সংসদেই রাজনৈতিক বিতর্কের সমাধান হওয়া উচিত-হরতালে সহিংসতা, জনদুর্ভোগ
রোববার খুব ভোরে দুটি বাসে অগ্নিসংযোগ করা হয়। বাসগুলো রাস্তার পাশে দাঁড় করানো ছিল। এরপর ফকিরাপুল মোড়ে তিনটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়। অবশ্য কেউ হতাহত হয়নি। বাসে আগুন দেওয়া শুরু হয়েছে এর আগের দিন থেকেই। শনিবার দুপুর থেকে শুরু করে মধ্যরাত পর্যন্ত ঢাকায় নয়টি বাসসহ মোট ১১টি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়।
আগুন-ককটেলের উদ্দেশ্য, আতঙ্ক সৃষ্টি করে হরতাল সফল করা। জনগণের সমর্থনের ওপর নির্ভর না করে ভয়ভীতির আশ্রয় নেওয়া সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ছাড়া কিছু নয়। রাজনৈতিক নেতৃত্ব জনকল্যাণের কথা বললেও, সহিংসতা ও জ্বালাও-পোড়াও নীতির মাধ্যমে জনমনে ভয়ভীতির সঞ্চার করে। এই দ্বিমুখী আচরণ অবশ্যই পরিহার করতে হবে।
যানবাহনে আগুন শুধু সম্পদই নষ্ট করে না, মানুষের জন্য ভীষণ দুর্ভোগের কারণও হয়ে দাঁড়ায়। আগুনের ভয়ে হরতালের আগের দিন শনিবার দুপুরের পর থেকেই অনেক বাস রাস্তায় চলাচল বন্ধ করে দেয়। যাঁরা অফিস-আদালত, কোর্ট-কাছারিতে গেছেন, কাজের শেষে বাসায় ফিরতে গিয়ে দেখেন, পরিবহন-সংকট—গাড়ি নেই, বাস নেই, অটো ও রিকশার ভাড়া দ্বিগুণ। বহু মানুষকে মাইলের পর মাইল হেঁটে বাসায় ফিরতে হয়েছে। নারী পথযাত্রীদের অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। প্রশ্ন ওঠে, বিরোধী দলের হরতাল কি সরকারের বিরুদ্ধে, না সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে? দাবি আদায়ের জন্য জনসমর্থন দরকার। মানুষকে কষ্ট দিয়ে কি সেই সমর্থন পাওয়া যায়?
হরতালের বিরুদ্ধে সরকার যে অবস্থান নিয়েছে, সেটাও সমর্থনযোগ্য নয়। হরতালের আগে থেকেই নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের অভিযোগ করেছে বিরোধী দল। রাস্তায় ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে বিরোধীদলীয় কর্মীদের আটক করে তাৎক্ষণিক বিচারে সাজা দেওয়ার নতুন পদ্ধতি সবাইকে হকচকিত করেছে। এ ধরনের ব্যবস্থায় ক্ষমতার অপব্যবহারের আশঙ্কা থাকে। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় নেতাদের গ্রেপ্তার করে বিরোধীদলীয় আন্দোলনের তপ্ত চুলায় ঘি ছিটানোর ব্যবস্থা হয়েছে মাত্র। জেল-জুলুমে আন্দোলন থামানো যাবে না।
বিরোধী দলের দাবি মূলত রাজনৈতিক। তাদের কথা হলো, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করা যাবে না। এ জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতা সৃষ্টি করাই হলো মূল কাজ। সে জন্য রাজপথ বেছে না নিয়ে সংসদে যাওয়াই শ্রেয় এবং সবার জন্য মঙ্গলজনক।
সরকার ও বিরোধী—উভয় পক্ষে শুভবুদ্ধির উদয় হোক।
যানবাহনে আগুন শুধু সম্পদই নষ্ট করে না, মানুষের জন্য ভীষণ দুর্ভোগের কারণও হয়ে দাঁড়ায়। আগুনের ভয়ে হরতালের আগের দিন শনিবার দুপুরের পর থেকেই অনেক বাস রাস্তায় চলাচল বন্ধ করে দেয়। যাঁরা অফিস-আদালত, কোর্ট-কাছারিতে গেছেন, কাজের শেষে বাসায় ফিরতে গিয়ে দেখেন, পরিবহন-সংকট—গাড়ি নেই, বাস নেই, অটো ও রিকশার ভাড়া দ্বিগুণ। বহু মানুষকে মাইলের পর মাইল হেঁটে বাসায় ফিরতে হয়েছে। নারী পথযাত্রীদের অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। প্রশ্ন ওঠে, বিরোধী দলের হরতাল কি সরকারের বিরুদ্ধে, না সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে? দাবি আদায়ের জন্য জনসমর্থন দরকার। মানুষকে কষ্ট দিয়ে কি সেই সমর্থন পাওয়া যায়?
হরতালের বিরুদ্ধে সরকার যে অবস্থান নিয়েছে, সেটাও সমর্থনযোগ্য নয়। হরতালের আগে থেকেই নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের অভিযোগ করেছে বিরোধী দল। রাস্তায় ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে বিরোধীদলীয় কর্মীদের আটক করে তাৎক্ষণিক বিচারে সাজা দেওয়ার নতুন পদ্ধতি সবাইকে হকচকিত করেছে। এ ধরনের ব্যবস্থায় ক্ষমতার অপব্যবহারের আশঙ্কা থাকে। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় নেতাদের গ্রেপ্তার করে বিরোধীদলীয় আন্দোলনের তপ্ত চুলায় ঘি ছিটানোর ব্যবস্থা হয়েছে মাত্র। জেল-জুলুমে আন্দোলন থামানো যাবে না।
বিরোধী দলের দাবি মূলত রাজনৈতিক। তাদের কথা হলো, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করা যাবে না। এ জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতা সৃষ্টি করাই হলো মূল কাজ। সে জন্য রাজপথ বেছে না নিয়ে সংসদে যাওয়াই শ্রেয় এবং সবার জন্য মঙ্গলজনক।
সরকার ও বিরোধী—উভয় পক্ষে শুভবুদ্ধির উদয় হোক।
No comments