বিদ্যুতের দাম বাড়ছে ১ এপ্রিল থেকে
পাইকারি ও খুচরা গ্রাহক উভয় পর্যায়েই আগামী ১ এপ্রিল থেকে বিদ্যুতের দাম বাড়ছে। পাইকারি পর্যায়ে প্রতি ইউনিটে ৩১ পয়সা ও খুচরা গ্রাহক পর্যায়ে অন্তর্বর্তী আদেশে পাঁচ শতাংশ দাম বাড়াতে পারে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।
বিতরণ সংস্থার ক্ষেত্রে বিদ্যুতের পাইকারি দাম বাড়ানো নিয়ে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) এক প্রস্তাবের ওপর গণশুনানিতে বিইআরসির চেয়ারম্যান সৈয়দ ইউসুফ হোসেন বলেছেন, কমিশন আগামী সপ্তাহেই দাম বাড়ানোর বিষয়ে আদেশ দেবে। পাইকারির পাশাপাশি গত বছরের মতো খুচরা দামও বাড়ানো হতে পারে।
গতকাল সোমবার সকালে রাজধানীর কারওয়ানবাজারের বিইআরসি কার্যালয়ে এই শুনানি হয়। শুনানিতে পিডিবির পক্ষ থেকে দাম বাড়ানোর যৌক্তিকতা তুলে ধরে বলা হয়, জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় বিদ্যুতের উৎপাদন-মূল্য বেড়েছে। কাজেই দাম বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। পিডিবি ভূতাপেক্ষ আদেশে ১ মার্চ থেকেই দাম বাড়ানোর জন্য বিইআরসির প্রতি আবেদন জানায়।
বিতরণ কোম্পানিগুলোর (ডিপিডিসি, ডেসকো, আরইবি, ওজোপাডিকো, পিডিবির বিতরণ অঞ্চলগুলো প্রভৃতি) পক্ষ থেকে বলা হয়, পাইকারি দাম বাড়ানো হলে গ্রাহক পর্যায়েও দাম বাড়াতে হবে। অন্যথায় কোম্পানিগুলোর ওপর বিপুল পরিমাণ লোকসানের দায় চাপবে।
গ্রাহকদের পক্ষে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এবং অন্যরা শুনানিতে বলেন, বিদ্যুতের উৎপাদন-মূল্য বৃদ্ধির কারণ দেখিয়ে দফায় দফায় বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হচ্ছে। কিন্তু বিদ্যুতের সরবরাহ পরিস্থিতির তেমন উন্নতি দেখা যাচ্ছে না। গ্রাহকসেবার উন্নয়ন ও পদ্ধতিগত লোকসান কমানোর ক্ষেত্রেও বিশেষ অগ্রগতি নেই।
বিইআরসিতে দেওয়া পিডিবির প্রস্তাবে বলা হয়েছে, তাদের গত ২৪ নভেম্বরের আদেশ অনুযায়ী পাইকারি বিদ্যুতের দাম দুই দফায় (১ ডিসেম্বর ও ১ ফেব্রুয়ারি থেকে) বেড়েছে। ২৯ ডিসেম্বর জ্বালানি তেলের দাম লিটারপ্রতি পাঁচ টাকা বাড়ানো হয়। ফলে বিদ্যুতের উৎপাদন-ব্যয় প্রতি ইউনিটে ২১ পয়সা বেড়ে সাড়ে পাঁচ টাকা হয়েছে। ফলে জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে পিডিবির ১২৫ কোটি টাকা অতিরিক্ত ঘাটতি হয়েছে। মার্চ থেকে সেচ ও গ্রীষ্মকালীন বর্ধিত চাহিদার কারণে তেলচালিত কেন্দ্রগুলোতে বিদ্যুতের উৎপাদন বাড়াতে হচ্ছে। ফলে উৎপাদন-ব্যয় প্রতি ইউনিটে আরও ২০ পয়সা বেড়ে পাঁচ টাকা ৭০ পয়সা হয়েছে। অথচ প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ পাইকারি বিক্রি করা হচ্ছে তিন টাকা ৭৪ পয়সা। ঘাটতি প্রতি ইউনিটে এক টাকা ৯৬ পয়সা। এ প্রেক্ষাপটে ১ মার্চ থেকে ইউনিটপ্রতি বিদ্যুতের পাইকারি দাম ৪১ পয়সা বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
শুনানিতে বিইআরসির চেয়ারম্যান বলেন, কমিশনের মূল্যায়ন কমিটি ইউনিটপ্রতি ২২ পয়সা দাম বাড়ানোর মত দিয়েছে। তবে পিডিবি তাতে আপত্তি জানিয়েছে। দুই দিনের মধ্যে পিডিবিকে তাদের আপত্তির যৌক্তিকতা কমিশনের কাছে উপস্থাপন করতে বলা হয়েছে।
গতকাল সোমবার সকালে রাজধানীর কারওয়ানবাজারের বিইআরসি কার্যালয়ে এই শুনানি হয়। শুনানিতে পিডিবির পক্ষ থেকে দাম বাড়ানোর যৌক্তিকতা তুলে ধরে বলা হয়, জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় বিদ্যুতের উৎপাদন-মূল্য বেড়েছে। কাজেই দাম বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। পিডিবি ভূতাপেক্ষ আদেশে ১ মার্চ থেকেই দাম বাড়ানোর জন্য বিইআরসির প্রতি আবেদন জানায়।
বিতরণ কোম্পানিগুলোর (ডিপিডিসি, ডেসকো, আরইবি, ওজোপাডিকো, পিডিবির বিতরণ অঞ্চলগুলো প্রভৃতি) পক্ষ থেকে বলা হয়, পাইকারি দাম বাড়ানো হলে গ্রাহক পর্যায়েও দাম বাড়াতে হবে। অন্যথায় কোম্পানিগুলোর ওপর বিপুল পরিমাণ লোকসানের দায় চাপবে।
গ্রাহকদের পক্ষে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এবং অন্যরা শুনানিতে বলেন, বিদ্যুতের উৎপাদন-মূল্য বৃদ্ধির কারণ দেখিয়ে দফায় দফায় বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হচ্ছে। কিন্তু বিদ্যুতের সরবরাহ পরিস্থিতির তেমন উন্নতি দেখা যাচ্ছে না। গ্রাহকসেবার উন্নয়ন ও পদ্ধতিগত লোকসান কমানোর ক্ষেত্রেও বিশেষ অগ্রগতি নেই।
বিইআরসিতে দেওয়া পিডিবির প্রস্তাবে বলা হয়েছে, তাদের গত ২৪ নভেম্বরের আদেশ অনুযায়ী পাইকারি বিদ্যুতের দাম দুই দফায় (১ ডিসেম্বর ও ১ ফেব্রুয়ারি থেকে) বেড়েছে। ২৯ ডিসেম্বর জ্বালানি তেলের দাম লিটারপ্রতি পাঁচ টাকা বাড়ানো হয়। ফলে বিদ্যুতের উৎপাদন-ব্যয় প্রতি ইউনিটে ২১ পয়সা বেড়ে সাড়ে পাঁচ টাকা হয়েছে। ফলে জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে পিডিবির ১২৫ কোটি টাকা অতিরিক্ত ঘাটতি হয়েছে। মার্চ থেকে সেচ ও গ্রীষ্মকালীন বর্ধিত চাহিদার কারণে তেলচালিত কেন্দ্রগুলোতে বিদ্যুতের উৎপাদন বাড়াতে হচ্ছে। ফলে উৎপাদন-ব্যয় প্রতি ইউনিটে আরও ২০ পয়সা বেড়ে পাঁচ টাকা ৭০ পয়সা হয়েছে। অথচ প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ পাইকারি বিক্রি করা হচ্ছে তিন টাকা ৭৪ পয়সা। ঘাটতি প্রতি ইউনিটে এক টাকা ৯৬ পয়সা। এ প্রেক্ষাপটে ১ মার্চ থেকে ইউনিটপ্রতি বিদ্যুতের পাইকারি দাম ৪১ পয়সা বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
শুনানিতে বিইআরসির চেয়ারম্যান বলেন, কমিশনের মূল্যায়ন কমিটি ইউনিটপ্রতি ২২ পয়সা দাম বাড়ানোর মত দিয়েছে। তবে পিডিবি তাতে আপত্তি জানিয়েছে। দুই দিনের মধ্যে পিডিবিকে তাদের আপত্তির যৌক্তিকতা কমিশনের কাছে উপস্থাপন করতে বলা হয়েছে।
No comments