আজ শ্রীলঙ্কাকে হারাতে পারলেই ফাইনাল by তারেক মাহমুদ
জিতলেই ফাইনাল! এমন দিন এর আগে একবারই এসেছিল বাংলাদেশের ক্রিকেটে। প্রতিপক্ষ সেবারও শ্রীলঙ্কা। ২০০৯ সালে তিন জাতি সিরিজের ওই ম্যাচ জিতে ঠিকই ফাইনালে উঠেছিল বাংলাদেশ। এশিয়া কাপে আজ ঠিক সে রকমই এক জায়গায় দাঁড়িয়ে মুশফিকুর রহিমের দল।
আজও জিতলেই ফাইনাল, আজও প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা! আজও কি ফাইনালে ওঠার আনন্দে হাসবে বাংলাদেশ?
আশার পালে হাওয়া আছে ভালোই। টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে হারার আগে লড়াই, পরের ম্যাচে ভারতকে দোর্দণ্ড প্রতাপে হারানো আত্মবিশ্বাসের পারদ তুলে দিচ্ছে ওপরে। অন্যদিকে প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা যেন দেশের বিমান ধরতে পারলেই বাঁচে! প্রথম দুই ম্যাচেই হারার পর আজকের ম্যাচটা তাদের জন্য ‘জিতলেই কী, হারলেই কী’ জাতীয় নিয়মরক্ষার ব্যাপার। কাল অবশ্য সংবাদ সম্মেলনে এসে মাহেলা জয়াবর্ধনে বলে গেছেন, শেষটা অন্তত ভালো চান। তা চাইতেই পারেন। শেষ ম্যাচ যাদের বিপক্ষে, কাগজে-কলমে তো তারাই এশিয়া কাপের দুর্বলতম দল!
কাগজে-কলমে, বাস্তবে নয়। বাস্তবে বরং শ্রীলঙ্কাই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে দুর্বল দল প্রমাণিত। কাল সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রতিনিধি হয়ে আসা মাশরাফি বিন মুর্তজাকে প্রশ্নও করা হলো, এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কাই দুর্বলতম প্রতিপক্ষ কিনা। মাশরাফি যথেষ্টই বিনয়ী, ‘তারা পাকিস্তান-ভারতের কাছে হেরেছে বলেই হয়তো এটা মনে হচ্ছে। নইলে টুর্নামেন্ট শুরুর আগে কিন্তু শিরোপার বড় দাবিদার ছিল শ্রীলঙ্কা।’
সেটা টুর্নামেন্ট শুরুর আগের হিসাব। সেটি বদলে গিয়ে শ্রীলঙ্কা এখন টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে পড়া একমাত্র দল। চাইলে বাংলাদেশের আরেকটি সুবিধাও খুঁজে পেতে পারেন। বাংলাদেশের ভাগ্য নিজেদের হাতেই। ভারতকে বরং তাকিয়ে থাকতে হবে আজকের বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচের দিকে। শ্রীলঙ্কা যদি বাংলাদেশকে হারিয়ে দেয়, কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলার আনন্দে ২২ মার্চের ফাইনাল খেলবে তারা। আর যদি বাংলাদেশ জেতে, ঢাকা ত্যাগের জন্য হয়তো শ্রীলঙ্কার সঙ্গেই হোটেল ছাড়বে ধোনির দল।
ভারত জয়ের পর এশিয়া কাপ নিয়ে গোটা দেশ যে রকম উদ্বেলিত, বাংলাদেশ যেন ফাইনালে এক পা দিয়েই রেখেছে! কিন্তু কাজটা মোটেই সহজ নয়। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২৯টি ওয়ানডেতে বাংলাদেশের জয় মাত্র দুটি। সঙ্গে আছে প্রত্যাশার চাপ। আজ যদি সেই চাপে নুয়ে পড়ে বাংলাদেশ? ভয় নেই। মাশরাফি বিন মুর্তজা অবশ্য দাবি করলেন, চাপ-টাপ তাঁরা মাথায়ই নিচ্ছেন না। লক্ষ্য একটাই—প্রথম দুই ম্যাচের মতো সব উজাড় করে খেলতে হবে। ফলাফল যা হওয়ার হবে।
প্রথম দুই ম্যাচে একই দল নিয়ে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। আজ সেই উপায় নেই। কাঁধে চোট পেয়ে টুর্নামেন্ট থেকেই ছিটকে পড়েছেন শফিউল ইসলাম। তাঁর জায়গায় একাদশে আসছেন আরেক পেসার নাজমুল হোসেন। মাহেলা জয়াবর্ধনে একাদশ প্রসঙ্গ এড়িয়ে গেলেও নিশ্চিত করেছেন, সেরা দল নিয়েই মাঠে নামবেন তিনি।
আজকের ম্যাচে আরেকটি মজা আছে। শ্রীলঙ্কার এই দলের বোলিং কোচ চম্পকা রমানায়েকে। বাংলাদেশ দলের বোলিং কোচ থাকার সুবাদে খেলোয়াড়দের সবার নাড়িনক্ষত্র তাঁর জানা। শ্রীলঙ্কার কোচ গ্রাহাম ফোর্ড নিশ্চয়ই তাঁর কাছে খোঁজখবর নিয়েছেন।
বাংলাদেশ দলেও কিন্তু আছেন তেমনই একজন। শ্রীলঙ্কা দলের হাঁড়ির খবর তাঁরও জানা। বাংলাদেশের দায়িত্ব নেওয়ার আগে স্টুয়ার্ট ল ছিলেন শ্রীলঙ্কার ভারপ্রাপ্ত কোচ, তারও আগে সহকারী কোচও। আজকের ম্যাচের আগে ল তাঁর পুরোনো ডায়েরি খুলবেন না, তা কি হয়!
দেখাই যাক, স্টুয়ার্ট ল-র ফাইনালের স্বপ্ন পূরণ হয়, নাকি ‘শেষ ভালো’র স্বস্তি নিয়ে দেশে ফিরতে পারেন চম্পকা রমানায়েকে।
আশার পালে হাওয়া আছে ভালোই। টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে হারার আগে লড়াই, পরের ম্যাচে ভারতকে দোর্দণ্ড প্রতাপে হারানো আত্মবিশ্বাসের পারদ তুলে দিচ্ছে ওপরে। অন্যদিকে প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা যেন দেশের বিমান ধরতে পারলেই বাঁচে! প্রথম দুই ম্যাচেই হারার পর আজকের ম্যাচটা তাদের জন্য ‘জিতলেই কী, হারলেই কী’ জাতীয় নিয়মরক্ষার ব্যাপার। কাল অবশ্য সংবাদ সম্মেলনে এসে মাহেলা জয়াবর্ধনে বলে গেছেন, শেষটা অন্তত ভালো চান। তা চাইতেই পারেন। শেষ ম্যাচ যাদের বিপক্ষে, কাগজে-কলমে তো তারাই এশিয়া কাপের দুর্বলতম দল!
কাগজে-কলমে, বাস্তবে নয়। বাস্তবে বরং শ্রীলঙ্কাই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে দুর্বল দল প্রমাণিত। কাল সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রতিনিধি হয়ে আসা মাশরাফি বিন মুর্তজাকে প্রশ্নও করা হলো, এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কাই দুর্বলতম প্রতিপক্ষ কিনা। মাশরাফি যথেষ্টই বিনয়ী, ‘তারা পাকিস্তান-ভারতের কাছে হেরেছে বলেই হয়তো এটা মনে হচ্ছে। নইলে টুর্নামেন্ট শুরুর আগে কিন্তু শিরোপার বড় দাবিদার ছিল শ্রীলঙ্কা।’
সেটা টুর্নামেন্ট শুরুর আগের হিসাব। সেটি বদলে গিয়ে শ্রীলঙ্কা এখন টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে পড়া একমাত্র দল। চাইলে বাংলাদেশের আরেকটি সুবিধাও খুঁজে পেতে পারেন। বাংলাদেশের ভাগ্য নিজেদের হাতেই। ভারতকে বরং তাকিয়ে থাকতে হবে আজকের বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচের দিকে। শ্রীলঙ্কা যদি বাংলাদেশকে হারিয়ে দেয়, কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলার আনন্দে ২২ মার্চের ফাইনাল খেলবে তারা। আর যদি বাংলাদেশ জেতে, ঢাকা ত্যাগের জন্য হয়তো শ্রীলঙ্কার সঙ্গেই হোটেল ছাড়বে ধোনির দল।
ভারত জয়ের পর এশিয়া কাপ নিয়ে গোটা দেশ যে রকম উদ্বেলিত, বাংলাদেশ যেন ফাইনালে এক পা দিয়েই রেখেছে! কিন্তু কাজটা মোটেই সহজ নয়। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২৯টি ওয়ানডেতে বাংলাদেশের জয় মাত্র দুটি। সঙ্গে আছে প্রত্যাশার চাপ। আজ যদি সেই চাপে নুয়ে পড়ে বাংলাদেশ? ভয় নেই। মাশরাফি বিন মুর্তজা অবশ্য দাবি করলেন, চাপ-টাপ তাঁরা মাথায়ই নিচ্ছেন না। লক্ষ্য একটাই—প্রথম দুই ম্যাচের মতো সব উজাড় করে খেলতে হবে। ফলাফল যা হওয়ার হবে।
প্রথম দুই ম্যাচে একই দল নিয়ে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। আজ সেই উপায় নেই। কাঁধে চোট পেয়ে টুর্নামেন্ট থেকেই ছিটকে পড়েছেন শফিউল ইসলাম। তাঁর জায়গায় একাদশে আসছেন আরেক পেসার নাজমুল হোসেন। মাহেলা জয়াবর্ধনে একাদশ প্রসঙ্গ এড়িয়ে গেলেও নিশ্চিত করেছেন, সেরা দল নিয়েই মাঠে নামবেন তিনি।
আজকের ম্যাচে আরেকটি মজা আছে। শ্রীলঙ্কার এই দলের বোলিং কোচ চম্পকা রমানায়েকে। বাংলাদেশ দলের বোলিং কোচ থাকার সুবাদে খেলোয়াড়দের সবার নাড়িনক্ষত্র তাঁর জানা। শ্রীলঙ্কার কোচ গ্রাহাম ফোর্ড নিশ্চয়ই তাঁর কাছে খোঁজখবর নিয়েছেন।
বাংলাদেশ দলেও কিন্তু আছেন তেমনই একজন। শ্রীলঙ্কা দলের হাঁড়ির খবর তাঁরও জানা। বাংলাদেশের দায়িত্ব নেওয়ার আগে স্টুয়ার্ট ল ছিলেন শ্রীলঙ্কার ভারপ্রাপ্ত কোচ, তারও আগে সহকারী কোচও। আজকের ম্যাচের আগে ল তাঁর পুরোনো ডায়েরি খুলবেন না, তা কি হয়!
দেখাই যাক, স্টুয়ার্ট ল-র ফাইনালের স্বপ্ন পূরণ হয়, নাকি ‘শেষ ভালো’র স্বস্তি নিয়ে দেশে ফিরতে পারেন চম্পকা রমানায়েকে।
No comments