এই অপচয় বন্ধ হওয়া প্রয়োজন-উন্নয়ন, না বেহুদা টাকা খরচ?
বিভিন্ন উন্নয়নকাজে জুন মাসের মধ্যে খরচ করতে হবে ১০ হাজার কোটি টাকারও বেশি। এত অল্প সময়ে এই বিপুল অঙ্কের টাকা হয়তো খরচ করে ফেলা যাবে যেকোনোভাবে, তবে তা ‘উন্নয়নকাজ’ হবে কি না, সেটাই হচ্ছে বড় প্রশ্ন।
শুরুতে যে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) নির্ধারণ করা হয়েছিল, তা সংশোধিত হয়েছে দুবার।
শুরুতে যে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) নির্ধারণ করা হয়েছিল, তা সংশোধিত হয়েছে দুবার।
গত মার্চে একবার ও মে মাসে আরেকবার। দুই দফা সংশোধনের পর পরিস্থিতি যা দাঁড়িয়েছে, তাতে জুন মাসের মধ্যে এই পরিমাণ অর্থই খরচ করার কথা। এডিপি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে দক্ষতার অভাব, রাজনৈতিক বিবেচনা প্রাধান্য পাওয়া ও দুর্নীতির মতো যে বিষয়গুলো দীর্ঘদিন ধরে আলোচিত হয়ে আসছে, বর্তমান বাস্তবতা তারই প্রমাণ তুলে ধরেছে।
মার্চ মাসে প্রথম দফা এডিপি সংশোধন করে নতুন কিছু প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। মূল এডিপিই যেখানে বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না, সেখানে অর্থবছরের শেষে এসে নতুন প্রকল্প হাতে নেওয়ার কী মানে থাকতে পারে। প্রকৃত উন্নয়নের উদ্যোগের চেয়ে রাজনৈতিক বিবেচনার বিষয়টিই যে এসব ক্ষেত্রে বড় হয়ে দাঁড়ায়, তাতে সন্দেহ নেই। এ সময় নতুন একটি প্রকল্প এডিপিতে যুক্ত করার অর্থ দাঁড়াচ্ছে, মার্চ থেকে জুন—এই সময়ের মধ্যে দরপত্র ডাকা, তা যাচাই-বাছাই করা, ঠিকাদারকে কার্যাদেশ দেওয়া, প্রকল্পের কাজ শেষ করা ও যাচাই-বাছাই করে ঠিকাদারকে বিল পরিশোধ করা।
এভাবে তড়িঘড়ি করে যেকোনো উন্নয়ন প্রকল্প শেষ করার চেষ্টার অর্থ হচ্ছে, যেকোনোভাবে টাকা খরচ করে এডিপি বাস্তবায়িত হয়েছে এমন একটি ধারণা প্রতিষ্ঠা করা। দেখা যাচ্ছে, উন্নয়ন কিছু হলো কি হলো না, তার চেয়ে টাকা খরচ করে উন্নয়ন হয়েছে এমন ধারণা প্রতিষ্ঠা করাই যেন বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
চলতি অর্থবছরের মূল এডিপি নির্ধারণ করা হয়েছিল সাড়ে ৩৮ হাজার কোটি টাকা। দুই দফা সংশোধনের পর তা দাঁড়ায় ৩৫ হাজার ৮৮০ কোটি টাকা। সংশোধন করে তা কমানোর অর্থই দাঁড়াচ্ছে, বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সক্ষমতার ঘাটতি রয়েছে। আর এটা তো মানতেই হবে, শেষ পর্যায়ে গিয়ে তড়িঘড়ি করে এডিপির বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গেলে কাজের যথাযথ মান ধরে রাখা কোনোভাবেই সম্ভব হবে না।
অর্থবছরের শেষে এসে অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়কে রীতিমতো জরুরি ভিত্তিতে টাকা খরচ করতে উৎসাহিত করা হচ্ছে, কোন মন্ত্রণালয় অর্থবছর শেষ হওয়ার আগে কত টাকা খরচ করতে পারবে, তা-ও জানতে চাওয়া হচ্ছে। মন্ত্রণালয়গুলোও উৎসাহী হয়ে উঠেছে শেষ মুহূর্তের এই টাকা খরচের উৎসবে, যার তলায় চাপা পড়ে যেতে পারে ‘উন্নয়ন’ নামক বিষয়টি। আর তড়িঘড়ি এই খরচের সঙ্গে আর যে অনুষঙ্গ যুক্ত হতে পারে, তা হচ্ছে দুর্নীতি।
নতুন অর্থবছর শুরু হতে যাচ্ছে, এর বাজেটও সংসদে প্রস্তাব করা হয়েছে এবং যথারীতি পাস হয়ে যাবে। আগামী অর্থবছরের এডিপির ক্ষেত্রে বর্তমান অভিজ্ঞতা সরকার বিবেচনায় নেবে কি না, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
মার্চ মাসে প্রথম দফা এডিপি সংশোধন করে নতুন কিছু প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। মূল এডিপিই যেখানে বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না, সেখানে অর্থবছরের শেষে এসে নতুন প্রকল্প হাতে নেওয়ার কী মানে থাকতে পারে। প্রকৃত উন্নয়নের উদ্যোগের চেয়ে রাজনৈতিক বিবেচনার বিষয়টিই যে এসব ক্ষেত্রে বড় হয়ে দাঁড়ায়, তাতে সন্দেহ নেই। এ সময় নতুন একটি প্রকল্প এডিপিতে যুক্ত করার অর্থ দাঁড়াচ্ছে, মার্চ থেকে জুন—এই সময়ের মধ্যে দরপত্র ডাকা, তা যাচাই-বাছাই করা, ঠিকাদারকে কার্যাদেশ দেওয়া, প্রকল্পের কাজ শেষ করা ও যাচাই-বাছাই করে ঠিকাদারকে বিল পরিশোধ করা।
এভাবে তড়িঘড়ি করে যেকোনো উন্নয়ন প্রকল্প শেষ করার চেষ্টার অর্থ হচ্ছে, যেকোনোভাবে টাকা খরচ করে এডিপি বাস্তবায়িত হয়েছে এমন একটি ধারণা প্রতিষ্ঠা করা। দেখা যাচ্ছে, উন্নয়ন কিছু হলো কি হলো না, তার চেয়ে টাকা খরচ করে উন্নয়ন হয়েছে এমন ধারণা প্রতিষ্ঠা করাই যেন বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
চলতি অর্থবছরের মূল এডিপি নির্ধারণ করা হয়েছিল সাড়ে ৩৮ হাজার কোটি টাকা। দুই দফা সংশোধনের পর তা দাঁড়ায় ৩৫ হাজার ৮৮০ কোটি টাকা। সংশোধন করে তা কমানোর অর্থই দাঁড়াচ্ছে, বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সক্ষমতার ঘাটতি রয়েছে। আর এটা তো মানতেই হবে, শেষ পর্যায়ে গিয়ে তড়িঘড়ি করে এডিপির বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গেলে কাজের যথাযথ মান ধরে রাখা কোনোভাবেই সম্ভব হবে না।
অর্থবছরের শেষে এসে অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়কে রীতিমতো জরুরি ভিত্তিতে টাকা খরচ করতে উৎসাহিত করা হচ্ছে, কোন মন্ত্রণালয় অর্থবছর শেষ হওয়ার আগে কত টাকা খরচ করতে পারবে, তা-ও জানতে চাওয়া হচ্ছে। মন্ত্রণালয়গুলোও উৎসাহী হয়ে উঠেছে শেষ মুহূর্তের এই টাকা খরচের উৎসবে, যার তলায় চাপা পড়ে যেতে পারে ‘উন্নয়ন’ নামক বিষয়টি। আর তড়িঘড়ি এই খরচের সঙ্গে আর যে অনুষঙ্গ যুক্ত হতে পারে, তা হচ্ছে দুর্নীতি।
নতুন অর্থবছর শুরু হতে যাচ্ছে, এর বাজেটও সংসদে প্রস্তাব করা হয়েছে এবং যথারীতি পাস হয়ে যাবে। আগামী অর্থবছরের এডিপির ক্ষেত্রে বর্তমান অভিজ্ঞতা সরকার বিবেচনায় নেবে কি না, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
No comments