযোগে চালের আড়তদার ও ব্যবসায়ীদের পোয়াবারো। জেলে, দুস্থ ও শ্রমিকদের কাছ থেকে তাঁরা কম দামে চাল কিনে অন্যান্য জেলায় পাঠিয়ে বেশি দামে বিক্রি করছেন। এতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের যোগসাজশ আছে, সন্দেহ নেই; যাকে বলে, চোরে চোরে মাসতুতো ভাই। এসব তদারক করার দায়িত্ব যাঁদের, তাঁরা হয় উদাসীন, নয় মতলববাজ। না হলে ভোলা জেলা খাদ্য কর্মকর্তা ঊর্ধ্বতন মহলে বারবার লিখেও কেন প্রতিকার পান না? ভোলার জন্য সেদ্ধ চাল এবং যে জেলার মানুষ আতপ চাল খেতে অভ্যস্ত, সেসব জেলায় আতপ চাল পাঠালে স্বার্থান্বেষী মহল দরিদ্র ও দুস্থ মানুষের রুটিরুজি নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে পারত না।
এই মাসতুতো ভাইদের সঙ্গে আরেক শ্রেণীর জনপ্রতিনিধির আবির্ভাব ঘটেছে, যাঁরা বাড়তি পরিবহন খরচের নাম করে জেলে ও দুস্থদের বঞ্চিত করছেন। সরকারের পক্ষ থেকে টনপ্রতি পরিবহন খরচ বাবদ ২৩৭ টাকা দেওয়া হলেও খরচ পড়ে ৫০০ টাকার মতো। অর্থাৎ প্রতি টনে ২৬৭ টাকা বাড়তি খরচ হয়। কিন্তু ইউপি চেয়ারম্যান-সদস্যরা বাড়তি খরচের দোহাই দিয়ে জেলেদের অনেক কম চাল দেন। মনপুরার জেলেরা জানিয়েছেন, ৪০ কেজির স্থলে তাঁদের দেওয়া হয় মাত্র ২৫ কেজি। অর্থাৎ প্রতি মণে ১৫ কেজি হাতিয়ে নিচ্ছেন কথিত জনপ্রতিনিধিরা। এদের জনপ্রতিনিধি না বলে জনবিরোধী বলেই চিহ্নিত করা যায়।
শুধু ভোলা নয়, সারা দেশেই এদের দৌরাত্ম্য আছে। অনেকে শক্তিশালী স্থানীয় সরকারের কথা বলেন। আমরাও তার বিরোধী নই। কিন্তু দরিদ্র ও দুস্থ মানুষের হক মেরে দেওয়া জনপ্রতিনিধির প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না। যেসব জনপ্রতিনিধি ভোলার দরিদ্র মানুষকে বঞ্চিত করে নিজেদের আখের গোছাচ্ছেন, তাঁদের অবশ্যই জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। চাল নিয়ে আর চালবাজি চলতে দেওয়া যায় না।
এই মাসতুতো ভাইদের সঙ্গে আরেক শ্রেণীর জনপ্রতিনিধির আবির্ভাব ঘটেছে, যাঁরা বাড়তি পরিবহন খরচের নাম করে জেলে ও দুস্থদের বঞ্চিত করছেন। সরকারের পক্ষ থেকে টনপ্রতি পরিবহন খরচ বাবদ ২৩৭ টাকা দেওয়া হলেও খরচ পড়ে ৫০০ টাকার মতো। অর্থাৎ প্রতি টনে ২৬৭ টাকা বাড়তি খরচ হয়। কিন্তু ইউপি চেয়ারম্যান-সদস্যরা বাড়তি খরচের দোহাই দিয়ে জেলেদের অনেক কম চাল দেন। মনপুরার জেলেরা জানিয়েছেন, ৪০ কেজির স্থলে তাঁদের দেওয়া হয় মাত্র ২৫ কেজি। অর্থাৎ প্রতি মণে ১৫ কেজি হাতিয়ে নিচ্ছেন কথিত জনপ্রতিনিধিরা। এদের জনপ্রতিনিধি না বলে জনবিরোধী বলেই চিহ্নিত করা যায়।
শুধু ভোলা নয়, সারা দেশেই এদের দৌরাত্ম্য আছে। অনেকে শক্তিশালী স্থানীয় সরকারের কথা বলেন। আমরাও তার বিরোধী নই। কিন্তু দরিদ্র ও দুস্থ মানুষের হক মেরে দেওয়া জনপ্রতিনিধির প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না। যেসব জনপ্রতিনিধি ভোলার দরিদ্র মানুষকে বঞ্চিত করে নিজেদের আখের গোছাচ্ছেন, তাঁদের অবশ্যই জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। চাল নিয়ে আর চালবাজি চলতে দেওয়া যায় না।
No comments