রাস্তায় ফয়সালার চেষ্টা বাদ দিন-আলোচনায়ই সমাধান
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে বিরোধী দলের উদ্দেশে বলেছেন, ‘হরতালে লাভ হবে না, সমস্যার সমাধান চাইলে আলোচনা করতে হবে।’ তাঁর এ বক্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত প্রকাশের অবকাশ নেই।
যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আরও আড়াই বছর পর, তা নিয়ে সরকার ও বিরোধী দলের এখনই মুখোমুখি অবস্থান কাম্য নয়। এতে দুই পক্ষের জেদ বজায় থাকলেও সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে। এমনিতেই দ্রব্যমূল্যের কশাঘাতে স্বল্প আয়ের মানুষ জর্জরিত। তার ওপর উপর্যুপরি হরতাল তাদের কাছে ‘মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা’ হয়ে দেখা দিয়েছে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বহাল রাখার দাবিতে বিরোধী দল ইতিমধ্যে দুই দফায় ৪৮ ঘণ্টা হরতাল পালন করেছে। এই হরতালকে ঘিরে রাজনৈতিক পরিস্থিতিও কম উত্তপ্ত হয়নি। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘সরকার দাবি না মানলে লাগাতার হরতাল ডাকা হবে।’ তাঁর এই ঘোষণা আমাদের শঙ্কিত ও উদ্বিগ্ন না করে পারে না।
গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় আলোচনার মাধ্যমেই সব সমস্যার সমাধান করতে হবে এবং এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সদিচ্ছা থাকা প্রয়োজন। ক্ষমতাসীনেরা বিরোধী দলকে সংসদে এসে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা নিয়ে আলোচনার আহ্বান জানাচ্ছেন কিন্তু সেই আলোচনার ভিত্তি কী হবে, সে সম্পর্কে কিছু বলছেন না। বিরোধী দলের দাবি, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বহাল রাখতে হবে এবং সংবিধান সংশোধনে আনা প্রস্তাব প্রত্যাহার করতে হবে। সুপ্রিম কোর্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ভবিষ্যতের জন্য বাতিল করলেও আগামী দুটি নির্বাচন এর অধীনে করা যেতে পারে বলে অভিমত দিয়েছেন। সরকারি দল যদি আগেই বলে দেয়, তত্ত্বাবধায়ক সরকার রাখার সুযোগ নেই, তাহলে কিসের ভিত্তিতে আলোচনা ও সমঝোতা হবে? অন্যদিকে বিরোধী দলের উচিত নয় আলাপ-আলোচনা না করে রাস্তায় সমস্যা সমাধানের পথ বেছে নেওয়া।
সরকার ও বিরোধী দলের উদ্দেশ্য যদি হয় অবাধ, সুষ্ঠু ও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন করা, তাহলে তাদের ন্যূনতম মতৈক্যে আসতে হবে। গায়ের জোরে কিছু চাপিয়ে দেওয়ার ফল অতীতে ভালো হয়নি, ভবিষ্যতেও হবে না। হরতাল, অবরোধ তথা রাস্তায় ফয়সালার পরিণতি কারও অজানা নয়। ২০০৬, ২০০৭ সালে এক পক্ষ গায়ের জোরে নির্বাচন এবং অপর পক্ষ রাস্তায় ফয়সালা করতে গিয়েই এক-এগারোর অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটিয়েছে। যে কারণে দুই বছরের জন্য একটি অনির্বাচিত সরকার জাতির ওপর চেপে বসেছিল। আবার সেই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হোক, তা দেশবাসী চায় না। দেশ ও জনগণের কল্যাণের দাবিদার রাজনৈতিক নেতৃত্বকে পরমতসহিষ্ণু হতে হবে, সিদ্ধান্ত নিতে হবে ধৈর্য ও বিচক্ষণতার সঙ্গে। মানুষের কষ্ট ও দুর্ভোগ বাড়ে, দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এমন কর্মসূচি পরিহার করে বিরোধী দলকে আলোচনার পথেই সমস্যার সমাধান খুঁজতে হবে। আর সরকারকেও সমঝোতার মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বহাল রাখার দাবিতে বিরোধী দল ইতিমধ্যে দুই দফায় ৪৮ ঘণ্টা হরতাল পালন করেছে। এই হরতালকে ঘিরে রাজনৈতিক পরিস্থিতিও কম উত্তপ্ত হয়নি। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘সরকার দাবি না মানলে লাগাতার হরতাল ডাকা হবে।’ তাঁর এই ঘোষণা আমাদের শঙ্কিত ও উদ্বিগ্ন না করে পারে না।
গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় আলোচনার মাধ্যমেই সব সমস্যার সমাধান করতে হবে এবং এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সদিচ্ছা থাকা প্রয়োজন। ক্ষমতাসীনেরা বিরোধী দলকে সংসদে এসে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা নিয়ে আলোচনার আহ্বান জানাচ্ছেন কিন্তু সেই আলোচনার ভিত্তি কী হবে, সে সম্পর্কে কিছু বলছেন না। বিরোধী দলের দাবি, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বহাল রাখতে হবে এবং সংবিধান সংশোধনে আনা প্রস্তাব প্রত্যাহার করতে হবে। সুপ্রিম কোর্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ভবিষ্যতের জন্য বাতিল করলেও আগামী দুটি নির্বাচন এর অধীনে করা যেতে পারে বলে অভিমত দিয়েছেন। সরকারি দল যদি আগেই বলে দেয়, তত্ত্বাবধায়ক সরকার রাখার সুযোগ নেই, তাহলে কিসের ভিত্তিতে আলোচনা ও সমঝোতা হবে? অন্যদিকে বিরোধী দলের উচিত নয় আলাপ-আলোচনা না করে রাস্তায় সমস্যা সমাধানের পথ বেছে নেওয়া।
সরকার ও বিরোধী দলের উদ্দেশ্য যদি হয় অবাধ, সুষ্ঠু ও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন করা, তাহলে তাদের ন্যূনতম মতৈক্যে আসতে হবে। গায়ের জোরে কিছু চাপিয়ে দেওয়ার ফল অতীতে ভালো হয়নি, ভবিষ্যতেও হবে না। হরতাল, অবরোধ তথা রাস্তায় ফয়সালার পরিণতি কারও অজানা নয়। ২০০৬, ২০০৭ সালে এক পক্ষ গায়ের জোরে নির্বাচন এবং অপর পক্ষ রাস্তায় ফয়সালা করতে গিয়েই এক-এগারোর অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটিয়েছে। যে কারণে দুই বছরের জন্য একটি অনির্বাচিত সরকার জাতির ওপর চেপে বসেছিল। আবার সেই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হোক, তা দেশবাসী চায় না। দেশ ও জনগণের কল্যাণের দাবিদার রাজনৈতিক নেতৃত্বকে পরমতসহিষ্ণু হতে হবে, সিদ্ধান্ত নিতে হবে ধৈর্য ও বিচক্ষণতার সঙ্গে। মানুষের কষ্ট ও দুর্ভোগ বাড়ে, দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এমন কর্মসূচি পরিহার করে বিরোধী দলকে আলোচনার পথেই সমস্যার সমাধান খুঁজতে হবে। আর সরকারকেও সমঝোতার মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।
No comments